"ওই এলাকায় বিজেপির জোর বেশি। কিন্ত এই গ্রাম মাইনরিিটি অধ্যুষিত। শিিক্ষে পেেল।"
হ্যাঁ এইটাই বলছিলাম। একদম ঝাড়া বাছাই করে জায়্গামতনই গুলি চালানো হয়েছে। পরিকল্পিত।
গালাগালি করলেই পিসীকে ধোয়া তুলসী পাতা বলে মেনে নেব এমন নয়। নন্দীগ্রাম নিয়েও এরকম মাস হিস্টিরিয়া, গালাগালি অনেক দেখেছি।
ঠিকঠাক তদন্ত হোক। সূর্য্যবাবু যেটা চেয়েছেন।
"কেন্দ্রীয় বাহিনির হাতে খুনের দ্ব্যর্থহীন ভাষায় নিন্দার আগে উস্কানি দিয়ে ভিক্টিম ব্লেমিংএর প্রাচীন পদ্ধতিও খুব সমস্যা।"
আবারও ভুল বক্তব্য। যিনি উস্কানি দিলেন, তিনি তো মোটেও ভিক্টিম নন এখানে।
এই ত্তো! পিটি পলিটিশিয়ান এদের মুখোশ খুলে গেছে, একদম সোজাসুজি কেন্দ্রীয় সরকার তথা বিজেপির ডিফেন্সে বক্তব্য রাখছেন। ভালো লাগছে, এরকম সোজাসুজিই ভালো।
এটা কে বলেছে?
তবে যা গোলমাল চলছে তাতে সত্যিই সাধারণ মানুষ কেন ভোট দিতে বুথে যাবেন, বলতে পারেন?
RR
"ক্রুদ্ধ বেলাগাম ভীড় সামলাতে বা ছত্রভঙ্গ করতে গুলি চালাতে হলে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর আছে তো।"
নন্দীগ্রামের সিবিআই রিপোর্টটা পড়েছেন মনে হচ্ছে। এমন বক্তব্য তো এতদিন আপনার লেখনিতে শোভিত হয়নি।
কেন্দ্রীয় বাহিনির হাতে খুনের দ্ব্যর্থহীন ভাষায় নিন্দার আগে উস্কানি দিয়ে ভিক্টিম ব্লেমিংএর প্রাচীন পদ্ধতিও খুব সমস্যা।
আর এই মহিলাদের সামনে এগিয়ে দেওয়া, প্রগতিশীল রাজনীতিজ্ঞদের মুখে শুনলে আমার বিবিধ প্রতিক্রিয়া হয়। মাতঙ্গিনী হাজরাকে কে যে এগিয়ে দিয়েছিল, তাকে পেলে ইংরেজরা আচ্ছা করে বকে দিত সন্দেহ নেই।
টি ঠিক বলেছেন।
পিটি একটু ভাবুন। এখানে ব্রাউনি পয়েন্ট স্কোর করার চেয়ে অনেক বড় ইস্যু জড়িত।
ওই এলাকায় বিজেপির জোর বেশি। কিন্ত এই গ্রাম মাইনরিিটি অধ্যুষিত। শিিক্ষে পেেল।
এক দুপয়সার ফিল্মমেকার দেখলাম লিখেছেন, কী ক্যালাকেলি চলছে। চপ মুড়ি কোল্ডড্রিংক নিয়ে বসলে নেটফ্লিক্স ফেল পুরো।
এইই তো অবস্থা।
হুতোবাবু ফলস ইকুইভ্যালেন্স দিলেন যদিও।
খুব খারাপ সময় আসছে। বাঙালিকে এক হতে হবে গুপকার মডেলে।
জ্জিও পিটি! হেব্বি দিয়েছ গুরু!
সিআরপিএফ না, জঙ্গলের মধ্যে থেকে মমতার গুন্ডারা গুলি চালিয়েছে, সামনে মেয়েদের আর বাচ্চাদের এনে দিয়েছে, যদিও মারা গেছে মুসলিম পুরুষ।
তোমার গুরু জবাব নেই। চালিয়ে যাও। জ্জিও পিটি, জ্জিও বিজেপি।
"শনিবারের ঘটনায় তোলপাড় গোটা রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘উস্কানি’তেই গোটা ঘটনা ঘটেছে বলে বিজেপি অভিযোগ করেছে। কিন্তু সুষ্ঠু নির্বাচন করানোর ভার যাদের হাতে, তাদের গুলিতেই ভোটারদের মৃত্যুর তীব্র সমালোচনা করেছে তৃণমূল, সিপিএম, কংগ্রেস-সহ প্রায় সব রাজনৈতিক দল।"
কোন ' বর্বর ' দল justify করল বলুন তো?
