দেখুন, আমি সেলফোন নিইনি যদ্দিন না বৌ হারায়! যদিও বা নিলাম, স্মার্টফোনও নিইনি ইমেলের মধ্যে ছবিছাপা আসার আগে। তদ্দিনে কিনা অর্কুট পেড়িয়ে ফেসবুক হয়ে গেছে, সেখানেও পা কদাচিৎ দিই!
কিন্তু কাজ করি কর্পোরেটে, প্রোডাক্টিভিটি মূলমন্ত্র। আপিসের গুগল স্যুইট, বাচ্ছাদের স্কুলেও তাই। ব্যক্তিগতভাবে সেসব ব্যবহার করে স্যাটাস্যাট ঝকাঝক করা যাচ্ছে যে কাজগুলো যা আমি আসলে করতে চাই। ইদিকে গুগল আর মাইক্রোসফ্ট আমার গাঁট কেটে চারপয়সা বানিয়ে নিচ্ছে, কিন্তু তাদেরো ও তো ব্যবসা করতে হবে!
ওদিকে, অরিন কিনা একটা গোটাগুটি ইকোসিস্টেম বানিয়ে ধনতন্ত্রের জাল আটকাচ্ছেন। সেও তো চেষ্টা করেছি, অতীতে। সাদা মেঘের দল ওড়ে সে পথে, তবু, বড় পাথর বিছানো। একটু করে এগোতেই কত সময় লাগে! পরিবার আপিস শখ সামলে পাই কই সে সময়?
তার উপর দ যা বল্লেন, শুধু তো বই নয়, আরও কত কত বিষয়ের ওপর কত ইন্টারঅ্যাক্টিভ তথ্য ফেসবুকে। বহু বছর বাদে নিয়মিত ঢুকে, একটি বিশেষ বিষয়ের তথ্যের জন্যে, একেবারে যাকে বলে হুব্বা হয়ে গেলাম। ভাবছি, আগেই যদি বুদ্ধি করে আসা শুরু করতাম, তবে এই সব সামান্য তথ্যের জন্যে এর ওর পা ধরতে হত না! এও কি কম ব্যাপার?
বলুন অরিন, এর সমাধান! হয়ত সমস্যা আরো গভীরে - কেন এত প্রোডাক্টিভিটি লাগবে? কি জানি, আমার তো বেশ লাগে, অন্তত বিশুদ্ধ জ্ঞানের জন্যেও প্রোডাক্টিভ হতে! (এমনকি, এলেবেলেরও তো কলকাতাকেই লাগে কত কত বইয়ের জন্যে! )!
যীশুদিবসে এই সব চাট্টি ভাট দিয়ে গেলুম আপনাদিগকে!