কৃশ, কেষ্টা, কেষ্টো, খিষ্ট
ক্যাপ্টেন নিমো ও ক্রু, অনেক অভিনন্দন!
নীরজের খবরটাও দারুন!
অভ্যুকে,
কৃশ, ক্রিশ, ক্রিস, এসব নামের লোকেরা সবসময়েই এক্সেপশনাল হয়। ওটা নামের গুণ ;-)
সুকি কে এবং পাবলিশ করতে যারা সাহায্য করেছেন - অনেক অনেক অভিনন্দন। বেস্ট সেলার হোক এটা।
এটার ই-বুক পাওয়া যাবেনা ?
এটা অরণ্যদেব না , ট্রাম্প এর মেয়ে নির্ঘাত
অরণ্যদেবটাও খুব খারাপ হয়ে গেছে, অরণ্যদেবের মেয়ে লিখছে হিমালয়ের চারপাশে তিব্বত, ভুটান, নেপাল, পাকিস্তান, আর ভারত - কিন্তু ভারতকে নাকি ম্যাপে প্রায় দেখাই যায় না :(
তাছাড়া এই চাষীবাড়ির ছেলে ফার্মার্স প্রোটেস্টে অংশ নিয়েছিলেন না??
ভাটে সাঁকো নাড়িয়ে লাভ নেই @অভ্যু
আর এইটা খেয়াল করেছেন, উনিজির আমলেই ভারতের সর্বকালের সেরা অলিম্পিক পারফর্ম্যান্স? জয় মাতাজী।
**সোনাটা
**বলেছিল
খুব ভালো খবর। তবে এতে করে হকির, বিশেষতঃ মেয়েদের হকির, যেখানে আবার নাকি দলিত মেয়েদের রমরমা, তাদের থেকে অ্যাটেনশনটা না চলে যায়। আর সোনটা তো ABP আনন্দের খবরের জের। কালকেই বলিছিল কি করে ছুঁড়তে হবে, তবেই না?
https://epaper.anandabazar.com/imageview_57554_6391643_4_71_07-08-2021_18_i_1_sf.html
দারুন খবর!
চলে এল নিমো!
মালি।
পুনিয়া আর নীরজের কথাই লিখছিলাম।সে পোস্ট কচ্ছপ ছাপ নেট খেয়ে নিল। তখন অবশ্য জানতাম না, সোনা কনফার্মড! লিখছিলাম, সোনা আসুক না আসুক, এতো দেশের নতুন ক্রেজ হয়ে যাবে। এর দ্বিতীয় থ্রো এর ভিডিও ভাইরাল হল বলে!
ঘরে সোনা ঢুকলো।সোনার ছেলে নীরজ! জিতে রহো বাচচে!
স্বাবলম্বী দরজা ঃঃD
ডিসি, হয়ে যাক গল্পটা!
হুতো, এটা? না, এটা বারান্দার। এর উলটোদিকের দরজা, করিডরের। জাল আর নন-জাল কম্বিনেশন দুদিকে একই! ওদিকে, একটু আগে গিয়ে দেখি দরজার ছিটকিনি খোলা। অথচ সকালে স্পষ্ট দেখেছিলাম বন্ধ!
দেখুন ওরকম একটা ভূতের গল্প আমিও জানি। এক প্রখ্যাত (না কি কুখ্যাত ) বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি জনবিরল গেট থেকে হস্টেলে ফিরছি(ঐ রাস্তাটায় আবার ভূত দেখা যেত )। বৃষ্টি হয়েছে, ঠান্ডা। রাস্তার দুধারে ফগ। একটি জনপ্রাণী নেই। পা ফেলছি, ঠিক একটা নির্দিষ্ট টাইম ল্যাপ্সে অন্য কারুর একটা পায়ের আওয়াজ শুনছি। আমি তাড়াতাড়ি চললে সেই আওয়াজ তাড়াতাড়ি হাঁটে, আস্তে চললে আস্তে। বাপস।
একটা বারান্দার দরজার ছবি দেখেছিলাম যার দুপাশে দেওয়াল নেই কিন্তু মাঝে একটা স্বাবলম্বী দরজা আছে, সেইটা? বটা কি নৈনিতালের ড্যানসি না বংশী কি যেন - ওইরকম?
পেয়ারা নিয়ে অন্য গল্প, সে আরেকদিন বলবো। আসলে কমপ্লেন এসেছিলো "গুড" কনডাক্ট নিয়ে, তবে আমার বৌও টিচার, তাই সেটা পেয়ারার দিকে ঘুরিয়ে দিয়েছে।
পেয়ারা নিয়ে একই প্রশ্ন আমারো!
সকলের অবগত্যার্থে। অবশেষে সকালে উঠে সরেজমিনে তদন্ত করার শক্তি ও সাহস সঞ্চয় করতে পারলাম। প্রাথমিক তদন্ত শেষে সন্দেহের বেশিরভাগ তীর দরজাভূত নয়, হাওয়ার দিকে ছুটছে।
বেশিরভাগ কেন, সব নয়, তাও বলি।
এই দরজায় ছিটকিনি আটকানো, আর বাইরে থেকে ধাক্কা দিয়েও তাকে বিশেষ নাড়ানো যাবে মনে হলনা, কিন্তু আমার থেকে তো হাওয়ার গায়ের জোর বেশি হতেই পারে, সেই ডিস্কাউন্টটা দিয়ে সন্দেহের বেনিফিট দিচ্ছি আরকি। এছাড়াও ওই দরজার বাইরে আরেকটা দরজা আছে, আধা জালের, সেটার ভূমিকাও স্পষ্ট নয়। অদ্ভুত ব্যাপার হল, প্রায় পাশেই আরেকটা দরজা আছে, তাতে আবার ছিটকিনিও লাগানো ছিল না। আমি সেটা দিয়েই যাতায়াত করি, তো ঘরে ঢুকে ছিটকনি আর লাগাই না, আবার খুলতে হবে বলে। আমি সচরাচর এধরণের পুনরাবৃত্তির কাজ এড়িয়ে সময় বাঁচানোর চেষ্টা করে থাকি। জামাকাপড়ও এই কারণেই ভঁাজ করিনা, কম্পিউটার কখনো বন্ধ করিনা, যে ওয়েবসাইট, ফাইলপত্তর আবার দেখতে হবে, তাদেরকেও।
এক পর্যায়ে হোস্টেলে থাকতে মশারিও খুলতাম না এই কারণেই, এমনকি পরীক্ষার সময়ে যা পরে পরেরদিন পরীক্ষা দিতে যাব,সেটা আগেরদিন ( শীতে আরো ক'দিন আগে থেকে, বলাই বাহুল্য) চানের সময় থেকেই পরে থাকতাম, কিন্তু মায়ের কড়া হস্তক্ষেপে এগুলো বেশিদিন চালাতে পারিনি।
যাহোক, যা বলছিলাম, ওই ছিটকিনি না লাগানো দরজায় হাওয়া কেন কড়া নাড়ল না, এও আশ্চর্যের।
কিন্তু এখানে ঘরের কাজ করতে আসা দীপা, তাঞ্জিমদের কাছে শুনলুম, কাল রাতে খুব বটা দিয়েছে। বটার সঙ্গে বাত এর ধ্বনিসাযুজ্য আর হাত মুখের এক্সপ্রেশন মিলিতে বটা মানে হাওয়া ধরে নিয়েই আপাতত তাকে দোষী সাব্যস্ত করা গেল।
আজ রাতে দেখি।
আচ্ছা পেয়ারা ভালো লাগে তো প্রবলেম কি ? বাড়িতে ফোন করার কি আছে ? ক্লাসের মাঝে ডিস্টার্ব করেছে এই কারণে ?
আরো শুনি একটু কৃশের গল্প।
একেবারে "কুকুর বেড়াল" বৃষ্টি হচ্ছে এখানে। একহাত অন্তর অন্তর বাজ পড়ছে
কৃশের গল্প লিখে শেষ করা যাবেনা :-) আপাতত আনন্দ শংকরের স্নো ফ্লাওয়ার শুনুন, আমি কাজ করি গিয়ে।
বাহ এই কৃশ তো দারুণ ছেলে। এটা সেই বাচ্চাদের টইতে তুলে রাখা উচিত। পুরো লীলা মজুমদারের বইয়ের গল্প।
অভ্যুর লাকি লুক পোস্ট দেখে মনে হলো এটা লিখি।
আমাদের বাড়ি দুজন পড়তে আসে, একজন কৃশ, আরেকজন শালু। প্রথমজন ক্লাস থ্রিতে পড়ে আর মহা পাজি, দ্বিতীয়জন ক্লাস ফাইভে পড়ে আর খুব শান্তশিষ্ট। নেপালি, কিন্তু আধার, রেশান কার্ড ইত্যাদি আছে। এবছর দুজনেই ইস্কুলে ভর্তি হয়ে গেছে, অনলাইন ক্লাস করছে।
একদিন আমার পড়শীর সাথে দেখা, তিনি একটু ইতস্তত করে বললেন, আপনার বাড়ির বাথরুম থেকে কে যেন রোজ আমার গাড়িতে জল স্প্রে করে। আমরা দুজনেই খানিক অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকলাম - আমার মেয়ে ক্লাস টেনে পড়ে বটে, তবে সে তো অন্য লেভেলের বদমাইসি করে বেড়ায়! শেষে আমার স্ত্রী রহস্য ভেদ করলো। কৃশবাবু বাথরুমে যান, প্যানের সিট নামিয়ে তার ওপর চড়ে পাইপে করে পাশের বাড়ির পাঁচিলের ওপারে জল ছেটান।
আরেকদিন আমার স্ত্রীকে ওদের স্কুল থেকে ফোন করেছে। একদিন নাকি ক্লাস টিচার অনলাইন হতে দেরি করেছে, তখন কৃশ বাকি সব বাচ্চাকে নানান মুখভঙ্গী দেখিয়েছে, তারাই বা ছাড়বে কেন, টিচার অনলাইন হয়ে দেখেন সব কটা বাচ্চা মিলে প্রাণপনে মুখভঙ্গি করে চলেছে।
কদিন আগে কৃশ নাকি ক্লাসের মধ্যে হঠাত বলে উঠেছে আমার পেয়ারা খেতে খুব ভাল্লাগে, আমাকে মা রোজ পেয়ারা কিনে দেয়, তোমরা কে কে পেয়ারা খাও? আবার আমার স্ত্রীকে ফোন (ওরা ভর্তি হওয়ার সময়ে স্ত্রীকে মুচলেকা দিতে হয়েছিল), স্ত্রী অবশ্য বলে দিয়েছে পেয়ারা খেতে ভালো লাগে বলেছে তো কি হয়েছে, আমরাও তো খাই, নর্থ ইন্ডিয়ায় সবাই খায়। সেই শুনে ক্লাস টিচার আর কিছু বলেন নি।
এই হলো কৃশের গল্প।
কারো রান্নাঘর ধরুন ঘুপচি চারতলার চিলেকোঠায়, ঘোর গ্রীষ্মকালে তার মনোকষ্ট শুনে কেউ তাকে রান্না করতে বললো, তখন কী হবে ভাবছি।
হ্যাঁ, দরজার ব্যাপারটা জানা দরকার।
স্যানের দরজার পরে এই পাইয়ের দরজা। ঠিক আছে কিনা জানা দরকার।