এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • ভাটিয়ালি

  • এ হল কথা চালাচালির পাতা। খোলামেলা আড্ডা দিন। ঝপাঝপ লিখুন। অন্যের পোস্টের টপাটপ উত্তর দিন। এই পাতার কোনো বিষয়বস্তু নেই। যে যা খুশি লেখেন, লিখেই চলেন। ইয়ার্কি মারেন, গম্ভীর কথা বলেন, তর্ক করেন, ফাটিয়ে হাসেন, কেঁদে ভাসান, এমনকি রেগে পাতা ছেড়ে চলেও যান।
    যা খুশি লিখবেন। লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়। এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই। সাজানো বাগান নয়, ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি। এই হল আমাদের অনলাইন কমিউনিটি ঠেক। আপনিও জমে যান। বাংলা লেখা দেখবেন জলের মতো সোজা। আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি।
  • আর জি কর গুরুভার আমার গুরু গুরুতে নতুন? বন্ধুদের জানান
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • অরিত্র | 103.77.***.*** | ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ১২:০২531424
  • কে বুলি, টেনিদা? প্রাণের চেয়েও বেশি ভালোবাসতো ঐ তিনজনকে। আর অন্য মানুষদেরও সে বুলি? আর প্যালা খুব সুন্দর মানুষ, আমি তো নিজেকে প্যালা মনে করতে খুব পছন্দ করতাম। ক্যাবলাকেই সত্যি বলতে অতটা ভালো লাগে নি। আমার মনে হয় অতি পলিটিক্যালি কারেক্ট হওয়ার জন্য ছোটবেলা নয়।
     
    ডিসি, আরেব্বাস "ট্যাংক"!! উফফ কত খেলেছি! সেরার সেরা, ঐ ২ডি ট্যাংক তো? আর আরেকটা ভিডিও গেম দুর্দান্ত লেগেছিল, সিজার ৩, নেশা হয়ে গেছিল।
     
    ওটা কি সায়েন্স ফিকশন? তাহলে আমার জন্য নয় হয়তো।
  • . | ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ১১:৫৮531423
  • বিদেশি ভাষা থেকে মাতৃভাষায় অনুবাদ করা খুবই সহজ। উল্টোটা হলে কাল যেমন লিখেছি, গাঁড় ফেটে হাতে চলে আসে। 
  • . | ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ১১:৫৬531422
  • পোলিটিক্স তো অনেক পরে।
    জাস্ট বিভূতিভূষণের কিছু লেখা ইংরিজি অনুবাদ করবার মত ভাল বাংলা এবং ইংরিজি জানা লোক কজন আছে?
    নেই।
  • &/ | 107.77.***.*** | ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ১১:৩৮531421
  • ভাষার জগতে নানা পলিটিক্স আছে, ক্ষমতার নানা রকম খেলা
  • . | ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ১১:৩৭531420
  • টেনিদার সিনেমা চারমূর্তি দেখে আমার মেয়ে আঁতকে উঠেছিল। কী বিচ্ছিরি!
    কিংবা দাদার কীর্তি র স্থূল ভাঁড়ামি। কেবল বুলিইং করে করে আনন্দ পাওয়া।
  • dc | 49.207.***.*** | ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ১১:৩৫531419
  • অরিত্র, বই পড়া কখনো ছাড়বেন না, কারন জীবনের নানান ওঠাপড়া যাতে সহজে গায়ে না লাগে তার জন্য চাই বই :-) সময় পেলে এক্ষুনি নিউরোম্যান্সার বইটা পড়ে ফেলুন। আমি পড়েছিলাম আমাদের ইনস্টির হস্টেল লাইব্রেরিতে। পরেরদিন পরীক্ষা ছিল, রাত্তির দশটায় লাইব্রেরিতে ঢুকেছিলাম একটুখানি ট্যাংক খেলবো বলে (লাইব্রেরিতে দুটো কম্পু ছিলো)। হঠাত এই বইটার দিকে চোখ গেল, হাতে নিয়ে প্রথম লাইনটা পড়লাম। তারপর দ্বিতীয় লাইনটা। পরের দিন ভোর পাঁচটায় বইটা পড়ে শেষ করে লাইব্রেরির থেকে বেরিয়েছিলাম। আমার পড়া অন্যতম সেরা বইএর মধ্যে একটা। 
     
    (কিন্তু খবরদার, ঐ সিরিজের পরের বইদুটো পড়বেন না) 
  • &/ | 107.77.***.*** | ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ১১:৩৪531418
  • গল্পের জগতেও অনেক ইয়ে আছে , ছোটবেলা খেয়াল হয় না . পটলডাঙ্গার গল্পে বিরক্তিকর  বুলিইং  ভর্তি 
  • . | ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ১১:২৬531417
  • আলকাপ কিছু দেখেছি। ও জিনিস যেটাকে ইম্প্রোভাইজেশন থিয়েটার বলে, সেই গোত্রের। বাদল সরকারেরা এসব প্রচুর করতেন। কদিন আগে রাত দখলের টাইমেও ওরকম কাছাকাছি কিছু পথনাটিকা হয়েছে। যাত্রা তো অনেক প্রাচীন আর্ট ফর্ম। সেসবের অডিয়েন্সও দেদার। কিন্তু আমার বক্তব্যটা ছিল আঁতেল বুদ্ধিজীবীদের বিদেশি মালের প্রতি আকণ্ঠ তৃষ্ণার প্রতি।
    বোঝাতে না পারাটা আমার অক্ষমতা। ভাষাটা ধ্রুপদী না খেয়ালি, সেসব নিয়ে আমি তর্ক বা দাবী কোনওটাই করি নি।
    আমি যেটা বলতে চাচ্ছি, "সোভিয়েত" সাহিত্যের  ক্ষেত্রে লোকে লুফে লুফে অনুবাদ করে। বাংলা সমসাময়িক বা একটু পুরোন সাহিত্যকে কিন্তু অনুবাদ করতে চায় না কেও। কটা বিদেশি সাহিত্য বাংলায় অনুবাদ হয় এবং কটা বাংলা সাহিত্য বিদেশি ভাষায়? পরিসংখ্যান আমার জানা নেই।
    বিভূতিভূষণই ধরা যাক। কটা অনুবাদ হয়েছে? হয় অনুবাদকের চুড়ান্ত অভাব, বাংলা থেকে ইংরিজি কববার মত ভাষা ও সাহিত্যজ্ঞান নেই, নয়ত ঐ জিনিস ইংরিজিভাষী লোকে পড়বে না।
    ফেলুদা টেলুদা টাইপ ফালতু গল্পের বই না। সেসবও কি ইংরিজি অনুবাদ বিদেশের টিনেজাররা পড়বে?
    আমরা বিদেশি সাহিত্য নিয়ে উলুতপুলুত, বাংলা সাহিত্যকে বিদেশি পাঠকের কাছে নিয়ে যেতে চাই কতটা? 
     
  • অরিত্র | 103.77.***.*** | ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ১১:০৯531416
  • আমার উল্টো কেস। আমি ছোটবেলায় গল্পের বই পড়েছি, খুব বেশি নাহলেও, পড়েছি কিছুটা। সেইসব গল্প মনের মধ্যে একটা ভালো জগৎ তৈরি করেছিল, যেমন পটলডাঙার জগৎটা কী সুন্দর ভাবনাচিন্তা গুলো কত সরল নিষ্পাপ পরিষ্কার, শীর্ষেন্দুর জগতে সাধারণ মানুষ একে অপরের পাশে দাঁড়ায় কোনো বড় সংকটে সবাই একজোট হয়ে ওঠে, হার্জের পৃথিবী মূলত কল্যাণকামী ইত্যাদি। কিন্তু এই জগতগুলো গল্পের জানলেও, তার মধ্যে মানুষ ও বাস্তবতার সম্পর্কে যে ধারণা থাকে সেই রকম মানুষ বা সেই বাস্তবতা যে বাস্তবের জগতে একেবারেই অনুপস্থিত সেটা  বড় হতে হতে, মোটামুটি ক্লাস এইটের পর থেকে, যখন বাস্তবের সম্মুখীন হলাম তখন বুঝতে শুরু করলাম। দেখলাম মনের মধ্যে থাকা পটলডাঙা, হ্যাডক বা এমনকি শার্লক হোমসরাও (যেটাকে খুব সিরিয়াসলি নিয়েছিলাম) অসহায় হয়ে চোখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। এই বাস্তবের বাস্তবকে তো আমি চিনিই না! আমি শুধু সমাজের শুভ চেতনা বা মানুষের কোমলতা বা সারল্যের কথা বলছি না, সেটা যে শিশু সাহিত্যের মতন হবে না তার আন্দাজ তো ছিলই, কিন্তু বাস্তবতাটাই জাস্ট আলাদা, একদমই আলাদা। ফলে গড়ে ওঠা কল্পনার জগত থেকে যে assurance গুলো ছিল সেগুলো ভ্রান্ত বুঝলাম, জীবন সম্পর্কে যে নির্দেশ গুলো প্রচ্ছন্নে ছিল সেগুলোও অনুসরণ করলে আমি যাকে বলে will land in no where! ঐ গল্পের যীশুরা কোনো নোনা দেওয়াল থেকে হাত তুলে কোনো আশ্বাস দিতে অপারগ। ফলে আমার গল্পের বই নিয়ে একটা disillusionment হলো, আর আমি একেবারেই গল্পের বই পড়া ছেড়ে দিলাম। যদিও বলবো ছোটদের গল্পের বইগুলো পড়া উচিৎ যাতে করে আমাদের পচা বাস্তবটাই একমাত্র সম্ভাব্য বাস্তব নয় এই ধারণাটা মনের মধ্যে থাকে, কিন্তু গল্পের জগতে একেবারে ডুবে যেতে বারণ করবো। যাতে পরে ধাক্কা না খায়, খাবি না খায়।
  • . | ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ১১:০৯531415
  • যাইহোক, আমার বেড়ানোর সময় প্রায় ফুরিয়েই এলো। এবার ঘরে ফেরার পালা। দেশে ফেরার টান মনের মধ্যে।
    এবারের ভ্রমন এতটাই উপভোগ করেছি যে বলবার নয়।
    ফের বাক্স প্যাঁটরা গুছিয়ে বাড়িমুখো হতে হবে। সামান্য নয়, বেশ অনেকটাই ক্লান্তি শরীরে, সেসব ঘরে ফিরে বিশ্রাম নিলেই কেটে যাবে আশা করছি।
  • পাপাঙ্গুল | 49.36.***.*** | ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ১১:০৭531414
  • অনূদিত নাটকের সঙ্গে ভাষার ধ্রুপদী হবার সম্পর্ক বুঝলামনা। বাংলা ভাষায় প্রচুর যাত্রা আলকাপ ইত্যাদি হত /হয় ,  সেসবের অডিয়েন্স নাটকের থেকে অনেক বেশি , যোদি দেখেননি মনে হয়।
  • . | ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ১০:৫৭531413
  • এই সোভিয়েত লিটারেচারের ডিসক্লেইমারটা দেখে স্বস্তি হলো।
  • . | ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ১০:৫৬531412
  • আমার ফ্যানদাকে বলছি।
    উঁহু, জাজমেন্টাল না, ঐ বাচ্চাটি অমনই ভাবত। সবার শৈশব সমান না। দুনিয়ার সব দেশেই তাই।
     
    এবার ইন জেনারাল আরও কিছু কথা। না। সব শিশু পালিয়ে বাঁচে না, কল্পনার জগতে লুকোয় না। এটা ভাল, না খারাপ সেসব বলছি না। কিন্তু এরকম হয়। যেমন অনেক প্রাপ্তবয়স্কও কল্পনার জগতে বিচরণ করেন জীবনের সমস্যা থেকে পালিয়ে বা সরে থাকার জন্য। এর হয়ত মনস্তাত্বিক কিছু বিশ্লেষণ থাকতে পারে, সেসব মনোবিদরা বলতে পারবেন।
    কিছু বাচ্চা একদম রিয়েলিটির সঙ্গে বাঁচে। এদের সবার জীবনেই ভালো মন্দ আছে। দুঃখ আছে, আনন্দ আছে। রিয়েলিটিগুলো এরা সহজ নিয়মেই নেই।
    ঐ যে ঝিয়ের নাতনি, তার ঠাকুমার সঙ্গে সে বাড়ি বাড়ি কাজ করে বেড়াতো। হাতে পায়ে হাজা ছিল তার। তার বাপ মরে গেছে, মা পালিয়ে গেছে তাকে ছেড়ে। এগুলো তার জীবনে স্বাভাবিক ঘটনা। সে মাকড়সা দেখে পালায় না। বরং কেউ অমন ভয় পাচ্ছে দেখলে তার কাছে ওটা ন্যাকামিই মনে হয়। সে বাচ্চা হাতুড়ি দিয়ে কয়লা ভাঙে, তার কল্পনার জগতে মিস মাফেটের টাফেট কার্ড হোয়ে এবং স্পাইডার নেই। মুশকিল হচ্ছে যে, যে শিশুটি তাকে মাফেট টাফেট এসব শোনাচ্ছে, সেও কোলকাতার মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলে, সেও মাফেটের দেশে যায় নি, সে ওখানে তার তেয়ে বয়সে বড়ো ঐ শ্রমিকশিশুর ওপর প্রভূত্বও ফলায়, আবার ইংরিজি শিক্ষায় শিক্ষিত করতেও চায়। সেও পুরোপুরি নির্ভেজাল ইনোসেন্ট নয়। 
