আমার এক কোলীগের মেয়ে পারফর্ম করছে - কেউ যদি ইন্টারেস্টেড হন লাইভ দেখতে
"বাজপেয়ীজীর আমলে আন্দামানের গেরুয়াকরন হয়েছিল, তখন থেকেই দেখতাম প্রোপাগাণ্ডা চলত যে আন্দামানের জারোয়া, ওঙ্গি, সেন্টিনেলিজ প্রভৃতি নেগ্রিটো জনজাতিগুলি নাকি সামান্য কয়েকশ বছর আগে আফ্রিকান ক্রীতদাসভর্তি জাহাজ ডুবে যাওয়রা ফলে সাঁতরে এসে তীরে ওঠা লোকজন। স্থানীয় লোকের কাছে আজকের ট্যুরিস্টরা ঐ ন্যারেটিভই শোনেন," -- হে রাম!!!
নীতি আয়োগ ইত্যাদি নিয়ে কুনো বক্তব্য নাই। কিন্তু কোরাল নষ্ট হলে ক্ষতিটা কি? দরকার হলে রঙচঙে সিন্থেটিক কোরাল তৈরি করতে হবে। পেপারওয়েটেও ভরে দেওয়া যাবে।
কেলোভাই-এর লেখাটি বড় ভাল।
তবে ঐ কোরাল কলোনী-ওলা পেপার ওয়েট হাত দিয়ে ছুঁয়ে দেখলেও মনে হয় না গেরুয়া বিজ্ঞানীদের কোন বোধোদয় হত, তার জন্য সংবেদনশীল মন দরকার
ঈশ, কী যে ভালো লাগছে! দেখতে ইচ্ছে করছে। ওই ছোট্টো জীবন্ত ইকোসিস্টেমটা!
ঈশ, আমাদের পৃথিবীটা কী ভয়ানক সুন্দর!
আহ, কী আশ্চর্য! ওই পেপারওয়েট! একদম সীলড? মানে বাইরের বাতাসের অক্সিজেনও যাচ্ছে না? শুধু সূর্যের আলো নেয়? জ্যান্ত কোরাল ভেতরে? যেন একটা মিনিয়েচার গ্রহ !
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীজী এবং মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীজী বাংলায় প্রচারে এসে আসোওওল উন্নয়নের কথা বারে বারে বলে যাচ্ছেন। খড়গহস্ত উন্নয়ন আমার কাছে চিরকালই ভীতির বস্তু।
গতবছর লকডাউনে বসে থাকতে থাকতে কয়েকজন পরিচিত বিজ্ঞানীর পাঠানো কয়েকটি তথ্যে মতামত দিতে গিয়ে হাতে পাই নীতি আয়োগের তৈরি আন্দামান এর একটি দ্বীপের উন্নয়ন এর একটি খসড়া। আর সমস্ত গৈরিক উন্নয়নের রূপরেখার মত সেটিও ভরপুর হাসির খোরাকে ঠাসা। সময় হাতে থাকায় খুব উপভো্গ করে সেটি পড়েছিলাম এবং হাইলাইট ও কমেন্ট করতে করতে হাইলাইটারের কালি ফুরিয়ে লকডাউনের বাজারে ভারী ভুগেছিলাম। ভেবেছিলাম আমার মত বহু ব্যাদড়া মানুষের সমালোচনার ঠেলায় সে প্রকল্প দিনের আলো দেখবে না।
সেটা প্রকল্প হিসেবে প্রকাশ না পেলেও নীতি আয়োগের একটি ভিশন ডকুমেন্ট হিসেবে এই ফেব্রুয়ারীতে দিনের আলো দেখেছে। যথারীতি গৈরিক মিডিয়ার যথেষ্ট আনুকূল্য পেলেও অবাক হয়ে দেখছি যে ফাইন্যাল ডকুমেন্টটিতে খসড়ার সমস্ত সীমাবদ্ধতা তো রয়েইছে উল্টে আরও বহু অবাস্তব ও বিপজ্জনক পরিকল্পনা যোগ করা হয়েছে। সব কাগজেই যে ভাল লিখছে তা নয়, কেউ কেউ আজকাল সমালোচনাও করছে। যেমন ডেকান হেরাল্ডের গতকাল প্রকাশিত হওয়া এই প্রতিবেদনটি-
আপনারা জানেন হয়ত, বর্তমানে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে এবং লাক্ষাদ্বীপেও ( দশ বছর আগে অব্দি পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপেও) পুরো ইলেকট্রিসিটিটাই জেনারেট হত ডিজেলচালিত পাওয়ার জেনারেটরের মাধ্যমে।
নীতি আয়োগের প্রকাশিত ভিশন ডকুমেন্টটির 9.6 Usage of Non-conventional Sources of Energy (De-dieselization) এ নানারকম গালভরা কথা বলা হয়েছে, উদাহরনস্বরূপ- ‘To further reduce dependency on diesel for power generation, priority has been accorded to improvement in energy eciency and solid waste management through ‘Cold Plasma Pyrolysis Technology’.
আপনি নিতান্ত এনার্জী সেক্টরের লোক না হলে ঐ ‘কোল্ড প্লাজমা পাইরোলাইসিস টেকনোলজী’ হজম করা দুৃঃসাধ্য। আমি এনার্জী সেক্টরের অ আ ক খ জানিনে, কিন্তু দু লাইন সমুদ্রবিদ্যে তো পড়েছি, তাতে এটা বুঝি যে তার পরের এই কয়েক লাইন অবাস্তব -’In addition, floating solar power projects should be set up at suitably-identified locations in the lagoon areas with private sector participation on Design Build Finance Operate and Transfer (DBFOT) basis. For the purpose, state-of-the-art technology should be adopted for optimum power generation without affecting the coral eco-system.’
কেন অবাস্তব সেটা আপনি ইকোলজীর ই না জানলেও আপনাকে বোঝাতে পারি। কোরাল রীফ জানেন তো? সেই যেমন অস্ট্রেলিয়ার গ্রেট বেরিয়ার রীফ। ক্যালেন্ডারে ছবি দেখেন নি? সাদা বালি, কাঁচের মত জল আর নগ্নপ্রায় সুন্দরী যার ট্রেডমার্ক। তিনটির মধ্যে শেষটি বাদে বাকি দুটি, বিশেষত দ্বিতীয়টি, মানে কাঁচের মত জল প্রবাল প্রাচীর গড়ে ওঠার অত্যাবশ্যক শর্ত। আমাদের গঙ্গার মোহনা, মানে ধরুন এই ডায়মন্ড হারবার থেকে বকখালি প্রবাল প্রাচীর গড়ে ওঠার প্রায় সব শর্তই পূরন করলেও একটি প্রধান শর্তেই আটকে যায়, সেটি হল এখানকার জল ঘোলা, সূর্যের আলো প্রবেশ করে না। এখানকার জলে যদি এত সেডিমেন্ট লোড এত না থাকত এবং পাথুরে তলদেশ সমেত আরও কয়েকটি শর্ত পূরন করত তবে ডায়মন্ড হারবারে গেলেই আমরা প্রবাল দেখতে পেতাম, কিছু অস্ট্রেলিয়া-থাইল্যান্ড দৌড়াতে হত না। মুম্বই শহর গড়ে ওঠার আগে ওখানে কিছু ঘোলা জলের ক্রীক থাকলেও ভালমত কোরাল ছিল, বাকি কোঙ্কন উপকূলের মতই। কোরাল রীফের জল কাঁচের মত হবার কারনটা সাইক্লিক। পরিষ্কার জল, যেখানে সূর্যের আলো প্রবেশ করতে পারে সেখানে শক্ত জমি পেলে তার ওপর কোরালের বীজ পড়ে কোরালের কলোনী গড়ে ওঠে। কোরালরা ফিল্টার ফিডার, মানে এরা চলত্শক্তিহীন বলে যে জলে বাস করে সেই জল থেকেই নিউট্রিয়েন্ট ছেঁকে বের করে নেয়। ফলে পরিষ্কার জল আরও পরিষ্কার হয়ে ওঠে (সাইক্লিক, চক্রবত্)। তাই বিশ্বে এমন কোনো কোরাল রীফ দেখবেন না যেটার জল ঘোলাটে। কোরালের রং বেরং এর বর্ণের কারন হচ্ছে এদের সঙ্গে মিথোজীবি একরকমের অ্যালগি যাদের নাম জুজ্যান্থেলি। একই প্রজাতির কোরাল বিভিন্ন বর্ণের হতে পারে, বর্ণভিত্তিক জাতিভেদ এদের করতে পারবেন না, কারন ঐ জুজ্যান্থেলি। এদিকে কোরাল তার ত্বকে জুজ্যান্থেলিকে আশ্রয় দেয় আর জল ফিল্টার করে তাদের সালোক সংশ্লষের অনুকূল পরিবেশ গড়ে দেয়, বিনিময়ে জুজ্যান্থেলি কোরালকে দেয় সালোক সংশ্লেষ করে উত্পাদিত শক্তির উদ্বৃত্ত অংশ এবং চোখ ধাঁধানো বর্ণচ্ছটা। ডাইনোসরদের ধ্বংস করা ক্যাটাস্ট্রোফির পর, মানে কে টি বাউন্ডারী তৈরি হবার সময় প্রায় অধিকাংশ কোরালের প্রজাতি লোপ পেয়ে গিয়েছিল। তার কারন হল ঐ সময় দীর্ঘদিন সূর্যালোক পূথিবীতে এসে পৌঁছাতে পারে নি। এমন ঘটনা এবং কোরাল সহ অন্য প্রানীর বিশেষত উদ্ভিদের মাস এক্সটিংশনের ঘটনা আগেও ঘটেছে বহুবার, উল্কাপাতের ফলে বা সুপারভলক্যানোদের অগ্নুত্পাতের ফলে সূর্যালোক আসা আটকে গিয়ে। সোজা কথায় কোরাল রীফ লেগুনের প্রাণ ভোমরা হচ্ছে তার স্ফটিকস্বচ্ছ জল আর তার মধ্যে দিয়ে আসা নিরক্ষীয় উজ্বল সূর্যালোক। যেকথা বললাম সেটা নাইন টেন ইলেভেন টুয়েলভের ছেলেমেয়েরাও জানে। আপনারাও জানতেন হয় ভুলে গেছেন বা নিতান্ত আর্টস লিটারেচার ভালবাসতেন বলে এদিকে মন দেন নি। কিন্তু নীতি আয়োগের দেশের নীতি নির্ধারক থিঙ্কট্যাঙ্কের দিকগজ পন্ডিতদের কাছে এটুকু আশা করতেই পারেন যে তাঁরা কোরাল রীফ ইকোসিস্টেম এর খুঁটিনাটি সম্পর্কে ওয়াকিফহাল। তাহলে ওঁরা ঐ লেগুনে (‘সুটেবলি আইডেন্টিফায়েড’ জায়গায়) ঐ ফ্লোটিং সোলার প্যানেলের প্রোপোজাল দেন কি করে? আমাকে কেউ private sector এর হাতে থাকা এমন state-of-the-art technology বলতে পারবেন যা কিনা সূর্যের আলোকে না আটকে আমাদের জন্যেও এনার্জী জেনারেট করবে আবার তলায় থাকা কোরালদের জন্যও এনার্জী জেনারেট করবে? তাপগতিবিদ্যার প্রাথমিক সূত্র অগ্রাহ্য না করে কি করে সেটা সম্ভব? Private sector, মানে মাননীয় আদানীজী আম্বানীজীরা কি ল অফ থার্মোডিনামিক্সকেও বাইপাস করতে শিখে গেছেন? ল অব ল্যান্ডকে বাইপাস করতে পারার মত!!
এটা লিখতে লিখতে আমার পরিচিত এক দক্ষিন ভারতীয় ভদ্রলোকের কথা মনে পড়ল, তিনি বহুকাল মরিশাসের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। ফিরে আসার আগে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয় এবং উপহার স্বরূপ একটিমাত্র পেপারওয়েট হাতে তুলে দেওয়া হয়। সেটি কোনো সাধারন পেপারওয়েট ছিল না। সেটি আসলে একটি সমুদ্রজল ভরা কাঁচের পুরোপুরি সীলড অর্ধগোলক, যার মধ্যে স্ফটিকস্বচ্ছ সমুদ্রজলের মধ্যে জ্বলজ্বল করছে উজ্বল লাল রং এর একটি ছোট্ট শিশু প্রবাল কলোনী। ঐ পেপার ওয়েটটির মধ্যে যেটুকু জল রয়েছে তাতেই রয়েছে ঐ প্রবালটুকুর এবং তার সঙ্গে বিদ্যমান জুজ্যান্থেলির প্রয়োজনীয় কয়েকশো বছরের নিউট্রিয়েন্ট, পেপারওয়েটের বাইরে থেকে তাদের দরকার শুধু দিনে তিন ঘন্টার সূর্যালোক। রাষ্ট্রদূত মশাইয়ের বাড়ি ভর্তি লোক লস্করের যার ওপর দায়িত্ব ঐ পেপার ওয়েটটি রোদে দেবার তিনি দিন তিনেক না এলেই মানে রোদে না দিলেই কিন্তু কলোনিটি প্রথমে বর্ণ হারাবে এবং তারপর অক্কা পাবে। আমার সঙ্গে ভদ্রলোকের দেখা হয়েছিল তাঁর মরিশাস ছা়ড়ার বছর পাঁচেক পরে, তখনও মরিশাসের সেই স্মৃতি জীবন্ত, লিখতে লিখতে খোঁজ নিলাম, সেই দেখা হওয়ার ২০ বছর পার করে আজও সেই পেপারওয়েট জীবন্ত।
হওয়ারই কথা, কারন ভদ্রলোক পরম মমতায় তাঁর সামনে বসা উঠতি সমুদ্রবিজ্ঞানীর হাতে সেটা দিতে দিতে বলেছিলেন উনি এটাকে পেপারওয়েট হিসেবে দেখেন না, উনি দেখেন এটা একটা দায়িত্ব হিসেবে, প্রকৃতিকে জীবিত রাখার যে দায়িত্ব এক পুঁচকে দ্বীপময় দেশ তুলে দিয়েছে তার হাজারগুন বড় প্রতিবেশীর হাতে। উনি জীবিত থাকতে থাকতে ঐ পেপারওয়েট আলো পাবে না তা কখনো হবে না। আজ পঁচিশ বছর পরেও দেখছি তাঁর উত্তরাধীকারীরা পরম মমতায় মরিশাসবাসীর সেই দায়িত্ব সম্মানের সঙ্গে পালন করছেন।
আমার মনে হয় না নীতি আয়োগের বাঘা বাঘা বিজ্ঞানীদের হাতে কেউ কখনো এরকম পেপারওয়েট তুলে দিয়ে ‘সাস্টেনেবল’ কথাটার অর্থ বুঝিয়েছিলেন। আধকাপ জল আর শুধু দু তিন ঘন্টার সূর্যালোকে একটা কোরাল কলোনীর কয়েকশো বছরের সাস্টেনেবিলিটি। ঐ দায়িত্ব তুলে না দিলেও, আমার মত কয়েকমিনিটও যদি ঐ পেপারওয়েট তাঁরা ছুঁয়ে দেখার সৌভাগ্য অর্জন করতেন তবে কিছুতেই ওদের হাত দিয়ে ওইরকম ‘Sustainable Development of Little Andaman Island Vision Document’ মার্কা ডকুমেন্ট বের হত না।
তা যেকথা দিয়ে শুরু করেছিলাম সেটা দিয়েই শেষ করতে চাই, যে এই উন্নয়নকে আমি ভয় পাই। সাস্টেনেবল কথার মানে আমি শিখতে চাই মরিশাসবাসীর উপহার দেওয়া ঐ শিশু কোরালের কাছ থেকে, সাস্টেনেবিলিটির টেকনোলজী আমি শিখতে চাই ঐ আন্দামানেই ৬০ ০০০ বছর ধরে বাস করা সেন্টিনেলিজদের কাছ থেকে বা তাদের থেকেও পুরোনো জারোয়াদের কাছ থেকে, প্রাইভেট সেক্টর আদানীজী আম্বানীজী টাটাজী বা সরকারী নীতী আয়োগের কমলছাপ বিজ্ঞানীদের কাছ থেকে নয়।
প্রসঙ্গত বলে রাখি ঐ বছর কুড়ি আগেই বাজপেয়ীজীর আমলে আন্দামানের গেরুয়াকরন হয়েছিল, তখন থেকেই দেখতাম প্রোপাগাণ্ডা চলত যে আন্দামানের জারোয়া, ওঙ্গি, সেন্টিনেলিজ প্রভৃতি নেগ্রিটো জনজাতিগুলি নাকি সামান্য কয়েকশ বছর আগে আফ্রিকান ক্রীতদাসভর্তি জাহাজ ডুবে যাওয়রা ফলে সাঁতরে এসে তীরে ওঠা লোকজন। স্থানীয় লোকের কাছে আজকের ট্যুরিস্টরা ঐ ন্যারেটিভই শোনেন, অ্যান্থ্রোপলজী বা মলিকুলার বায়োলজী/জেনেটিক্সের নীরস পেপার আর কটা লোক পড়ে।
লোকের দুঃখকষ্ট দেখে কিন্তু ধর্মপ্রাণ মানুষদের পক্ষে বলা সহজ ছিল, 'আরে আপদ ব্যাটারা তোরা এত পাপী, সেইজন্যেই তো এই অবস্থা। ধর্মপথে আয় রে ব্যাটারা, সময় থাকতে ধম্মপথে আয়। নইলে আরো ভোগান্তি কপালে আছে।'
তৃণমূলের রিডিং অন্যরকম কথাটা বেশ লাগল। লোকের দুঃখকষ্ট দেখে ধর্মপ্রাণ মানুষেরা যখন আর দয়াময় ভগবানের অস্তিত্ব জাস্টিফাই করতে পারে না তখন বলে ঈশ্বর কি জন্য কি করেন আমরা সাধারণ মানুষ কি বুঝতে পারি?
ক্যাঁচকলা দেখাতে দেখাতে বিজেপিতে গিয়ে যেসব তিনো নেতারা ওঠেন, তাঁদের যে কী চরমানন্দ হয়, মনে হয় তুঙ্গমুহূর্তেও সেই আনন্দ তাঁরা পান নি।
দিস ইজ ডেফিনিটলি এ পসিবিলিটি। কিন্তু একমাত্র নয়। কারণ "ওকে শাস্তি দিতে পারলে তৃণমূলের লাভ বেশী" এটা আপনার রিডিং, তৃণমূলের নাও হতে পারে। বিজেপি একই খেলা খেলছে। সিবিআই আনলিশ করে শাস্তি দিলে যা লাভ সিবিআইয়ের ভয় দেখিয়ে দলে আনলে হয়ত লাভ নেশি।
কিন্তু তৃণমূল ওনাকে দলে নিল কেন? ওকে শাস্তি দিতে পারলে তৃণমূলের লাভ বেশী। জাস্ট দলে একজন বাড়ানোর জন্য মমতা এটা করেন নি। ওনার রাজনৈতিক বুদ্ধির সকলেই প্রশংসা করে।
এর আগে একুশে জুলাই খ্যাত মনীশ গুপ্তকে দলে নিয়ে মমতা মন্ত্রী করেছেন।
লালু আলমও তৃণমূল। মমতা লালুর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য না দেওয়ায় সেই মাথায় লাঠি মারা কেসটা কেঁচে যায়। মুক্ত লালু তৃণমূলে যোগ দেয়।
প্যাটার্নটা সন্দেহ জাগায়। কতকগুলো ঘৃণ্য ঘটনা, যার থেকে মমতা লাভবান হয়েছেন। তারপর ঘটনায় অভিযুক্তদের উনি নিজের দলে নিয়ে নিয়েছেন ও তাদের শাস্তি যাতে না হয় তার ব্যবস্থা করেছেন।
গুলি চালানোর জন্যে ডিপার্টমেন্টাল বা স্টেট ইনভেস্টিগেশন থেকে বাঁচতেও তৃণমূলে গিয়ে থাকতে পারেন। মোটিভ পসিবিলিটি একাধিক হতে পারে।
থ্যাঙ্কু থ্যাঙ্কু। আমার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেলাম। সেই জন্যেই নন্দীগ্রামে গুলি চালানোর অভিযোগ যে পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে সেই সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এখন তৃণমূলে।
##নন্দীগ্রামের ১৪ জন পুলিশের গুলিতেই মারা গিয়েছিল কিনা?
না। ওরা তৃণমূলের (শুভেন্দুদের) গুলিতে মারা গেছিল। কিন্তু সিপিএমের পুলিশে সেটা জেনেও চেপে যায় এবং যেচে নিজেদের ঘাড়ে দোষ নেয়
ঠিক জমল না!!
##নন্দীগ্রামের ১৪ জন পুলিশের গুলিতেই মারা গিয়েছিল কিনা?
না। ওরা তৃণমূলের (শুভেন্দুদের) গুলিতে মারা গেছিল। কিন্তু সিপিএমের পুলিশে সেটা জেনেও চেপে যায় এবং যেচে নিজেদের ঘাড়ে দোষ নেয়
##তাপসী মালিক ইনসাফ পাবে কিনা?
না। কারণ তাপসী মালিককে তৃণমূলের লোকেরা মারে। কিন্তু সিপিএমের পুলিশে সেটা জেনেও চেপে যায়।
##সিপিএম কোথা থেকে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি বানাল?
পুরো মিথ্যে কথা। সিপিএমের এত টাকা নেই।
##৫০০০ কোটি টাকার বানাতে গেলে কত টাকা তিনো ফান্ডে দিতে হয়েছিল?
সত্যি কথা। অধিকারী ফ্যামিলির ৫০০০ কোটি টাকা আছে তার মধ্যে ৪৯৯৯ কোটি টাকা তিনো ফান্ডে দিতে হয়েছিল।
জানতাম না। ধন্যবাদ পিটি।
@পলিটিশিয়ানঃ
হামবাগ = যারা আরামবাগ টিভি কোট করে বা লিং দেয়।
ওরা তিনোদের কাজকম্ম নিয়ে পোশ্ন করে। তার ওপরে সাংবাদিক মোছোলমান। তা সত্বেও তিনোদের কাঠি করে। তাই জেলে পাঠিয়ে কড়কে দেওয়া হয়েছিল। তার পরেও তারা ভয়টয় না পেয়ে তিনোদের পোশ্ন করা চালু রেখেছে।
তিনোপেমিরা ঐ চ্যানেলটি দেখতে অস্বস্তি পান। ওরা নাকি বিজেপির এজেন্ট!!
অবাক হলাম যে সিপিআইএম এর যে একটা লেভি সিস্টেম আছে এবং চাকরি করা গণ সংগঠনের সবাইকে সেটা দিতে হয় সেটা মনে হয় অনেকেই জানেন না, বা ভুলে মেরে দিয়েছেন। ভুলে যাওয়াটা convenient কিনা। দ্বিতীয়ত সরকারি পদে থাকা সিপিআইএম নেতা দের মাস মাইনে বাবদ টাকাটা পুরোটাই পার্টি নিয়ে নেয় এবং সেখান থেকে whole timer এর সামান্য যা ভাতা সেটাই ওনারা পার্টি থেকে পান।
"রিপোর্টটিকে সন্দেহ করা হয়েছে,"
কে করেছে? অলোচনা আর এগোনোর আগে বাক্যটি কোট করা হোক।
কিন্তু সিপিএম চিরকালই সীমিত সামর্থ্যের মধ্যে ভাল খেলে। আর বোদ্ধা সমোত্থোকদের বেশ মুরগী করে রাখে।
বোধিকে অনেক পিছিয়ে পড়তে হবে। রিপোর্টটিকে সন্দেহ করা হয়েছে, সিপিএমের অত টাকা হতেই পারে না বলে। তারপর তো নানারকম যুক্তি আসছে টাকার ব্যাপারে। তারপর এখন আবার অন্যদিকে ঘুরে ৫০০০ কোটি আনা হয়েছে।
দেখ, পুরোটাই ট্রোলিং বা প্যাঁচ খেলা।
পণ্ডিতদের কোন চিন্তা নেই। তিনো ফাণ্ডে কত আসে সেও বেরোবে না, হারলেও বেরোবে না, শোকেসে সজ্জিত সুবেশ সিপিএমের ফাণ্ডে কীভাবে টাকা বাড়ে সেও বেরোবে না। কার টাকা ঘুরে কোথায় যায় সেও। সে যতই না পোস্নোসংখ্যা বেড়ে যায়। আমি তোর ঘা খুঁচবো না, তুইও আমার গায়ের গন্ধ নিয়ে কিছু বলবি না, এই হল নীতি। মাঝে মাঝে বোকা চ্যারল্যাডারদের নাচাবার জন্য প্রেস ডাকব।
কিন্তু সেক্ষেত্রে কাটমখনি কে নেবে এ ব্যাপারে কনফিউশন থাকায় এটা এগোয় নি। :---)))))
কিন্তু এ ডি আর এর তথ্যের ভিত্তি নর্মালি সরকারের কাছে দেওয়া পোলিটিকাল পার্টির নিজের ডিক্লেয়ারেশন হওয়াই সবচেয়ে বেশি সম্ভব। তাহলে কনফিউশন কোথায়। অডিট করা ডেটা। এবিপি সেটা ছেপেছে। এবিপি কোনদিন ই সিপিএম এর ক্যাম্পেনের সুবিধা অসুবিধা দেখে ছাপবে না। এটাতো কমন ইলেকশন কভারেজ। এর পরে প্রার্থীদের পার্সোনাল প্রপার্টি ইত্যাদি নিয়ে নমিনেশনের সময় দেওয়া তথ্য আ
বেরোবে এতেই বা অবাক হবার কি আছে।
প্যত্যেকটা পারৃটি কেই টাকার উৎস ডিক্লেয়ার করতে হয়, কেউ সেটা ছাপতেই পারে।
এর মধ্যে এত চাপের কি হল বুঝলাম না। সিপিএম এর ডিক্লেয়ার্ড সম্পত্তি এবং প্রপারটিকে যারা পাবলিক ফান্ড তছনছ করার বা ব্ল্যাকমানির এভিডেন্স হিসেবে দেখতে চায় দেখতে পারে তাতেই বা অসুবিধা কোথায়।:-))
প্রচুর লোক সিপিএম কে যারা চাঁদা দেন, তেমন আমি, আমাদের ও খুব মন খারাপ সিপিএম অনেকদিন জেতে না বলে, কিন্তু সেটাতো সিপিএম বিরোধী দলের আনন্দের কারণ হ ওয়া উচিত তাইলে এত চাপ কিসের।
সিপিএম যদি তার প্রতিটি অফিস নীল সাদা রং করাতো বা নতুন অফিস কিনতো সাজাতো তৃণমূল এর কন্ট্রাকটর দের দিয়ে তাইলে বোধহয় সেক্যুলার ঐক্য জোরদার হত:-))))
আরে আপ্নেরা সব খুচরো পয়সা নিয়ে সময় নষ্ট করছে। এরে কয় আসল সম্পত্তিঃ
"she had even heard rumours the Adhikari family had built an empire worth Rs 5,000 crore.
The chief minister said she will get it investigated once she is voted to power."
অর্থাৎ কিনা জমি-বিপ্লবের সময় থেকে শুরু করে তিনোতে থাকাকালীন এই সম্পত্তি বানানো হয়েছে। এর ভাগাভাগি নিয়ে ঘেওদের কামড়া-কামড়ি?
আরো একটি কমিশন। আমার লিস্টে তাহলে আরো একটি কোশ্ন জুড়ে গেলঃ
##নন্দীগ্রামের ১৪ জন পুলিশের গুলিতেই মারা গিয়েছিল কিনা?
##তাপসী মালিক ইনসাফ পাবে কিনা?
##সিপিএম কোথা থেকে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি বানাল?
##৫০০০ কোটি টাকার বানাতে গেলে কত টাকা তিনো ফান্ডে দিতে হয়েছিল?
Cpmএর আইআইটি সেলের ট্রোলটি সবারই ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে দিচ্ছে। গণহত্যার সপক্ষে এমন ওকালতি বেশ rare skill।
সাতকরা দিয়ে বিফ কতদিন খাইনা! গার্ডিয়ানে এটা দেখে মনে পড়ে গেল। ;-(
আর সিপিএমকে ভালবেসে সারা পিথীবিকে পোস্নো করে ফাটিয়ে দেওয়া দেখতে থাকুন।
স্বচ্ছন্দে করুন। বিশেষ করে অসুবিধেজনক মন্তব্য দেখলে বা উত্তর না থাকলে। আর পন্ডিতদের গালাগালি ব্যবহার দেখেও না দেখে পোস্ট করতে থাকুন।