. এর কথার পিঠে বলি, ১) ছেলেদের বিয়ের বয়েস ন্যূনতম ২১ বছর ধার্য করা হয়েছে শারীরীক বিকাশের চাইতেও উপার্জনক্ষমতার উপর জোর দিয়ে। এক্ষেত্রে traditional gender roles অনুযায়ী একটি ছেলে রোজগেরে পুরুষ হয়ে একটি সংসার পাতা ও সংসারের (family unit) এর কর্তা হিসেবে ব্যয় বহন করতে পারবে কি না, সেটির বিচার সাপেক্ষে বিয়ের আইনি বয়সের নিম্ন সীমা ২১ রাখা হয়েছে ছেলেদের জন্য।
২) মেয়েদের ক্ষেত্রে রোজগারের বাধ্যবাধকতা নেই, আর মেয়েদের শরীরে কৈশোর ছেলেদের তুলনায় আগে আসে তো শরীর ১৮ বছর বয়েসের মধ্যে যৌনসম্পর্ক স্থাপন, বিবাহ ও সন্তানধারণের উপযুক্ত পরিণতি লাভ করে মনে করা হয়। তাই মেয়েদের জন্য ১৮ বছর বয়েসই নিম্নসীমা ধার্য করা হয়েছে, যদিও সম্প্রতি এই বয়ঃসীমা ২১ ও তদূর্ধ্ব করার প্রস্তাব উঠেছে।
৩)লিভ-ইন সম্পর্ক অনেকাংশেই বিবাহের অনুরূপ, খালি এখানে সামাজিক ও আইনিভাবে কোনো একগামিতার চুক্তি সম্পাদিত হয় না উভয়পক্ষের মধ্যে। বিবাহের চেয়ে বড়ো অচিন্ত্য কুমার সেনগুপ্তের উপন্যাস হতে পারে, লিভ-ইন সম্পর্ক নয়। তাই তাও আইনি বিচারের সীমানায় পড়ে।
৪) না সে মতলব যদি থাকে পাল্টাবে না, এবং ছেলেটির বয়স সত্যি বলতে আইনি আপত্তির জন্য valid, আমার কাছে মেয়েটির বয়স ১৯ বছর বেশি আপত্তির। ১৯ বছর বয়স অনিশ্চিত ভবিষ্যতের ও ঝুঁকিপূর্ণ লিভ-ইন সম্পর্কে প্রবেশ করার বয়স নয়, যেখানে সম্পর্কে বিবাহের দায়িত্বগুলি মেয়েটিকেই বহন করতে হবে অথচ তার কোনো আইনি স্বীকৃতি থাকবে না, এমনকি সম্পর্কে সন্তান এলেও তার পিতৃপরিচয়ের আইনি স্বীকৃতি আদায় করা কঠিন হবে।
৫) অতি সঙ্গত কথা, কিন্তু এখানে আইন ব্যবস্থার দ্বারস্থ হয়েছে যুগলই, আইন/রাষ্ট্র ব্যবস্থা সরাসরি স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে নাক গলায়নি।
৬) সন্তান জন্ম দেওয়ার ব্যাপারে রাষ্ট্রের নাক গলানোর কিছুটা হলেও অধিকার আছে, কারণ সেই সন্তানের লালন-পালন ও তাকে ভবিষ্যতের নাগরিক হিসাবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রকেও পরোক্ষ ভূমিকা পালন করতে হয়, কখনো কখনো প্রত্যক্ষ (সন্তানের জন্মদাতা-জন্মদাত্রী আর্থিক সামর্থ্য বা অন্য কোন কারণে সন্তান পালনে অসমর্থ হলে)
৭) এ কথা মেনে নেওয়া যায়, তবে আদালত এসব ক্ষেত্রে সাধারণত প্রশিক্ষিত মনোবিদের সাহায্য নিয়ে closed door private session এর মাধ্যমে নির্যাতিতার বয়ান নেয়, এক্ষেত্রেও তাই করা হয়ে থাকতে পারে, তবে কোন বাধ্যবাধকতা নেই।
৮) কিছু মন্তব্য করার নেই, কখনো কখনো আদালতকেও অভিভাবকের কাজ করতে হয় সংসার অনভিজ্ঞ যুবক যুবতীদের জন্য।
৯) আবারো কিছু বলার নেই, সম্পূর্ণ অন্য প্রসঙ্গ। এখানে নারীবিদ্বেষের কোন সুযোগ ছিল না সেভাবে, কিন্তু নারীবিদ্বেষ যেকোন রূপেই নিন্দার্হ, এ কথায় আমার কোনো দ্বিমত নেই।