    ঐ দিন আনি দিন খাই শ্রমিক শিশুটি কতকটা সুখী কতকটা অসুখী। তার হাতের হাজা কমে গেলে তার ভাল লাগে, মাথার উকুন নিয়ে সে ভাবে না, ওটা স্বাভাবিক।
    সুযোগ পেয়েই সে কারোকে আঘাত নাও দিতে পারে। সে চুরি করে কখনও পয়সা, কখনও খাবার বা অন্য কিছু। 
  • | 103.244.***.*** | ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ১০:১৭531411
  •  
    সোভিয়েত লিটারেচার পত্রিকায় ছাপা ডিসক্লেমার।
  • &/ | 151.14.***.*** | ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ০৬:৪৫531410
  • কেকে, একদম তাই। একটা বিকল্প জগৎ, একটা নিজস্ব স্ফিয়ার তৈরী করে নেওয়া যায় পড়াশোনা দিয়ে (অন্য নানা কিছু যেমন গানবাজনা, ছবি আঁকা, খেলাধুলো ইত্যাদি দিয়েও করা যায়)। হয় চারপাশের নানা বিবাদ-সংঘাতময় পরিবেশের মধ্যে আত্মসমর্পণ, নয় নিজের জগৎ গড়ে নেওয়া। এক বন্ধু একবার বলেছিল, 'নিজে শক্ত হয়ে নিজস্ব পথ অনুসরণ না করতে পারলে চারপাশের খাদ তোকে টেনে নেবে।' এই খাদ যে একরকম তা নয়, এক এক অর্থনৈতিক সামাজিক পরিস্থিতিতে খাদ এক এক রকম। তবে আছেই। যারা ধনী ও প্রচুর প্রিভিলেজের অধিকারী, তাদের চারপাশে যে খাদ নেই, তা নয়। আবার যারা দিন আনি দিন খাই, সবকিছুরই অভাব চতুর্দিকে, তাদের খাদ তো একেবারে ডাইনে বাঁয়ে।
  • kk | 172.58.***.*** | ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ০৬:১৩531409
  • ৫ঃ২৫, ওব্বাবা, আমার ছোটবেলা আদৌ স্নিগ্ধ সরল ছিলোনা। অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ তো একমাত্র চ্যালেঞ্জ নয়। তার বাইরেও অনেক রকম ভয়ানক ছোটবেলা থাকে। অনেক সময় কল্পনা একমাত্র আশ্রয়স্থল হয়ে দাঁড়ায়। যেখানে পালিয়ে গিয়ে ব্যথা থেকে একটু নিঃশ্বাস ফেলা যায়। ঐ বয়সে তো চ্যালেঞ্জ ট্যাকল করার উপায় জানা থাকেনা? কেউ শিখিয়েও দেয়না। শোনেইনা কেউ!
  • :|: | 174.25.***.*** | ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ০৫:৪২531408
  • শুধু সোভিয়েত কেন? চাইনিজ জাপানিজ জার্মান যা যা পাওয়া যেতো সবই ভালো লাগতো। গ্রিমভাইদের রূপকথা ইত্যাদি সবই প্রিয়।ছোটবেলা তো কোন ছাড়, সত্যি বলতে কি শার্লক থেকে মার্পল সবই অনুবাদে পড়া। অনুবাদ সাহিত্যের কাছে ঋণ অনেক। 
  • &/ | 107.77.***.*** | ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ০৫:২৯531407
  • অনুবাদ করা সোভিয়েত সাহিত্য ভাল লাগত , সঙ্গে অপূর্ব ছবি থাকত। 
  • :|: | 174.25.***.*** | ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ০৫:২৫531406
  • তবে এটিও ঘটনা সবার ছোটবেলা অতো স্নিগ্দ্ধ সরল না-ই হতে পারে। কল্পনা বা স্বপ্ন বিলাসের সুযোগ তো সবার সমান থাকেনা! 
  • :|; | 174.25.***.*** | ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ০৫:২০531405
  • ঠিক। কি যে ভালো লাগতো সেই সব পাতাজোড়া ছবির তলায় দুএক লাইন করে লেখা বিদেশী গল্পের বইগুলো। যখন ছবির আর দরকার হতোনা তখন কেমন কল্পনায় ভেসে ভেসে নতুন দেশে থাকতুম।
  • kk | 172.58.***.*** | ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ০৪:৫১531404
  • আমি আবার অনুবাদ করা শিশু সাহিত্য, বিদেশী শিশু সাহিত্য খুব ভালোবাসতাম। নিজে যেসব দেখিনি, যার সাথে রিলেট করতে পারিনা, এরকমও একটা দুনিয়া আছে এটা ভাবতেই খুব ভালো লাগতো। অন্য কত রকম দুনিয়া, কত রকম ভয়, কত রকম জীবন আছে এটা ভাবতে ভালো লাগতো। এখনও লাগে। এখনও সেইসব ছুঁতে না পারা জগতের আভাস দেখতে, চিন্তা করতে ভালোবাসি। সব ভিন্ন পার্সপেক্টিভের ব্যাপার আর কী!
  • :|: | 174.25.***.*** | ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ০৪:৪৯531403
  • আমরণ অনশন -- দিল্লীর বত্তমান মুখ্যমন্তিরিও এই রকম কী একটি প্রজেক্ট নিয়েছিলেননা? দিনদুয়েকের জন্য? ভালো প্রজেক্ট। 
  • :|: | 174.25.***.*** | ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ০৪:৪৫531402
  • "ন্যাকামি ঠেকা" আর অবাক হবার মধ্যে পার্থক্য করেন কেমন করে? বাচ্চার নির্মল মনের দিক থেকে ভাবলে  জাজমেন্টালহীন অবাক হওয়াটাই স্বাভাবিক মনে হয় নাকি? 
  • Oops | 198.137.***.*** | ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ০৪:০৭531401
  • আমরণ অনশন খুব ইন্টারেস্টিং কিন্তু কার মরণ সেটা বলেছেন কি ?
  • . | ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ০৩:৫০531400
  • পারেই তো।
    কিন্তু আমরা সেসব করব না।
    ফরেন মাল তাই।
     
    ছোটবেলা আমাদের পাশের বাড়িতে একটা আমারই বয়সি বাচ্চা ছেলে আসত। ইংলিশ মিডিয়াম। ওটা ওর মামাবাড়ি। গরমের ছুটিতে হয়ত দিন চার পাঁচ রইল। তা সেই ছেলে ও বাড়ির ঝিয়ের নাতনিকে, যে ঐ ছেলের থেকে কিছু বড়ো, ইংরিজি শিক্ষায় শিক্ষিত করতে উঠে পড়ে লেগেছিল। সে তার নার্সারি রাইমসের বই থেকে ঐ ঝিয়ের নাতনিকে ইংরিজি রাইমস পড়ানোর চেষ্টা করত, যেটা এ বাড়ি থেকেও শোনা যেত। 
    লিটল মিস্ মাফেট, টাফেটের ওপর বসে কীভাবে দই ঘোল এসব খাচ্ছিল, সেটা ঐ প্রান্তিক শিশুশ্রমিক বইয়ের পাতায় ছবি দেখে কতটা কী বুঝছিল জানি না। তারপরে স্পাইডার এসে মিস মাফেটকে ভয় পাইয়ে দিল দেখে, সেই শিশু শ্রমিক বলল — ওমা! মাকড়সাকে ভয় পেল?
    ঐ বাচ্চা মেয়েটা নিয়মিত একতলার বাথরুমের চৌহাচ্চার পাশ থেকে খ্যাংরা কাঠির ঝ্যাঁটা হাতে নিয়ে বাড়ির আনাচ কানাচ থেকে আরশোলা মাকড়সা মেরে মেরে অভ্যস্থ। লিটল মিস মাফেটের অমন ভয় পাওয়াটা তার কাছে বেজায় ন্যাকামি ঠেকেছে।
     
  • &/ | 107.77.***.*** | ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ০৩:৩৪531399
  • অথচ আমাদের নিজস্ব কত ভাল নাটক সম্ভব . চাঁদ সদাগর , বেহুলা ,  শ্রীমন্ত , লাউসেন ,  লোর  চন্দ্রাণী  ইত্যাদি লোককথাচরিত্র তো আছেই , রামায়ণমহাভারতের  কত রকম  দিক নিয়ে নাটক হতে পারে 
  • . | ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ০৩:২৩531398
  • অন্যভাষা থেকে মাতৃভাষায় অনুবাদ করাটা সহজ পলেই হয়ত ঐ সব বিদ্বজ্জনেরা বিদেশি সাহিত্য নাটক বাংলায় অনুবাদ করে করে কচি কচি অবুঝ দর্শক শ্রোতাদের পাতে দেন।
    এর উল্টোটা করতে হলে, মানে সামান্য ছোটোখাটো বাংলা মাল কে, তা সে লেখা হোক কি নাটক, ইংরিজি করতে হলে বুঝত হাউ মেনি প্যাডি হাউ মেনি রাইস। গাঁড় ফেটে হাতে চলে আসত।
  • . | ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ০৩:১৩531397
  • অনুবাদ করা শিশুসাহিত্য বা বিদেশি শিশুসাহিত্য আমি শৈশবে জাস্ট নিতে পারতাম না। একটা চুড়ান্ত বিকর্ষণ হতো। আদ্যন্ত নিজের পারিপার্শ্বিকের সঙ্গে রিলেট না করতে পারা, কৃত্রিম লাগত, বাজে লাগত।
  • . | ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ০৩:০১531396
  • এনারা অণুপ্রানিত টা সগর্বে বলতেন। সেখানে ঝামেলি নেই।
    পাবলিক তো বিদেশি মাল খাবেই। দিশি মালের কোয়ালিটি র সঙ্গে বিদিশি মালের কোয়ালিটির তুলনা চলে না। তাতে পাবলিকের দোষ নেই। ভাল জিনিস কপি পেস্ট হলেও ভালো। পয়েন্ট সেটা না। পয়েন্ট হচ্ছে সীন টু সীন যারা চুরি করে, চুরি কথাটা কনশাসলিই লিখলাম, তারাই আমাদের ইন্টেলেকচুয়াল।
    অন্যদিকে পুঁজি এত কম যে ইবসেনের ডলস হাউসকেই কখনও বহুরূপী তো পরে আরও অনেক দল অনুপ্রাণিত হয়ে করেই চলেছে।  
    মানে ব্রেশট, ইবসেন, আরও কত নাট্যকার, সবই ভালো। কিন্তু তোমার কি নিজস্ব কিছুই নাই? তাও তোমার এত কালচারের বড়াই? সেইজন্যই সিটি অফ জয় বললে তুমি মানেটাই বোঝো না?
  • . | ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ০২:৪৯531395
  • আমি ঘোমটার নীচে খেমটা নাচি না। নাচলে ঘোমটা ছুঁড়ে ফেলেই নাচব।
    সরাসরি পয়েন্টে আসছি আশি বা নব্বইয়ের দশকে নান্দীকার প্রযোজনা করে ফেরিওয়ালার মৃত্যু — the death of a salesman থেকে অণুপ্রানিত, অনুদিত, এটসেট্রা এটসেট্রা।
    জিনিসটা আমি নব্বইয়ের দশকের প্রথমার্ধে কোনও এক গরমের ছুটিতে ভারতে এসে দেখেছিলাম। নট ব্যাড। বাট খটকা লেগেছিল, নাটকটা কেমন যেন খাপ খাচ্ছে না। তো এসব কথা তো আঁতেলদের বলকে নেই, তাই খটকাটা গিলে ফেললাম।
    এবার কাট টু নতুন শতাব্দীর দ্বিতীয় দশক, ইন্টারনেটের রমরমা, VHS cassettes উঠে গেছে, ডিভিডির যুগও শেষ। ঘটনাচক্রে আসল নাটকটা দেখে ফেললাম ডিভিডিতেই সম্ভবত। মাথা ঝিমঝিম করছে। সীন টু সীন কপ্পি লাহিড়ি। মেয়েদের কেবল শাড়ি পরিয়েছে, পুরুষদের কস্টিউমও কপি পেস্ট। এমনকি প্রতিটি মুভমেন্ট, ঘাড় ঘোরানোর একটা স্পেশাল স্টাইল ছিল, সেটাও।
    এর কদিন পরেই ঘটনাচক্রে কোলকাতা গেছি। ঐ নাটকের বাংলা কপিতে সাইডরোল করা অভিনেত্রীর বাড়ি হিয়ে জিজ্ঞাসা করেছি, সব সীন আসল ইংরিজি নাটকটার কপি কেন?
    তিনি উত্তরে বললেন — বা রে, আমরা তো ভিডিও দেখে দেখে সব সীন গুলো করতাম। এক্কেবারে নিখুঁত করেছি না, বল? স্যার বার বার ঐ ভিডিও চালিয়ে চালিয়ে আমাদের শেখাতেন।
    তো এই হচ্ছে ঘটনা।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত