তা দ্যাখেন, অরিজিৎ আর গান্ধী বিদেয় নেবার পরে জেনুইন ফুটবল এন্থুসিয়াস্টরা গুরুতে নেই। এদিকে ইউরো ( ১ বছর দেরীতে ) শুরু হবে শুক্কুর / শনিবার থেকে । এবারে আছে ছটা গ্রুপ।
এ ঃ টার্কি, ইটালি, ওয়েলস, সুইজারল্যান্ড।
বিঃ ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, বেলজিয়াম, রাশিয়া
সিঃ হল্যান্ড, ইউক্রেন, অস্ট্রিয়া, উত্তর ম্যাসিডোনিয়া
ডি: ক্রোয়েশিয়া, চেক রিপাবলিক, ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড।
ই ঃ পোল্যান্ড, স্লোভাকিয়া, স্পেন, সুইডেন ।
এফঃ হাঙ্গেরি, পর্তুগাল , ফ্রান্স, জার্মানি
প্রি কোয়ার্টার ফাইনালে প্রতি গ্রুপ থেকে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে থাকা দল উঠবে। এছাড়া তৃতীয় স্থানাধিকারীদের মধ্যে প্লে অফ হয়ে আরো চারটে দল। মোট ষোলোটি।
নিন প্রেডিক্ট করুন।
আন্কেল লু এর জোড়া গোল, বেলজিয়াম হারায়ে দিল রাশাকে ৩-০
"সাবরিনা ভিস্ত জেনসেনের বয়স ২৩ বছর। গ্যালারিতে ছিলেন। কর্ণার ফ্ল্যাগের সামনে কী যেন ঘটে গেল। টানেল দিয়ে ছুটে আসতে চাইছিলেন। বিদ্যুত্ গতিতে। আটকে দিলেন নিরাপত্তারক্ষীরা।
উথালপাতাল।
প্রেমিকের জীবন সংকট আর অটুট নিরাপত্তার মাঝে তেইশের ডেনিশ তরুণী। এরিকসনকে ঘিরে রাখছেন সতীর্থরা। নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাইমন ক্যার। যেন প্রতিপক্ষের ফ্রিকিকের সামনের টপ বক্সের মাথায় হিউম্যান ওয়াল সাজাচ্ছেন। যেন সবচেয়ে দামী ক্যামেরার লেন্সটাও এরিকসনের অচৈতন্য ফ্রেম না ধরতে পারে।
সেই সাইমনই নিরাপত্তা বলয় সরিয়ে ডেকে নিলেন এরিকসন বান্ধবীকে। সবুজ ঘাসে তখন মেয়েটির পাঁজর ভাঙা কান্না। অভয় দিলেন সাইমন।
উয়েফা জানাচ্ছে এরিকসন ভাল আছেন। মৃত্যুর জোনাল মার্কিংকে মাঠের বাইরে ছিটকে দিয়েছেন ২৯ বছরের তরুণ।
পৃথিবী দেখল, টিম মানে কী, সতীর্থ মানে কী, মানবতা মানে কী!
আরও একবার প্রমাণিত হল, জীবনের মহাকাব্যের নাম ফুটবল। সেনেগালের ধূসর মাঠ কিংবা কলকাতার কাদা ভরা ময়দান অথবা ইউরোপের ঝাঁচকচকে মাঠ।
মন কেমনের ভ্যাকসিনের নাম ফুটবল। সাইমন জারেরা সেখানে রেমেডিসিভির।
✍️Shovan ছাক্রাবরত্য"
লেখাটা অনেকেই শেয়ার টেয়ার করেছেন দেখলাম। যাক, ফুটবলে সাহিত্যেও তাহলে কোভিড ঢুকল। আগামী কয়েকবছর বোধহয় সবরকম সাহিত্যেই, বিশেষ করে কবিতায় আমরা এসবই পেতে চলেছি।
ছাক্রাবরত্য খুবই পছন্দ হল।
এরিকসেন হাসপাতালে কিছুটা সুস্থ বোধ করতেই ফেসটাইম করে সতীর্থদের বললেন খেলা চালিয়ে যেতে। উনি একথা বলবেন-ই। খেলা ওঁনার প্যাশন।
সতীর্থরা কি এই রিকোয়েস্ট ফেলতে পারবেন? এরিকসেন চাইছেন তাঁরা খেলুন, এরপরেও? অসম্ভব। তাঁরাও খেলতে চাইবেন, সে মনের অবস্থা যাই হোক না কেন।
খেলা হল। ফিনল্যান্ড যে গোলটা করে গেল, ড্যানিশ কিপার স্মাইকেল আধঘুমেও ওটা সেভ করে দেবেন। রেফারি ডেনমার্ককে একটা অত্যন্ত সফ্ট পেনাল্টি দিলেন। দেবেন-ই। ওই জায়গায় আমি থাকলেও দিতাম। না দিলে রাতে ঘুম হতো না। এমনিতেও হয়নি হয়তো।
পেনাল্টি মিস্ হল। হবেই। পেনাল্টি মারার চেয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ চিন্তা ছিল হজবার্গের মাথায়।
উয়েফার হয়তো উচিত ছিল একটা ফাদারলি ফিগার হয়ে সকলের পাশে দাঁড়ানোর, প্রত্যেককে প্রোটেক্ট করার। হয়তো বলা উচিত ছিল - সকলে খেলতে চাইছেন, খুব ভাল। তবে আজ হয়তো না খেললেও চলবে।
কিন্তু বিউটিফুল গেম, প্যাশন, প্রফেশনালিজম ইত্যাদি ইত্যাদি
আজকের প্রেডিকশন:
ইংল্যান্ড-ক্রোয়েশিয়া ড্র
হয়তো হল্যান্ড
অবশ্যই অস্ট্রিয়া
ইংল্যান্ড জিতেছে
দুরন্ত খেলা হল নেদারল্যান্ডস-ইউক্রেন। হারল বটে, তবে এই ইউক্রেনের দম আছে।
ইউরো মোটামুটি শুরু থেকেই জমে গেছে। নেদারল্যান্ড ইউক্রেন সম্ভবত এখনো অবধি সবথেকে উত্তেজক ম্যাচ। ইতালি, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ড, অস্ট্রিয়ার খেলা ভালো লাগলো। ওয়েল্স, ইংল্যান্ড, রাশিয়া এদের খেলা এখনও পর্যন্ত সবথেকে বিরক্তিকর। আজকের মত খেললে ইউক্রেন পরের পর্বে চলে যেতে পারে।
কিন্তু বি দাও শেষে শুধু ইউরোর নামে টই খুল্লে? কোপা কি ভেসে এসেছে? আজ হলো ব্রাজিল ভেনেজুয়েলা, খুব একটা ভালো খেলা হয়নি, ছুটকো ছাটকা মুহুর্ত বাদে। ব্রাজিলের সেই নেইমার নির্ভর দল। কাল আর্জেন্তিনা নামছে। আজকে আবার ফরাসি ওপেন ফাইনাল ছিলো। সামনের সপ্তাহে ক্রিকেট টেস্ট ম্যাচ আছে।
একসাথে এত স্পোর্ট ইভেন্ট যে তাল রাখা যাচ্ছে না। প্রেডিকশন না, কোন গ্রুপ থেকে কোন দল গেলে খুশি হবো বলে দিই।
এঃ ইতালি, সুইজারল্যান্ড
বিঃ ডেনমার্ক, বেলজিয়াম
সিঃ হল্যান্ড, ইউক্রেন
ডিঃ কেউ না (সি থেকে অস্ট্রিয়া, আর এফ থেকে তৃতীয় দল এদের জায়গায় তুলে দিলে ভালো হয় )।
ইঃ স্পেন, সুইডেন
এফঃ ফ্রান্স এবং জার্মানি / পর্তুগাল
টিম,
কোপা নিয়ে টই খুলা হয়েছে তো। এই যে -- https://www.guruchandali.com/comment.php?topic=21572
কেকে, থ্যাঙ্কু। খুঁজে পাইনি। মিসটেক মিসটেক
কালকের ক্রোয়েশিয়া ইংল্যান্ড দেখলাম। দুটো দলই সমান সমান খেলেছে। ড্র হতেই পারত। তবে ফদেন এর শট টা বারে লেগে ফিরল।
আর ডেনিশ কিপার স্মাইকেল নয় স্কিমিচেল। কাসপার স্কিমিচেল।
টিম আমাকে আবাজ দিচ্ছে। নিজেও তো এশিয়ান ওয়ার্ল্ডকাপ কোয়ালিফায়ার নামে টই খুলতে পার্তো। কাল ইন্ডিয়া-আফগানিস্তানের খেলা । হুঁহ।
রমিতবাবু, আমি উচ্চারণভিত্ত্বিক আনন্দবাজারীয় বানান লিখলাম ;)
আচ্ছা আচ্ছা। চেক রিপাবলিক সি থেকে আমার টিকিট পেল।
বি দা, এই দেখ আরেকটা খেলার খবর জানতাম না। প্রচণ্ড পিছিয়ে আছি।
আচ্ছা বুঝতে পেরেছি
টিম, ইউরো আর কোপা কোন চ্যানেলে দেখাচ্ছে?
আমি কিন্তু ভারতীয় ফুটবলের খবর রাখি। কাতারের কাছে মাত্র ১ গোলে হেরেছে (অবিশ্যি আরও বহু গোল খেতে পারত)।
বাংলাদেশ - কে সুনীলের দেওয়া ২ গোলে হারিয়েছে, ম্যাচের সেশ কয়েক মিনিটে।
সুনীল রিটায়ার করলে আর স্ট্রাইকার নাই - তাই কোচ চিন্তিত
ই এস পি এন, ইউনিভিশন যথাক্রমে, অরণ্য দা। আমি ফুবো তে স্ট্রিমিং করছি।
থ্যাংকু, টিম
ফ্রান্স জার্মানি খেলা চলছে। একটা সেমসাইড হলো
" খেলাটা দেখতে দেখতে আমার বারবার প্রয়াত কোচ অমল দত্তর কথা মনে পড়ে যাচ্ছিল।" ফ্রান্স জার্মানির খেলা প্রসঙ্গে বিজয়ন উবাচ।
এ মানে একেবারে একেবারে ............
পর্তুগালত ভালোই খেলাল।
হঠাৎ অমল দত্ত-র কথা মনে পড়ল কেন?
তবে জার্মানি জঘন্য। ওপরে ফিনিশ্ করার লোক নেই। ক্লোসা-পরবর্তী ভাল স্ট্রাইকার সেরকম মনে পড়ে না।
আপাতত ভাল লাগল নেদারল্যান্ডস্, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, ইতালি, পর্তুগাল, ইউক্রেন।
ফ্রান্স নাকি ডায়ামন্ড সিস্টেমে খেলছিলো। সেই সিস্টেমে খেলতে গিয়ে মোবার পেন্টুল যে ইয়েলো হয়ে গেছিলো, সেটা আর বললেন না।
সবকিছুরই একটা শুরু থাকে। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের এই খেলার স্টাইল যে আমাদের মোহনবাগানের থেকে ইন্সপায়ার্ড, জেনে ভাল লাগল।
তারপর গতকাল আবার সবুজ-মেরুন জার্সি জিতেছে। গুরু আবার দু'গোল করলেন। সত্যিই, বিশ্বফুটবলে আমাদের অবদান অনস্বীকার্য।
ইন্টারনেটে দেখলাম - বহুদিন ধরেই দেশঁ নাকি অমলদত্তের ইন্সটা ফলো করতেন। হুমম। বাকিটা বিজয়ন বলতে পারবেন।
কেন মুলার ভালৈ স্ট্রাইকার তো
ইতালি তো ফাটাফাটি। ইতালি কিন্তু শুরুটা খারাপ করে তারপর ধীরে ধীরে উন্নতি করে, এবার একটু ব্যাতিক্রোম। তবে ফ্রান্স জার্মানি যা দেখলাম, ওদের আটকাতে দম লাগবে। বিশেষ করে ফ্রান্স।
আজ ইংল্যান্ড হারলে স'পাঁচআনার পূজো দেবো ।
জিতবে জিতবে, ইংল্যান্ড জিতবে! গ্রিলিশকে ফার্স্ট ইলেভেনে দেখতে চাই।
ইংল্যান্ডকে যেকোনো খেলায় হারতে দেখতে চাই। সাপ লুডোর ডাবলস হলেও চলবে।