এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • ভাটিয়ালি

  • এ হল কথা চালাচালির পাতা। খোলামেলা আড্ডা দিন। ঝপাঝপ লিখুন। অন্যের পোস্টের টপাটপ উত্তর দিন। এই পাতার কোনো বিষয়বস্তু নেই। যে যা খুশি লেখেন, লিখেই চলেন। ইয়ার্কি মারেন, গম্ভীর কথা বলেন, তর্ক করেন, ফাটিয়ে হাসেন, কেঁদে ভাসান, এমনকি রেগে পাতা ছেড়ে চলেও যান।
    যা খুশি লিখবেন। লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়। এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই। সাজানো বাগান নয়, ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি। এই হল আমাদের অনলাইন কমিউনিটি ঠেক। আপনিও জমে যান। বাংলা লেখা দেখবেন জলের মতো সোজা। আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি।
  • আর জি কর গুরুভার আমার গুরু গুরুতে নতুন? বন্ধুদের জানান
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • প্রত্যয় ভুক্ত | ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ০০:২৯534368
  • বেআইনি মিলন বলতে ওই যে, বয়সে বাধে ছেলেটির।
  • প্রত্যয় ভুক্ত | ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ০০:২৯534367
  • জননীর পক্ষে অস্বীকার করাটা চাপ কারণ ওই যে বললাম, সাক্ষী থাকে লোকজন, জ্যান্ত শিশু হোক বা গর্ভপাত করে মৃত ভ্রূণ, সেটি যে মেয়েটির পেট থেকেই বেরিয়েছে, তার সাক্ষ্য প্রমাণ মজুত থাকে যথেষ্ট।
  • মত | 165.225.***.*** | ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ০০:১৫534366
  • "কেন উদ্বিগ্ন? রাষ্ট্রের এতে নাক গলানোর কারণ কী?"
    শেষ পর্যন্ত আমরা সবাই রাষ্ট্রের সম্পত্তি, ভাল মন্দ যেভাবেই হোক! বাচ্ছা ভোগে গেলে আর্থিকভাবে রাষ্ট্র্র্রর ক্ষতি করবে, ভাল হলে ট্যাক্স দেবে!  
  • . | ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ০০:০৪534365
  • "কোনো নবজাতকের অভিভাবকত্ব কিন্তু তার জনক পুরুষটি স্বচ্ছন্দেই পরবর্তী কালে অস্বীকার করতে পারে "
    এটা ভয়ানক একটা বাক‍্য/বাক‍্যাংশ। বড়ো করে আলোচনার দাবি রাখে। জননীও কি তা করতে পারে না? 
     
  • . | ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ০০:০১534364
  • "আর রাষ্ট্র বৈধ আইনি মিলনের ক্ষেত্রে যুগলকে একত্রে সুরক্ষা দিতে সক্ষম,"
    কী প্রকারের সুরক্ষা দিতে সক্ষম? 
  • . | ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ০০:০০534363
  • "কিন্তু বিষমকামী সম্পর্কে সবসময়েই অবাঞ্ছিত গর্ভসঞ্চারের আশঙ্কা থেকেই যায়, যা নিয়ে রাষ্ট্র/আইন ব্যবস্থা সচেতন ও উদ্বিগ্ন।"
    কেন উদ্বিগ্ন? রাষ্ট্রের এতে নাক গলানোর কারণ কী?
  • . | ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৩:৫৮534362
  • "এক্ষেত্রে মিলনটাই যখন বেআইনি, .."
    এর অর্থ বুঝতে পারলাম না। আইনি মিলন বনাম  বেআইনি মিলন, বুঝি নাই।
  • প্রত্যয় ভুক্ত | ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৩:৪৮534361
  • যো দি, বাচ্চার জন্ম দেওয়ার জন্য লোকে বিয়ে লিভ-ইন করে না, কিন্তু বিষমকামী সম্পর্কে সবসময়েই অবাঞ্ছিত গর্ভসঞ্চারের আশঙ্কা থেকেই যায়, যা নিয়ে রাষ্ট্র/আইন ব্যবস্থা সচেতন ও উদ্বিগ্ন। সেরকম সমকামী সম্পর্কেও যথোপযুক্ত সচেতনতা না নিলে, যৌনরোগ সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে যা রাষ্ট্রের মাথাব্যথার কারণ। সমলিঙ্গের বিবাহের স্বীকৃতি দেওয়া না দেওয়া এক্ষেত্রে খুব প্রাসঙ্গিক বিষয় না। এখানে কিন্তু যুগলের ব্যাক্তিগত পরিসরে রাষ্ট্র হাত দেয়নি স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে, যেটা আপত্তির মূল বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে বাকিদের- রাষ্ট্র এখানে যুগলের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে দায়িত্বশীলতার অভাব পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাদের বিচ্ছিন্ন করার, একপ্রকারে উভয়কেই সুরক্ষা দান করে।আর রাষ্ট্র বৈধ আইনি মিলনের ক্ষেত্রে যুগলকে একত্রে সুরক্ষা দিতে সক্ষম, এক্ষেত্রে মিলনটাই যখন বেআইনি, রাষ্ট্র তো আর সেই অপরাধীদের সুরক্ষা দিতে পারে না আদর্শগত দিক থেকে (এর চেয়ে বড় বড় অপরাধীদের রক্ষা করে রাষ্ট্রশক্তি অনেক সময়, সে ভিন্ন প্রসঙ্গ)
  • প্রত্যয় ভুক্ত | ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৩:৩৮534360
  • মিতা হকের পর পাপিয়া সারোয়ারের মৃত্যুর খবরে দুঃখ পেলাম। "একে একে নিবিছে দেউটি..."
  • প্রত্যয় ভুক্ত | ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৩:৩২534359
  • সিস্টেমটা মেয়েদের শুধু ভোগের বস্তু মনে করে , মানুষ মনে করে না- এ কথা তর্কসাপেক্ষে সত্য। কিন্তু একথাও সত্য যে একটি মেয়ের অবাঞ্ছিত পরিস্থিতিতে গর্ভসঞ্চারের আশঙ্কা সবসময়েই থাকে, যা প্রাকৃতিক নিয়মেই সিদ্ধ, এবং পুরুষ সঙ্গীটি নিভৃতে লোকচক্ষুর অন্তরালে মিলনের মাধ্যমে সঙ্গিনীর গর্ভসঞ্চার করলেও প্রসব/গর্ভপাত এর সময় তা লোক জানাজানি না করে একেবারে আড়ালে হ‌ওয়া সম্ভব না, সুতরাং কোনো নবজাতকের অভিভাবকত্ব কিন্তু তার জনক পুরুষটি স্বচ্ছন্দেই পরবর্তী কালে অস্বীকার করতে পারে (dna test এর মতো পদ্ধতিতে হয়তো পুরুষটির পিতৃত্ব প্রমাণ করা যায় সেসব ক্ষেত্রে, কিন্তু তাতে জটিলতা থাকেই), কিন্তু তার জননী নারী তা করতে সক্ষম নয়- অত‌এব মেয়েটির উপরেই সন্তানের অভিভাবকত্বের দায়িত্ব এসে বর্তায়। তাই সিস্টেম মেয়েদের এইরকম অবাঞ্ছিত মাতৃত্বের মধ্যে দিয়ে যাতে যেতে না হয়, তার জন্য রক্ষাকবচ দেওয়ার ও চেষ্টা করে। এখন বিভিন্ন জন্মনিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি সুপ্রচলিত থাকলেও এইসব আশঙ্কাকে একেবারে অমূলক বলে উড়িয়ে দেওয়া যায় না, কারণ আকছার অহরহ‌ই এরকম ঘটনা আমরা চারপাশে দেখতে পাই। কখনো গর্ভপাতের মতো জন্মনিয়ন্ত্রণের পদ্ধতিতে জটিলতার কারণে গর্ভিনীর প্রাণসংশয় উপস্থিত হয়, প্রসবের জন্য উপযুক্ত শারীরীক অবস্থা না হ‌ওয়ায় বহু অপুষ্টিতে ভোগা তরুণী গর্ভাবস্থায় প্রাণ হারায় বা আধুনিক চিকিৎসাব্যবস্থার সাহায্য না নিয়ে গোপনে কোয়াক পদ্ধতিতে গর্ভপাত করতে গিয়ে শারীরীক ধকলের মধ্যে দিয়ে যায়। জন্মনিয়ন্ত্রণের পিল‌ও মেয়েদের শরীরে ঋতুচক্র ও হরমোন ব্যালান্সের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এমনকি কন্ডোমের মতো জন্মনিয়ন্ত্রণের বহুল প্রচারিত পদ্ধতি ব্যবহারের ফলেও মেয়েদের দেহে মাইক্রোপ্লাস্টিক প্রবেশ করে। সুতরাং সেরকম পরিস্থিতিই যাতে সৃষ্টি না হয়, তার থেকে মেয়েদের রক্ষা করার জন্য‌ই রাষ্ট্র/আইন ব্যবস্থা তৎপর হয়, তার সমস্ত প্রচ্ছন্ন পিতৃতান্ত্রিক অ্যাজেন্ডা সত্বেও। আবার এও সত্যি, ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে অনেক মেয়ে (পুরুষ শ্রমিক ও শিশুরাও) পাচার হয়ে যায় প্রতি বছর মধ্যপ্রাচ্যে আরবে বা অন্যান্য দেশে- কখনো পরিচারিকা হিসাবে বা কখনো যৌনদাসী হিসাবে, যার জন্য খোঁচড় বা এজেন্টরা এরকম ভাবেই তরুণী মেয়েদের সাথে প্রেমের সম্পর্ক পাতায় ও ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করে। তাছাড়া পর্নো শুটিং বা ব্লু ফিল্ম শুটিং করা হয় এইসব মেয়েদের ফুসলিয়ে কাজে লাগিয়ে, তাদের সামাজিক জীবন নষ্ট করে দেওয়া হয়, কখনো বা সরাসরি দেহব্যবসায় নামানো হয় পতিতাপল্লীতেগুলিতে।নারীরা পুরুষদের যতো না ভোগ করতে পারে/ঠকাতে পারে, তার চেয়ে ঢের বেশি দুর্ভোগের, বঞ্চনার ও  দুর্ভাগ্যের সম্মুখীন হয়, ভুল ব্যাক্তির সাথে প্রেম/যৌনসম্পর্ক স্থাপন করে। তাই এইসব মেয়েদের রাষ্ট্রের নাগরিক হিসাবে রাষ্ট্র সুরক্ষা দেবার চেষ্টা করে এরকম ভাবেই, যা নীতিগতভাবে হয়তো সবসময় ঠিক নয়, কিন্তু নিশ্চিতভাবেই বাস্তবসম্মত।
  • | ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০:১০534358
  • হেলাল হাফিজ মারা গেলেন। 
  • r2h | 165.***.*** | ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০:০০534357
  • সারসংক্ষেপের চন্দ্রবিন্দুতে ক দিলাম।
  • PRABIRJIT SARKAR | ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৯:১১534356
  • @ডট  ঠিক।
  • . | ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৯:০৬534355
  • কাবাব কাবার
  • . | ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৮:৪৬534354
  • হ‍্যাঁ। ভোগ টা সলিড ব‍্যাপার।
    একটা ঘটনা বলি শুনুন।
    আমাদের এই দেশে একজন বাঙালি ছিলেন। মারা গেছেন ২০১০ সাল নাগাদ। তাঁর দুই মেয়েই আমার চেয়ে বড়ো। পুত্রটি আমার চেয়ে ছোট। এদেশে আসবার পরে এঁর সঙ্গে কোনও এক সময়ে আলাপ হয়েছিল। গল্প করতে করতে একবার নিজের মেয়েদের এদেশে বড়ো হয়ে ওঠার কথা জানাচ্ছিলেন। মেয়েদের যে সময়ে বয়ফ্রেণ্ড হয়েছে, বাবা হিসেবে তিনি একটু চিন্তিত, মেয়েকে বললেন — সাবধানে মিশিস, এই ছেলে তোকে ঠকাতেও তো পারে।
    মেয়ে বলেছিল — বাবা, আমিও তো তাকে ঠকাতে পারি।
    তো এই হল ঘটনা।
    একটা মেয়েও যে তার পুরুষ সঙ্গীকে ভোগ করতে পারে, সেটা বুঝতে বুঝতেই জজ সাহেবদের জীবন কাবাব হয়ে যাবে (ভারতে)।
  • PRABIRJIT SARKAR | ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৫:৫৩534352
  • ভারতে ইংল্যান্ডের মত কমন ল সিস্টেম। আইনের বইয়ে যা লেখা থাকে তার বাইরে গিয়ে বিচারপতি রা রায় দেয় নিজের মূল্যবোধ প্রয়োগ করে। বাবা মায়ের পা ধরে ক্ষমা চাও এমন মৌখিক রায় ও দেয়। তাই আঠার বয়স হয়ে গেলেও তিনি মনে করতে পারেন তুমি সাবালিকা নও! পুরুষতান্ত্রিক মূল্য বোধ ও কাজ করে: একটা ছেলে মেয়েটাকে 'ভোগ' করে মজা লুটে চলে যাবে। এইদেশেই বিয়ের আগে সহবাস করে বিয়ে না করলে ধর্ষন মামলা হয়। যে কেস নিয়ে আলোচনা শুরু সেখানে ছেলেটা মুসলমান। প্ৰছন্ন ভাবে সেটাও বিচার প্রভাবিত করছে। আজকাল লাভ জেহাদ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। মনে হয় একটা আইন ও হয়েছে কোন কোন স্টেটে। এছাড়া হিন্দুত্ববাদী গুন্ডামি তো আছেই। এই দম্পতি হুমকি পেয়ে কোর্টে এসেছে।
  • . | ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৩:১০534351
  • প্রত‍্যয়,
     
    একদম কারেক্ট। সিস্টেমটাই মেয়েদের ভোগের বস্তু মনে করে। দুনিয়ার যত গুলো দেশ (মুসলিম দেশ বাদ দিয়ে) সম্পর্কে জানি বিয়ের বয়স ১৮/২১ নয়। ভারত স্পেশাল কেস।  দুজনই যে সাবালক, সেটাই মানছে না রাষ্ট্র। 
    বাচ্চার জন্ম দেওয়ার জন‍্যই কি লোকে বিয়ে বা লিভ ইন করে? রাষ্ট্র সেটাই ধরে নিচ্ছে। সেই কারণেই রাষ্ট্র সমলিঙ্গের বিবাহের অনুমতি দেয় না। 
  • প্রত্যয় ভুক্ত | ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ১২:০১534350
  • . এর কথার পিঠে বলি, 
    ১) ছেলেদের বিয়ের বয়েস ন্যূনতম ২১ বছর ধার্য করা হয়েছে শারীরীক বিকাশের চাইতেও  উপার্জনক্ষমতার উপর জোর দিয়ে। এক্ষেত্রে traditional gender roles অনুযায়ী একটি ছেলে রোজগেরে পুরুষ হয়ে একটি সংসার পাতা ও সংসারের (family unit) এর কর্তা হিসেবে ব্যয় বহন করতে পারবে কি না, সেটির বিচার সাপেক্ষে বিয়ের আইনি বয়সের নিম্ন সীমা ২১ রাখা হয়েছে ছেলেদের জন্য।
    ২) মেয়েদের ক্ষেত্রে রোজগারের বাধ্যবাধকতা নেই, আর মেয়েদের শরীরে কৈশোর ছেলেদের তুলনায় আগে আসে তো শরীর ১৮ বছর বয়েসের মধ্যে যৌনসম্পর্ক স্থাপন, বিবাহ ও সন্তানধারণের উপযুক্ত পরিণতি লাভ করে মনে করা হয়। তাই মেয়েদের জন্য ১৮ বছর বয়েস‌ই নিম্নসীমা ধার্য করা হয়েছে, যদিও সম্প্রতি এই বয়ঃসীমা ২১ ও তদূর্ধ্ব করার প্রস্তাব উঠেছে।
    ৩)লিভ-ইন সম্পর্ক অনেকাংশেই বিবাহের অনুরূপ, খালি এখানে সামাজিক ও আইনিভাবে কোনো একগামিতার চুক্তি সম্পাদিত হয় না উভয়পক্ষের মধ্যে। বিবাহের চেয়ে বড়ো অচিন্ত্য কুমার সেনগুপ্তের উপন্যাস হতে পারে, লিভ-ইন সম্পর্ক নয়। তাই তাও আইনি বিচারের সীমানায় পড়ে।
    ৪) না সে মতলব যদি থাকে পাল্টাবে না, এবং ছেলেটির বয়স সত্যি বলতে আইনি আপত্তির জন্য valid, আমার কাছে মেয়েটির বয়স ১৯ বছর বেশি আপত্তির। ১৯ বছর বয়স অনিশ্চিত ভবিষ্যতের ও ঝুঁকিপূর্ণ লিভ-ইন সম্পর্কে প্রবেশ করার বয়স নয়, যেখানে সম্পর্কে বিবাহের দায়িত্বগুলি মেয়েটিকেই বহন করতে হবে অথচ তার কোনো আইনি স্বীকৃতি থাকবে না, এমনকি সম্পর্কে সন্তান এলেও তার পিতৃপরিচয়ের আইনি স্বীকৃতি আদায় করা কঠিন হবে।
    ৫) অতি সঙ্গত কথা, কিন্তু এখানে আইন ব্যবস্থার দ্বারস্থ হয়েছে যুগল‌ই, আইন/রাষ্ট্র ব্যবস্থা সরাসরি স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে নাক গলায়নি।
    ৬) সন্তান জন্ম দেওয়ার ব্যাপারে রাষ্ট্রের নাক গলানোর কিছুটা হলেও অধিকার আছে, কারণ সেই সন্তানের লালন-পালন ও তাকে ভবিষ্যতের নাগরিক হিসাবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রকেও পরোক্ষ ভূমিকা পালন করতে হয়, কখনো কখনো প্রত্যক্ষ (সন্তানের জন্মদাতা-জন্মদাত্রী আর্থিক সামর্থ্য বা অন্য কোন কারণে সন্তান পালনে অসমর্থ হলে)
    ৭) এ কথা মেনে নেওয়া যায়, তবে আদালত এসব ক্ষেত্রে সাধারণত প্রশিক্ষিত মনোবিদের সাহায্য নিয়ে closed door private session এর মাধ্যমে নির্যাতিতার বয়ান নেয়, এক্ষেত্রেও তাই করা হয়ে থাকতে পারে, তবে কোন বাধ্যবাধকতা নেই।
    ৮) কিছু মন্তব্য করার নেই, কখনো কখনো আদালতকেও অভিভাবকের কাজ করতে হয় সংসার অনভিজ্ঞ যুবক যুবতীদের জন্য।
