এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • ভাটিয়ালি

  • এ হল কথা চালাচালির পাতা। খোলামেলা আড্ডা দিন। ঝপাঝপ লিখুন। অন্যের পোস্টের টপাটপ উত্তর দিন। এই পাতার কোনো বিষয়বস্তু নেই। যে যা খুশি লেখেন, লিখেই চলেন। ইয়ার্কি মারেন, গম্ভীর কথা বলেন, তর্ক করেন, ফাটিয়ে হাসেন, কেঁদে ভাসান, এমনকি রেগে পাতা ছেড়ে চলেও যান।
    যা খুশি লিখবেন। লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়। এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই। সাজানো বাগান নয়, ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি। এই হল আমাদের অনলাইন কমিউনিটি ঠেক। আপনিও জমে যান। বাংলা লেখা দেখবেন জলের মতো সোজা। আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি।
  • আর জি কর গুরুভার আমার গুরু গুরুতে নতুন? বন্ধুদের জানান
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • :) | 103.244.***.*** | ০৫ জুলাই ২০২৫ ১৪:৪৪539874
  • এককের বক্তব্যের ফ্যালাসি হচ্ছে -- সে এক বাচ্চা বনাম বাচ্চাপার্টি নিয়ে কথা বলছে। দুই বাচ্চা বনাম বাচ্চাপার্টিতে এর কোনো যুক্তিই দাঁড়াবে না। বাচ্চাপার্টির পক্ষে দেওয়া সব যুক্তিই দুই বাচ্চা কভার করে নিচ্ছে। ভারতে দরকার চিরকাল দুই বাচ্চার ক্যামপেইনই প্যাট্রনাইজ করেছে।
  • Ekak | ০৫ জুলাই ২০২৫ ১৪:৩৬539873
  • মানে ব্যাপারটি এরকমঃ এক্তা চপের দোকানের তুলনায় একটা রেস্টুরেন্ট খোলার এসোসিয়েটেড রিস্ক বেশি। বেশি মাথা খাটানো , বেশি ইনভেস্টমেন্ট সব ই বেশি। এবার ঠিক্ঠাক চলে রিটার্ণ ও বেশি। তো ,  ব্যাংক লোনদাওয়ার আগে ব্যাকগ্রাউন্ড দেখবে ভায়েবিলিটি দেখবে সে ঠিকাছে। কিন্তু  দেখা গেলো সরকার হঠাৎ বাজারে প্রচুর ঋণখেলাপি বাড়চে দেখে  ,  ঋণ নেওয়ার প্রসেসে মাথা না লাগিয়ে একধারসে ঘোষণা করে দিলো :সবাই চপ শিল্পের বেশি কিছু করবে না !!! ইল্লি আরকি ! 
  • Ekak | ০৫ জুলাই ২০২৫ ১৪:২০539872
  • যার ক্ষমতা আছে তাকে নিয়েই কথা হচ্ছে। টাকা পয়সা আছে কিনা বাড়িতে স্পেস আছে কিনা শরীরে দেবেকিনা সব ওখানেই ইনক্লুডেড। কাজেই ওসব  প্রসঙ্গ আদৌ খাটেনা।  

    ওয়ান চাইল্ড পলিসির প্রস এন্ড কনস দুই আছে। চায়না অলরেডি ফোর টু ওয়ান প্রব্লেমে ঢুকে গেচে। এক বাচ্চা তার একজোড়া ডিপেনড্যান্ট মা বাবা , আর দুজোড়া দাদু দিদা। কেও চট করে মরছেনা। ইদিকে একটা গোটা রাষ্ট্রের বুড়োদের দায় ছোট্ট একটা উপার্জনকারী অংশের। 

    আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যে গড় আয়ু বাড়চে এবং ব্যাংকে জমানো পেনশন পলিসি হাস্যকর রিটার্ন দিচ্চে। ভবিষ্যতে আরও খারাপ হবে। আমরা যখন বোকা বোকা এনএকডট খাড়া করি যে অমুক বাবুর তিন সন্তান কেও তাঁর খবর নেয়না তখন ভুলেযাই ,  আলাদা করে খবর না নিলেও এরকম অনেক অমুকবাবুর একাধিক এন্ডিগেন্ডি থাকলে টোটাল রেশিওতে উপার্জনকারী ব্যক্তি বাড়বে যেখান থেকে অমুকবাবুদের জেরিয়াট্রিক কেয়ারে কিছু যেতে পারে ঘুরপথে। 

    আর ,  একাধিক বাচ্চাকাচ্চার গ্রোথ  নিয়ে ডেভেলপমেন্টাল সাইকোলজির লোকজন ভালো বলতে পারবেন। 

    প্রস এন্ড কন্স থাকবেই। চয়েস নিজেদের। একজন মা দুবার বাচ্চা নিয়ে ছোটটাকে বড়টার জিম্মায় রেখে নিশ্চিন্তে আপিস করবেন নাকি সারা ক্যারিয়ার জুড়ে বেকার গিল্টে ভুগবেন বাচ্চা একাকিত্বে আছে তাই নিয়ে নাকি প্লে হাউসে পাঠিয়ে টাকা পয়সাদিয়ে ব্যালান্স করবেন এগুলো তাঁর চয়েস। কেও চাপাতে যাচ্ছে না।  ব্যাপার হলো একপাল এন্ডিগেন্ডি নেওয়াটাও চয়েস যদি ক্ষমতা থাকে।  সেটাকে ভিলিফাই করা কুসংস্কার। 
  • Ranjan Roy | ০৫ জুলাই ২০২৫ ১৪:১১539871
  • পাপাঙ্গুল এবং বিসর্গ আমার মনের কথাটি বলেছেন। 
     
    আর জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের প্রশ্নে শুধু আর্থিক দিকটাই কেন, নারীর নিজের শরীর নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবার দিকটাও ভাবা উচিত। 
  • পাপাঙ্গুল | 171.76.***.*** | ০৫ জুলাই ২০২৫ ১৩:৩৮539870
  • কিঙ্ক ব্যাপারটা যদ্দুর মনে হচ্ছে সুতীর্থ লেখার ভেতরে একটা অন্তর্নিহিত দর্শন বোঝাতে চেয়েছেন। যে সেরকম লেখকের লেখাপত্র ধারাবাহিক ভাবে পড়ে যেতে থাকলে লেখকের নিজস্ব বক্তব্য ফুটে ওঠে। মনে হয় <> ও লেখকের নিজের কাছে সততা বলতে সেটাই বলেছিলেন। এরা ইচ্ছেমতন [সম্পাদকের/পার্টির/প্রকাশকের মর্জিমাফিক] লিখতে পারেন না। লিখলেও সেটা আর সৎ থাকে না। পাঠক ধরে ফেলে। আর উল্টোদিকে অনেকের লেখা টিভি সিরিয়ালের মত। মানে ঘুষ নেওয়া অপরাধ , সদা সত্য কথা বলবে এরকম কিছু টেমপ্লেট কিশমিশ ছড়ানো থাকে মন ভোলানোর জন্য। কিন্তু ধারাবাহিক দর্শন কিছু থাকে না।
  • Q | 2401:4900:6302:a932:1863:9cff:fe5d:***:*** | ০৫ জুলাই ২০২৫ ১২:৫৬539869
  • পপাঁ নির্মানের আগের দিনগুলোয় চলচ্চিত্র পত্রিকা চালানোর সময় ককুম আর রায় মশাইয়ের মধ্যে গ্রামবাংলা নিয়ে মুভি করা নিয়ে কি আর আলোচনা ইত্যাদি হয়নি? এবং তখন তা নিয়ে পারস্পরিক সাধ-সাধ্য-সাধনার কী কী সমীকরণ আবিষ্কৃত হয়েছিল, জানা আছে কি কারো?
  • পাপাঙ্গুল | 171.76.***.*** | ০৫ জুলাই ২০২৫ ১২:৪৮539868
  • বাচ্চা সংখ্যার বিষয়ে ক্ল্যারিটি পাবার জন্য বিশেষজ্ঞ হিসেবে ইলোন্দাকে ভাটে আনতে হবে। উনিই একালের দেবেন্দ্রনাথ বা ধৃতরাষ্ট্র। 
  • :) | 103.244.***.*** | ০৫ জুলাই ২০২৫ ১২:৩৩539867
  • সিনেমা দেখতে গেলে সিনেমাটা কেমন হল, যা দেখানো শোনানো হল সেগুলো সিংক করল কিনা, বিশ্বাসযোগ্য হল কিনা সেটুকুই বিচার্য মনে হয়। পিছনের গল্প বা উপন্যাসের ব্যাগেজটুকু, সাহিত্য হিসেবে কেমন ছিল, কোন দর্শন বা বক্তব্য ক্যারি করছিল তার থেকে স্বাধীনভাবেই সিনেমাটাকে দেখা উচিত মনে করি। পরিচালক গল্পকাঠামোটাকে তাঁর সিনেমার জন্য প্রয়োজন বোধে গ্রহণ করেছেন বলেই আখ্যানের সমস্ত খুঁটি নাটি, সব চরিত্র বা সেগুলোর অরিজিনাল এসেন্স, দর্শন তাঁকে ফুটিয়ে তুলতেই হবে এমনটা মনে করি না। সিনেমাটা যাঁরা বানাচ্ছেন, গল্পকাঠামোটা তাঁদের নিজস্ব নয় বলে গল্পকারকে অ্যাকনলেজ করার জায়গাটা যেমন অনস্বীকার্য, তেমনি সিনেমাটা স্বতন্ত্র শিল্পমাধ্যম বলেই তার সার্থকতার প্রয়োজনে যেমন দরকার তেমন ডিপার্চারের অধিকারও অঁতরের নিজস্ব। সত্যজিতের বা ঋত্বিকের সিনেমা দেখতে গেলে শক্তিপদ রাজগুরুর বা সুবোধ ঘোষের গল্প পড়া আদৌ জরুরি নয়। আর তা না হলে বিভূতিভূষণ পড়াও জরুরি নয়।
     
    কিন্তু সিনেমাটাকে তো বিশ্বাসযোগ্য হতে হবে। বিদেশি দর্শক বা ফেস্টিভালের জুরিরা জানেন না, শহুরে দর্শকরা অবহিত নন বা সে বিষয়ে সেনসিটিভ নন বলে সিনেমায় যদি দেখানো হয় গ্রামদেশের ব্রাহ্মণ সন্তান তুলসীতলায় কুলকুচো করছে (এবং ব্রাহ্মণী আঁশহাতে নির্বিকার অবলীলায় লক্ষ্মীর ঝাঁপি ধরছেন, এবং ইত্যাদি) সেসব দেখে কিছু লোকজন অন্তত ক্ষুব্ধ হবে না বা ব্যক্তিগত পরিসরেও ক্ষোভ প্রকাশ করবে না এটা একটু অন্যায় আবদার হল না কি? (একটা সহজ,  পুওর ম্যানস উদাহরণ হতে পারে-- সিটি অব জয় সিনেমায় যা দেখানো হয়েছিল, তা নিয়ে বিদেশে যে উচ্ছ্বাস হয়, এবং কলকাতাবাসীরা তার বিরুদ্ধে যেভাবে প্রতিবাদ করে)
     
    তারপর সে সিনেমা ক্রমে দেশে বিদেশে প্রশংসার শিখরে উঠতে দেখলে দর্শকদের প্রতিই হতাশা আসা ও একাকী মন:ক্ষুণ্ণ হওয়া ছাড়া সেই ক্ষুব্ধ লোকজনের পক্ষে স্বাভাবিক আচরণ আর কী হতে পারে? খুব কাছের লোকেরই বানানো এ সিনেমা বলে কমলকুমার অন্তত নিজে কোথাও কখনও এ বিষয়ে ঘূণাক্ষরেও কিছু লেখেননি। তাঁর খুব কাছের বৃত্তের লোকজনও, যথা রাধাপ্রসাদ, অশোক মিত্রও সমসময়ে এ সম্বন্ধে তেমন কিছু লেখেননি বলেই জানি, বয়সের উপান্তে এসে নিজের জীবনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে যেটুকু অ্যানেকডোট কলম গলে বেরিয়ে পড়েছে সেটুকু ছাড়া। সত্যজিতকে যে কমলকুমার দীর্ঘকাল আদতে স্নেহই করতেন, তাঁর সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি কালচারাল এক্সচেঞ্জের যা পরিচয় অন্তত সত্যজিতের নিজের লেখা থেকে পাওয়া যায়, তা থেকেই স্পষ্ট। সমকালীন আড্ডাধারীদের পরবর্তী কালের নানা স্মৃতিচারণও সেই সাক্ষ্য যথেষ্টই দেয়। সত্যজিত-কমলকুমার রসায়নের প্রথম পর্বে অস্পষ্টতা কোথাওই নেই। সিনেমা নিয়ে একত্রে মেতে থাকার দীর্ঘ সময়টুকুতে দুজনেই দুজনের এক্সেলেন্স ও শর্টকামিংস সম্পর্কে যথাযথই অবহিত ছিলেন।
     
    ব্যক্তিগতভাবে আমি সত্যজিতের আজীবনের খেরোর খাতা ফরম্যাটে নিজের সিনেমার ডিটেল স্কেচ সহ নোট করে রাখা পুরোপুরি কমলকুমারের ইনফ্লুয়েন্স বলেই মনে করি। সেটা পুরোপুরি প্রমাণ করা বা নিজের মতকে সাপোর্ট করা বিভিন্ন ছবিছাবা সহ একটা গোটা চ্যাপ্টারের কাজ।
     
    আর একটা জিনিসও মাথায় রাখা দরকার, শুদ্ধতাবাদী পিউরিটান মানসিকতার নাটকের লোকের দৃষ্টভঙ্গীর সঙ্গে কৌশলী চালাক ফিল্ম বেসড ৩৫ মিমি দৃষ্টিভঙ্গীর মননের তফাত।  কোনো এক সীনের শুটিঙের সময় লাল পেড়ে শাড়ি নিয়ে আপত্তি শুনে যে কারণে সত্যজিৎ বলতে পারেন, সাদাকালো সিনেমায় পাড়টা লাল না কালো কীভাবে বোঝা যাবে! 
  • অ্যা কক | 103.87.***.*** | ০৫ জুলাই ২০২৫ ১২:২০539866
  • মাথাটা পুরোই গেছে মনে হয়, নাকি প্রচুর পয়সা হয়েছে সম্প্রতি। বেশী বাচ্চাকাচ্চা= 
    বেশি খরচা।
    বেশি অনিশ্চয়তা (যতক্ষণ না সবকটা বড়ো হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াচ্ছে, একটাও না 'সফল' হলেই দীর্ঘশ্বাস হাহুতাশ সিবলিং রাইভ্যালরি তাই থেকে)।
    সম্পত্তি বেশি থাকলে অর্থাৎ সেরকম বিত্ত থাকলে চার পাঁচটা এন্ডিগেন্ডি পোষবার মত, সম্পত্তি নিয়ে লাঠালাঠি, বাপ মায়ের ভাগের বাপ মায়ের দশা।
    ওরকম ট্রিকল ডাউন থিওরি থোঢ়াই না কাজ করে, আগন্যাংলা যেথা যায়, পাছন্যাংলা সেথা ধায়- কথার কথা। বাস্তবে একজন ভালো আরেকজন মাঝারি হলে মাঝারি হীনমন্যতায় ভোগে।
    বাচ্চাকাচ্চা যেযুগে ফার্মিং ছিল সেটা এখন আর নেই, এখন বাচ্চারা অনেক সুযোগ পায় মা বাবার কাছাকাছি থাকবার, ভৃত্যতন্ত্রের অধীনে না থেকে, যদি না মা বাবা র জীবনযাপন সেরকম কর্মব্যস্ত না হয়।
    বেশি বাচ্চা নেওয়া সত্যিই সামাজিক অপরাধ, সাতদিনের ফাঁসি আর তিনমাস জেল দেবার মতো না হোক- ধোপা-নাপিত বন্ধ করে অর্ধচন্দ্র দেবার মতোন। ন‌ইলে সেই বাচ্চারাই যখন অভিযোগের আঙুল তুলবে এরকম একটা জীর্ণ দীর্ণ পৃথিবীতে নিয়ে আসার জন্য তাদেরকে পালের পর পাল বিইয়ে, তখন সেই অপরাধের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। আর সত্যি বলতে বাচ্চা ব‌ইতে হয় সেই মেয়েদেরকেই, শারীরিক ও মানসিক ধকল তাদের‌ই বেশি- এ ব্যাপারে কোনো পুরুষের মতামতের তুলনায় কোন নারীর মতামত পনেরোগুণ বেশি গ্রাহ্য।
  • শু | 103.232.***.*** | ০৫ জুলাই ২০২৫ ১২:১৭539865
  • "শিক্ষিত লোক এমনিতেই বাচ্চা নেয়না নেবেও না। কিন্তু যার ধরুন তিনটে বেবি নেওয়ার মতো ক্ষমতা রয়েচে"
    ওই ক্যাম্পেইন কি শুধু "শিক্ষিত"দের জন্যই টার্গেটেড ছিল? আর যাদের "ক্ষমতা" নেই অথচ অনেক বাচ্চা, এমন মানুষ বোধ হয় আমরা সবাই-ই দেখেছি।   
  • Ekak | ০৫ জুলাই ২০২৫ ১১:৩৮539864
  • এই একটি বা দুটি সন্তান ব্যাপারটা কি আদৌ সুফলদায়ক হয়েচে ?  এটা ঘটনা যে মোটামুটি ইন্দিরা জমানার থেকেই সরকার উঠেপড়ে লেগেচিল বাচ্চার সংখ্যা কমাতে। তারপর কমেওছে।  তার জন্যে ইকোনোমি কতটা দায়ী কতটা সরকারি প্রচার , সে নিয়ে কথা হতে পারে। 
     
    যা নিয়ে কথা হয়না তা হলো বাচ্চাকাচ্চা কম পয়দা করে সত্যি কি লাভ হয়েচে বা কী  লাভ হয়েচে ?? বাড়িতে খান পাঁচেক এন্ডিগেন্ডি থাকলে 
     
    • বাচ্চা  মা বাপের মুখের দিকে তাকিয়ে বসে না থেকে নিজেদের নিয়ে এনগেজ থাকে।  তাতে বেটার স্কিল ডেভেলপমেন্ট হয়। এখন দেখি বাপ্ -মা রিওয়ার্ড প্রসেসে বাচ্চাদের স্কিল ডেভেলপ করান। এটাই একমাত্র প্রসেস হওয়া ঠিক নয়। পরে এরা রিওয়ার্ড না পেলেই সমস্যায় ভুগবে। জীবনের নানা ক্ষেত্রে হতাশার জন্ম দেবে। ধরুন বাড়িতে তিনটে এন্ডিগেন্ডি টেবিলে বসিয়ে খেতে দিলে একজন আরেকজন কে এপ করে শিখে নেবে।  নো ইন্স্যান্ট রিওয়ার্ড। এপ করার জন্যেই কাছাকাছি সাইজ এর এনটিটি দের গ্রূপ দরকার। একটি মাত্র বাচ্চা হলে সে না এপ করে বাপ-মা কে  শুধু রিওয়ার্ড এর আশায় বসে থাকে। এইভাবে লার্নিং প্রসেসটার ব্যালান্স নষ্ট হয় যার প্রভাব পরবর্তী জীবনে ও প্রব্লেম সলভিং স্কিলে পড়ে। মানসিক স্বাস্থ্যে পড়ে। 
    • এক পাল এন্ডিগেন্ডি হলে সেটা একটা চেইন রিএকশনের মতো। প্রথমজনকে তৈরী করে দিন , তারপর এপিং সাইকল চালু। নিজেরাই নিজেদের হেল্পিং সিস্টেম তথা কমিউনিটি উইদিন কমিউনিটি। 
    • একজোড়া বাপ মায়ের পক্ষে একটি বাচ্চাকে আগাগোড়া ইকোনোমিক সাপোর্ট  দেওয়া কিন্টু সমভব নয়। আমাদের সময়ে প্রচুর সিঙ্গল চাইল্ডকে ঝটপট চাকরিতে ঢুকতে হয়েচে উচ্চশিক্ষার সুযোগ সরিয়ে রেখে। কারণ বাবামায়ের  চাকরির আয়ু ফুরিয়ে আস্চে। একাধিক ভাই বোন দাদা হলে তারা সরাসরি সিবলিং এর পড়ার খরচ না দিক  , ফ্যামিলিতে হেল্প করলে পরের জন আর কয়েক বছর অক্সিজেন পায়। এতে কারোর ওপর সাময়িক চাপ পড়তেই পারে কিন্তু লং টার্মে গোটা এন্ডিগেন্ডি ক্লাস্টারটা অনেক বেটার মুভ ফরোয়ার্ড করে 
    • তার ফলে বাপ মা হিসেবেই বেটার রিওয়ার্ড ফিলিং আসে। বাচ্চাকাচ্চামানে আদতে তো ফার্মিং তাই না ?  পাঁচটা বাচ্চার মধ্যে একটা ডাক্তার একটা মোক্তার একটা প্রফেসর একটা চোক্তার আরেকটা হয়তো বাবরি চুল ফেইলিওর সিনেমা পরিচালক। বাপ্ মার দুঃখ থাকবেনা। বাবরি চুল যে স্পেস পেয়ে ভবিষ্যতে কিছু লাগিয়ে দেবে না কে জানে ? এখানে স্পেস মানে টাকা পয়সা নয় স্পেস ফ্রম টু মাচ এক্সপেক্টেশন। ফেইলিওর হয়ে থাকার ছাড়পত্র। এক বচ্চা হলে এই ছাড়পত্রটা নেই যাস্ট নেই। 
    তো এগুলো নিয়ে কি গবেষণা ইত্যাদি হয়েচে ?? বাচ্চা কমান উঃ উঃ আর বচ্চা পারবেন না এটা কিন্তু আদতে রাজনৈতিক গড্ডালিকা !!!  এমন ভাব করে যেন বেশি বাচ্চা নেওয়া সামাজিক অপরাধ। এই অপরাধবোধটা রাষ্ট্র তৈরী করেচে। প্রকৃত চিত্র কী ? ক্ষমতা না থাকলে  শিক্ষিত লোক এমনিতেই বাচ্চা নেয়না নেবেও না। কিন্তু যার ধরুন তিনটে বেবি নেওয়ার মতো ক্ষমতা রয়েচে সে খামোখা অপরাধবোধে ভুগবে কেন ?বাচ্চা নেবে না কেন ?বা না নিয়ে সেটাকে প্রোগ্রেসিভ পোজিং করবে কেন ? এইসব আর কী। কথা হওয়া দরকার !
  • r2h | 134.238.***.*** | ০৫ জুলাই ২০২৫ ১০:২৫539863
  • সত্যজিৎ রায়ের সিনেমা বিষয়ে, ডিটেল, খুঁটিনাটি- ইত্যাদি তো একরকম। খুঁটিনাটি, আঁশের কাপড়, লক্ষ্মীর ঝাঁপি - সেসব একরকম হয়তো যুক্তিগ্রাহ্য, তবে সেসবও সাব্জেক্টিভ, তর্কযোগ্য। ওগুলিকে ডিসকাউন্ট দিতে আমার আপত্তি নেই তবে আমি আর কে বা।

    মূল সাহিত্যকর্ম থেকে সিনেমায় ন্যারেটিভ বা চরিত্রচিত্রণের দর্শনগত বিচ্যুতি, অপুর চরিত্রের কিছু একমাত্রিকতা এইসব নিয়ে টিম হুচির সঙ্গে ব্যক্তিগত আড্ডায় হুচি চমৎকার বলেছিল, আর প্রতিটা কথাই অকাট্য বলে মনে হয়েছিল আমার, যেগুলি আমার প্রাথমিক মতের বিপরীতে ছিল।
    আর অরণ্যের দিনরাত্রি তো মানে ইয়ে, ও আর বলে লাভ নেই।

    যেহেতু আমি আর কে বা, তাই সত্যজিৎ রায় মহান চলচ্চিত্র নির্মাতা, নান বিষয়ে পথিকৃৎ এমনই মনে করি।
    কিন্তু তার সঙ্গে এইসবও।

    কিন্তু দারিদ্র, দুঃখকষ্ট, বেদনা, স্বার্থপরতা,, ক্ষুদ্র ঈর্ষা দ্বেষ ছাপিয়ে রোমান্টিকতা- এই কি বিভূতিবাবুরও সুর না?
    পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া অপুকে নিয়ে চলেন।

    ডিম ও 'মেয়েমানুষ' বিষয়ে, এইসব বদরসিকতা (যতই সাহিত্যিক রেফারেন্স থাকুক) ব্যক্তিগত আড্ডায় হয়ে থাকে, কিন্তু সেসব ডকুমেন্টেড হয়ে আইকনের সঙ্গে জুড়ে গেলে গোলমাল হয় আরকি।
     
    • kk | ০৩ জুলাই ২০২৫ ২০:৪৭
    • ... "আমিই ভুল করেছি" কথাটা হুতোর মত অকপটে ...
    হ্যাঁ মানে ঐ আফ্রিকা দেশে সেউ ফলের মত আরকি, ছড়িয়ে ফেললে আর তক্ক করে লাভ কি, তবে আমি যেহেতু বিস্তর বলি তাই বিস্তর থাউকা কথাও, বাকসংযম ছাড়া উপায় দেখি নাঃ(
     
    • &/ | ০৩ জুলাই ২০২৫ ২১:১৭
    • ...বলা যায় সবচেয়ে কার্যকরী বিজ্ঞাপণ। ভালোরকম কাজ হয়েছিল বলতে হবে। অধিকাংশ দম্পতি একটি বা দু'টি সন্তানের প্ল্যান কার্যকর করেছিল। খুবই চমৎকার ব্যাপার। নাহলে আজ যে কী অবস্থা হত কেজানে! এই বাজারে ...
    জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রনের নানান সরকারি বিজ্ঞাপন তো বহুকালই, তবে জনসংখ্যার চাপ বনাম জনসম্পদের প্রয়োজনীয়তা - এই নিয়ে দুশ্চিন্তা আসতে চলেছে -এমন অনুমান করা যায়, প্রথম বিশ্বে তো বটেই, উন্নয়নশীল দেশগুলিতেও; এই নিয়ে আগে ভাটে নানাজন গ্রাফ পরিসংখ্যান এইসব দিয়েছেন।
  • aranya | 2601:84:4600:5410:a5b3:7c69:2161:***:*** | ০৫ জুলাই ২০২৫ ০৮:১৭539862
  • ভাল ভাট হয়েছে গত কদিন। আপ্নেরা কি ইদানেং কালের (ধরুন গত  ১০ - ১৫ বছর ) সো কলড বাণিজ্যিক লেখকদের বই পত্তর পড়েন, দুই বাংলা মিলিয়ে? 
    সুনীল গাঙ্গুলী, হুমায়ুন আহমেদ - এদের কাছাকাছি ক্ষমতাধর নতুন লেখক দের কিছু নাম পাওয়া যায়? 
  • &/ | 151.14.***.*** | ০৫ জুলাই ২০২৫ ০৭:২৪539861
  • তালপাতার পাখা নির্ঘাৎ সুপ্রাচীন ব্যাপার। নাকি তত প্রাচীনও নয়? তার আগে হাওয়া করতে চামর ব্যবহার হত? (সেই যে রাজার জন্য ছত্র-চামর ইত্যাদি ছিল? )
  • অরিন | 2404:4404:4405:700:504b:4be9:69fd:***:*** | ০৫ জুলাই ২০২৫ ০৬:৩৮539860
  • "পাঙ্খাপুলারস"দের নিয়ে একটা ব্লগ পোস্ট পড়ছিলাম, পড়ে দেখতে পার, 
     
     
    সে ইতিহাস পাখা চালকদের তরফ থেকে বিচার করলে মন খারাপ হয়ে যায় যে বেচারীদের কি নিদারুণ অত‍্যাচার সহ‍্য করতে হত।  সিলিং ফ‍্যানের ইতিহাসও বিশেষ প্রাচীন নয়, মেরেকেটে একশো বছরের? 
     
  • যদুবাবু | ০৫ জুলাই ২০২৫ ০৬:১৭539859
  • না না কেন, এখানে নিশ্চয়ই সবাই মনে রেখেছে। আমার মত কিছু লোক মানিকবাবুর গপ্পো পড়ে, কিছু লোক অন্য কোনো কারণে। তবে পাঙ্খাপুলারের দর্শন পেয়েছেন এমন প্রবীণ পিতামহ(/ঈ) কেউ আছেন কি না জানি না। সে নিশ্চয়ই কম-সে-কম একশো কুড়ি পঁচিশ বছর আগের কথা! 
  • অরিন | 2404:4404:4405:700:504b:4be9:69fd:***:*** | ০৫ জুলাই ২০২৫ ০৫:৩১539858
  • "হ্যাঁ, এই ঠাটাপড়া গরমের দিনে পাখা বন্ধ করার প্রশ্নই ওঠে না। "
     
    বেচারা "পাঙ্খাপুলারস", তাদের কখা কেই বা মনে রেখেছে? 
    ;-)
  • &/ | 151.14.***.*** | ০৫ জুলাই ২০২৫ ০৫:০৪539857
  • ভাবুন তো, প্রথম যিনি বা যাঁরা পাখা আবিষ্কার করেন, তাঁদের অবস্থা? হয়ত বা কোনো চওড়া পাতা--- হাতে নিয়ে নাড়াতেই ঠান্ডা ঠান্ডা হাওয়া! কোথা থেকে এল হাওয়া? এইটা থেকেই? এ কি ম্যাজিক? ভৌতিক কান্ড?
  • যদুবাবু | ০৫ জুলাই ২০২৫ ০৪:৪১539856
  • হ্যাঁ, এই ঠাটাপড়া গরমের দিনে পাখা বন্ধ করার প্রশ্নই ওঠে না। 
  • &/ | 151.14.***.*** | ০৫ জুলাই ২০২৫ ০৪:১৯539855
  • 'আম আঁটির ভেঁপু' বলে একটা বইয়ের প্রচ্ছদ করেছিলেন না সত্যজিৎ রায়?
  • &/ | 151.14.***.*** | ০৫ জুলাই ২০২৫ ০৪:০৬539854
  • স্ত্রী-আচার কোথায় ছিল ভাবতে ভাবতে মনে পড়ল ওই যে দুর্গার বান্ধবী মেয়েটির বিয়ে হচ্ছিল, সেইখানে? মেয়েটিকে আলতা পরানো?
  • :|: | 2607:fb90:bd4e:8d26:30f5:fe6b:687a:***:*** | ০৫ জুলাই ২০২৫ ০৩:৫৫539853
  • তিনটি সতেরোর কবিতাটি ইন্টারেস্টিং। যেগুলি তিনি উল্লেখ করেছেন অই সবকিছুতেই তো কবির না লেখা কবিতা গুলি থেকে গেছে! এই যেমন লাস লাইনটি পড়েই ঠাকুর মশায়ের মন্ত্র শুনতে পেলুম যেন, "এখনই অন্ধ বন্ধ কোরোনা পাখা।"
  • অরিন | 2404:4404:4405:700:2859:7038:2365:***:*** | ০৫ জুলাই ২০২৫ ০৩:৩৭539852
  • "পথের পাঁচালি' সিনেমায় রীতিনীতি স্ত্রীআচার উৎসব গৃহস্থালী ---এইসবে অসঙ্গতি কোথায় কোথায় ছিল? সিনেমাটা পজ দিয়ে দিয়ে দেখছি। রিওয়াইন্ডও মাঝে মাঝে। রীতিনীতি ইত্যাদিতে কোথায় অসঙ্গতি ছিল?"
     
    &/, লেখালিখি পড়ে মনে হয়, কমলকুমার মজুমদার মশাই যখন শুনেছিলেন সত্যজিৎ রায় পথের পাঁচালী নিয়ে চলচ্চিত্র তুলবেন, তিনি সমালোচনা শুরু করে দেন। এখন এই ওজরগুলো, আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হয়, সমালোচনা করবার জন্য করা। এরকম আরো হয়ত অনেকেই করেন। এক ধরণের observation bias. বজ্রযানী যোগচেন বৌদ্ধধর্মে এদের এই প্রারব্ধ সংস্কার নিয়ে দিউদম লিংপার চমতকার ব্যাখ্যা আছে, :-) 
  • যদুবাবু | ০৫ জুলাই ২০২৫ ০৩:১৭539851
  • (ডিসি-স্টাইলে) নিন একটা কবিতা পড়ুন। মহাদেব সাহা'র। বইয়ের নাম সম্ভবতঃ "এসো তুমি পুরাণের পাখি।"

  • &/ | 151.14.***.*** | ০৫ জুলাই ২০২৫ ০৩:১২539850
  • 'পথের পাঁচালি' সিনেমায় রীতিনীতি স্ত্রীআচার উৎসব গৃহস্থালী ---এইসবে অসঙ্গতি কোথায় কোথায় ছিল? সিনেমাটা পজ দিয়ে দিয়ে দেখছি। রিওয়াইন্ডও মাঝে মাঝে। রীতিনীতি ইত্যাদিতে কোথায় অসঙ্গতি ছিল?
  • অরিন | 2404:4404:4405:700:f06b:bbf2:9828:***:*** | ০৫ জুলাই ২০২৫ ০২:২২539849
  • "কমলবাবু বর্ণিত অসঙ্গতিগুলির তালিকা পাওয়ার আশায়, অরিনদা, আপনার বলা রাধাপ্রসাদের লেখাটার সন্ধান পাওয়া যাবে বলে যেটুকু দুরাশা ছিল "ভুল ধরিয়ে দিয়েছেন" বললে তো সেটুকুও, হায়, জলাঞ্জলি"
     
    আমি শাঁটুলবাবু আর কুমারপ্রলাদের মধ‍্যে এই প্রসঙ্গে গুলিয়ে ফেলেছি । লিখলাম যে, আমার হাতেরসকাছে লেখাগুলো থাকলে পড়ে দেখতাম। 
  • Ranjan Roy | ০৫ জুলাই ২০২৫ ০১:৩৫539848
  • চমৎকার আলোচনা চলছেl 
    সমর সেন প্রসঙ্গে কথাগুলো একদম খাপে খাপ---।
  • <> | 2405:201:802c:7858:cd0b:5b1b:2446:***:*** | ০৫ জুলাই ২০২৫ ০০:১৪539847
  • ৩০ - ৫০ র কবিদের মধ্যে সম্পর্কের কথা বললে মনে হতে পারে ৪০ র কবিরা কোথায় গেল ? অন্তত সুভাষ মুখুজ্যে ? খুঁজলে শক্তি চাটুজ্যের কিছু কবিতায়, তার ছন্দে সুভাষ মুখুজ্যেকে খুঁজে পাওয়া যাবে অথবা ৬০ - ৭০ এর বামপন্থী রাজনৈতিক কবিতাতেও। তো এই দ্বিতীয় ক্ষেত্রে নিশ্চয় সুভাষ মুখুজ্যের ধারার অনুসরণ হয়েছে, কবিতার সঙ্গে সরাসরি রাজনীতিকে মেশানো।
  • <> | 2405:201:802c:7858:cd0b:5b1b:2446:***:*** | ০৪ জুলাই ২০২৫ ২৩:৫১539846
  • মাইরি, সজনীকান্তর ভূত চেপেছে বানানে।
  • :) | 103.244.***.*** | ০৪ জুলাই ২০২৫ ২৩:৫১539845
  • কুমারপ্রসাদ ম্যহ্ফি‌ল-এ লিখেছেন (৩২ পাতা), কমলকুমার মজুমদারের এই জাতীয় উক্তি 'পাড়াগাঁয়ে হিন্দু পরিবারে হেঁসেলের আঁশের কাপড়ে কেউ লক্ষ্মীর ঝাঁপিতে হাত দেয়, না বিছানায় এসে বসে?' মানিকবাবুর ভাল লাগেনি। উনি বলেছিলেন কমলবাবুকে পল্লীগ্রামের ওপর ছবি করে আপনাকে খুশি করতে পারব না।
     
    রাধাপ্রসাদ গুপ্তের জ্যাঠতুতো দাদা-- কমলাদা--  প্রথমবার সত্যজিত রায়ের সম্মুখীন হয়ে নেহাতই বিনম্রভাবে তার বক্তব্য পেশ করলেন 
    (১) গ্রামে শুধু কি বৃদ্ধ-বৃদ্ধা আর কচি বাচ্চাদের এবং মধ্যবয়সী স্ত্রীলোকদের বাস? দেশে কি যুদ্ধ লেগেছে এবং জোয়ানরা সবাই যুদ্ধে চলে গেছে?
    (২) একটাও পাখির ডাক শোনা গেল না গ্রামে দেড় ঘণ্টায়, কি আশ্চর্য!
    (৩) রেলগাড়ি সিকোয়েন্সে অপু খাচ্ছিল শ্যামসায়রী আখ, দুগ্গার হাতে ছিল দিশি আখ, লক্ষ্য করেছিলেন কি? ইত্যাদি ইত্যাদি।
     
    কুমারপ্রসাদও তাঁকে জানিয়েছিলেন --
    মানিকবাবু, আপনার পথের পাঁচালিতে সবই সুন্দর, দারিদ্রও সুন্দর, শীতে গরম জামা নেই, বর্ষায় ভাঙা বাড়িতে থেকেও সবাই মনে হয় আনন্দে আছে, প্রথম বর্ষায় ভিজে দুগ্গার সান্নিপাতিক বিকার ও মৃত্যুর দৃশ্য এতই সংযত যে দারিদ্র্যজনিত দুঃখ স্পর্শ করবে না।” উনি শুনে গম্ভীরভাবে কুমারপ্রসাদকে বলেছিলেন “বিভূতিবাবুর বইটা পড়ে দেখবেন, ওই একই কথা মনে হবে।' বহু বছর পরে পার্থ বোসও আলোচনার মধ্যে এই কথাই বলেছিলেন, বিভূতিভূষণের পথের পাঁচালির দারিদ্র “অপরাজিত"য় অপুর কলেজ জীবনে স্ট্রাগল, বিয়ের পর জমিদারের মেয়ে অপর্ণাকে মনসাপোতায় খড়ের চালের ঘরে তোলা সব কিছুর মধ্যেই অসম্ভব রোম্যান্টিকতা আছে যা দুঃখকষ্ট ছাপিয়ে যায় পাঠকের মনে।
     
    অশোক মিত্র তাঁর "তিন কুড়ি দশ" বইয়ের তৃতীয় খন্ডে জানিয়েছেন --
    সত্যজিৎ রায়ের 'পথের পাঁচালি' প্রথম প্রকাশের অব্যবহিত পরে কমলবাবু একদিন এসে প্রায় দু'ঘণ্টা ধরে ছবিটির ধাপে ধাপে বাঙালী মধ্যবিত্ত বর্ণহিন্দু সমাজের রীতিনীতি, স্ত্রীআচার, উৎসব, গৃহস্থালী-সংস্থানে কত অসঙ্গতি ও অজ্ঞানতা আছে একে একে বলে গেলেন, প্রায় সবগুলি মন্তব্যই অকাট্য মনে হল। সত্যজিৎ রায় যে সম্প্রদায়ে মানুষ হয়েছিলেন তাঁর এ-সব জানার কথা নয়। তবে, সবকিছুই নিখুঁতভাবে করা তো ছিল তাঁর পণ; না জানলেও শিখে নিতে পারতেন। কমলবাবুর মত নিশ্চিত জ্ঞান ও প্রতীতি আমি একমাত্র আশাপূর্ণা দেবীর 'প্রথম প্রতিশ্রুতি' বইতেই দেখেছি।
     
     
    স্বপ্নকমল সরকার লিখেছিলেন "বালক অপুর তুলসীতলায় মুখ ধোয়ার দৃশ্যটি নাকি কমলবাবু একেবারেই মেনে নিতে পারেননি"। এখানেও ওই "নাকি" থাকায় একথা তিনি কোথা থেকে জেনেছেন জিজ্ঞাসা করার কোনো অর্থ ছিল না। 
     
    কমলবাবু বর্ণিত অসঙ্গতিগুলির তালিকা পাওয়ার আশায়, অরিনদা, আপনার বলা রাধাপ্রসাদের লেখাটার সন্ধান পাওয়া যাবে বলে যেটুকু দুরাশা ছিল "ভুল ধরিয়ে দিয়েছেন" বললে তো সেটুকুও, হায়, জলাঞ্জলি যায়।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত