এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • ভাটিয়ালি

  • এ হল কথা চালাচালির পাতা। খোলামেলা আড্ডা দিন। ঝপাঝপ লিখুন। অন্যের পোস্টের টপাটপ উত্তর দিন। এই পাতার কোনো বিষয়বস্তু নেই। যে যা খুশি লেখেন, লিখেই চলেন। ইয়ার্কি মারেন, গম্ভীর কথা বলেন, তর্ক করেন, ফাটিয়ে হাসেন, কেঁদে ভাসান, এমনকি রেগে পাতা ছেড়ে চলেও যান।
    যা খুশি লিখবেন। লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়। এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই। সাজানো বাগান নয়, ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি। এই হল আমাদের অনলাইন কমিউনিটি ঠেক। আপনিও জমে যান। বাংলা লেখা দেখবেন জলের মতো সোজা। আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি।
  • আর জি কর গুরুভার আমার গুরু গুরুতে নতুন? বন্ধুদের জানান
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • দীপ | 2402:3a80:ab4:72f3:54e9:c979:b3cc:***:*** | ১৫ নভেম্বর ২০২১ ১৫:২৫490410
  • মহাপরাক্রমশালিনী ঠাকুমার নাতিকে কোনো রাজনৈতিক দল পাত্তা দেয়না। কূটনৈতিক সাফল্যের অসামান্য নিদর্শন!
  • দীপ | 2402:3a80:ab4:72f3:54e9:c979:b3cc:***:*** | ১৫ নভেম্বর ২০২১ ১৫:২৩490409
  • আর কংগ্রেস কাশ্মীর সমস্যা, চীনের কাছে ল্যাজেগোবরে হ‌ওয়া, জরুরি অবস্থা জারির মধ্য দিয়ে অসামান্য কূটনৈতিক সাফল্যের পরিচয় দিয়েছে!
  • অর্জুন | 43.23.***.*** | ১৫ নভেম্বর ২০২১ ১৫:১৪490408
  • এছাড়া সুভাষচন্দ্র দেশে তাঁর বিশ বছরের রাজনৈতিক জীবনে একটা হঠকারী রাজনীতির জন্ম দিয়েছলেন যে ট্র্যাডিশন অব্যাহত। ১৯৪০ এ গান্ধী বাংলায় এলেন। মূল উদ্দেশ্য শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথের সাথে দেখা করা। সেবারই রবীন্দ্রনাথ গান্ধীকে বিশ্বভারতীর দায়িত্বভার অনুরোধ রাখলেন। গান্ধী চিরকাল ট্রেনে থার্ড ক্লাসে ট্র্যাভেল করতেন। আলাদা রিজার্ভ করা থার্ড ক্লাস ট্রেন থাকত। 
     
    সুভাষচন্দ্র কংগ্রেস প্রেসিডেন্টের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরে বাংলায় গান্ধী বিরোধীতা একেবারে তুঙ্গে। গান্ধীকে দেখার জন্যে বিশাল ভিড় জমত। মাঝে,মাঝে ট্রেন থামত। 
     
    শ্রীরামপুরে গান্ধীর ট্রেন থামতেই একটি যুবক ভিড়ের মধ্যে গান্ধীর জানালা দিয়ে একটি জুতো ছুঁড়ে মারে, 'সুভাষ বাবু জিন্দাবাদ' বা ওইরকম কিছু বলে। জুতোটি গান্ধীর গায়ে না লেগে কমপার্টমেন্টের ভিতর গিয়ে পড়ে। 
     
    গান্ধী একটি পরিচিত ব্যক্তিকে জুতোর সঙ্গে একটি চিঠি লিখে বলেন সুভাষ বাবুকে পৌঁছে দিতে। চিঠিতে বোধহয় এরকম ছিল 'প্রিয় সুভাষ তমার এক ভক্ত আমাকে এই উপহারটি দিয়েছেন। কিন্তু আমি এটি নিতে নিতান্তই অপারগ কারন এ বস্তুটির  একটি অংশ দিয়ে কাজ হয়না। তিনি হয়ত তার টাই আমায় উপহার দিয়েছেন। এটি তুমি তাকে ফেরত দিও।' 
     
    সুভাষচন্দ্র public apology দিতে বাধ্য হয়েছিলেন। এরকম আরও ঘটনা আছে। 
  • | ১৫ নভেম্বর ২০২১ ১৫:০৮490407
  • জয়, মুরাদুল তো বাচ্চা নন, ওখানে থাকার কথা নয়। ব্লগে ছিল এখন দেখছিনা, হয়ত লেখক সরিয়েছেন বা ড্রাফটে নিয়েছেন। 
  • দীপ | 2402:3a80:ab4:72f3:54e9:c979:b3cc:***:*** | ১৫ নভেম্বর ২০২১ ১৫:০৮490406
  • আর আবেগ খোঁজা পণ্ডিতকে জানিয়ে রাখি , গান্ধী-সুভাষ বিরোধের সময় রবীন্দ্রনাথ সম্পূর্ণভাবে সুভাষকে সমর্থন জানিয়েছিলেন। পরিষ্কার চিঠিতে লিখেছিলেন, "প্রয়োজন হলে মহাত্মাজী ও ওয়ার্কিং কমিটির সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করবে।" 
    রবীন্দ্রনাথ ও চিঠিপত্রের প্রসঙ্গ তখন এলো, তখন এগুলোও মনে রাখা ভালো!
  • দীপ | 2402:3a80:ab4:72f3:54e9:c979:b3cc:***:*** | ১৫ নভেম্বর ২০২১ ১৫:০২490405
  • আর আম্বেদকরকে মন্ত্রিসভায় নেওয়ার জন্য মূল উদ্যোগী গান্ধী, নেহেরু নন! 
    আর আম্বেদকর ১৯৫২ সালে ক্যাবিনেট থেকে পদত্যাগ করেন, অভিযোগ করেন তাঁকে ঠিকমতো কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না!
  • দীপ | 2402:3a80:ab4:72f3:54e9:c979:b3cc:***:*** | ১৫ নভেম্বর ২০২১ ১৪:৫৯490404
  • সুভাষচন্দ্র দলমত নির্বিশেষে সবাইকেই সম্মান দিয়েছেন। তিনি আজাদ হিন্দ ফৌজকে সর্বভারতীয় প্রতিনিধিরূপে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। সেজন্য‌ই কংগ্রেসের তিন জনপ্রিয় নেতার নামে তিনটি ব্রিগেডের নামকরণ করেছিলেন। গান্ধীজির সঙ্গে মতবিরোধ অবশ্য‌ই ছিল, কিন্তু গান্ধীজিকে সর্বদাই সম্মান প্রদর্শন করেছিলেন, জাতির জনক রূপে আখ্যায়িত করেছিলেন।
  • জয় | 92.4.***.*** | ১৫ নভেম্বর ২০২১ ১৪:৫৬490403
  • kk, ranjanda- ভালো আছি বলতে পারলে ভালো লাগত। কাল রাত থেকে একটু কষ্টে আছি। গুরুচণ্ডালী  এই বাজারে মনটাকে ঘুরিয়ে রাখছে। আমাদের ছানা পোনাদের লেখাগুলো কি ভালো!
     
    আচ্ছা, অ্যাডমিন- "কুমুদির জন্য লেখায়" "কালা চশমা" বাই মৃদুল ইসলাম না মিরাদুল ইসলামের লেখাটা কোথায় গেল-পাচ্ছি না? এক্কেবারে ছোট্ট হুমায়ুন আমেদ (যতটা পডেছি)
  • b | 14.139.***.*** | ১৫ নভেম্বর ২০২১ ১৪:৫৩490402
  • নেতাজী কি সত্যি সত্যি ওই দোকান থেকে চপ  কিনে খেতেন? এ বিষয়ে ঐতিহাসিকদের মত কি ? 
  • দীপ | 2402:3a80:ab4:72f3:54e9:c979:b3cc:***:*** | ১৫ নভেম্বর ২০২১ ১৪:৫০490401
  • কেউ এখানে আবেগের দৃষ্টিতে দেখছে না, আলোচনা করছে! অযাচিত উপদেশের প্রয়োজন নেই!
  • দীপ | 2402:3a80:ab4:72f3:54e9:c979:b3cc:***:*** | ১৫ নভেম্বর ২০২১ ১৪:৪৮490400
  • হিটলার যেমন নরপশু, চার্চিল‌ও তাই। বাংলাদেশের ত্রিশ লক্ষ মানুষের মৃত্যুর জন্য এই উগ্র সাম্রাজ্যবাদী নরপশুটি দায়ী। কিন্তু চার্চিলের হাত ধরলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়, হিটলারের হাত ধরলে ফ্যাসিজম আসে! 
     
    হিটলার স্ট্যালিনের অনাক্রমণ চুক্তি গণতন্ত্রের অন্যতম নিদর্শন, খালি সুভাষচন্দ্র হিটলারের কাছে গেলে ফ্যাসিজম আসে!
  • অর্জুন | 43.23.***.*** | ১৫ নভেম্বর ২০২১ ১৪:৪৭490399
  • ১৯৩৯ এ সুভাষ বসু কংগ্রেসের প্রেসিডেন্টের পদ ছেড়ে দেওয়ার পরে নেহেরু একটি সুদীর্ঘ চিঠি লেখেন। সেখানে নেহেরুকে অনেক বিষয়ে অনুযোগ করেছিলেন। ' তুমি আমার দাদার (শরৎ বসু) বয়সী এবং তোমাকে সব সময় দাদার মত দেখতাম। অথচ আমার বিপদের দিনে তুমি আমায় সবচেয়ে বেশী আঘাত করলে......ইত্যাদি।' এটি একটি ব্যক্তিগত চিঠি। কিন্তু উনি চিঠিটি এক কপি নেহেরুকে পাঠিয়ে আরেক কপি প্রেসকে দিয়ে দিলেন। চিঠিটা ছাপা হল সংবাদ পত্রে। নেহেরু চিঠি পেয়েই পত্রপাঠ উত্তর দিলেন। কিন্তু উনি ওঁর চিঠি ব্যক্তিগত রাখলেন। সংবাদ মাধ্যমকে দিলেন না। সকলে জানল সুভাষচন্দ্র, নেহেরুকে চিঠি লিখেছিলেন কিন্তু তিনি কর্ণপাত করেননি। এখন  Nehru Collected Works র প্রায় 100 ভলিউম বেরিয়েছে। সুভাষচন্দ্র বসুকে লেখা চিঠিটিও আছে।  
     
    এছাড়া সুভাষচন্দ্র সেই ১৯২১ থেকে একটা একটানা গান্ধী বিরোধী রাজনীতি করে গেছেন। গান্ধী কিন্তু কিচ্ছু বলেননি। তার জবাব হয়ত দিয়েছিলেন ১৯৩৯ এ এসে। 
     
    এখানে গান্ধীর পক্ষ নিয়ে আমি কিছু বলছি না। 'Sitaramaiya's defeat is my defeat' গান্ধীর একটি অত্যন্ত দুর্বল উক্ত সন্দেহ নেই। 
     
    আমার কথা হল সুভাষচন্দ্র বসুকে শুধুই 'সুভাষ ঘরে ফেরে নাই' বলে আবেগের চোখ দিয়ে না দেখে ইতিহাসের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে হবে। 
  • দীপ | 2402:3a80:a7f:3b80:e4c7:846c:3264:***:*** | ১৫ নভেম্বর ২০২১ ১৪:৪৩490398
  • সুভাষচন্দ্রের কাছে একমাত্র উদ্দেশ্য ভারতের স্বাধীনতা। সেজন্য‌ই তিনি জার্মানি ও জাপানের কাছে সাহায্য চেয়েছেন। চার্চিল, রুজভেল্ট, স্ট্যালিন নিজেদের স্বার্থে সবাই এক হয়েছিলেন, কারণ তা নাহলে হিটলারকে হারানো যেতোনা! কিন্তু তখন সব ঠিক থাকে! 
     
  • রমিত চট্টোপাধ্যায় | ১৫ নভেম্বর ২০২১ ১৪:৩০490397
  • প্রাথমিক স্টেজ থেকেই কাউন্সেলিং করার দিকে মানুষ কে উৎসাহিত করতে হবে। মানসিক সমস্যা নিয়ে আলোচনার খোলা মেলা পরিবেশ না থাকলে এটা সম্ভব নয়।
     
    বাংলায় মুখার্জিদার বউ সিনেমা টা এটা নিয়ে ভালো  দেখিয়েছে
  • অর্জুন | 43.23.***.*** | ১৫ নভেম্বর ২০২১ ১৪:২৯490396
  • @রঞ্জন বাবু, 
     
    সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে ওয়েবিনরটি আয়োজন করেছিল স্কটিশ চার্চ কলেজ। আমি সেটায় নিতান্তই শ্রোতা। 
     
    ১৯৪১ র জানুয়ারিতে মধ্যরাতে কলকাতা থেকে দুর্ধর্ষ নিষ্ক্রমণের পরে পেশোয়ার, কাবুল, উত্তর পশ্চিম সীমান্তের দুর্গম অঞ্চল পেরিয়ে মার্চে জার্মানি পৌঁছে দু বছর সুভাষচন্দ্র বার্লিনে ছিলেন। সেই সময় খোদ বার্লিন এবং জার্মানিতে চলছে পৃথিবীর অন্যতম নৃশংস গণহত্যা। ট্রাকে লক্ষ লক্ষ ইহুদীদের তুলে গ্যাস চ্যাম্বারে পাঠানো হত। সুভাষচন্দ্র সেটা জানতেন না? ওই দুটি বছর (১৯৪১- ১৯৪৩) উনি বার্লিনে পুরোটাই নাৎসি সরকারের অর্থ সাহায্যে ছিলেন। এবং আরামে ছিলেন। বার্লিনে সোফিয়েন ট্রাস অঞ্চলে যে বাড়িটিতে ছিলেন সেটি এক প্রাসাদোপম বাড়ি। সোফিয়েন ট্রাস কলকাতার চৌরঙ্গী অঞ্চলের মত একটি পশ অঞ্চল। তার সব ব্যয়ভার বহন করেছিল ফুহেররের সরকার। 
     
    আর সুভাষচন্দ্রের বায়গ্রাফার লেনী গর্ডন তার ১৭ বছর ধরে গবেষণা করা বসু ভাতৃদ্বয়ের জীবনীতে লিখেছেন 'Subhas Bose was a nationalist and never a socialist ideologue'. 
     
    এসব গুলো জানতে হবে। এছাড়া সুভাষ বসু এবং জওহরলাল নেহেরুর মধ্যে প্রথম দিক মসৃণ বন্ধুত্ব ছিল। দুজনেই দুজনার কংগ্রেস দলে উপস্থিতির গুরুত্ব বুঝতেন। ত্রয়ী (গান্ধী- নেহেরু- বোস)  সম্পর্কের কথা যা বললাম তা আমরা যা ভাবি তা একেবারেই নয়। ওঁরা কেউ কারো থ্রেট ছিল না। গান্ধীর সঙ্গে সুভাষচন্দ্রের বহু বোঝাপড়ায় গণ্ডগোল হলে নেহেরু মিটমাট করতেন এবং কিছু সময়ে নেহেরু , সুভাষচন্দ্রের পক্ষ নিতেন। 
     
    রবীন্দ্রনাথ পর্যন্ত বলেছিলেন কংগ্রেসে দুজনই যুব সমাজে নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্য, জওহরলাল ও সুভাষ। 
     
    পরবর্তীকালে, নেহেরুর সুভাষচন্দ্রের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশী আপসোস ছিল সুভাষচন্দ্রের ফ্যাসিবাদের প্রতি আকর্ষণ। নেহেরু এতে আশঙ্কিত ছিলেন। 
     
    দুজনের দুজনার প্রতি শ্রদ্ধা না থাকলে সুভাষচন্দ্র আজাদ হিন্দ বাহিনীর একটি ক্যাম্প নেহেরুর নামে নামাঙ্কিত করতেন না নিশ্চয়!! আবার আজাদ হিন্দ বাহিনীর ট্রায়ালে রসময় নেহেরু তার পক্ষে সওয়াল করতে কোট পরতেন না !! 
     
    আর নেহ্রু যে ক্যাবিনেট দিয়ে দেশ গঠন সূচনা করলেন তা ছিল যথার্থই  inclusive।  যদি তা না হতেন তাহলে আম্বেদকরকে কখনোই ডাকতেননা, সংবিধানের দায়িত্বের জন্যে।  নেহেরু প্রধানমন্ত্রী হলে তাঁর কথাতে চলবে এটাই তো স্বাভাবিক। 
     
    সুভাষচন্দ্র বসু প্রক্রিত একজন charismatic leader । এবং A larger than life character । কিন্তু ভীষণ emotional। এবং রাগলে মাথার ঠিক থাকত না। 
     
    সেটা চিঠি পড়লেই বোঝা যায়। 
     
     
     
  • Amit | 220.235.***.*** | ১৫ নভেম্বর ২০২১ ১৪:২৮490395
  • ইয়ে রঞ্জন দা। হিটলার এর চোখে ভারতীয়রা ঠিক মানুষ ছিল বলে মনে হয়না। নেতাজির হিটলার এর সাথে সাথে সাক্ষাৎ নিয়ে ভক্তদের মনের মাধুরী মেশান কিছু গুল্প হোয়াটসআপ এ ঘুরে বেড়ায় যেগুলোর কোনো ভ্যালিডেশন কোথাও পাইনি। 
     
    অর্জুন, খুব ভালো লাগলো আপনাদের চেষ্টাটা। নেতাজিকে নিয়ে বাঙালির অন্ধ আবেগ অনেকটাই তার আসল ঐতিহাসিক মূল্যায়ন করতে বাধা দিয়েছে। অনেক ভক্তের কাছেই একজনের মূল্যায়ন মানে তাকে আর একজনের এগেনস্ট এ দাঁড় করানো। 
  • রমিত চট্টোপাধ্যায় | ১৫ নভেম্বর ২০২১ ১৪:২৭490394
  • সি এস ,
     
    এই যে পাগল ব্যাপারটা আপনি বলছেন, এটা অনেক এডভান্স স্টেজ। তখন মানুষ নিয়ন্ত্রণ অনেকটা হারিয়ে ফেলেছে। তখন কাউন্সেলিং এ শুধু হবে না, মেডিক্যাল আসিস্টেইন্স দরকার। নিয়মিত ওষুধ খেতে হবে ট্রিটমেন্ট এর জন্য। আরো আগে প্রবলেম টা আইডেন্টিফাই করতে হবে। আর সেগুলো কাটিয়ে দিলে হবে না। ছোটো ছোটো মন খারাপ, ঘষা, ব্যাথা জমে বিষবৃক্ষ বানিয়ে ফেলে। আবার বড় শক থেকেও হয় অনেক সময়।
  • sumon | 2605:6400:30:f253:f161:1b51:8b59:***:*** | ১৫ নভেম্বর ২০২১ ১৪:২৬490393
  • নেতাজি আর ডিক্টেটরশিপ - এই ব্যাপারটায় ফোকাস বেশি আসে নেতাজির একটা স্পিচ থেকে, সিঙ্গাপুর থেকে দিয়েছিলেন, সিঙ্গাপুরের খবরের কাগজে স্পিচটা বেরিয়েছিল।

    ঐ স্পিচে নেতাজি বলেন যে ব্রিটিশ ছেড়ে গেলেও তিনি চাইবেন কিছুদিন যেন ভারতে ডিক্টেটরশিপ থাকে। তিনি ২০ বছরের জন্য একজন "iron dictator" চাইছিলেন ভারতে।

    In a speech the same year (1943) in Singapore, Bose spoke about India needing a ruthless dictator for 20 years after liberation.

    Then Singapore daily, Sunday Express (now defunct), printed his speech where he said,

    “So long as there is a third party, ie the British, these dissensions will not end. These will go on growing. They will disappear only when an iron dictator rules over India for 20 years. For a few years at least, after the end of British rule in India, there must be a dictatorship…No other constitution can flourish in this country and it is so to India’s good that she shall be ruled by a dictator, to begin with ...”

    https://timesofindia.indiatimes.com/india/netaji-subhas-chandra-bose-wanted-ruthless-dictatorship-in-india-for-20-years/articleshow/46980513.cms
  • | ১৫ নভেম্বর ২০২১ ১৪:২৩490392
  • ক্লাসিক কেস অব হোয়াট্যাবাউটরি। 
  • দীপ | 2402:3a80:a7f:3b80:e4c7:846c:3264:***:*** | ১৫ নভেম্বর ২০২১ ১৩:৩৩490391
  • ছয়-সাতের দশকে কংগ্রেস ও ছাত্রপরিষদের গুণ্ডারা স্কুল কলেজে মাতব্বরি মেরে বেড়াত। (তখন আমাদের জন্ম হয়নি)। গণতন্ত্র! 
    সাতের দশকের সিদ্ধার্থশঙ্কর, রুণুর কীর্তিকাহিনী তো অক্ষয় হয়ে আছে! গণতান্ত্রিক কার্যকলাপের অসামান্য নমুনা! তার সঙ্গে তো সোমেন, প্রিয়, সুব্রত মার্কা উঠতি নেতারা তো ছিল‌ই! গণতন্ত্র!
    জরুরি অবস্থা জারি গণতন্ত্রের সর্বোৎকৃষ্ট উদাহরণ!
  • Ranjan Roy | ১৫ নভেম্বর ২০২১ ১৩:২৯490390
  • জয়,
     আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারছি আপনি দ্রুত সেরে উঠছেন।
  • দীপ | 2402:3a80:a7f:3b80:e4c7:846c:3264:***:*** | ১৫ নভেম্বর ২০২১ ১৩:২১490389
  • কোনো মানুষই ত্রুটিবিচ্যুতির ঊর্ধ্বে নন, সুভাষচন্দ্রও নন। কিন্তু যাঁরা সুভাষচন্দ্রের সমালোচনায় মুখর, তাঁদের কিছু প্রশ্ন আছে।
     
    সুভাষচন্দ্র নাকি ডিক্টেটর ছিলেন। তা নেহেরুর সময়ে কংগ্রেসে গণতন্ত্র ছিল বুঝি? পুরো দলটাই তো নেহেরুর কথায় চলত! গণতন্ত্র! 
    কেরালার বামপন্থী সরকারকে বরখাস্ত করা গণতান্ত্রিক পদ্ধতি! 
    কামরাজ প্ল্যানের মাধ্যমে অন্যান্য নেতাদের সরিয়ে নিজের মেয়েকে নেত্রী করার নাম গণতন্ত্র! 
    নেহেরুর প্রথম হার্ট অ্যাটাকের পর কংগ্রেসে নেহেরুর উপর পরিশ্রমের বোঝা কমানোর জন্য উপপ্রধানমন্ত্রী পদের দাবি ক্রমশ জোরদার হয়ে ওঠে। মোরারজি দেশাই লিখেছেন, এইসময় লালবাহাদুর শাস্ত্রী নেহেরুর দূত হয়ে তাঁর কাছে আসেন ও তাঁকে উপপ্রধানমন্ত্রী পদের প্রস্তাব দেন। শর্ত, নেহেরুর পর তিনি প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য ইন্দিরার নাম প্রস্তাব করবেন। মোরারজি সরাসরি শাস্ত্রীকে প্রত্যাখ্যান করে বলেন, কোনো শর্তের বিনিময়ে তিনি পদ চাননা ! গণতন্ত্র!
  • Ranjan Roy | ১৫ নভেম্বর ২০২১ ১৩:১৯490388
  • অর্জুন,
    আপনাদের ওয়েবিনারের ইউটিউব লিংক পাওয়া যাবে? বিশেষ আগ্রহী।
    একটা কথা বলি, যতদূর জানি হিটলারের ইহুদীনিধন যজ্ঞ যখন পুরোমাত্রায় চলছে সেই পিরিয়ডে সুভাষ প্রায় দু'বছর জার্মানীতে ছিলেন, কোথাও কিছু বলেন নি। অথচ উনি জানতেন, তাই একটি বন্ধু (ইহুদী) পরিবারকে চটপট আমেরিকায় সরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
      হিটলারের মেইন ক্যাম্ফেও ইংরেজ তাড়ানোর উদ্দেশে জার্মানীর সাহায্য প্রার্থী ভারতীয় বিপ্লবীদের সম্বন্ধে কোন ভাল কথা বলতে দেখলাম না।
     
    এলেবেলে,
      আমার বিশেষ পছন্দ "মার্ডার ইন দ্য ক্যাথিড্রাল", পড়তে পড়তে কল্পনায় ওই সীনগুলো ভাবি--সেই প্রলুব্ধ করতে নাইটদের আসা, একেকবার একেক যুক্তি দিয়ে ওসকানো, বিশেষ করে শহীদ হওয়ার প্রলোভনও যে একধরণের 'প্রলোভন ' এবং খ্রীষ্টীয় আদর্শের পরিপন্থী ওই সিকোয়েন্সটা!
      আপনি শতরঞ্জ কী খিলাড়ীর অ্যানাক্রনিজম নিয়ে আমায় খেই ধরিয়ে দেবেন? আমি মূল গল্প ও সিনেমা দুটোরই ভক্ত; এবং মুগ্ধ হয়ে দেখি কেমন করে রায়মশায় প্রেমচন্দের থেকে সরে গিয়ে দুই প্রোটাগনিস্টকে সামন্ত জাগিরদার থেকে বদলে ইন্দিরা গান্ধীর সময়ের বুদ্ধিজীবিদের আপোষ (ক্লীবত্বের) ভাষ্য করে তোলেন। এ যেন নির্মম আত্মসমালোচনা!
     
    আমি ঝগড়াটা কেমন মোহনবাগান-ইস্টবেনগল গোছের ছেলেমানুষি হিসেবে দেখছি। চ্যাপলিনের দর্শক, কুরোসাওয়ার দর্শক এবং বুনুয়েলের দর্শক আলাদা; তাতে কী এসে যায়? ওই তিনজনের চিত্রভাষাও তো আলাদা। 
    প্রোডিউসারের টাকা ফেরত পাওয়া অবশ্যই দরকার। নইলে পরের ফিল্মের টাকা কে জোগাবে? রায়মশায় আর ডি বনসাল ছাড়া সরকারের দাক্ষিণ্য ও পেয়েছিলেন (অশোক মিত্রের আপিলা চাপিলায় এমার্জেন্সির স্মৃতিচারণ); ঘটকবিদায় হয় নি। বিশেষ করে গান্ধীজিকে 'শুয়োরের বাচ্চা' বলার পর প্রশ্নই ওঠেনা।  কিন্তু বিক্রি দিয়ে গুণ বা প্রতিভা মাপলে আমার কবীরের দোহাঁ মনে পড়েঃ
    " গোরস গলি গলি ফিরে মুদা বৈঠকে বিকায়"।
    দুধের কেঁড়ে কাঁখে ফেরে গোয়ালিনী, শুঁড়ির বাড়িতে লোকের ভীড়!
     
    পুঃ
      একটা সময় ছিল যখন ভাটে মতের মিল না হলে বা তক্কো একটা স্টেলমেট অবস্থায় পৌঁছলে একজন বলতেন -- যাকগে, কাটিয়ে দিন, বা এইবার  ছাড়ান দ্যান। 
    সেইসময়টা ফিরবে না?
  • অর্জুন | 43.23.***.*** | ১৫ নভেম্বর ২০২১ ১২:৪৩490387
  • বাঙালিদের A vs B এই তুলনা টেনে আলোচনার বিষয় গোপাল কৃষ্ণ গান্ধী একটা ভাল কথা বলেছেন। কথাটা অবশ্য অমর্ত্য সেনের। গোপাল গান্ধী বললেন, 'অমর্ত্য সেন বাংলায় গান্ধীবাদী ও গান্ধী বিরোধীদের বিষয় বলেছেন বাঙালি মূলত তর্কপ্রিয় আড্ডাবাজ। তাই একটা বাইনারি না থাকলে তো আর তর্ক জমেনা। বিশ, ত্রিশের দশকে বাঙালি যখন দেখল দলে, দলে সব গান্ধীবাদী হয়ে যাচ্ছে তখন একদল ঠিক করল 'Let's go against Gandhi'। এক পক্ষ যেমন তাকে পুজো করবে, আরেক পক্ষ করবে সমালোচনা। তাই পক্ষে আর বিপক্ষে বিষয়টা পুরোটাই আড্ডা জমানোর মাল মশলা। ' 
     
    তাই সত্যজিৎ রায়, মৃণাল সেন, ঋত্বিক ঘটক সকলেই আলোচনায় এই ছকে বাঁধা পড়ে আছে। 
  • অর্জুন | 43.23.***.*** | ১৫ নভেম্বর ২০২১ ১২:৩২490386
  • @অমিতবাবু 
     
    ইতিহাস আমার প্রিয় বিষয় এবং নিয়মিত চর্চার বিষয়। এখন ভাষা, সাহিত্যের মানুষরাও ইতিহাসে  ঢুকে পড়েছেন। History is the new literature. যাইহোক, জাতীয়তাবাদী আন্দোলন নিয়ে কয়েক বছর খুঁটিয়ে পড়ছি। এই লকডাউনে দেড় বছর ইতিহাসের উপর বেশ কিছু ওয়েবিনর মডারেট করলাম। নিজের থেকে এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক ও অ্যাকাডেমিক গ্রুপের অনুরোধে। তাই বিভিন্ন ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বদের নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠে আসছে। 
     
    নেতাজী বাঙালির কাছে যতটা না ঐতিহাসিক, তার চাইতে বেশী হল আবেগ। এবং সেটা একটা    ভারসাম্যহীন জায়গায় পৌঁছে গেছে। আমার বিকৃতও লাগে। সুভাষ বোস বিষয়ে বিস্তৃত আলোচনা হলে বলব। 
     
    সেদিন ওয়েবিনর আয়োজন করেছিল স্কটিশ চার্চ কলেজ। বক্তা ছিলেন দুই বিখ্যাত ইতিহাসবিদ,  সুরঞ্জন দাশ এবং অরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়। দুজনেই বাংলার জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের অথরিটি।  
     
    নাৎসি প্রশ্নের উত্তরে সুরঞ্জন বাবু একটু আমতা, আমতা করে যা বললেন তা খুব চিরাচরিত একটি উত্তর ছাড়া আর কিছু নয়। 
     
    তবে গান্ধী আমাকে যতটা টানে আর কেউ ততটা নয়। 
  • Ranjan Roy | ১৫ নভেম্বর ২০২১ ১২:৩০490385
  • ডিসি,
    "শুধুমাত্র আপনার এই লাইনটার জন্যই ভাবলাম কিছু লিখি। নিজের লিমিট জানা, বা জানার চেষ্টা করা, এর থেকে বেশী গুরুত্বপূর্ণ বোধায় আর কিছু নেই। ধরুন আমার ক্ষেত্রে, আমি স্পাই থ্রিলার আর সায়েন্স ফিকশান নিয়ে একগাদা বকবক করতে পারি। কিন্তু ঋত্বিক ঘটক ​​​​​​​আমার ​​​​​​​কাছে ​​​​​​​একজন ​​​​​​​জিনিয়াস ​​​​​​​পরিচালক ​​​​​​​মনে ​​​​​​​হয়। ওনার সিনেমা নিয়ে কোন কিছু লেখার যোগ্যতাই আমার নেই, তো কি লিখব! তাও হয়তো মুখোমুখি বসে আড্ডা মারলে দুয়েকটা কথা বলা যায়, কিন্তু এরকম পাবলিক ফোরামে লেখার মতো যোগ্যতাই আমার নেই। (ঋত্বিক ​​​​​​​ঘটক ​​​​​​​শুধু ​​​​​​​না, ​​​​​​​এরকম ​​​​​​​আরো ​​​​​​​অনেকে আছেন, সেই বিখ্যাত দেরিদা নেরুদা কামুদা ​সহ, যাদের নিয়ে শুধু ব্যাক্তিগত আলোচনাই করতে পারি, তার বেশী কিছু না)।"
    --- কেমন মনে হল যেন আমার মনের কথা বললেন, তাই উল্লেখ করলাম, এইটুকুই।
  • সিএস | 103.99.***.*** | ১৫ নভেম্বর ২০২১ ১১:২০490383
  • মধ্যবিত্ত 'কনজারভেটিভ' মানুষের কাছে মানসিক রোগ যে ট্যাবু, সেটা কী শুধু ব্যক্তি বা পরিবারেরই সমস্যা না সমাজ ঐ অবস্থাকে কীভাবে দেখছে, সেখান থেকে তৈরী হচ্ছে ?

    মানসিক রোগী যে, তার নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ নেই, ফলে সে ঠিক করে তার 'কাজ' করতে পারবে না, চাকুরি ইত্যাদি, এতএব তার পরিবারও সে সামলাতে পারবে না। মানসিক স্থিতি নষ্ট হওয়াকে কাজের জগতের সাথে যুক্ত করে দেওয়া কী ধনতান্ত্রিক কাঠামোর সাথে যুক্ত ? আর কাজ না করতে পারলে যেহেতু মানুষের মূল্য নেই, অতএব সেই চাপ কী ব্যক্তি আর পরিবারের ওপরে এসে পড়ে ? ফলে তারা গুটিয়ে যায়, ততদিন গুটিয়ে যাবে যতদিন না আর পাঁচটা 'শারীরিক' রোগের চিকিৎসার মতই মানসিক রোগের চিকিৎসাও 'স্বাভাবিক' হবে ? আমার ধারণা নেই, মানসিক রোগের চিকিৎসা কী মেডিক্যাল ইন্সিওরেন্সের আওতায় আসে ? যেমন ধরুন, নায়িকা দীপিকা পাডুকোন, সফল হয়ে যাওয়ার পরে নিজের ডিপ্রেশনের কথা বাইরে বলেছেন। কিন্তু অভিনয় জীবনের প্রথম দিকে তাকে সেটা লুকোতে হয়েছে, ওষুধ খেতে হয়েছে কিন্তু নিজের কাজের জায়গা থেকে সেট আড়াল করেই হয়ত করতে হয়েছে।

    তো টআবুর দায় তো ব্যক্তি বা তার পরিবারেরই নয় শুধু।

    এই ট্যাবু হয়ে যাওয়াটা হয়ত আরো আগে ছিল না, 'পাগল' শব্দটা আমরা সস্নেহেই বলেছি, কিন্তু সেই ব্যবহারের শুরুয়াৎ হয়ত অনেক আগে থেকেই, যখন কিনা তাকে 'রোগ' বলে দেখা হয়নি, ব্যক্তিটিকে আর পাঁচজনের সাথেই গণ্য করা হয়েছে। এক সময়ে হয়ত মনে করা হয়েছে, ইওরোপ আর পার্টিকুলার সমাজ ব্যবস্থার অংশ হিসেবেই, যে মানসিক রোগগ্রস্ত দ্বারা 'সমাজ' ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, সমাজকে বাঁচাবার জন্যই তখন লোকটিকে একটি ছাপ দিতে হবে, যে, সমাজে যা সাধারণ বলে গণ্য করা হয়, তার থেকে সে 'আলাদা'। ট্যাবু তো সেখান থেকেই তৈরী হবে।

    আর, আমার তো এও মনে হয়, অ্যানালিস্টের কাছে গেলে, যারা 'স্বাভাবিক' বলে নিজেদের মনে করছি, তারা কোন না কোন ভাবে 'রোগী' বলে গণ্য হতে পারি বা 'স্প্লিট' পার্সোনালিটি; যতক্ষণ না সেই অবস্থা দৈনন্দিন বা কাজের জায়গাকে প্রভাবিত করছে না, ততক্ষণ ঠিক আছে।
     
     
  • dc | 122.174.***.*** | ১৫ নভেম্বর ২০২১ ১০:৫৭490382
  • Clarification এর পোস্টটা ভারি ইন্টারেস্টিং মনে হয়েছিল, তাই চট করে উত্তর দিয়ে দি :-)
     
    "এবার, মানুষের কমপ্রিহেনশন এবিলিটি তো পালটায়"
     
    সম্পূর্ণ একমত। ​​​​​​​কতো ​​​​​​​কিছু ​​​​​​​ছোটবেলায় ​​​​​​​বা ​​​​​​​বড়োবেলায় ​​​​​​​পড়েছি, ​​​​​​​দেখেছি, ​​​​​​​বা ​​​​​​​শুনেছি, ​​​​​​​এখন সেগুলো ​​​​​​​রিভিজিট ​​​​​​​করলে ​​​​​​​অনেক ​​​​​​​সময়েই ​​​​​​​অন্যরকম ​​​​​​​মনে ​​​​​​​হয়। ​​​​​​​কখনো ​​​​​​​ভালো ​​​​​​​লাগে, ​​​​​​​কখনো ​​​​​​​সেরকম ​​​​​​​আর ​​​​​​​ভালো ​​​​​​​লাগে ​​​​​​​না, ​​​​​​​অনেক ​​​​​​​সময়েই ​​​​​​​নতুন ​​​​​​​কিছু ​​​​​​​খুঁজে ​​​​​​​পাই। ​​​​​​​কতোবার ​​​​​​​হয়েছে, ​​​​​​​মেয়ের সাথে আমার ভালো লাগা কোন ক্রিয়েটিভ কাজ আলোচনা করতে গেছি, মেয়ে কিছু বলেছে, তাতে আমিও নতুন করে ভেবেছি। লাইফ ইজ অ কনস্ট্যান্ট প্রসেস অফ লার্নিং। 
     
    "সাধারণত যে ধরণের লেখা পড়ার অভ্যাস, সেখান থেকে হঠাৎ বড় মাপের ডিপার্চার এলে উইথড্রয়াল সিনড্রোম আসে কিংবা সেখানে ফেলিওর থেকে রিট্যালিয়েশন টেনডেন্সি আসে"
     
    আমার ক্ষেত্রে চেষ্টা করি এটা না করতে। আমি সবকিছুই পড়ি বা দেখি কোন এক্সপেকটেশান ছাড়া, আর চেষ্টা করি কোন কিছু নিয়েই জাজমেন্টাল না হতে। মানে ইন জেনারাল কোন কিছুতেই জাজমেন্টাল না হতে চেষ্টা করি। যদ্দুর মনে হয় বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হই, তাও চেষ্টা তো করি! :-)
     
    "কিন্তু ব্যক্তিগত অজ্ঞানতাকে অ্যাকসেপ্ট করার এই ইনএবিলিটি, নিজের কাছে নিজের সম্পর্কে লালিত ধারণাটির ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা আমাদের দিয়ে কত কিছু লিখিয়ে নেয়"
     
    শুধুমাত্র আপনার এই লাইনটার জন্যই ভাবলাম কিছু লিখি। নিজের লিমিট জানা, বা জানার চেষ্টা করা, এর থেকে বেশী গুরুত্বপূর্ণ বোধায় আর কিছু নেই। ধরুন আমার ক্ষেত্রে, আমি স্পাই থ্রিলার আর সায়েন্স ফিকশান নিয়ে একগাদা বকবক করতে পারি। কিন্তু ঋত্বিক ​​​​​​​ঘটক ​​​​​​​আমার ​​​​​​​কাছে ​​​​​​​একজন ​​​​​​​জিনিয়াস ​​​​​​​পরিচালক ​​​​​​​মনে ​​​​​​​হয়। ওনার সিনেমা নিয়ে কোন কিছু লেখার যোগ্যতাই আমার নেই, তো কি লিখব! তাও হয়তো মুখোমুখি বসে আড্ডা মারলে দুয়েকটা কথা বলা যায়, কিন্তু এরকম পাবলিক ফোরামে লেখার মতো যোগ্যতাই আমার নেই। (ঋত্বিক ​​​​​​​ঘটক ​​​​​​​শুধু ​​​​​​​না, ​​​​​​​এরকম ​​​​​​​আরো ​​​​​​​অনেকে আছেন, সেই বিখ্যাত দেরিদা নেরুদা কামুদা ​সহ, যাদের নিয়ে শুধু ব্যাক্তিগত আলোচনাই করতে পারি, তার বেশী কিছু না)। 
     
    এবার হলো গিয়ে "পিঞ্জরে বসিয়া শুক"। ​​​​​​​আপাতত ​​​​​​​পড়ার ​​​​​​​কোন ​​​​​​​চান্স ​​​​​​​নেই, ​​​​​​​কাজের ​​​​​​​চাপে ​​​​​​​চিঁড়েচ্যাপ্টা ​​​​​​​হয়ে ​​​​​​​আছি। ​​​​​​​দিনে ​​​​​​​আটচল্লিশ ​​​​​​​ঘন্টা ​​​​​​​পেলে ​​​​​​​ভালো ​​​​​​​হতো :-( ডিসেম্বরের ​​​​​​​শেষে ​​​​​​​ছুটি ​​​​​​​পাবো, ​​​​​​​তখন ​​​​​​​পড়বো।  
     
  • &/ | 151.14.***.*** | ১৫ নভেম্বর ২০২১ ০৯:৫০490381
  • ছোটোদের লেখাগুলো টইকে ভরিয়ে দিয়েছে খুশিতে। একটা যেন খোলা হাওয়া দক্ষিণের।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত