এরা মনে হয় ইন্টারন্যাশনাল ডলার প্রাইসিং সোজা টাকায় কনভার্ট করে মেনু বানায়। বড্ডো বেশি ওভারপ্রাইসড।
কোলকাতায় একটা চেইন অফ কাফে আছে, কাফে কফি ডে। সেল্ফ সারভিস। সম্ভবত সারা ভারতেই এটা আছে। খুবই ফালতু কোয়ালিটি। অনেক সময় বাধ্য হয়ে গেছি সেখানে। চায়ের দাম অনেক বেশি, কোয়ালিটিও বাজে। তবু লোকে বসছে কিনছে খাচ্ছে। বরং একবার ফুটপাথের দোকানের চা এত ভাল লেগেছিল যে পরপর চার পাঁচ কাপ করে খেয়েছিলাম।
ফ্লুরিজে দাম বেশি কিন্তু ভাল চা। তবে কেক পেস্ট্রির কোয়ালিটি আগের মত নেই। পরিবেশও বদলে গেছে।
সে ঠিকই বলেছেন।
তারপরে ধরুন, কলেজ স্ট্রীটে - কফি হাউস - মানে সেই মান্না দে-র কফি হাউস - সেটা এখন ২৫ থেকে ৪০ টাকা - খেয়াল রাখবেন ২৫ টাকার কাপটা কিন্তু খুব ছোট্ট, তিন চুমুকে সাবড়ে দেয় অনেকে
"তাজমহলে এক কাপ চা" বলে একটা গল্প ছিল না? আবছা মনে পড়ছে, এইরকম অদ্ভুত নামের জন্য। গল্পটার মধ্যে যে কী ছিল তার কিছুই মনে পড়ছে না, কিন্তু নামটা ওরকম অদ্ভুত ছিল।
অভ্যু আর অ্যান্ডর এর জন্য - কলকাতা পার্ক স্ট্রিটের স্টারবাকস এ - মেনু - দামের খানিক আন্দাজ পাওয়া যাবে
ও তো পরিস্কার লিখেছে দু কাপ চা খেয়েছে ৯৫ টাকা দিয়ে।
বেশ সস্তাই তো লাগল। অন্যান্য কাফে তে বসে চা খেলে দাম অনেক বেশি। ফুটপাথের চায়ের দোকানে অনেক সস্তা।
নাকি চা? দু'কাপ চা? চায়ের অবশ্য নানা কিসিম হয়। খুব দামী চা ও আছে।
এইগুলো কীরকম কফি? খুব স্পেশাল কিছু? নাকি দোকানের জন্য এত দাম?
দু কাপ কফি ৯৫ টাকা সস্তা? এক্কাপ কফির দাম পঞ্চাশ টাকা মতো? ওদিকে নকুড়ের একটা সন্দেশের দাম তো কুড়ি টাকার বেশি না।
কেসি, কেমন আছো?
কেসি অকারনে আত্মসমালোচনা করচেন। ইদিকে বোধিবাউ বলেচেন উহাই সিপিএমের পতনের কারন।
তা ন য়। সমস্যা টা অনেক রকম। আমি এবারে BBA দের Inferential Statistics
পড়িয়েছি। R এ সেসব জিনিস শেখাতে হবে। এদিকে 6 টা ছেলেমেয়ে দের মধ্যে তিন জনের ল্যাপটপ নেই। ওদের কোর্স কো-অর্ডিনেটার কে বললাম। উনি বললেন এই অবস্থা য় ল্যাপটপ ও কিনতে বলতে পারছি। বাইরে গিয়ে প্যাকটিস করবে। কোভিড চলাকালীন তাও বলতে পারছি না।
ইকোপার্ক বন্ধ। আমরা দাড়োয়ানকে ভুজুং ভাজুং দিয়ে একটু ঘুরে নিলাম। বললো বেশী দূর যাবেন না। তারপরে নকল আইফেল টাওয়ারের তলায় " অজান্তে কাফে " তে বসে চা খেলাম। বেশ সস্তা দু কাপ। 95 টাকা।
তারপরে মিষ্টি হাবে ঢুকে প্রচুর মিষ্টি সাটালুম। ফেসবুক পশ্য।
অনলাইন পড়াশোনা, আঁখো দেখি,
লকডাউনে অনলাইন হয়ে গেল পড়াশোনা। আমাদের ডোমেস্টিক হেল্প বললেন ভালো স্মার্ট ফোন কিনতে হবে। পত্নিদেবী বললেন কোনও দরকার নেই, আমাদের বাড়িতে এসে যেন ক্লাস করে!
স্বাভাবিকভাবেই ছাত্রী ও তাঁর মা'র পছন্দ হয়না এই ব্যবস্থা। সেশমেশ বাড়িতে পড়ে থাকা একটি অ্যান্ড্রয়েডে সমাপ্তি হয়। আট মাস পরে ফেবু আর হোয়ার কল্যাণে ছাত্রী পালিয়ে যায়, বিয়ে করে ঘরে জানান দেয়। ছাত্রীর মা ফোন পুকুরে ছুঁড়ে ফেলেন।
এখন আবার একটা স্মার্ট ফোন লাগবে।
ড্রপ আউট বহুত বেড়ে গেছে এবার।
সিপিএমেও।
* বা নিজেদের মধ্যেও আলোচনা না করতে পারে
দূদ্দুর এই অনলাইন ক্লাস - আমেরিকায় R1 ইউনিভার্সিটিতেই যা দেখছি - এক বছরে পড়াশুনোর মান গোল্লায় গেছে। গত সামারে ছানাগুলো অন অ্যান অ্যাভারেজ অনেক সিরিয়াস ছিল, এই সামারে সেই একই ক্লাস পড়াতে গিয়ে যা অভিজ্ঞতা হল তার আর কথা নেই। এমনকি এরকমও বলল যে ইন ক্লাস পরীক্ষা অনেকদিন পরে দিচ্ছে বলে অসুবিধে হচ্ছে। ওপেন নোট ওপেন বুক পরীক্ষাই দিয়েছিলাম, শুধু ক্লাসে এসে পরীক্ষা দিতে হবে যাতে মা বাবার বন্ধু এক্সপার্টরা উত্তর লিখে দিতে না পারে। শুধু এই টুকুই।
ইন্টারেস্টিং
এটা ওভারঅল, ব্রডব্যান্ড মোবাইল সব মিলিয়ে। এখানে আরও লিখেছে -
এটা কি ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট এর হিসেব না মোবাইল ইন্টারনেট ? কম্পিউটার এর কথা আসছে, তাই জিজ্ঞেস করলাম
বেসিক ব্যাপারগুলো -
বি, আগে বলা হয়নি, সেন্ট জেভিয়ার্সে হকির গৌরবময় অতীত নিয়ে লেখাটা খুবই ভাল লেগেছে
এর মধ্যেই লে কারে-র নভেল পড়ছিলুম । প্রচন্ড সমাপতন .
এককের কথার রেশ ধরে আমি বলবো স্কুল খুলে গেলেও ক্লাস গুলি ডিজিটালি রেকর্ড করা হবে ও স্কুলের ইয়ু টিউব চ্যানেলে আপলোড করা হবে নিয়মিত, বা লাইভ স্ট্রিম ও করা যেতে পারে। তাতে, যারা আস্তে পারলো না তারা বাড়ি বসেই দেখে নিতে পারলো, ক্লাস মিস যাবে না। আর নোটস স্ক্যান করে, পিডিফ করে কোনো পোর্টালে বা ড্রাইভে আপলোড করে দিলেই হবে। স্লো নেট হলেও সময় মতো ডাউনলোড করে দেখে নিলেই হলো।
হ্যাঁ এরপরও অনেকে প্রশ্ন তুলবেন। 100% বাচ্চার তো মোবাইল নেই, তবে ? দেখুন কি করা যাবে, সব ব্যবস্থা 100% এফিশিয়েন্ট তো হয় না। আর 12 এ তো সরকার এখন মোবাইল কেনার টাকা দিচ্ছে যদ্দুর জানি। আর প্রচুর গরিব ছেলেকে দেখি মোবাইলে পাবজি খেলতে, বেশ গরিব তারা। তো তার থেকে অনুমান করতে পারি মোটামুটি 60-70% এর হয়তো স্মার্টফোন একসেস আছে। হয়তো।
চুমু কি মানুষ যাবে ভুলে বছর কয়েক পর?
এদিকে আমি একটা বিবিসি ভিডিও দেখে চিন্তায় পড়ে গেলাম। ভিডিওটায় বলছে, আমাদের ঠোঁট সেনসিটিভ জায়গা, কিন্তু ঠোঁটই হলো একমাত্র সেনসিটিভ জায়গা যা সাধারনত অনাবৃত থাকে। একজন গম্ভীর দেখতে প্রফেসর বললেন উনি রিসার্চ করে দেখেছেন, যারা যতো বেশী পোষাক পরে তারা ততো বেশী চুমু খায় আর যারা যতো কম পোষাক পরে তারা ততো কম চুমু খায়। প্রমান হিসেবে হাজির করলেন এস্কিমোদের, তারা নাকি খুব চুমু খায় (বেদুইনদের কথা কিছু বলেন নি)। তো এই অবধি দেখে আমার চিন্তা হলো এই করোনার জ্বালায় সবাই তো মাস্ক পরে ঘুরছে, তাহলে কি মানুষ কয়েক বছর পর চুমু খেতে ভুলে যাবে?
জমে গেছে।
ভাড়ায় মাল নেবেন ধুলো কী!! কিনলেও চাপ নেই, বেস্ট ক্লাসগুলো সংরক্ষণ রাখা জরুরি। তাহলে আর " আমাদের রতনবাবু স্কুল ছেড়ে যাওয়ার পর থেকে ছেলেরা ইতিহাসে কাঁচা হয়ে গেচে" টাইপ হাহুতাশ কত্তে হয় না।
আরে ফাঁকা কি ফাঁকা থাকবে নাকি, ডায়াগ্রাম ছবিতে দেয়াল ভরে যাবে। পয়সা ঢাললে হলোগ্রাফ আসবে। ছাত্র তাকিয়ে টিচারকে দেখবে, আর নীচে ভারচুয়াল বন্ধুদের মুখ। পুরো টা মার্জ করে ফাঁকা ক্লাসরুম মনে হবে না। এখানে ফাঁকা বেঞ্চির ক্লোজ আপ তুলে ব্যাকগ্রাউন্ড এ প্যাথজ বাজান হচ্চে না। একটা ভারচুয়াল উইন্ডো তে পরিচিত ক্লাস্রুমের ফীলিং - ব্ল্যাকবোর্ড আর সাম্নের লেয়ারে ভাসমান বন্ধুদের মুখ। আর কী চাই!
এভিডেন্স মেলানোর কিচু বেসিক ব্যাপার থাকে। লালতিমির এভিডেন্স লালতিমি হয়না - নিলতিমিকে ম্যাপ করে লালের রিক্স এনালিসিস করে এগতে হয়। দ্যাটস হাউ ইউ ইন্ট্রডিউস নিউ থিংস। টিচিং স্টুদিও অল্রেডি আচে প্রচুর যা যা ফেসিলিটি বল্লুম তাই নিয়ে। অনলাইন এডুকেশন কোম্পানিগুলো চালায়। এবার স্কুলের ক্লাস্রুম কে টিচিং স্টুদিও তে কনভার্ট করার প্রস এন্ড কন্স নিয়ে কথা চলতে পারে। এই আরকি।
নিশ্চই। এই লিস্টের শেষ নেই তো।সরকার কেন রাস্তায় সারায় না। অলিম্পিক ট্রেনিংএ কেন পয়সা ঢালছে না। পরিশ্রুত পানীয় জল আর পায়খানা? তুলোর দাম? চাষের জল।
ডেভিলস অ্যাডভোকেট হতে হবে তো কাউকে, স্কুল খুলে গেলে, এই ক্লাউড, এই সার্ভার আশা করি তালা চাবি বন্ধ হয়ে ধুলো জমাবে না?
ইনফ্যাক্ট সরকারি স্কুলেই বেশি দরকার, আর সম্ভব তো বটেই। সরকারের কি টাকা কম নাকি।
হয়নি, হচ্ছে না - সেসব সত্যি। কিন্তু হওয়া সম্ভব সেটাও খুবই সত্যি।
ফাঁকা ক্লাস/ ক্লাসের ছবি - এটা বোধয় পাওয়া যাবে। অন্যান্য দেশে করছে এরকম, কোন স্টাডিপত্র থাকবে হয়তো।