ভালো বা মাঝারি শুধু না, একটা বোগাস খারাপ লেখার ব্যাপারেও, মানুষের মতে সচরাচর মিল হয় না। কোনো লেখকই খারাপ নন, তবে স্পেসিফিক কোনো লেখা খুব খারাপ হতেই পারে।
সোশাল মিডিয়াতে সততার, অথেন্টিসিটির খুব দাম। যদিও গোটাটাই ঢপ। সবাই নিজেকে বাকি সবার থেকে বেশি সৎ বলে মনে করে, কিন্তু ছোটো সার্কেলে, দাদা আপনার এই লেখাটা জঘন্য হয়েছে, সরাসরি বলাটা পোলাইট সোসাইটির রীতিতে পড়ে না। এই টইটিতে মানুষ নিজের পড়া, খারাপ লেখাগুলির কথ বুঝিয়ে বলবে।
আপাতত যা জানা গেছে এই টই থেকে যে, বোধির উচিত গিঁট পাকানো গদ্য না লিখে সহজ, স্বাদু , ঘরোয়া আর নিমকি মাফিক মুচমুচে গদ্য লেখা। আর রঞ্জনদার উচিত পল্লবগ্রাহীতা থেকে বেরিয়ে এসে সূচীমুখ লেখা লিখে সমর সেন হওয়া।
:-)
সমর কেন, রঞ্জনদা অমর হবেন।
লেখায় মতামত না এলে লেখকদেরই দেখেছি খারাপ লাগতে, আবার পাঠক ভাল লেগেছেন গোত্রের মন্তব্য করলে, এমনকি পুরো অচেনা পাঠকও, সেনিয়ে খিল্লি খোতাকের বন্যা বয়ে যেতেও দেখেছি৷ সেসব ভাটিয়ালিতে বা অন্যত্র হচ্ছে মানেই পাঠক পড়েন না, তা তো নয়। পড়েন এবং অনেকেই দেখি অন্যত্র বলেন, গুরুতে বাবা লেখা যাবেনা, ওখানে লোকজন খুবই নাক উঁচু। ওখানে মন্তব্য করতে ভয় করে। ওখানে সবাই খুব বোদ্ধা। গুরুতে লিখতে হাত পা সেঁধিয়ে আসে।৷
অথচ মজা হল ফেসবুকেই তাঁ্রা লাইক দেন, নিজেদের লেখায় কেউ সেরকম মন্তব্য করলে এমন খিল্লি করেন না, বা অন্যদের লেখায় গিয়েও এক লাইন ভাললাগা অনেকেই জানিয়ে আসেন। নিজেদের লেখায় লাইক এলেও আপত্তি করেন না মোটেও।
অবশ্যই এসব আদর্শ ভাবতে হবেনা। লাইকের পিছনে ছুটে চলার সংস্কৃতি নিয়েও সমস্যা আছে। এক লাইনেত বাইরে মতামত এলেও তো অবশ্যই ভাল। খারাপ লেখা হলে খারাপ লেখাকে খারাপ লেখা বলতে পারা, খাতাপ লাগলে কেন কী কারণে খারাপ লেগেছে, বলতে পারা তো খুবই ভাল কিন্রু সেসব না করে... যাজ্ঞে।
পপিচু কালচার ও যেমন খুব খারাপ, তেমনি কেবলি খারাপ,বলাতেই খিল্লি খোরাক করাতেই যাবতীয় স্মার্টনেস আর অনন্যতা, এমনতর ট্রেন্ড সেট হলেও খুব ভাল কি?