এই হল সমস্যা।
যা বলা হয়নি সেগুলো জোর করে অন্যের মুখে বসিয়ে দেওয়ার খেলা তো সেই রিজানুরের সময় থেকেই চালু হয়েছে।
ক্রুদ্ধ বেলাগাম ভীড় সামলাতে বা ছত্রভঙ্গ করতে গুলি চালাতে হলে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর আছে তো। প্রথমে হাওয়়াই ফায়ার, তারপরে কোমরের নীচে। আটজনের গুলি লেগেছে চারজন মারা গেল। পুুুরো খুন।
প্রথমেই সিআরপির বড়কত্তা বলে দিলেন আমাদের বাহিনী ওখানে ছিল না। এখন আত্মরক্ষার ধুয়ো। বিজেপির কেউ এতটুকু দু:খ প্রকাশ করেন নি।
'উস্কানি' দিলেই খুন করা যায়?
এমনভাবে খুনির জন্যে জাস্টিফিকেশন দেওয়া যায়? এমন নির্লজ্জভাবে নিজের এজেন্ডার জন্যে খুনিদের জন্যে দালালি করা যায়?
সত্যি আমরা বর্বর। কদিন আগেই আমেরিকায় জর্জ ফ্লয়েডের হত্যায় তার রেজিস্ট্যান্সকে উস্কানি বলে চালানোর চেষ্টা করেছিল একদল বর্বর, তাদের মানুষ বর্জন করেছে। আমরাও করতে পারবো আশা করি।
তবে ওই আরকি, এসব দালালি যেসব দিক থেকে আসছে সেগুলো খুবই প্রত্যাশিত।
ভোটের বাজারে এভাবে লোক ক্ষ্যাপানো যায়? বাবু এসব বললে পারিষদ দল শতগুণ করতে বলে নি তো? সেই নন্দীগ্রামের ধাঁচে মহিলাদের সামনে এগিয়ে দেওয়ার খেলা এখানেও?
"“If the Central Reserve Police Force (CRPF) acts smart, gherao them. One group gheraos them, the other group goes and casts their vote. Don’t waste your vote,” Mamata Banerjee told women voters at the rally.
হ্যাঁ, স্পষ্টভাবেই মাইনরিটি ভোট কমানোর উদ্দেশ্যেই এই গুলি চালানো হয়েছে। সারা রাজ্য ধরে গোলমাল হচ্ছে, সেখানে কিছুই করে উঠতে পারছি না। প্রার্থীদের উপর হামলা হচ্ছে, সেখানে তারা নীরব দর্শক। অথচ একদম জায়্গামতন গুলি চালানো হল।
যাঁরা এর মধ্যে পিসিকে দেখতে পাচ্ছেন তাঁদের বলি কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে সিপিয়েম সমর্থক বাপি ধরও খুন হন।
এটা পরিস্কার ছাগলামো। দুমদাম ট্রিগার হ্যাপি বাহিনীকে ডিপ্লয় করলে এইই হবে।
মোদির দালাল, খুনিদের দালালি করুন। খুনিরা খুনের দায় নিয়েছে, আপনি আপনার প্রজ্ঞার দোলনায় দোল খান।
ছিছি।
ধুর, এখানে পিসি কোত্থেকে আসে। যা খুশি বলে দিলেই হ'ল নাকি!। একটা বাচ্চা ছেলে লাইনে এসে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। গুজব রটে যে কেন্দ্রীয় বাহিনী পিটিয়েছে। গ্রামবাসীরা হামলা করে, পালটা এরা গুলি চালায়। এইরকমই তো জানা যাচ্ছে। যারা এইরকম ল এন্ড অর্ডার সিচ্যুয়েশন সামলাতে পারে না, তাদের দিয়েছে রাজার পার্ট।
সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় কিছু স্বীকার করেছিল হয়তো।
সেটিংয়ে অনেক কিছু হয়।
দেখুন, খুন কে করেছে আমি জানিনা। পিসী পলিটিক্যাল মাইলেজ পাওয়ার জন্য আগে খুন করে অন্যের নামে চালিয়েছে। এটাও যে তাই করেনি সেটা বলার মত কনফিডেন্স আমার ওনার ওপরে নেই।
আবার খুনী মোদীও খুনগুলো করে থাকতে পারে।
তৃণমূল সমর্থকদের হয়তো পিসীর ওপরে কনফিডেন্স আছে।
বাহিনি নিজে স্বীকার করেছে খুন তারা করেছে, এখানে প্রাজ্ঞ রাজনীতিক কেন্দ্রীয় সরকারের কলঙ্কমোচনে ব্যস্ত। এ মানে চমৎকার খোরাক।
খুন কে করেছে কে জানে। পিসী হয়তো নন্দীগ্রামের মডেলে চটি পুলিশ পাঠিয়েছিল। সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় মডেলে সেটিং করেছিল। মোটের ওপর এই লাশগুলো থেকে ওনারই তো লাভ।
রাষ্ট্রপুঞ্জের অধীনে ইলেকশন হলে মন্দ হয় না
কেন্দ্রীয় সরকারের বাহিনির করা খুনের নিন্দা করতে এত অসুবিধে হচ্ছে সেটা দেখা দু:খজনক হলেও অপ্রত্যাশিত না।
477056
সকালে যখন ভোট দিতে গেলাম তখন দেখলাম অন্তঃত পনেরো থেকে কুড়ি জন জওয়ান, প্রত্যেকের হাতেই খুনখারাপি বন্দুক। লাইনে দাঁড়িয়ে এইটাই ভাবছিলাম যে কোনো গোলমাল হলে লাঠি চার্জ যে করবে সে লাঠিই বা কোথায়। আরো যেটা অবাক লাগল যে আমাদের এরিয়ায় কস্মিনকালেও কোনো গন্ডগোল হতে দেখিনি ভোটের দিন, আগে বা পরে। গত তিরিশ বছরে অ্যাত বিধানসভা, লোকসভা এলো গ্যালো, কোনোদিনও না। সেখানে আজ হঠাৎ শুনলাম যে এটা নাকি স্পর্শকাতর বুথ। ল্লেহ হালুয়ে।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা গুলি চালিয়ে পালিয়ে গেছেন। তা পাঁঠারা, সেই পালাবিই যখন তো, গুলি চালালি ক্যানো। পুরো ঘটনাটার জন্য নিঃসন্দেহে কেন্দ্রীয় বাহিনীর অপদার্থতা এবং ইলেকশন কমিশন দায়ী। আর ইলেকশন কমিশন কাদের নির্দেশে চলছে তা সবাই জানে।
গনহত্যাকারী ছিপিয়েমের ছাপোটাররা বিজেপির গনহত্যা সমর্থন করবে এ ত স্বাভাবিক। দিদি না থাকলে এরা রাজ্যটার কি অবস্তা করতো!
পরিস্থিতি এমন গোলমেলে তৈরী করা হচ্ছে সেই উদ্দেশ্যেই। আজকে সিকিউরিটি ফোর্স দিয়ে মাইনরিটিদের মারাও হল ইলেকশানকে ইনফ্লুয়েন্স করার জন্য। মাইনরিটি ভোট যাতে কম পড়ে। ভোটে জিতলে বা ঘোড়া কেনা বেচা করে সরকার গড়তে পারলে তো হয়েই গেলো। নইলে ৩৫৬ লাগিয়ে দেবে। ধনেখড় তো তৈরীই আছে। তিনোরাও ওদের হাতে খেলে চলেছে। সর্বত্র গোলমাল করে চলেছে।
খুন কে করেছে কে জানে। পিসী হয়তো নন্দীগ্রামের মডেলে চটি পুলিশ পাঠিয়েছিল। সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় মডেলে সেটিং করেছিল। মোটের ওপর এই লাশগুলো থেকে ওনারই তো লাভ।
রাষ্ট্রপুঞ্জের অধীনে ইলেকশন হলে মন্দ হয় না।
"দিদির আমলে পব তে যা ভোটের ফর্ম দেখা যাচ্ছে, পুরো রাজ্যকেই উপদ্রুত অঞ্চল ঘোষণা করা উচিত। "
লজ্জা না করে সরাসরি মোদিজির কাশ্মীর মডেল চাইলেই তো হয়।