    ৯) আবারো কিছু বলার নেই, সম্পূর্ণ অন্য প্রসঙ্গ। এখানে নারীবিদ্বেষের কোন সুযোগ ছিল না সেভাবে, কিন্তু নারীবিদ্বেষ যেকোন রূপেই নিন্দার্হ, এ কথায় আমার কোনো দ্বিমত নেই।
  • :|: | 2607:fb90:bd12:cb5f:1813:5770:292b:***:*** | ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৪:২৪534348
  • আইকিউ বা কাউন্সিলিং না -- একমাত্র ঠিক ঠিক জ্যোতিষ গণনাই পারে সম্পর্কের ভবিষ্যৎ বলতে। সেই অনুসারে কত্তব্ব করলেই হলো। ইজি। ;)
  • . | ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ০০:১৯534347
  • শেষ পর্যবেক্ষণ 
    ৯) মেয়েদের অসহায়, অর্ধেক মানুষ, বস্তু, এসমস্ত ভাবাটা সিস্টেমের সমস্যা। সেই কারণেই ধর্ষিতা তার আইডেন্টিটি চিরতরে হারায় এই জঘন্য সিস্টেমে।
  • . | ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ০০:১৫534346
  • লাভ জেহাদ এর কেসটার খবর এতক্ষণে পড়ে উঠলাম।
    আমার পর্যবেক্ষণ নিম্নলিখিত।
    ১) ভারতীয় ছেলেদের ম‍্যাচিওরিটি দেরিতে আসে। মানসিক বিকাশ, হয়ত শারীরিক ও। সেইজন্য বিয়ের বয়স ২১ বছরের আগে নয়। কিন্তু ভোটাধিকার বা সম্পত্তি টম্পত্তিতে অধিকার আগেই কেন দেওয়া হচ্ছে সেটাও প্রশ্ন।
    ২) মেয়েরা সে তুলনায় তিন বছর আগেই প্রাপ্তবয়স্ক এবং প্রাপ্তমনস্ক হয়ে যাচ্ছে এরকমই রাষ্ট্রের ধারণা।
    ৩) লিভ ইন সম্পর্কে যাবার ক্ষেত্রেও কেন বিয়ের বয়সের নিয়ম মানা হচ্ছে সেটা পরিষ্কার নয়। 
    ৪) মেয়েটিকে প্রেগন্যান্ট করে দিয়ে ছেলেটির যদি পালানোর মতলোব থাকে, তবে ২১ বছর বয়স হলে কি তা বদলে যাবে?
    ৫) কে কার সঙ্গে থাকবে বা থাকবে না, বিয়ে করবে কি করবে না, সে নিয়ে রাষ্ট্রের খবরদারিটা বিরক্তিকর।
    ৬) তারা সন্তানের জন্ম দেবে কি দেবে না, জন্মনিয়ন্ত্রণ করবে কি করবে না, সেটাও তাদের সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত এলাকায় সীমাবদ্ধ থাকাই উচিত। রাষ্ট্র কেন নাক গলায়?
    ৭) মেয়েটি এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে নি, কারণ সে প্রস্তুত ছিল না। অথবা সাহস পায়নি মুখে মুখে জবাব দিতে। ভারতে জজসাহেবরা বাদী বা বিবাদী পক্ষের সঙ্গে রুক্ষ্ণ ব‍্যবহার করতে অভ্যস্ত, নিজেদের সাংঘাতিক ভগবান লেভেলের মনে করে। সম্ভবত সেসব কারণেই মেয়েটি ঘাবড়ে গিয়ে ঠিকঠাক উত্তর দিতে পারে নি।
    ৮) ওদের বাড়ির লোকেরা চাইছিল না যে এই সম্পর্কটা কোনও পজিটিভ পরিণতি পাক, তারা ওদের অনিষ্ট করতে পারে, সেই আশঙ্কায় ওরা আদালতের শরণাপন্ন হয়, কিন্তু জজসাহেব গুছিয়ে ক্লাস নিয়েছে। রাবিশ!
  • . | ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৩:৫৭534345
  • সামনের মাস থেকে বুলগারিয়া এবং রোমানিয়ার ল‍্যান্ড বর্ডারগুলোও শেংগেন এর অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাচ্ছে।
  • | 2405:8100:8000:5ca1::101:***:*** | ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ ২২:৫৫534344
  • ওহো রিজওয়ানুর। মনে পড়ে গেল। মিডিয়ায় কি গুজব রটানো রে ভাই। পাতি একটা আত্মহত্যার তিলকে তাল করে দিল। কত লোক নাচল তা নিয়ে।
  • পাপাঙ্গুল | 103.87.***.*** | ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ ২১:০২534343
  • অথবা লিভ ইন করা কালীনও যদি কেউ বা কারা আমাকে পাড়ায় ঢুকলে ঠ্যাং খোঁড়া করে দেব বলে শাসায় এবং থানায় গেলে পুলিশ আমার নিরাপত্তার অভাব জনিত এফ আই আর নিতে না চায় কারণ আমি খ্রিষ্টান তখনও রাষ্ট্র আমাকে সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ বলা যায়। কিন্তু এক্ষেত্রে মনে হল ছেলেটির আর্গুমেন্ট সেরকম না। আজকাল খবর পোর্টালে সবই আধাখ্যাঁচড়া , এ আই কৃত অনুবাদ। ফলে খবরখানা পড়ে মূল বিষয় ভালো বোঝা যাচ্ছে না। 
  • পাপাঙ্গুল | 103.87.***.*** | ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০:৫৮534342
  • "দু'জন কন্সেন্টিং অ্যাডাল্ট মানুষের সংবিধানমান্য যৌথ সিদ্ধান্ত প্র‌্যাকটিস ধর্মের কারনে বিপদাপন্ন হলে রাষ্ট্র সুরক্ষা দেবে" - এই কথাটা ঠিক নয়। প্রথমত ওদের দুজনের সিদ্ধান্তের কোনো রেজিস্ট্রি হয়নি। দ্বিতীয়ত সেকুলার সংবিধান মেনেই , দুজন আলাদা ধর্মের হলেই তাদের সম্পর্ককে অন্যদের থেকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া যায় না। 

    যে কোনো ধর্মের দুজন মানুষ যদি রেজিস্ট্রির পরে নিরাপত্তার অভাব বোধ করে এবং তখন পুলিশ বা আদালত তাদের ধর্ম দেখে পক্ষপাতিত্ত্ব করে , একমাত্র তখনি রাষ্ট্র সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ একথা বলা যায়। যেমন রিজয়ানুরের ক্ষেত্রে হয়েছিল। বা বহু হনর কিলিংয়ে যেরকম ঘটে। 
  • সারসংক্ষেপ | 117.238.***.*** | ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০:৪৩534341
  • ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০:২২
     
     
    এই পোস্টে চন্দ্রবিন্দু। বোল্ড অ্যান্ড আন্ডারলাইনড। 
  • প্রত্যয় ভুক্ত | ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০:২২534340
  • ধর্মটা কিন্তু আমার নিজের তেমন আপত্তির বিষয় না সত্যি বলতে, তবে আমি কাবুলিওয়ালার বাঙালি ব‌উয়ের মতো ব‌ই পড়েছি-সুতরাং সিঁদুরে মেঘ দেখলে আশঙ্কা জাগেই। ছেলেটি যদি খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, জৈন (মারোয়াড়ি জৈনদের ঘরেও 'ব‌হু' দের ওপর অনেক অত্যাচার চলে যদিও) এমনকি পারসিক, কনফুসিয়ান, তাও, শিন্টোর মত ভিন্ন ধর্মাবলম্বী  হতো, হয়তো এতো শোরগোল উঠতো না বা আমিও এতো vigilant হতাম না। এক্ষেত্রে যদি আদালত ধর্মীয় প্রভেদের ভিত্তিতে যুগলকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে থাকে, আমি তার বিরোধিতা করতে পারছি না। এই সদ্য সদ্য "লজ্জা" পড়ার পর বা কিংবদন্তীর দুঃস্বপ্নের ধারাবাহিক বিবরণ পড়ার পর তো আরোই না।
  • প্রত্যয় ভুক্ত | ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০:১৩534339
  • মেয়েটি প্রাপ্তবয়স্ক হলেও মেয়ে বলেই তার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দুর্বল এ কথা আমার কথা নয়, কিন্তু একটি প্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে প্রেমিকের ভরসায়, ২০ বছর‌ও বয়েস না পার করে, বাড়ির বাইরে বেরিয়ে পড়ে- যখন বিচারকের "ছেলেটি তোমায় প্রেগন্যান্ট করে পালিয়ে গেলে কি করবে?" এইরকম গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তরে ভাসা-ভাসা প্রতিক্রিয়া দেয় "চলে যাবে"- তার প্রাপ্তমনস্কতার উপর সন্দিহান হতেই হয়, প্রাপ্তবয়স্কতার ওপর না হলেও।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত