চক্কোত্তি তো খাস উত্তর কোলকাতার লোক, বাংলা মাধ্যমে লেখাপড়া।সে যুগে তখন সবাই বাংলা লিখতেপড়তে শিখতো শুনেছি। এখনকার মতো প:ব: তে থেকে বাংলা না জানা গর্বের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়নি।
অভ্যু:-))
রঞ্জনদা আপনার একটুও বোর লাগে না ?
মিঠুন কক্ষনো সিপিএম করেনি। আশির দশকে হোপ টোপে নাচেনি। টিন এজের নকশাল, তারপর বলিউড, তারপর দিদির প্রতিনিধি। এখন সোজা গেরুয়া। ওইসব অসইব্য ছবি দেখিয়ে কিছু হবেনা। ওসব আইটি সেলের মর্ফ করা।
পিটি ঠিক বলেছেন, যারা গোড়ায় নকশাল তাদের ওই গতিই হয়। খগেন মুর্মু শিশির বাজোরিয়া আদি যারা সিপিএম থেকে গেরুয়া হয়েছেন তারা মনে মনে নকশাল ছিলেন। নইলে সিপিএম থেকে কেউ গেরুয়ায় যায়? লোকও যায়না, ভোটও যায় না।
মিঠুনদা মনে হয় থার্ড চয়েস। দাদা না আসার পরে বিজেপি নেতা প্রসেনদার বাড়ী গেছিল তো বাজিয়ে দেখতে। তারপর বম্বে থেকে ধরে আনল।
ছেলের কথাই যদি বলেন তো স্যার আশুতোষ
আহা, মিঠুন্দা সেই কবে থেকে বাংলার বাইরে। ওনার বাংলা একটু খ্যামা ঘেন্না করে নিন। আজীবন বাংলায় থেকেই লোকে বাংলা বলতে লিখতে পারে না।
মিঠুন্দা খচে গেছে শারুখকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার বানিয়েছে তাই।
দাঁত নড়লেই বা কী? রক্ষা করার ইজারা তো চৌকিদার থুড়ি অজগর নিয়েছে।
হ্যাঁ, বেজিতে হবে কিনা ধন্দ আছে।
অবশ্য কেউটেরও কি বিষদাঁত আর পোক্ত আছে ?
সবচে বড় আঘাত এসেছিলো এলাকার আদরের মনা মোহনবাগান চলে যাওয়ায়:-) কিছু লোক সেদিন রাগ করে ভাত খায়নি। মনাকে প্রাপ্য মর্যাদা দিচ্ছে না বলে ইবে র প্রতি সমর্থকদের ক্ষোভ ছিলো, তাই বলে টুটুর দোলনায় বসে বাতাস সেবন!!!
তখনো ব্যক্তির চে দল বড়ো ছিলো;-)
পলিটিশিয়ান, চক্কোত্তিদা এমন চমৎকার বাংলা কেমন করে বলেন? :-)
সবথেকে নাটক হয়েছিল বিকাশ পাঁজি আর কৃশাণু দে কে নিয়ে। সে পুরো নাটক গজু বসু কেঁদে ফেলে, সে গুণ্ডা লাগায়। এছাড়া চিমা আর জামশিদ নাসিরি কে নিয়েও বেশ নাটক হয়েছিল।
সৈকত, গোখরা শিকারে কি বেজি পারদর্শী? হেলে ধরে ধরে স্কিলে মরচে পড়ে যায় নি তো?
বি, অনিল চট্টো আর বিপ্লব দুজনের পেশা অভিনয় ছিলো বলে ওদের কথা মনে আছে। বাম সমর্থনে ভোটের আগে কিছু তারকা নানা জায়গায় পথনাটিকায় অংশ নিতেন। অজিত পাঁজার কেন্দ্র মানিকতলায় একবার 'গোরা এসেছে গোরা এসেছে' বলে উল্লাস শুনেছিলাম :-) মাঠ জনসমুদ্র(দলমত নির্বিশেষে) জীবনেও যারা পথনাটক দেখতে যেতেন না, তারা গোরা কে দেখতে ছুটে চলে গেলেন( আমার মেজোমামী, বড়মাসি গিয়েছিলেন মনে আছে) ।যারা অংশ নিতেন তারা রাজনৈতিক ভাবে একটা বিশেষ মত সমর্থন করতেন ফলে সেটা খুবই স্বাভাবিক, তা নিয়ে কিছু বলার নেই।
এখন এই 'তারকারা'ও দর বুঝে গেছেন। নিজেদের' স্টারভ্যালু' কাজে ( বেচে) লাগিয়ে ভোটে দাঁড়িয়ে নিজেদের আখের গোছাচ্ছেন, দল এবং তারকা দু পক্ষই একে অন্যকে ব্যাবহার করে যে চমৎকার জনসেবা চালাচ্ছেন তার কথা বলছি:-)
মনে পড়ে গেল, ময়দানের সেই সোনার আমলে দলবদলের আগে কেমন সব রোমহর্ষক নাটক হতো, একদিকে জীবন-পল্টু অন্যদিকে ধীরেন দে, একটু পিছিয়ে ওমর- সকালের আজকালে তার খুঁটিনাটি, কে কোন মেসে, কোন বন্ধুর বাড়ি, পুরীতে আত্মগোপন করে আছে... উফ্, বাড়িতে,পাড়ায় সেকি উত্তেজনা! টুটু বসু এসে চিত্র একটু বেশিই অভিজাত হয়ে গেল, হ্যারিংটন স্ট্রিটের দোলনায় চিমা, পাঁচতারায় বন্দী ব্যারেটো-
এখন এর কয়েকশো গুণ বেশি নাটক রোজ টিভির পর্দায় মানুষ দেখে, দেখতে বাধ্য হয়:-((
মিঠুন্দা নিয়ে কেউ কিছু কইয়েন না। ঐটা আমার দুর্বলতার জায়গা। আহা, আই অ্যাম এ ডিস্কো ড্যান্সার।
ছেলেপুলে অকালকুষ্মান্ড কত লোকেরই হয়। চন্দন বোস নিয়ে জ্যোতিদাদুর আজীবন ভোগান্তি। পিসীমা তো ভাইপোর মায়ায় দলটাই তুলে দিচ্ছে। ইন্দিরা সঞ্জয়ের মায়ায় ইলেকশনে হারল। অমিত শাহের ছেলেটিও শুনি অনেক কিছু। বেচারা মিঠুন্দাই একা ধরা খাবে কেন?
তবে এটা কেমন মনে হচ্ছে দিদির জন্য শাপে বর হচ্ছে। সবাই দিদিক ডাম্প করেছে, দিদি যদি এই ভোট বের করে নেয় তাহলে বলতে হবে ধক আছে। দিদিই ভরসা।
মিঠুন্দাও বিজেপি? এই যে বোন ভায়ের সম্পর্ক। তার আগে সুভাষ চক্কোত্তির ঘরের ছেলে। এখন দিলীপ ঘোষের বন্ধু হবে। ছেলেবেলায় নাকি নকশাল করত।
সর্বাঙ্গীণ অবক্ষয়ের ফলে আদর্শবাদী রাজনীতি সুবিধাবাদী রাজনীতিতে পরিণত হওয়ার পরে।
রাজনীতির রশি ক্রমশঃ এলিট থেকে জনগণের মধ্যে চলে যাওয়ার পরে।
বিশ্বব্যাপী কমিউনিকেশন, মিডিয়া, এন্টারটেনমেন্ট ও সেলিব্রিটি ইন্ডাস্ট্রীর প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ার পরে।
@ম
বেজি চাই।
অনিল চট্টো সম্ববতঃ টলি পাড়ায় ইউনিয়ন করতেন। সেই সুবাদে। শুধু স্টার বলেই নয়।
ঐটা সিরিয়াস প্রশ্ন ছিল
রাজ্যে অভিনেতাদের ভোটের প্রচারে এনে জনসভায় স্টারভ্যালু যোগ করা কবে থেকে শুরু হয়েছে? আমার স্টারদর্শন ঘটেছিলো নয়ের দশকের শুরুতে।লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে কং প্রার্থীর হয়ে রাজেশ খান্না এসেছিলেন:-) ভোটে প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে লড়া ই বা কবে শুরু? অনিল চট্টো জিতেছিলেন, বিপ্লব হেরে গিয়েছিলেন মনে আছে। দলে দলে টিকিট নিয়ে দাঁড়িয়ে পড়া,নির্বাচনের আগে কাজ করতে না পারার বেদনা ও ভোলবদল, সব দলের কাছেই এই সুবিধেবাদীরা এত প্রাসঙ্গিক এবং অপরিহার্য হয়ে উঠলেন কেন?
বাবুলকে ধরুন।
এখানে কারুর অনলাইনে বাংলা গান শেখার অভিজ্ঞতা আছে? যিনি গানটাকে বেশ মজা করে শেখান এবং আগ্রহ জাগিয়ে রাখেন...
নাচ শেখার জন্যে অবশ্য চক্কোত্তিদাকে ধরলেই হবে:-)
ছেলের নামে রেপকেস মামলা আছে। সব রেপিস্টদের একই গন্তব্য
ছেলেটা কিরম বোদা টাইপের।
ছেলের কেরিয়ারও কিসুই হয়নি।