এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • ভাটিয়ালি

  • এ হল কথা চালাচালির পাতা। খোলামেলা আড্ডা দিন। ঝপাঝপ লিখুন। অন্যের পোস্টের টপাটপ উত্তর দিন। এই পাতার কোনো বিষয়বস্তু নেই। যে যা খুশি লেখেন, লিখেই চলেন। ইয়ার্কি মারেন, গম্ভীর কথা বলেন, তর্ক করেন, ফাটিয়ে হাসেন, কেঁদে ভাসান, এমনকি রেগে পাতা ছেড়ে চলেও যান।
    যা খুশি লিখবেন। লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়। এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই। সাজানো বাগান নয়, ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি। এই হল আমাদের অনলাইন কমিউনিটি ঠেক। আপনিও জমে যান। বাংলা লেখা দেখবেন জলের মতো সোজা। আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি।
  • আর জি কর গুরুভার আমার গুরু গুরুতে নতুন? বন্ধুদের জানান
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পলিটিশিয়ান | 2600:6c52:6000:138d:91f3:418e:29b:***:*** | ২৫ এপ্রিল ২০২২ ০১:৪৭501034
  • কৃত্তিবাসের সময় গৌড়ের রাজা কে ছিলেন? কৃত্তিবাস বোধহয় সেই রাজার পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছিলেন।
  • এলেবেলে | ২৫ এপ্রিল ২০২২ ০১:১৪501033
    • দীপ | 2402:3a80:1cd6:8e4a:6ad7:9301:cb29:41a | ২৫ এপ্রিল ২০২২ ০০:৫৭501023
    • রমেশ মজুমদারের মত সম্পূর্ণ ভিন্ন! তাঁর মতে বাংলা ভাষার বিবর্তন স্বাভাবিক নিয়মে হয়েছে, মধ্যযুগীয় শাসকদের এক্ষেত্রে বিশেষ কোনো প্রভাব নেই!
     
    এখানে দীনেশ সেন কোথাআআআআআআআআআআআআআআআয়?
  • দীপ | 2402:3a80:1cd6:8e4a:6ad7:9301:cb29:***:*** | ২৫ এপ্রিল ২০২২ ০১:১২501032
  • রমেশ মজুমদার দীনেশচন্দ্রের মত খণ্ডন করেছেন! সেটাই তো বললাম!
  • এলেবেলে | ২৫ এপ্রিল ২০২২ ০১:১১501031
  • বেশ মজার কিন্তু! দীনেশ সেন যেন বুঝেসুঝেই 'ইতরের ভাষা' শব্দদুটো লিখেছেন! 
  • দীপ | 2402:3a80:1cd6:8e4a:6ad7:9301:cb29:***:*** | ২৫ এপ্রিল ২০২২ ০১:১০501030
  • আসলে ভুলভাল বকলে এরকমই হয়! 
     
  • এলেবেলে | ২৫ এপ্রিল ২০২২ ০১:০৯501029
  • ইতিহাস আর ভাষার ইতিহাস যে পেন্টি এক করে ফেলে তার সঙ্গে কথা বলে লাভ নেই। ঘুমাই গে।
     
    দীনেশ সেনটা চিপকে দিয়ে গেলাম, তাতে যদি পাঁঠা-ছাগল বলাটা সামান্য কমে --- 
     
    ইতরের ভাষা বলিয়া বঙ্গভাষাকে ব্রাহ্মণ পণ্ডিত-মণ্ডলী ‘দূর দূর’ করিয়া তাড়াইয়া দিতেন, হাড়ি-ডোমের স্পর্শ হইতে ব্রাহ্মণেরা যেরূপ দূরে থাকেন, বঙ্গভাষা তেমনই সুধী-সমাজের অপাংক্তেয় ছিল— তেমনই ঘৃণা, অনাদর ও উপেক্ষার পাত্র ছিল।
    কিন্তু হীরা কয়লার খনির মধ্যে থাকিয়া যেমন জহুরীর আগমনের প্রতীক্ষা করে, শুক্তির ভিতর মুক্তা লুকাইয়া থাকিয়া যেরূপ ডুবারীর অপেক্ষা করিয়া থাকে, বঙ্গভাষা তেমনই কোন শুভদিন, শুভক্ষণের জন্য প্রতীক্ষা করিতেছিল।
    মুসলমান বিজয় বাঙ্গলাভাষার সেই শুভদিন, শুভক্ষণের সুযোগ আনয়ন করিল। গৌড়দেশ মুসলমানগণের অধিকৃত হইয়া গেল,— তাঁহারা ইরান, তুরাণ যে দেশ হইতেই আসুন না কেন, বঙ্গদেশ বিজয় করিয়া বাঙ্গালী সাজিলেন। আজ হিন্দুর নিকট বাঙ্গলাদেশ যেমন মাতৃভৃমি, সেইদিন হইতে মুসলমানের নিকট বাঙ্গলাদেশ তেমনই মাতৃভুমি হইল। তাঁহারা বাণিজ্যের অছিলায় এদেশ হইতে রত্নাহরণ করিতে আসেন নাই, তাঁহারা এদেশে আসিয়া দস্তুর মত এদেশ-বাসী হইয়া পড়িলেন। হিন্দুর নিকট বাঙ্গলাভাষা যেমন আপনার, মুসলমানদের নিকট উহা তদপেক্ষা বেশী আপনার হইয়া পড়িল।
    ...এ হেন প্রতিকূল ব্রাহ্মণ-সমাজ কি হিন্দুরাজত্ব থাকিলে বাঙ্গলাভাষাকে রাজসভার সদর দরজায় ঢুকিতে দিতেন? সুতরাং এ কথা মুক্তকঠে বলা যাইতে পারে যে, মুসলমান সম্রাটেরা বাঙ্গলাভাষাকে রাজ দরবারে স্থান দিয়া ইহাকে ভদ্র সাহিত্যের উপযোগী করিয়া নূতন ভাবে সৃষ্টি করিয়াছিলেন
  • দীপ | 2402:3a80:1cd6:8e4a:6ad7:9301:cb29:***:*** | ২৫ এপ্রিল ২০২২ ০১:০৩501028
  • আর মহাপণ্ডিতকে জানিয়ে রাখি, আজো ইতিহাসের ছাত্ররা রমেশ মজুমদারের ব‌ই পড়ে! 
    অবশ্য ছাগলের মাথায় সবকিছু ঢোকে না!
  • দীপ | 2402:3a80:1cd6:8e4a:6ad7:9301:cb29:***:*** | ২৫ এপ্রিল ২০২২ ০১:০১501027
  • এবার পাঁঠার রমেশ মজুমদারে সমস্যা শুরু হল! 
    ক্ষমতা থাকলে যুক্তি দিয়ে রমেশ মজুমদারের মত খণ্ডন করুন! 
    সে ক্ষমতা নেই!
  • দীপ | 2402:3a80:1cd6:8e4a:6ad7:9301:cb29:***:*** | ২৫ এপ্রিল ২০২২ ০১:০০501026
  • একটার পর একটা ভুলভাল কথা বলে চলেছে, কিন্তু বিন্দুমাত্র লজ্জাবোধ নেই!
  • এলেবেলে | ২৫ এপ্রিল ২০২২ ০০:৫৯501025
  • হ্যাঁ, রমেশ মজুমদার! বোঝা গেছে যা বোঝার। দীনেশ সেন আউট, রমেশ মজুমদার ইন!! সাধে গুরুর লোকজন চাড্ডি বলে না।
  • এলেবেলে | ২৫ এপ্রিল ২০২২ ০০:৫৭501024
  • এবং বোঝা গেল আপনি বুদ্ধদেব বসুও পড়েননি। অথচ তিনি আপনার কালিদাস অনুবাদ প্রসঙ্গেই কথাগুলো লিখেছিলেন। কী ভালো আছেন আপনারা নিজস্ব সেফ জগতে। যেখানে একটু নাড়া দিলেই আপনারা অজানা আশঙ্কা থেকে লাগাতার অন্যদের গালাগাল করেন ।
  • দীপ | 2402:3a80:1cd6:8e4a:6ad7:9301:cb29:***:*** | ২৫ এপ্রিল ২০২২ ০০:৫৭501023
  • রমেশ মজুমদারের মত সম্পূর্ণ ভিন্ন! তাঁর মতে বাংলা ভাষার বিবর্তন স্বাভাবিক নিয়মে হয়েছে, মধ্যযুগীয় শাসকদের এক্ষেত্রে বিশেষ কোনো প্রভাব নেই!
  • sm | 2402:3a80:1cd3:82a1:478:5634:1232:***:*** | ২৫ এপ্রিল ২০২২ ০০:৫৬501022
  • যেমন করে ওড়িয়া,ভোজপুরি,অহমিয়া,তামিল টিকেছে,তেমনি করেই বাংলা ভাষা টিকে থাকতো। হ্যাঁ,মুসলিম শাসকরা অনেকেই বাংলা ভাষা চর্চার জন্য বহু উৎসাহ প্রদান করেছেন। রামায়ণ,মহাভারত অনুবাদ হয়েছে,নানা কাব্য ও গ্রন্থ রচনা হয়েছে সুলতানী শাসক দের সময়ে।
    কিন্তু বাংলা ভাষা টিকে থাকতোই । শশাঙ্কের আমলে ও টিকে ছিলো,বল্লাল সেনের আমলে ও টিকে ছিলো,আবার সুলতানী আমলেও টিকেছে।
  • দীপ | 2402:3a80:1cd6:8e4a:6ad7:9301:cb29:***:*** | ২৫ এপ্রিল ২০২২ ০০:৫৫501021
  • এলেবেলে | ২৫ এপ্রিল ২০২২ ০০:৫৪501020
  • পূর্ববঙ্গের ব্যাপারটাকে কেউ সমর্থন করছে না। ওটাকে রিট্যালিয়েশন বলে। ব্রিটিশরা ঠিক এটাই চেয়েছিল এবং তাতে তারা সফল।
  • এলেবেলে | ২৫ এপ্রিল ২০২২ ০০:৫৩501019
  • এসেম, কাশীদাস-কৃত্তিবাসকে সর্বনেশে বলা হত কেন? জয়গোপাল তর্কালঙ্কার আড়াই হাজার আরবি-ফারসি শব্দকে রিপ্লেস করেছিলেন কেন? কে বলল যে মানুষ সংস্কৃতগন্ধী ভাষা ও সাহিত্যকে আপন করে নিয়েছিল? সেই মানুষজনের সংখ্যা কত?
  • এলেবেলে | ২৫ এপ্রিল ২০২২ ০০:৫০501018
  • হ্যাঁ, আমি রসায়ন পড়িনি তো। ইংরেজি-ফরাসি-রাশিয়ান-জার্মান-আমেরিকান সাহিত্য ও ফিলোলজি এবং লিঙ্গুইস্টিকস পড়েছি তো। চমস্কিকে পড়েছি তো ১৯৮৮ সালে। গ্রিমস ল অনেক আগে থেকেই জানা তো। ইন্দো-ইউরোপীয়ান ল্যাঙুয়েজও জানি তো। এ সি ব পাঠ্য ছিল তো। হে হে।
  • দীপ | 2402:3a80:1cd6:8e4a:6ad7:9301:cb29:***:*** | ২৫ এপ্রিল ২০২২ ০০:৪৯501017
  • সবচেয়ে মজার ব্যাপার একসময় তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানে বাংলা ভাষায় জোর করে উর্দূ, ফার্সি শব্দ ঢোকানো হচ্ছিল! পূর্ব পাকিস্তানের ছাত্র ও শিক্ষক সমাজ এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে গর্জে উঠেছিলেন! পশ্চিমবঙ্গের মহাবিপ্লবীরা অবশ্য এখন তার মধ্যে অন্যায় দেখতে পাচ্ছেন!
  • sm | 2402:3a80:1cd3:82a1:478:5634:1232:***:*** | ২৫ এপ্রিল ২০২২ ০০:৪৭501016
  • এলেবেলে তবু মচকাবেন না। বাংলা ভাষায় তৎসম শব্দ পঞ্চাশ হাজার আর আরবী ফারসী মিলিয়ে তিন হাজার।এই মিলমিশ টা চলছে প্রথম টির ক্ষেত্রে দেড় হাজার o দ্বিতীয় টির ক্ষেত্রে এক হাজার বছর ধরে। সুলতানী আমলেও আরবী, ফারসী ভাষা গুঁজে দেবার চাপ ছিল।কারণ সেটাই শাসক দের ভাষা ছিল।
    এনি ওয়ে সংস্কৃত ভাষার প্রভাব অনেক অনেক গুণ বেশি ছিলো।ইংরেজ গণ এটাকেই স্বীকৃতি দিয়েছিল।অর্থাৎ সংস্কৃতায়ণ কে উৎসাহ দিয়েছিল। আরবী,ফার্সী মিশেল এর চাইতে সেটা বেশি সহজ বোধ্য হয়েছে। কবি,লেখকরা গ্রহণ করেছেন। এটাই প্রতিপাদ্য।
  • এলেবেলে | ২৫ এপ্রিল ২০২২ ০০:৪৭501015
  • এসেম, আপনার জ্ঞাতার্থে জানাই মুসলমানরা না থাকলে বাংলা সাহিত্যের ভাষাই হতে পারত না। এটা আমার কথা নয়, স্বয়ং দীনেশ সেনের কথা। কিন্তু মুসলমান আমলে আরবি-ফারসি দিয়ে সংস্কৃতকে রিপ্লেস করার বদবুদ্ধি তাঁদের মাথায় আসেনি; যেটা ব্রিটিশদের মাথায় এসেছিল। ওই কারণেই হিন্দি হয়ে যায় হিন্দুদের ভাষা আর উর্দু মুসলমানদের। এই বদমাইশিকে যদি চিহ্নিত না করা যায়, তাহলে এ তোমার পাপ, এ আমার পাপ।
  • দীপ | 2402:3a80:1cd6:8e4a:6ad7:9301:cb29:***:*** | ২৫ এপ্রিল ২০২২ ০০:৪৫501014
  • জনৈক মহাপণ্ডিত তো নির্বাচনের আগে নন্দীগ্রামের অঙ্ক নিয়ে এসেছিল! সপাট লাথি খেয়েও শিক্ষা হয়নি! এখন আবার ভাষাতত্ত্ব নিয়ে মাতব্বরি মারতে এসেছে! 
    এখানে একজন আবার সর্ববিদ্যাবিশারদ। সাহিত্য, ভাষাতত্ত্ব, ইতিহাস, সব জানে! 
  • এলেবেলে | ২৫ এপ্রিল ২০২২ ০০:৪২501013
  • বেঝে বেছে
  • এলেবেলে | ২৫ এপ্রিল ২০২২ ০০:৪১501012
  • রৌহিন, বাদ্দিন। হাজার চেষ্টা করলেও এঁদের নবজাগরণের খোঁয়াড়ি কাটানো সম্ভব নয়।
     
    এসেম, দেখুন সৈকত যে ভাষায় হিন্দি নিয়ে বলেন; আমিও ঠিক সেই দৃষ্টিকোণ নিয়ে বাংলা ভাষার সংস্কৃতায়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার। তার মানে সৈকতের কলমের তাগদ আমার আছে, দোহাই এমনটা ভাববেন না। কিন্তু আমাদের মুল বক্তব্যটা একই। সেটা হল হিন্দুস্তানি থেকে হিন্দি যেমন সাহেবদের বদমাইশির অন্যতম নমুনা; বাংলা ভাষা থেকে আরবি-ফারসি-হিন্দুস্তানিকে বেঝে বেঝে ঝেঁটিয়ে বিদায় করে একটা এলিটমান্য বাংলা ভাষায় পরিণত করাও ওই একই ধরণের বদমাইশি।
  • এলেবেলে | ২৫ এপ্রিল ২০২২ ০০:৩৬501011
  • না। কারণ ওখানেই সজনীকান্ত এক নিঃশ্বাসে বলছেন--- এই যজ্ঞের ইতিহাস অত্যন্ত কৌতূহলোদ্দীপক, আরবী পারসীকে অশুদ্ধ ধরিয়া শুদ্ধ পদ প্রচারের জন্য সেকালে কয়েকটি ব্যাকরণ অভিধানও রচিত ও প্রচারিত হইয়াছিল, সাহেবেরা সুবিধা পাইলেই আরবী-পারসীর বিরোধিতা করিয়া বাংলা ও সংস্কৃতকে প্রাধান্য দিতেন, ফলে দশ পনর বৎসরের মধ্যেই বাংলা-গদ্যের আকৃতি ও প্রকৃতি সম্পূর্ণ পরিবর্তিত হইয়াছিল।
     
    কাজেই সাহেবরা যে বাংলা ভাষার ভোল বদলে দিল, সে ব্যাপারে তিনি স্পষ্টবাক। এ কথা ঠিক, সজনীকান্ত ভাষাবিদ নন, তিনি বাংলা গদ্যের ইতিহাস লিখেছেন এবং সেটাও বেশ আর্লি স্টেজ। কিন্তু দীনেশ সেন কিংবা সুনীতিবাবুও যখন একই কথা বলেন, তখন সজনীকান্তের এই অংশটা তাঁদের ভাবনার সঙ্গে মিলে যায় বইকি।
  • sm | 2402:3a80:1cd3:82a1:478:5634:1232:***:*** | ২৫ এপ্রিল ২০২২ ০০:৩৫501010
  • দেখুন আপনি শুরু থেকেই গুলিয়ে ফেলেছেন। ভারতীয় উপমহাদেশে চারটি ভাষা গোষ্ঠী ছিল।অস্ট্রিক,দ্রাবিড়, ভোট চীনও  এবং আর্য।
    এই লোকাল ভাষা থেকেই প্রাকৃত ভাষার সৃষ্টি। এই প্রাকৃত ভাষা আবার মাগধী,অর্থ মাগধী,সৌরসেনি, মহারাষ্ট্র,পালি ইত্যাদি ভাগে বিভক্ত ছিল।
    আর্য ভাষা গোষ্ঠী সৃষ্টি হয়েছে ইন্দো ইরানিয়ান ভাষা গোষ্ঠী থেকে। আর্য ভাষা গোষ্ঠী থেকে উদ্ভুত হয়েছে সংস্কৃত। ওদিকে লোকাল ভাষা থেকে সৃষ্ট প্রাকৃত ভাষা ;আর্যভাষা গোষ্ঠী থেকে সৃষ্ট সংস্কৃত ভাষার সংস্পর্শে এসে প্রচুর আদান প্রদান করে। সেই জন্য প্রাকৃত ভাষায় সংস্কৃত ভাষার এতো প্রভাব।এটি প্রায় দেড় হাজার বছর ধরে চলছে।
    পক্ষান্তরে সুলতানী আমল হাজার বছরের পুরোনো। এই আমলে,নতুন আমদানি আরবী ও ফার্সী তখন ক্ষমতার ভাষা।স্বাভাবিক ভাবেই কিছু আদান প্রদান ঘটে,স্থানীয় প্রাকৃত ভাষার সঙ্গে। তবে কোনোমতেই সংস্কৃত ভাষার আধিপত্য বা প্রভাব খর্ব করতে পারে নি।
    ইংরেজরা তো তথাকথিত সন্সকৃতায়ণ শুরুই করে ছিল  দুশো বছর আগে।কি করে ইংরেজদের চক্রান্ত কেই কফিনের শেষ পেরেক মানবো,; বুইতে পারছি না কো!
  • Abhyu | 47.39.***.*** | ২৫ এপ্রিল ২০২২ ০০:৩০501009
  • একটু অর্থোগোনাল হলেও বলি, রবীন্দ্রনাথ একবার বাংলা ব্যাকরণ লিখতে আরম্ভ করেছিলেন। খুবই পরিতাপের বিষয় শেষ করেননি লেখাটা, কিন্তু যেটুকু লিখেছিলেন, সেটা, প্রত্যাশামতোই, অসাধারণ। টুকটুকে লাল আর টকটকে লালের যে তফাৎ, সেটা এই লেখাটা পড়বার আগে কখনো স্পষ্ট হয়নি https://rabindra-rachanabali.nltr.org/node/6770
  • সিএস  | 49.37.***.*** | ২৫ এপ্রিল ২০২২ ০০:১২501008
  • কোটেশন দেওয়া problematic। সজনী দাস থেকেই -

    "বাংলা দেশে যদি ইংরেজের আগমন না ঘটিত তাহা হইলে আজিও আমাদিগকে বাংলা ভাষা লিখিতে বসিয়া 'গরিবনেওয়াজ শেলামত' বলিয়া শুরু করিয়া 'ফিদবি' বলিয়া শেষ করিতে হইত। তাহা মঙ্গলের হইত কি অমঙ্গলের হইত, আজ সে বিচার করিয়া লাভ নাই।"

    অথবা

    "এরূপ বিস্তৃতভাবে বাংলা ভাষা সম্পর্কে তৎকালীন ইংরেজ পণ্ডিতদের মতামত উদ্ধৃত করিবার কারণ এই যে বর্তমানে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বলিয়া যাহা খ্যাত, অষ্টাদশ শতাব্দীর নীহারিকা-অবস্থা হইতে তাহাদের সম্মিলিত অবস্থাতেই তাহা প্রথন নির্দিষ্ট রূপ পরিগ্রহণ করে। এ বিষয়ে বাংলা দেশ ও বাঙালী জাতি সম্পূর্ণভাবেই তাহাদের কাছে ঋণী।"

    এলেবেলে আগে সজনী দাসের যে লেখার অংশ দিয়েছিলেন, তার ঠিক আগে ও কিছু পরে এই অংশদুটি আছে। বাংলা ভাষা নিয়ে ইংরেজদের কাজ নিয়ে সজনীবাবুর আপত্তি ছিল বলে মনে হয় না, এবং এই কাজের মধ্যে বাংলা ভাষাকে সংস্কৃত ভাষার কাছাকাছি বলে মনে করা হয়েছিল। আর সেই কাজ না হলে, বাংলা ভাষায় আরবী - ফারসী মিশেল থাকলে কী হত, সে ব্যাপারে সজনীবাবুর বক্তব্য নেই।কিন্তু এই দুই অংশের মাঝখানে সজনীবাবু ইংরেজদের দ্বারা (যেটা এলেবেলে দিয়েছিলেন) বাংলা ভাষা থেকে আরবী - ফারসি সরানোর প্রসঙ্গে 'যজ্ঞ', 'পূর্ণাহুতি' ইত্যাদি বলেছেন আবার হ্যালহেড ইত্যাদিদের সম্বন্ধে 'যত্ন ও চেষ্টা' শব্দ ব্যবহার করছেন, আরবী - পারসি সম্বন্ধে 'অনধিকার প্রবেশ ' ব্যবহার করছেন ! এই অংশটা পড়ে বোঝা যায় না সজনীবাবু সাহেবদের ভুল ধরছেন কিনা কিন্তু 'বাঙালী জাতি তাহাদের কাছে ঋণী' থেকে মনে হয়, সজনীবাবু সাহেবদের প্রশংসাই করছেন। উপরন্তু তিন ইংরেজ পণ্ডিতদের চেষ্টায় 'অতি অল্প দিনের মধ্যে বাংলা ভাষা সংস্কৃত' হয়ে উঠল, সেই ব্যাপারটিকে সজনীবাবু 'সংস্কৃতীকরণ' বলছেন কিন্তু মনে হচ্ছে না সে ব্যাপারে ওনার অনুযোগ ছিল। 
     
    ইচ্ছুকরা পড়ে দেখতে পারেন। 
     
    https://archive.org/details/in.ernet.dli.2015.453041/page/n47/mode/2up

    তাহলে কী দাঁড়ায় ?

    কোটেশন না দেওয়াই ভাল ? অথবা দিলেও সজনীবাবুর ওপর ভরসা না করাই ভাল ? 
  • রৌহিন | ২৫ এপ্রিল ২০২২ ০০:১১501007
  • তো দীপবাবু আর এসেম সাহেবের প্রতিপাদ্যটা কি - বাংলা সমোসস্কৃত থেকে এসেছে? এটা আজকের দিনে আর কেউ বিশ্বাস করে কি? বাংলা ব্যাকরণ বইটা একবার আগামাথা পড়লেই তো বোঝা যাবে যে উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে - সংস্কৃত উপক্রমণিকার নিয়মে আমাদের বাংলা ভাষা শিখতে হয়। এ উপক্রমণিকা যিনি লিখেছিলেন তার ভাবশিষ্যরা এখনো মানুষকে ওরে পাঁঠা ওরে গাধা ইত্যাদি বলে নবজাগরণের মিথকে বাঁচিয়ে রাখতে লড়ে যাচ্ছেন- বেশ বেশ
  • এলেবেলে | ২৫ এপ্রিল ২০২২ ০০:০০501006
  • যদুবাবু, ধন্যবাদ আপনার ইন্টারভেনশনের জন্য। 
     
    এসেম, সুনীতিবাবু যদি বলেন যে সংস্কৃতের কোনও উত্তরসূরী নেই, তাহলে কী খাড়াইল?
     
    প্রসঙ্গত হরপ্রসাদ আমার ফেভারিট নন, ঈশ্বরের ফেভারিট ছিলেন। শিবনাথ শাস্ত্রীও।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত