রঞ্জন সম্বিৎ ডিসি সবাই মিলে যে রেটে লোভ দেখাচ্ছে মনে হচ্ছে অরিজিন স্টোরি কিনতেই হবে।
আমার কাছে এই সুনীল রায় আছে। অভির কাছে আরও কিছু থাকতে পারে।
এইটে ন্যাড়াদার জন্যে। জানি না তোমার ভাইয়ের কাছে এটা আছে কিনা, নইলে ওনাকেও শোনাতে পারো।
রঞ্জনদা, যা মনে হয়, আমার আদর্শ রিটায়ারড লাইফ কাটাচ্ছেন। এ জিনিস অর্জন করতে হয়।
থ্যাঙ্কিউ। এটা "পাথরে পাথরে নাচে আগুন" যেটার কথা আনন্দ লিখেছেন। এটাও খুব ভাল।
ন্যাড়াদা, বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের একটা অ্যালবাম আমার কাছে ছিল (তোমার লেখাটা এখনো পড়ি নি, ডুপ্লিকেট হয়ে গেলে দুঃখিত)
https://drive.google.com/file/d/19GINjKHBKC5UVEdTpUvMSBlJBhJ5y9Ic/view?usp=sharing
পড়ছিলাম রাজশেখর বসুর মহাভারত। এমনসময় শুরু হল সম্বিৎ ও ডিসির যুগলবন্দী। লোভ সামলাতে পারলাম না। সোজা অ্যামাজন.ইন।
ব্যস, সাতদিনের মধ্যে হাতে আসবে "অরিজিন স্টোরি"। ততদিনে মহাভারত শেষ, ওটা শুরু। বুড়ো বয়সের আনন্দ।
প্রথমে আমি, পরে মেয়ে।
এই.জন্যেই গুরুতে আসা। আগেও সুকির সৌজন্যে রাশিয়া়া়ান লেখিকার দুটো দমবন্ধ করা বই, দময়ন্তীর কমেন্ট পড়ে করমোরান স্ট্রাইকেের নবীন দুই কীর্তি।
কেকে-র গপ্পো পড়লাম। সুন্দর
কেকে, বেশ সুন্দর গল্প। নাও একটা গান শোনো
আমাদের অবনঠাকুরের গল্প মনে আছে, বিশ্বামিত্র পাঞ্জাবে দিয়েছেন পাঁচটি নদীর খাত কিন্তু সেখানকার মাটিতে না দিয়েছেন পলি না দিয়েছেন সার। মানুষগুলো যেন জল খেয়েই থাকবে? তারপরে পাহাড়দের প্রজাপতির ডানা দিয়ে আরেক কেলেঙ্কারী?
না না, সবই তাঁর মহিমা।
শুধু ছোটগল্প নয়, পূবদেশের নৈরাজ্যবাদী ডাকিনী দমনের কাহিনী, বা উত্তরের আগ্রাসী ক্ষুদ্রাক্ষ সাম্যবাদীদের দমনবৃত্তান্ত এমনকি নগরে নগরে টুকড়ে টুকড়ে গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তাঁর এপিকগুলি বিস্তারিত বর্ণনা করতে গেলে গুরুর সার্ভারে স্থানাভাব হবে।
কেলোভাই, দারুণ :-)
:))))) লাজবাব !!
শংকর একাডেমি পুরস্কার পেলেন, 'একা একা একাশি ' গ্রন্থের জন্য। কেউ পড়েছেন ?
ডেফিনিটলি মেয়েকে পড়াবেন। আপশোষ হয়, আমি যদি স্কুল-কলেজ লাইফে এ বই পড়তে পেতাম!
আমাদের কালটা যখন অনেক পুরোনো হয়ে যাবে, তখন এক প্রবল প্রতাপান্বিত রাজচক্রবর্তী সম্রাট কাম দেবতার ঊপকথা পড়ে থাকবে, যাঁর রাজত্বকাল প্রায় হাজার বছর স্থায়ী হয়েছিল।
মানুষের অর্থলোভ প্রবল হয়ে ওঠায় তিনি রাতারাতি যাদুবলে মানুষের সঞ্চিত অর্থকে কাগজের টুকরোয় পরিনত করে পায়রার মতো আকাশে উড়িয়ে দিয়েছিলেন।
একবার মরুভূমির দেশের চন্দ্রোপাসকরা প্রবল হয়ে ওঠায় রাতের অন্ধকারে তিনি তাঁদের যাদুবলে ধ্বংস করে আসেন। পরদিন তারা নিজেরাই আর নিজেদের সেলফোনগুলো পর্ষন্ত খুঁজে পায় নি।
আরও একবার মানবজাতির ইতিহাসে প্রবলতম অতিমারীতে যখন বিশ্ব ছারখার হয়ে যাচ্ছিল তখন তিনি মন্ত্রবলে ইক্কিস দিনের মধ্যে টীকা আবিষ্কার করে তাঁর দেশবাসীর প্রাণরক্ষা করেন। সেই থেকে মার্চ মাসে একুশ দিনের উপবাস প্রথা ও ঐ একুশ দিনে নিরবচ্ছিন্ন পথপরিক্রমার প্রথা চালু হয়েছে। তার ঠিক চুয়ান্ন দিন পরে মাথায় গৈরিক টীকা ধারন করাও আজ জাতিধর্ম নির্বিশেষে প্রতিটি মানুষ পালন করে থাকে।
এতকাল তাঁর অস্তিত্ব পৌরাণিক বলেই মনে করা হত, কিন্তু সম্প্রতি নিরক্ষীয় অঞ্চলের কন্টিনেন্টাল শেলফে ডুবুরীর দল তাঁঁর নামাঙ্কিত বিশাল এক অ্যাম্ফিথিয়েটারের ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কার করেছেন। তাই ইতিহাসবিদেরা মনে করছেন এই পৌরানিক দেবতার ঐতিহাসিক অস্তিত্ব থাকলেও থাকতে পারে।
পড়িনি এখনও, তবে ইন্টারেস্টিং লাগলো। পড়বো আর মেয়েকেও পড়াবো। ধন্যবাদ।
হ্যাঁ, ডেভিড খ্রিস্টিয়ান। পড়েছেন? কেমন লেগেছে?
সম্বিতবাবু, সেটা কি David Christian এর লেখা বই?
বোধহয় মাখালাম। সাইপ্রাসে ভেনাসের জন্ম। ডেলো আলাদা।
এই ডেলো দ্বীপই কি সাইপ্রাস?
একটা চমৎকার বই পড়ে উঠলাম। অরিজিন স্টোরি। যদিও অরিজিনের বিজ্ঞানসম্মত গল্প, কিন্তু শুরুটা হয়েছে যে আদিম সময় থেকে মানুষের সমাজে বিভিন্ন অরিজিন স্টোরিজ লোকমুখে চলে আসছে।
ডেলো পাহাড় কীভাবে হলো??
kk এর দুটো গল্পই ভালো লাগলো। ছোটবেলায় উপেন্দ্রকিশোর রায়ের জাপানি রূপকথা পড়েছিলাম, সেরকম।
আমাদের কালটা যখন অনেক পুরোনো হয়ে যাবে তখন এমন দুকথার কোন গল্প বা পড়ে থাকবে?
ডেলো নাকি ভেসে ভেসে বেড়াতো আগে, লেটো যেই এসে সেই দ্বীপে নামলেন, অমনি দ্বীপ শক্তপোক্ত একটা বেস পেয়ে গেল, আর ভেসে বেড়াতে হল না।
কেকে, মিশরের ওদের গল্পটাই এরা মানে গ্রীকরাও নিয়েছে মনে হয়। নিজেদের মতন করে দুষ্টুমিষ্টি এদিক ওদিক পাল্টে নিয়েছে।
গল্পটা? একটু ভুলে ভুলে গেছি। আচ্ছা যা মনে আছি বলছি। মিশরীয় দেবতাদের রাজা তো সুর্যদেব 'রা'। তো একবার কে যেন প্রফেসি করলো যে রাণী 'নাত' যে সন্তানের জন্ম দেবেন সেই সন্তানই রা কে গদি থেকে নামিয়ে টামিয়ে একাক্কার করবে। মেরেও ফেলতে পারে বলেছিলো বোধহয়। তো এই অবস্থায় দেবরাজেরা যেমন করেন আর কি, রা বললেন "আমার মন্ত্রবলে ৩৬০ দিনের মধ্যে কোনদিনেই রাণী সন্তানের জন্ম দিতে পারবেননা।" রাণী তো পড়েছেন মুশকিলে। তখন জ্ঞানের দেবতা সারসমুখো থথ বুদ্ধি দিলেন। সেই মতলব মত রাণী চাঁদের দেবতা খনশুকে ডেকে বললেন "আমার সাথে পাশা খেলবেন নাকি? আপনি জিতলে আমার যা ঐশ্বর্য্য চান দেবো। আমি জিতলে আপনি শুধু কতকটা চাঁদের আলো দেবেন।" এরকম বাজিতে রাজী না হবার কিছু নেই। আর খনশু তো ছিলেন পাকা খেলোয়াড়। তা অনেক দান খেলা হলো। খনশু অনেক কিছু জিতলেন। কয়েকবার হারলেন, তার দরুণ কিছু কিছু করে চাঁদের আলো দিতে হলো। এবার হিসেব করে দেখা গেলো চাঁদের যত আলো জমা হয়েছে তা পাঁচদিনের সমান। ঐ পাঁচদিন তো আর রা এর ৩৬০ দিনের মধ্যে পড়েনা। তাই এই পাঁচদিনে রানী বাচ্চাদের জন্ম দিলেন। আর সেই থেকেই বছরের দিন সংখ্যা বেড়ে হয়ে গেলো ৩৬৫।
এবার এই দেবতাদের রাজবাড়ির নিয়মের মধ্যে কেমন মিল দেখো। জিউসের বান্ধবী লেটো যখন প্রেগনেন্ট ছিলেন তখন পাটরাণী হেরা ঠিক অমনি বলে বসলেন যে স্বর্গে মর্ত্যে কোথাও সন্তানদের জন্ম দেওয়া চলবেনা। কী আব্দার! পাতালের তো কথাই ওঠেনা। এমনিতেই পাতালরাজ হেডেসের সাথে কথা প্রায় বন্ধ। সেখানে পা বাড়ালে তিনি আর আস্ত রাখবেন? জিউস কিন্তু হেরার ভয়ে স্পিকটি নট! লেটো বেচারী কী আর করেন? শেষটা রাজামশাইয়ের মনে একটু দয়া হলো (ফুঃ)। তিনি ইজিয়ান সাগরের তলার থেকে খানিকটা জমি তুলে আনলেন। আর মন্ত্র দিয়ে তাকে এমন ঢেকে রাখলেন যে কেউ টের পাবেন না। সেই ম্যাজিক দ্বীপের নাম 'ডেলো'। সেইখানে লেটোর কোলে শেষ অব্দি জন্ম নিলেন যমজ ভাইবোন চাঁদ-্সুর্য, অ্যাপোলো আর আর্টেমিস। তাহলে দেখা যাচ্ছে চাঁদ, সুর্য আর জন্ম নেবার জায়গা বা সময়ের ওপরে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে অনেক পুরাণেই একটা বেশ গোলঘাঁট আছে। ইন্টারেস্টিং ব্যাপার!
হ্যাঁ হ্যাঁ কেকে, বলো গল্পটা। চাঁদের সঙ্গে পাশা খেলা।
বটে? কেকে, পাশা খেলার গল্পটা শুনি একবার।