মিলিয়ে মিশিয়ে মঝঝিমপন্থা কিছু থাকলে ভাল হত।
একদিকে সাইটে লেখা হবে, মন খুলে লিখুন, পাঠক লেখক হবেন, নানা স্তরে পাঠক লেখক থাকবেন, তাঁঁরা ইভলভ করবেন আবার আরেক দিকে এক লাইন লিখলেও প্যাঁক।
একদিকে লেখক চাইবেন পাঠক পড়ুন, মতামত দিন, নতুন পাঠক আসুন, অন্যদিকে সেসব এলেও সমস্যা। লেখা অন্যদের পড়ানো, নিজের ভাললাগা লেখাই, খারাপ লাগা লেখার কথা বলছিনা, সে পড়ানোর কোন উদ্যোগই প্তায় নেই ( একেবারে নেই, কারুর নেই, বলছিনা), প্রায় কোন লেখা নিয়েই কোনরকম প্রতিক্রিয়া, মতামত, আলোচনা, তর্ক নেই, এগুলোর একসংগে সহাবস্থান, পরস্পরবিরোধিতা ছাড়া আর কি, যুক্তি দিয়ে তো বুঝতে পারিনা।
যাঁরা আঁতলামি নিয়ে প্যাঁক দেন, তাঁরাই আবার এমন অনেক কিছু লেখেন যা অনেকের কাছেই অতিয়াঁতেল মনে হবে বা ভাইসি ভার্সা। তো, এটাকে স্ববিরোধিতা ছাড়া আর কী বলব, যুক্তি দিয়ে বুঝতে পারিনা।
আর হ্যাঁ, আমারও অনেকের অনেক পোস্ট পড়ে অনেক কিছু মনে হয়, ডিসি বা হানুদারও। লিখিনা। কাটিয়ে দি। তার আরো একটা বড় কারণ, খুব সাধারণীকরণ করে কিছু বলাটাই ঠিক নয় মনে হয়, বলা যায়না মনে হয়। মানে,বললে ঠিক সুবিচার করা হয়না মনে হয়।
আমার কারুর কিছু পোস্ট পড়ে যদি অকারণ জটিলতা দুর্বোধ্যতা তৈরি করা হয়েছে মনে হয়, তো আরেক লেখায় বা সেই লেখার আরেক অংশ থেকে কিছু শেখার, জানার আছে বলে মনে হয়েছে, এরকম হয়েছে।
আবার কারুর বহু মন্তব্য নিয়েই এককথায় ওই আঁতেল বলে নাকচ করা কি বহু পরিচিত নাম টাম নিয়ে ইনি আবার কে আকাশ থেকে পড়াকে একেক সময়ে মনে হয়েছে নেহাত মজা করে বলছেন, সত্যি হলে মনে হয়েছে ওঁকে নিয়েই খিল্লি করা উচিত কিম্না বলা উচিত উনি নিজে আবার নিজের আগ্রহের নানা নিষয় নিয়ে যেগুলো লেখেন তা আবার অনেকের কাছেই খুব আঁতেল মনে হতে পারে, ট্যান যেতে পারে। আবার অনেক পোস্ট দারুণ লাগে। এই তো ব্যাপার। মিলিয়ে মিশিয়ে। প্রায় সবাইকে নিয়েই।
খালি এই যে মেলানো মেশানো আছে, সেই ব্যাপারটুকুনিকে অস্বীকার করে যাওয়া, বা তাকে স্বীকৃতিটুকু না দেওয়া এমনকি দেওয়ার প্রয়োজনও আছে না ভাবাটা কেমন যেন লাগে জানি!
সি এস,
সমর সেন তো হয়ে গেছি, কবিতা লেখা ছেড়ে দিয়ে:)))!
দাদু শিখিয়েছিলেন -- ছাগল দিয়া কি ধান মাড়াই হয়?
তবে আপনার কথা মাথায় রেখে তাড়াহুড়ো না করে ভালো গদ্য লেখার চেষ্টা করব, এইটুকুই।
অভ্যু
অমর হওয়ার অভিশাপ দিও না প্লীজ।:))) আর দশটা বছর, তার পর টিকিট কাটতে চাই। দেখ, ছ'জন হলেন অমর।
অশ্বত্থামা, বেদব্যাস, হনুমন্ত, বিভীষণ,
কৃপ, পরশুরামশ্চ ষষ্ঠমমরুচ্যতে।।
শেষে হনুমান আর বিভীষণের ক্লাব এর মেম্বার হব? ছ্যা:
২ রহস্য গল্প ট্রাই মেরেছিলাম তিন বার। শেষেরটা ধেড়িয়ে ছিলাম। কিন্তু প্রথম দুটো, বিশেষ করে পলিটিক্যাল থ্রিলার এপাতার পাঠক ফীডব্যাকে পাস ছিল। রাগ দরবারী অনুবাদে তোমার আগ্রহ মনে আছে। আগামী মাসে দেখি।
আসলে কী জান, আমি কোন লেখক টেখক নই। গুরুতে নিজের লেখা আসলে তোমাদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়ার একটি প্রচেষ্টা মাত্র। স্বাস্থ্যের কারণে কোলকাতা ছেড়ে গুরগাঁওয়ে ফ্ল্যাটবন্দী হয়ে আমি বড্ড একা। আড্ডা দেওয়ার কেউ নেই। আমার নিজস্ব ভুবনের সঙ্গে স্ত্রী কন্যার কোন রোগ নেই। ওদের চোখে আমি অতীতে বেঁচে আছি। অখন্ড অবসর। শুধু বই পড়া আর লেখা।
ভাট বকলাম, কিন্তু তোমার বক্তব্যের সার গ্রহণ করেছি।
উফ্ রোগ নয়, যোগ নেই।
হানু
প্রথমত চৌধুরীকে মনে পড়ালে।:))
সেই যে:
" মুখস্থে প্রথম কভু হইনি কেলাসে,
কবিতা লিখিনি কভু সাধু আদিরসে।
-- - ------------+--------------------
সন্ন্যাসী হবে না আমি জীবনের শেষে।।
রঞ্জনদা , আপনি আপনার মতো লিখুন । আমার মন্তব্যটা লেগ পুলিং , না হলে বোধিকে তো রম্যরচনা লিখতে হবে । :-) তবে এটা মনে হয়, বিভিন্ন রকমের লেখা লিখতে গেলে গদ্যটা এলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
আর , আমাকে 'আপনি' করে না লিখলেই হয় ।
সিএস, রঞ্জনদা:--))))))
সাধারণ ভাবে সাধারনীকৃত মন্তব্য অন্তত এই টই য়ে করতে বারণ করা সত্ত্বেও ডিসি আর অভ্যু সেসব শোনেনি। শোনার কোন রীতি নাই। অত এব পাই য়ের দেওয়া কানমলা গোটাটাই তাদের প্রাপ্য।:---))) তাদেরকে এও চেতাবনি দেবা হচ্ছে পাইয়ের কানমলা সবসময়েই বিনাবাক্যব্যয়ে যেন শিরোধার্য তারা করে, কারণ যদি হঠাৎ শোনেন কোন মব এই মুহূর্তে পাই য়ের বাড়িতে আগুন লাগাতে চেষ্টা করছে আর পাই তাদের লেখা পাবার জন্য অহমিয়া জানা অনুবাদক খুঁজতে খুঁজতে ই এই পোস্ট করেচে তখন তাদের ই খারাপ লাগবে:--)))))
অরিজিনালি বিবেক সেন ও সৌভিক ঘোষাল এর প্রবন্ধ দুটি নিয়ে আমার আপত্তি কেন সংক্ষেপে লিখে দেব।
মধ্যপন্থায় বোধ হয় নাক মুলে দেয়। কানের দিকে এগোলে ত এক্সট্রিম হয়ে যাবে :))
:---))))))))))
আরে না না। সি এস ও অভ্যু নাম নিয়ে আমাকে বলেছে এক অধিকার বোধ থেকে। সেটা আমার আনন্দদায়ক প্রাপ্তি। এবং ওরা এতদিনে জেনেছে যে আমি ভুল বুঝব না। আর ভাষা এলিয়ে পড়া নিয়ে আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা ও সতর্ক করেছেন।
কিন্তু রঞ্জনদা, আপনি ব্লগে লেখেন না কেন? আপনার তো ব্লগ অ্যাক্সেস ছিল বলেই জানি। যদি না থাকে জানাবেন। গল্প বা পূর্ণাঙ্গ প্রবন্ধ ব্লগে দেওয়াই তো বেটার।
যে লেখা ভালো লাগছে না, তার নিচে আলোচনা না করে এই সামগ্রিক প্রোগ্রেস রিপোর্টের ব্যাপারটা ঠিক কেন? ব্যাপারটা কী, লোকে এত লেখে কেন, বা আমি ছাড়া অন্যরা কেন লিখবে - এই রকম কোন ব্যাপার? নিন্দেমন্দ নিয়ে কোন সমস্যা আমার অন্তত নেই, গুরুতে অনাদি অনন্তকাল থেকেই খাজা লেখায় খিল্লি সমালোচনা নিন্দা কোনকিছুই কম হয়নি, কিন্তু সাধারনত একটা এনগেজমেন্টের ব্যাপার থাকতো। এখানে, হনুদার লেখা প্রিটেনশাস, প্রতিভাদির লেখা ভালো কিন্তু কমেন্ট খারাপ, নিবেদিতার লেখা আত্মপ্রচার (নিবেদিতাকে নাটকের বিজ্ঞাপন ছাড়া আর কিছু লিখতে আমি দেখিনি) - এমন আজব কম্বল উইয়ার্ড।
এ কি গুরুর বৈঠকখানায় অচেনা লোক ঢুকে পড়লো সিন্ড্রোমের নবতর রূপ? পাঁচ পারসেন্ট বঙ্গসমাজের এক্সক্লুসিভ বুদ্বুদের বিস্তার?
'সবচেয়ে বাজে কমেন্ট যদি হয় তো প্রতিভা সরকারের কথা বলবো। ওনার লেখাগুলো ভালো, অন্তত পড়তে গিয়ে হোঁচট খেতে হয়না। কিন্তু অন্যদের লেখায় একটা করে কমেন্ট লিখে যান, সে একেবারে আঁতলামোর চূড়ান্ত।'
ডিসির এই বক্তব্যটা একটু বুঝতে চাইছিলাম। তাই প্রতিভা সরকারের শেষ কয়েকটি মন্তব্য দেখলাম। ভেবেছিলাম, দুর্বোধ্য কিছু হবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে পুরোটাই বুঝতে পারলাম, আর আঁতলামোর চূড়ান্ত দূরস্থান,আঁতলামোর কিছুই বুঝলামনা। আমারি বোঝার সমস্যা হবে। একটু ঝুড়ি কোদাল নিয়ে বুঝিয়ে দেবেন ? তাহলে এই আলোচনাটা(?) বুঝতে সুবিধে হয়। আর যাই হোক,আঁতলামো বিষয়েও বেসিকস ক্লিয়ার হবে। বাজে ,ভাল নিয়েও। আমার মত আরো অনেকেরি হবে নিশ্চয়।
অমর মিত্রের ধারাবাহিকে মন্তব্য,
সেই সময়টা একটু একটু করে রূপ পরিগ্রহ করছে তার সব বর্ণ গন্ধ রূপ সমেত।
খুব ভাল লাগছে পড়তে। ধন্যবাদ অমরদা।
বাংলাদেশে আদিবাসী ধর্ষণ সংক্রান্ত লেখায়,
উপমহাদেশের এই ঘৃণ্য ধর্ষণ সংস্কৃতি বিলুপ্ত হোক! পাহাড়ের আদিবাসীদের জন্য লেখকের যুদ্ধ জয়যুক্ত হোক!
তাসের ঘর নিয়ে বিপ্লব রহমানের রিভ্যতে,
ছবিটি দেখবার উৎসাহ পেলাম। তবে পরিণতিটা না বললেই ভাল হতো বোধহয়।
সফি মল্লিকের লেখায়,
অত্যন্ত সুলিখিত। সত্যিই প্রফেশনালিজম সম্পর্কের সর্বনাশ ঘটিয়েছে। অথচ কী আশ্চর্য সেই মন্ত্রশক্তির জোরেই তো পরিকল্পনার হালহকিকত ফিরে যাবার কথা ছিল। আমাদের হাতে পড়লে তাহলে কি সকলই নষ্ট !
সুকিয়ানারএকটি পর্বে,
প্রতিবেশীর এবং নিকটাত্মীয়ের ভূমিকা নিয়ে কিছুটা থাকলে ভাল হত। দু দলই দুঃখকষ্টে মুর্ছা যায় পুরুষ মানুষ রান্নাঘরের কাজ করলে। সে বাড়ির মহিলাদের প্রতি ধিক্কার পাড়া ছাড়িয়ে বিদেশেও শোনা যেতে থাকে।
শুচিস্মিতার মুকুল দে র বই নিয়ে লেখায়,
অসাধারণ লাগলো। মুকুল দের বইটা পড়া হয়নি। এবার হতেই হবে৷
ইন্দ্রাণীদির একটি গল্পে,
গল্পটা আমাকে খুব অভিভূত করেছে। শেষ হবার পর কেমন একটা মমতায় ছেয়ে গেল মন। মনস্তত্ত্বের এমন সুঠাম প্রয়োগ বহুকাল চোখে পড়ে না।
পিনাকী,
আমিও সবকিছু টইয়ে লিখতে অস্বস্তি বোধ করছি। আসলে ব্লগে লেখা উচিত। কিন্তু ব্যাপারটা কী এবং কী করতে হবে একটু বুঝিয়ে দাও।
সরি পিনাকী, হেল্প লাগবে না।
বুঝে গেছি --খেরোর খাতা; হ্যাঁ অ্যাকসেস আছে।
না, খেরোর খাতা আর ব্লগ আলাদা। আপনি তো আগে ব্লগেই লিখতেন!
পাই ম্যাডাম, আঁতলামো একেবারেই সাবজেক্টিভ ব্যাপার, কোনটা আঁতেল আর কোনটা আঁতেল না সেসবের একেবারেই কোন নির্দিষ্ট নিয়ম নেই। আমরা ছোটবেলায় শান্তিনিকেতনকে আঁতলামোর ঠেক বলতাম, আবার অনেকেই সেরকম বলতো না। আমার কোন কোন কমেন্ট ইত্যাদি পড়ে আঁতেল মনে হয়েছে, সেটা একেবারেই আমার নিজস্ব পয়েন্ট অফ ভিউ, অন্য কারুরই ওরকম না মনে হতে পারে। এর বেশী কিছু বোঝানোর নেই :-)
এই টইটা শুরু থেকেই অসম্ভব বিরক্তিকর লাগছে। গুরুর পুরনো কিছু মানুষ কেন এমন পাছদুয়ার মার্কা আলোচনা করছেন, সেটাও বোধগম্য হচ্ছে না। যেটা অখাদ্য লেখা, সেটা সেখানে গিয়ে সোজাসুজি বললে সবথেকে ভালো হয়। নিজের নিকে। তাতে সততা বজায় থাকে। এখানে কিছু নিশ পাবলিক আঁতলেমির হদ্দমুদ্দ করছেন কেন কে জানে! বিষয় যখন টইয়ের অখাদ্য লেখা, তার জন্য খামোখা একটা আলাদা টই খোলা কেন? এটা নিজের নিকে সততার সঙ্গে বলে গেলাম। দেখি তো এই খুল্লমখুল্লা সমালোচনাটা এখানকার ক'জন নিতে পারেন।
এলে, টোটালি নিতে পারলাম এবং আপনার বক্তব্য একেবারেই পাত্তা দিলাম না, অকারণ বীরত্ত্ব ফেটিশ আমার নেই :-))) যতখুশি গাল দিন, অসুবিধে নেই, ওকে।
আর একটা লোকের বাড়ি গিয়ে দাদা আপনার লেখা টা বেশ বাজে লাগলো বলা , আর তার পাড়ার বিলবোর্ডে , স্বনামে বিশেষতঃ সুদু এ পাড়ার দাদা না, অমুক পাড়ার অমুক এর তমুক তমুক লেখাগুলি ভালো লাগে নাই, বলার মধ্যে কোন টা বেশি বা কম বীরত্বের জানা নেই :-)))))
আমার মনে হয়েছে, যেহেতু ইন্টারেস্ট এবং ক্লিকস্ট্রিম জেনারেশন বিষয়টা অনলাইনে আছে, গুরুচন্ডালি যখন অনেক মানুষের কাছে পৌছতে চায়, তখন একজন ইনভাইটেড লেখকের একটা লেখার থ্রেড মূলতঃ তার ফ্যান দের জন্য বা সারভিস ডিসকভারির জন্য ছেড়ে দেবা উচিত। কারণ লেখকের একটা অ্যাডভারসারিয়াল কমেন্টে কিসুই যায় আসে না, কিন্তু যে লেখক কে আবিষ্কার করবে তার যায় আসতেই পারে, তাই খামোখা তার থ্রেডে গিয়ে স্যান্ডো করার কোন অর্থ দেখি না, বিশেষতঃ রাজকন্যার ন্যায় থ্রেড যেহেতু কম পড়ে নাই। বিইশেষত সেই পরিস্থিতিতে খেউড়ে আগ্রহী জনতারা ঘোষণা করে বলছে, মূল লেখা পড়তে চায় না, খেউড়েই তাদের আগ্রহ।
আর এই থ্রেড টার উদ্দেশ্য হল, সমসাময়িক দের মধ্যে ইম্পোলাইট অথচ অথচ অবজেক্টিভ সমালোচনার একটা ধারা তৈরী করা, যেটা সোশাল নেটওয়াঅর্ক এর মূল লেখার পাশেই থাকবে, অথচ মূল লেখার সংগে অকারণ পয়েন্ট স্কোরিং e জড়িয়ে পড়বে না।
ডিসির কমেনট সে নিজে ডিফেনড করার প্রয়োজনীয়তা দেখছে না কেন, সেই বলতে পারবে। কিন্তু আমার প্রতিভাদির কমেন্ট গুলি সম্পর্কে বক্তব্য আছে। যদিও এই টই টা পূর্ণাংগ লেখা সম্পর্কে মন্তব্যের জন্যই খোলা হয়েছিল। স্ট্রেট মনে হয়েছে, আমরা যেরকম গুরুচন্ডালির উপকার করতে গিয়ে অনেক সময়ে অপকার বেশি করে ফেলি, ওটা সেরকম কেস। কোন জাস্টিফিকেশন ছাড়া , নুআন্সড বক্তব্য , বিষয়টা তে কন্ট্রিবিউট করার মত মন্তব্য ছাড়া আনক্রিটিকাল ওয়ানলাইনার এর সমস্যা হল, ইট সাউন্ড্স লাইক আ সেট আপ অন বিহাফ অফ দ্যা পাবলিশার, তাতে গুরুর সম্মান বৃদ্ধি হচ্ছে বলে আমার মনে হয় নি। মোস্ট লাইকলি ইট ইজ নট আ সেট আপ নর আ রিকোয়েস্টেদ রিআকশন । এটা প্রতিভাদির কাছে হয়তো আমরা আশা করি না বলেই মনে আছে। এটা গোটাটাই কনটেন্ট, একটা কনটেন্ট এর ডিভ্যলুয়েশন না করে কি করে তার পক্ষে ইন্টারেস্ট স্ট্রিম জেনারেট করতে হবে , সেটা সম্পর্কে হয়তো আরেকটু প্রতিভাদি ভাববেন।
এটা কি শুধুমাত্র গুরুতে প্রকাশিত খারাপ লেখার লিস্টি বানানোর টই? নাকি বাইরের লেখার কথাও বলা যাবে।
বোধিদা আমি আমার কমেন্ট ডিফেন্ড করার প্রয়োজনীয়তা দেখছি না কারন সেরকম সিরিয়াসলি কমেন্ট করিইনি। এমনিতেই আমি সোশ্যাল মিডিয়া সেরকম সিরিয়াসলি নিই না। তার জন্য নাক মলা, কাল মলা, সবই খেতে রাজি :-)
বাইরের কথা বলা যাবে। তবে পূর্নাংগ লেখার কথা বললেই ভালো।
সেদিন মনোজদের অদ্ভূত বাড়ি পড়লাম। কি খাজা গল্প। তেমনি বাজে লেখা। ওটা যে হাসির গল্প সেটাই বুঝতে পারছিলাম না। ভাগ্যিস ছোটোবেলায় পড়িনি।
পাই ও পিতাকে
ফের ছড়িয়েছি। খেলার খাতা ব্লগ নয়? তাহলে কোনটা?
টেক আয়ডমিন - প্রস্তাবিত নতুন শিরোনাম ঃ আমার পড়া খারাপ লেখা গুলি
আনন্দ বাজার পত্রিকা পড়তে খুব খারাপ লাগে। আঁতেল বাঙালীরা যে কিকরে ওরকম একটা থার্ড ক্লাস পাবলিকেশনকে এতদিন মাথায় করে রাখে, সে তাদের নেকাসর্বস্ব কবিতা পড়লেই হয়ত একমাত্র বোঝা যাবে। কোনও লেখাতেই ধান্দাবাজি ছাড়া আর কিছু চোখে পড়েনা।
পাই ও পিনাকী
অটো করেকশনে পিনাকী হল পিতা! ধেত্তেরি।
হ্যাঁ, যদি যাবতীয় খারাপ লাগা লেখা নিয়ে এখানে আলোচনা হয়, তো ফাইন। আমি সেটাকে সমর্থন করব। কিন্তু খ যদি গুরুর টই সম্পর্কে মন্তব্য ভাটে বা আলাদা টই খুলে করেন, তাহলে সমর্থনের প্রশ্ন নেই। তাতে স্যান্ডো না স্যান্ড - ওসব নিয়ে ভাবিতই নই। লেখা খারাপ লাগলে সেই টইতে গিয়ে স্ট্রেট বলা এটি খারাপ লেগেছে কারণ ১, ২, ৩, ৪...। তাতে লেখক যদি নিজেকে সংশোধন করতে চায়, তাহলে লেখকেরও লাভ, পাঠকেরও ক্ষতি নেই। কিন্তু সৌভিকের লেখা খারাপ লাগলে এইরকম একটি পাছদুয়ারের প্রয়োজন দেখি না।
আর শুধু খারাপ নিয়েই বা একটেরে আলোচনা হবে কেন? ভালো নিয়েও হোক।
শ্রী সৌভিক ঘোষাল এর মে মাসে প্রকাশিত " ইতিহাসবিদ হরিশংকর বাসুদেবন স্মরণে" লেখাটি আমার ভালো লাগে নি। সেটা পড়েই আমার এই টই এর কথা মাথায় আসে। সৌভিক ঘোষাল মশাই এর আমি নর্মালি ফ্যান। কাগুচে স্টাইলে, খবর গরম থাকা কালীন, একটা নির্যাস তুলে নিয়ে এসে নিরুত্তাপ ভাবে একটা খবর পরিবেশন করাটা সৌভিক বাবু করেই থাকেন, এবং এটা সাদারণত দুর্দান্ত ভাবেই তিনি করেন। যাঁরা ডেইলি ডোপ হিসেবে আমাদের এই গুরু সাইট ইউজ করেন তাঁদের কাছে এটা ইন্টারেস্টিং হবার কথা।
সমস্যাটা তাইলে খানিকটা ফর্মাটে, আমার দাবী হল, কাগচে যা লোকে পাবে না, সেটা কিছু বিষয়ে আমরা দিতে পারি কিনা। হরি বাসুদেবন এর সম্পর্কে প্রথম ও প্রধান কথা যেটা বলা উচিত, ওনার ছাত্র জীবন আর ওনার গবেষক অধ্যাপনা আর পেশাদারী জীবনের মাঝে সোভিয়েত দেশটি উঠে গেছে। এবং সোভিয়েত দেশ সম্পর্কে লভ্য তথ্যের একটা যুগান্তকারী পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু সেটা তো ১৯৮৫ পেরেস্ত্রৈকা পরবর্তী ঘটনা, তার আগে পশ্চিমে ১৯৭২-৭৩ এর সময় থেকে কেন ও কি ভাবে সোভিয়েট সোসাইটি সম্পর্কে গবেষক দের আগ্রহ বাড়ছিল, কি ভাবে কোলড ওয়ারের স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ্স এর আগল থেকে বেরিয়ে এসে ইতিহাসের এই ডিসিপ্লিন টি বেরিয়ে আসে, এবং এটার দ্বারা কি ভাবে ভদ্রলোক প্রভাবিত হয়েছিলেন সেটা r একটা ধারণা দেব উচিত ছিল, এটা না বললে স্যার এর কাজের , পড়ানোর ফর ওয়ান্ট অফ আ বেটার ওয়ার্ড , অনবদ্য সেক্স আপীলটাই বলা হয় না।
এবং একই সংগে ভদ্রলোক নিজের এবং নিজের কোলিগ দের সম্পর্কে একটা শব্দ ব্যবহার করতেন "রাশিয়ানিস্ট", রাশিয়ান মেডিএভাল নিয়ে ভদ্রলোক রেয়ার এক্সপার্ট ছিলেন।
এবং বাসুদেবন eর একটা মৃদু সমালোচনা করাও উচিত ছিল, সেটা সেন্ট্রাল এশিয়া র আফানাসি নিকিত্ন নামক যে পর্যটক কে নিয়ে যে বই লিখেছেন, সেটা আদৌ বই না লিখে যে ডকুমেন্টারি করা উচিত ছিল, আর বই টির ফর্মাট টার , লিখনের নানা ডিফেক্ট এর কথা বলা উচিত ছিল। কারণ এরকম ইন্টারেস্টিং একজন অধ্যাপক কেন এরকম দুর্দান্ত সাবজেক্ট এর উপরে এটা কেন করলেন , আমি জানি না। এই মেটেরিয়াল এ ডকুমেন্টারি তৈরী না হওয়া টাই অপরাধ ঃ-)))মানে মজা করে আর কি।
আর হরি বাসুদেবন এর মূল দুর্দান্ত কন্ট্রিবিউশন টার কথা টা যথেষ্ট বলা হয় নি। শোভন লাল দত্তগুপ্ত মহাশয় এবং মাননীয় পূরবী মুখোপাধ্যায়ের সংগে কাজ করে সোভিয়েত আর্কাইভ্স খোলার পরে ভদ্রলোক এশিয়াটিক সোসাইটি ও তার পরে মৌলানা আজাদ ইন্স্টিটিউট এর জন্য ভারত সম্পর্কে সোভিয়েত ইউনিয়নের ফাইলস এর তথ্যের সংকলন করেছেন। যতদূর সম্ভব দু খন্ডে। শোভন বাবুর লেখা অবিচুয়ারি টি পড়লে এগুলি r খবর পাওয়া যেত।
ইতিহাস এমনিতে ই ড্র্যাব বস্তু বলে পরিচিত। সোভিয়েত দেশ ইজ আ ডেড হর্স। পোলিটিকালি বিশেষতঃ , কিন্তু এই তথ্যগুলো দিলে আমার মনে হয় স্পেশালিস্ট , নন স্পেশালিস্ট সকল কেই আরো সুন্দর ভাবে আকর্ষণ করা যেত। আর ফাইনালি, আবাপর একটি সাক্ষাৎঅকার এর ভিত্তিতে লেখাটা লেখা হয়েছে, কিন্তু একাধিক উদ্ধৃতি , কোনটা কোথা থেকে নেওয়া স্পষ্ট না। এগুলো সৌভিক বাবু খ্যাল করলেন না কেন জানি না।
বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত
একেটেরে নিয়ে যখন আপত্তি, ভালো নিয়ে অন্তত দুটো টই খোলেন না। :-))) একটা বিদ্যাসাগরের ভালো, আরেকটা গুরুর ভালো। দুটোতেই অনেক লোক পাবেন। আমি নিজে গুরুর ভালো লেখা নিয়ে পনেরো বছরে যা যত যেখানে বলেছি, তার তুলনা একমাত্র তুলনা আমাদের পাঠ্হক্রমে বিদ্যাসগরের প্রশস্তি;-)