হেহে, পূষনের লেকা-
ভুতুড়ে সিপিএমের চাকর জালি অনীকের উপদ্রব — পূষন গুপ্ত
সিপিএমের মুখপত্র গণশক্তিতে পড়লাম, ‘ভূতের ভবিষ্যৎ’এর পরিচালক অনীক দত্ত চলচ্চিত্র উৎসব উপলক্ষে মঞ্চে খুব রোয়াব নিয়ে বলেছে, ‘সিনেমা আসলে পরিচালকেরও নয়, প্রযােজকেরও নয়। নন্দন চত্বরজুড়ে, আমাদের শহরজুড়ে যার ছবি আর কাটআউটে ছয়লাপ, আমার মনে হয় সিনেমা আসলে তাঁর ! সারা দুনিয়ার কোনও ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে এভাবে শাসকের ছবি বা কাটআউট টাঙানাে থাকে না, একমাত্র কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালেই এরকম হয়।’
অনীক দত্ত কতটা সিপিএম, কতটা ওদের চাকর বাকর, মাঝেমাঝেই মমতাকে আক্রমণ করে ওর কি ফুর্তি, তা নিয়ে আমার কোন আগ্রহ নেই। আমি অন্য কিছু বিষয় এ প্রসঙ্গে বলতে চাই। পুরাকালে কলকাতা পৌরসভার ড্রেন ইন্সপেক্টর বলে একটি পদ ছিল। গালিপিট ক্লিনার কিশোরেরা যখন ম্যানহোলে নেমে যেত, ইন্সপেক্টর সাদা জামা কালাে প্যান্টের মধ্যে গুঁজে চশমার ফাক দিয়ে দেখত, পাঁক কতটা জমে আছে। এই ইন্সপেক্টরদের একটা সামাজিক সমস্যা তৈরি হত। এরা চাকরি ছাড়ার পরেও নিজের বাথরুমে ও বেডরুমে পাঁক দেখত, পাঁকের গন্ধ পেত, বারবার হাত ধুতো লাইফবয় সাবানে। ওসিডি (অবসেসিভ কম্পালসিভ ডিসঅর্ডার) নামে এই বহু পরিচিত রোগে ভুগতে এসব পদাধিকারীরা। মানসিক স্বাস্থ্যের কথা ভেবে পুরসভা থেকে এই পদটি অবলুপ্ত হয়।
ভূতেদের চ্যালা অনীক নন্দনে বুদ্ধের সাম্রাজ্য দেখেছে, অভ্যস্থ হয়েছে, কোথাও মমতার ছায়া বা ছবি ওর কাছে রামনামের মতাে, ও হাত ধুতে শুরু করে, ওর অবসেসিভ কম্পালসিভ ডিসঅর্ডার অসুখ শরীরের তলদেশ থেকে মস্তিষ্কে উঠে যেতে থাকে। এক শাসক প্রভাবহীন, স্বাধীন চলচ্চিত্র উৎসব হচ্ছে দেখলে নন্দনে বুদ্ধ সাম্রাজ্যে বড় হওয়া স্কন্ধকাটাদের গা জ্বলে যায়, শরীর খারাপ হয়, এটাই স্বাভাবিক। এ ব্যাপারে অনীকের দোষ নেই।
অনীকের দোষ অন্যত্র। অনীক মূলত একজন চোর ও প্রতারক। সিপিএম যেমন হয় আর কী। চোর কেননা ভূতের ভবিষ্যৎ সিনেমাটি বাংলার এক প্রখ্যাত সাহিত্যিকের গল্প থেকে হুবহু টুকে দেওয়া। না বলে পরের দ্রব্য লইলে তাকে চুরি করা বলে, তাই অনীক একটি চোর। দুই সে একজন প্রতারক, কারণ ভূতের ভবিষ্যৎ সিকুয়েলের কপিরাইট অন্য বন্ধুদের কাছে আছে। যারা ওকে অনিক দত্ত বানিয়েছে, সেই বন্ধুদের ও প্রতারণা করছে। বুদ্ধ জামানার নন্দন ও সিপিএম জামানার আলিমুদ্দিন বাজারে এমন কিছু স্কন্দকাটা ছেড়ে রেখেছে, এরা মাঝেমাঝে উপদ্রব করে বৈকি । এরা সাধারণ মানুষের গ্রহণযোগ্য কোনোও কিছু দেখলেই সেখানে পাঁক মাখতে চায়, মানসিক অসুখ আর কি। ভালো চিকিৎসা হলে সেরে যাবে। কত মানুষকে ভূত ধরে, কত উন্নতমানের চিকিৎসায় তো আজ কাল এসেছে । চোর থাপ্পড়ের দরকার নেই। প্রশ্ন একটাই এইসব অসুস্থ ভূতেদের করা উৎসব প্রাঙ্গনে ডেকে আনে, তারা কারা? কি উদ্দেশ্য ? এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটির প্রয়োজন আছে ।
(সৌজন্য: খবর ৩৬৫দিন)