হ্যাঁ আর্কাইভিস্টদের কোনো প্রশংসা-ই যথেষ্ট নয়। কত যত্ন করে নিখুঁত স্ক্যান করে করে বই তোলেন। এই এতোদিন পরে পড়তে পারছি সে তো বিশাল সৌভাগ্য।
বিশেষ করে এই জন্য, এসব আমি বড়ো হওয়ার সময় পড়িনি। 'এসব' কেন, কিস্যু পড়িনি। বাড়িতে পত্রিকা আসতো বটে একটা - সাপ্তাহিক বর্তমান। তাতে দুরন্ত সব প্রচ্ছদকাহিনি থাকতো অবশ্য, যেমন "যীশু কি ভারতে এসেছিলেন?", বা আরও রোমাঞ্চকর, "গরম থেকে বাঁচতে টম্যাটো খাবেন কীভাবে?" ইত্যাদি। ভেতরে মনে পড়ছে, "জোকুইজ়" বিভাগ থাকতো, যার কোনটা জোক আর কোনটা ক্যুইজ চট করে ধরা যেত না। আর ধম্মোকম্মের বই। তবে, এসব পড়ে যে আমি ফেং শুই থেকে পাওহারিবাবা অব্দি কতকিছু জানি সে মানে কী আর বলবো।
<>-এর লেখায় জয় আর সুবোধের পাশে "(প্রথম দিকের)" দেখে মজা পেলাম। ঐটা বোধহয় সবার নামের পাশেই পাইকিরি রেটে বসিয়ে দেওয়া যায়।
তো প্রথম দিকের সুবোধ সরকারের লেখা একটা নাতিদীর্ঘ প্রবন্ধ বেরিয়েছিল
অজ্ঞাতবাসে ভলিউম ১৮-য়। যদিও সেটার থেকে শেষের দিকে "সব মন্ত্র মন্ত্র নয়" নামে অন্য একটা দুপাতার আলোচনা বেশ লেগেছিল। দেবদাস আচার্য্যর।
@হুতোদা। আমার শখ পুরোনো ডকুমেন্ট ঘাঁটা। কাজের বেলায়ও খুবই কাজে লাগে। কবে কোন সালে কেউ একটা অঙ্ক কষে গেছিলেন কিংবা দারুণ আইডিয়া দিয়ে গেছিলেন, কেউ খেয়াল করেনি (cite করেনি), সেরকম জিনিষ পুনরাবিষ্কার করতে দারুণ লাগে। আমাদের মত বিষয়ে, মানে অঙ্ক/স্ট্যাট, অনেক কিছুই বলা বা ভাবা হয়ে গেছে, সবাই সব সময় মন দিয়ে শোনে না, সবার চোঙার সাইজ সমান নয়, তাই কিছু কিছু জিনিষ পুনরুক্তি করলে দোষ হয় না।
সাহিত্যেও তাই। গ্রন্থাগার কি লিটল প্রচার বা ঐরকম সাইটে ঘুরে বেড়াই। একটা থেকে আরেকটা করতে করতে। কলকাতার আড্ডা বইতে এই ভাবে একদিন শামসের আনোয়ারের নাম পড়লাম, খুঁজলাম, কবিতার সাথে পরিচিত হলাম। প্রথম কৃত্তিবাস পুরস্কার পেয়েছিলেন। ভাস্কর ওঁর বইয়ের ভূমিকায় লিখছেন, "শামসেরের সঙ্গে বন্ধুত্বটাই ছিলো একটা বাঘের সঙ্গে বন্ধুত্বের মতন ... আমাদের ভাষায় এমন সশস্ত্র, এক আধুনিক কবি, সত্যিই, খুঁজে পাওয়া ভার।"