"ডিউ প্রসিডিওর ফলোড না হলে কোর্টে সে কথা জানাক। তাতে পুলিসের পোজিশান উইক হবে। তিস্তারই লাভ"।-- কোন দুনিয়ায় আছেন মাইরি!
এদিকে দেখুন মহম্মদ জুবের কে ১৯৮৩ র ঋশিকেষ মুখার্জির ফিল্মের একটা শট যাতে হানিমুন কাপল কে নিয়ে ইয়ার্কি করা হায়েছিল (হনিমুন হোটেলে বুক করে গিয়ে দেখল ওটা হনুমান হোটেল) সেটা ২০১৮ তে জুবের পোস্ট করে। কোন টুইটার হ্যান্ডল ( যে আজ গায়েব) গত সপ্তাহে কমপ্লেইন করায় ওকে অন্য কেসে ডেকে নিয়ে কয়েক ঘন্টা পরে অ্যারেস্ট করে।
বৃন্দা গ্রোভার আদালতকে এসব তথ্য দিয়ে বলেন প্রাইমা ফেসি কেস তৈরিই হয় নি। আদালত বলল এই লেভেলে ওসব বিচার্য নয়। পুলিস কাস্টডি চার দিন। ফাদার স্ট্যান স্বামী ৮১ বছরের বুড়ো এবং অসুস্থ।
পুণের কেসে ওর নামে প্রাইমা ফেসি কোন চার্জ নেই। অন্য কারও কম্পিউটারে ওর নাম নাকি পাওয়া গেছে তাই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বম্বে যেতে হবে। ফাদার বললেন আমি অসুস্থ, অন লাইন জিজ্ঞাসাবাদ করুন যত ইচ্ছে , অথবা এখানে করুন।
ওকে নিয়ে জেলে আটকে রাখা হল মুম্বাইয়ে, প্রায় বছর খানেক, কোন ইন্টারোগেশন হল না, চারজশীট দেওয়া হল না। ইউএপিএ লাগিয়ে দিল। লোকটা স্বাস্থ্যের গ্রাউন্ডেও জামিন পেল না। শেষে মারা গেল।
কেরলের সিনিয়র জার্নালিস্ট সিদ্দিক কাপন যখন হাথরাসে দলিত মেয়েকে জ্বালিয়ে দেবার নিউজ জোগাড় করতে যাচ্ছিল তাখন ওকে মথুরায় পুলিশ তুলে নিল। ইউএ পিএ লাগিয়ে দিল। দুবছর হয়ে গেল, জামিনের আর্জি খারিজ। কোভিড হওয়ায় জেলে হাথ কড়ি লাগিয়ে হাসপাতালে নিয়ে গেছে।
পুণের কেসগুলোতেও শুনানি হচ্ছে না, সিডিশনের চার্জে আটকে রাখো।
এদিকে যিনি মিডিয়ায় ধর্ম বিশ্বাসে আঘাত দেওয়ার বক্তব্য রাখলেন তাকে পুলিশ কিছু বলবে না। যিনি গান্ধী হত্যার জন্য গডসেকে দেশপ্রেমিক বললেন তিনি আজ এম পি।
সমঝোতা এক্সপ্রেস নাশকতার চার্জে তার ওপর চার্জ ফ্রেম হয়ে কেস শুরু হয়ে গেছে। কিন্তু তিনি স্বাস্থ্যের কারণে জামিনে ছাড়া পেয়ে নাচ ভলিবল নির্বাচনী প্রচার সব করে বেড়াচ্ছেন। কোর্টে হাজির হতে বছরে এক কী দুবার ডাকা হয়। তিনি হাজির হয়ে একটা তাজা মেডিক্যাল সার্টিফিকেট দেখিয়ে দেন প্রত্যেকবার। ব্যস, তারপর গট গট করে বেরিয়ে যান। আবার ছ'মাস পরে হয়ত ডাক পাবেন।
কেউ কেউ মোর দ্যান ইক্যুয়াল।