"আমার শুধু সিপিএম ফেবু কলি-র ওপর বিরক্তি, বাকি সব সিপিএমকে আমি ভালোপাই।"
হুতো, সেতো পসন্দ আপনা আপনা। অসংখ্য লোক আছেন মনে করেন, সোশাল মেডিয়া তে বামপন্থীদের থাকা উচিত। ঠিক যে কারণে লোকে অলটারনেটিভ মেডিয়া শুরু করেছিল। এবং বড় শহরের ছেলে মেয়েরা আগে এসে সরব হবেন এটাই স্বাভাবিক। সচেতনতার, বামপন্থী কমপ্যাসন ইত্যাদির মান বাড়লে ভালো হত গোছের কথা বলাই যায়, আমি ই বলি, তবে ঐ আর কি বাকিদের ঐতিহাসিক ভুল নিয়ে তেমন চর্চা নেই, সব ই অনৈতিহাসিক ঠিক :--)))))
গুরুচন্ডালির আকাশে থুতু ছোঁড়ায় দক্ষ প্যান্টুলুন ঢিলে নেড়ু খোকনের প্যাথোলজিকাল সিপিএম ঘৃণা সর্বজন বিদিত। পেশার বাইরে আত্মজীবনীর আত্মরতি ছাড়া আর কিছুতে তাঁর কলম চলে নি এখনো, মুরোদ আছে কিনা প্রমাণ কিসু নাই। তাঁর মতামত কে রজনীকান্তের ফাইটিং সীন হিসেবে দেখাই ভালো :-) তাঁর ফ্যানেরা রয়েচেন, তালি দিবেন, অবসরে বড় রিটেল স্টোরের ক্যাটালোগের ন্যায় তাঁর লেখা লাইট রিডিং করবেন:-)
আম জনতা, হ্যাঁ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরাট নেত্রী কোন সন্দেহ নেই। এবং সেটা মানুষ বার বার জানিয়েছেন। ভোটে। অতএব তাঁর রাজনৈতিক কৃতিত্ত্ব প্রশ্নাতীত। আমি সিপিএম সমর্থক কিন্তু আমার মতামত হল, যে কৃষি সংকট ও জবলেস গ্রোথ এর সংকটের সময়ে তাঁর উত্থান তার কোনোটাই তাঁর সৃষ্টি না। খোকনদের মত থুতু না ছুঁড়ে এসব আমি মতামত আমি পাবলিশ ও করেছি। নিজের মত করে বিতর্কে অংশগ্রহণ করেছি।
যাই হোক, এর কিছু আংশিক ও স্থানীয় সমাধান তিনি রিজেক্ট করেছেন মাত্র, এবং ২০১৪ র কৃষির কমারশিয়ালাইজেশনের বিল দিয়ে করে চলেছেন, যেটা কিনা তাঁর একান্ত বাজপেয়িজীর ২০০৩ মডেল আইনের নির্দেশিত পথে তৈরী।
শিল্পায়ন থামিয়ে , রাষ্ট্র্যায়ত্ত্ব শিল্প গড়ে তোলার বিকল্প না করে, অপরিকল্পিত নগরায়ন করার, কর্মের ক্যাজুয়ালাইজেশন করার কৃতিত্ত্ব ও তাঁর। রাষ্ট্রের কাছে মানুষ কি চাইতে পারেন, তার মাপ সময়ের সাথে সাথে কমানোর দায়িত্ত্বও তাঁর। এটা ব্যক্তিগত কোন অপরাধ না। দেশের মানুষের ট্যাক্সের টাকা কে কিচেন ক্যাবিনেট হিস্বে চালানোর পদ্ধতিকে, তিনি একা জনপ্রিয় করেন নি। তাঁর সমসাময়িক অনেকেই করেছেন। তিনি একা ডিরেক্ট ক্যাশ ট্রান্সফার কে শিক্ষা , স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান বিষয়ে প্রভূত বিনিয়োগের কম্প্লিমেন্টারি ব্যবস্থা থেকে প্রধান ব্যবস্থায় উন্নীত করেন নি। তিনি একটা সময়ের প্রতিনিধিত্ব মূলক নেত্রী।
তাঁর রাজনীতিতে একটা প্র্যাগমাটিক ট্রান্সাকশনাল নেচার রয়েছে। ধরুন আবাপ অনেক কষ্ট করে লিখলো, সিপিএম মমতার বিরোধিতা করিতে গিয়া বিজেপির বিপদ ভুলিয়াছে আবার পরের বাক্যেই লিখলো, স্থানীয় দৈনন্দিন মানুষের কষ্টের পাশে তো আলিমুদ্দিন কে থাকতেই হবে, শুধু দিল্লীর বিপদ দেখালে তো হবে না, সংগে অন্য পাতায় লিখে দিল, পশ্চিমবংগ আজ সংখ্যা লঘু সন্ত্রাসবাদের কারখানা, আমাদের বামেরা কবে শিখিবেন ইত্যাদি। এইটেই সাংবাদিকতার জনপ্রিয় রীতি। বামেরা জতক্ষণে শিখিতেছেন, ততক্ষণে মসজিত কর্মী আর পুরোহিত ভাতা দুটৈ চালু করে দিলেন আম জনতার নেত্রী। এবার এতে সেকুলারিজম নামক রোগা শিশুটির পেট খারাপ বাড়লো কিনা যাদের বলার কথা , তাঁরা লিখলেন মানুষের মন বুঝিয়াছেন শশব্যস্ত আমজনতার দিদি। তো ইত্যাদি।
আমার এতে আপত্তি নেই। প্রোপাগান্ডা এভাবেই চলে। শুধু এটাকে সাংবাদিকতা ধরে নিয়ে এম্ব্যারাস হবার কিছু নেই, এসব ই পুরোনো বন্ধু হুতো কে বলছিলাম।
তবে কংগ্রেস ঘরানার সত্তর দশকের আগে , বাম ঘরানা র আর কোনো নেতাকে প্রথম থেকেই, বাংলার প্যাথোলোজিকাল বামবিরোধী মেডিয়ার অকুন্ঠ সমর্থন সাহায্য করে নি। এটাই ঐতিহ্য।
শতরূপ কে যাঁদের তীব্র অপসন্দ, তাঁরা হরকিশেন, নাম্বোদিরিপাদ, জ্যোতিবাবু বুদ্ধ বাবু, অনিল বিশ্বাসের জন্য প্রাণ দিয়েছেন এরকম কোন খবর নেই। এর বদলে সে ইত্যাদি টা বাছার আনন্দ আছে। বাছুন।