Clarification এর পোস্টটা ভারি ইন্টারেস্টিং মনে হয়েছিল, তাই চট করে উত্তর দিয়ে দি :-)
"এবার, মানুষের কমপ্রিহেনশন এবিলিটি তো পালটায়"
সম্পূর্ণ একমত। কতো কিছু ছোটবেলায় বা বড়োবেলায় পড়েছি, দেখেছি, বা শুনেছি, এখন সেগুলো রিভিজিট করলে অনেক সময়েই অন্যরকম মনে হয়। কখনো ভালো লাগে, কখনো সেরকম আর ভালো লাগে না, অনেক সময়েই নতুন কিছু খুঁজে পাই। কতোবার হয়েছে, মেয়ের সাথে আমার ভালো লাগা কোন ক্রিয়েটিভ কাজ আলোচনা করতে গেছি, মেয়ে কিছু বলেছে, তাতে আমিও নতুন করে ভেবেছি। লাইফ ইজ অ কনস্ট্যান্ট প্রসেস অফ লার্নিং।
"সাধারণত যে ধরণের লেখা পড়ার অভ্যাস, সেখান থেকে হঠাৎ বড় মাপের ডিপার্চার এলে উইথড্রয়াল সিনড্রোম আসে কিংবা সেখানে ফেলিওর থেকে রিট্যালিয়েশন টেনডেন্সি আসে"
আমার ক্ষেত্রে চেষ্টা করি এটা না করতে। আমি সবকিছুই পড়ি বা দেখি কোন এক্সপেকটেশান ছাড়া, আর চেষ্টা করি কোন কিছু নিয়েই জাজমেন্টাল না হতে। মানে ইন জেনারাল কোন কিছুতেই জাজমেন্টাল না হতে চেষ্টা করি। যদ্দুর মনে হয় বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হই, তাও চেষ্টা তো করি! :-)
"কিন্তু ব্যক্তিগত অজ্ঞানতাকে অ্যাকসেপ্ট করার এই ইনএবিলিটি, নিজের কাছে নিজের সম্পর্কে লালিত ধারণাটির ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা আমাদের দিয়ে কত কিছু লিখিয়ে নেয়"
শুধুমাত্র আপনার এই লাইনটার জন্যই ভাবলাম কিছু লিখি। নিজের লিমিট জানা, বা জানার চেষ্টা করা, এর থেকে বেশী গুরুত্বপূর্ণ বোধায় আর কিছু নেই। ধরুন আমার ক্ষেত্রে, আমি স্পাই থ্রিলার আর সায়েন্স ফিকশান নিয়ে একগাদা বকবক করতে পারি। কিন্তু ঋত্বিক ঘটক আমার কাছে একজন জিনিয়াস পরিচালক মনে হয়। ওনার সিনেমা নিয়ে কোন কিছু লেখার যোগ্যতাই আমার নেই, তো কি লিখব! তাও হয়তো মুখোমুখি বসে আড্ডা মারলে দুয়েকটা কথা বলা যায়, কিন্তু এরকম পাবলিক ফোরামে লেখার মতো যোগ্যতাই আমার নেই। (ঋত্বিক ঘটক শুধু না, এরকম আরো অনেকে আছেন, সেই বিখ্যাত দেরিদা নেরুদা কামুদা সহ, যাদের নিয়ে শুধু ব্যাক্তিগত আলোচনাই করতে পারি, তার বেশী কিছু না)।
এবার হলো গিয়ে "পিঞ্জরে বসিয়া শুক"। আপাতত পড়ার কোন চান্স নেই, কাজের চাপে চিঁড়েচ্যাপ্টা হয়ে আছি। দিনে আটচল্লিশ ঘন্টা পেলে ভালো হতো :-( ডিসেম্বরের শেষে ছুটি পাবো, তখন পড়বো।