একটা শান্ত গান শুনুন
আকাশবাণী কলকাতার রেকর্ডিং সম্ভবতঃ। সুবিনয় রায় গেয়েছেন, ন্যাড়াদা হয়তো বলবে সেটাই আসল কিন্তু এটা শোনার পরে আর কিছু ভালো লাগে না। যেন মন্দিরে বসে আত্মমগ্ন হয়ে গাইছেন
প্রাচীন অরণ্যের প্রবাদঃ মাস্টারের গায়ের চামড়া গন্ডারের চেয়েও মোটা।
"বাংলার নির্বাচনে ‘মাস্টারস্ট্রোক’ দিতে বাংলাদেশে মতুয়াদের তীর্থে যেতে চান মোদী?"
মতুয়ারা কি কোন ধর্মীয় সম্প্রদায়? তাদের গুরুঠাকুর বা তস্য ছেলেপিলেরা নির্বাচনে দাঁড়ালে সেটা কি সেকুলার ঘটনা?
সব নেতা চোর বলেও দায়বদ্ধতা রক্ষা করা যায়।
নিজের দলের ত্রুটি বিচ্যূতি সাদা চোখে দেখে, সময় থাকতে সেসব নিয়ে সরব হয়ে, সেগুলোকে আজাইরা ডিফেন্ড না করে, হোয়াট্যাবাউটারি না করে ওসব করা যায়।
বিমানবাবু বা বুদ্ধবাবু অসৎ এমনটা কেউ বললে সেসব ধর্তব্য কোনভাবেই না। কিন্তু কোন মধ্যবিত্তের জমি দখল করে সিপিএমাশ্রিত ক্লাব বাড়ি বানিয়ে ফেললে সে যদি সিপিএম দলকে অসৎ বলে, তাকে দোষ দেওয়া যায় না। এসব দেখেছি, এবং আশির শেষে সিপিএম গিয়ে কং আসার পেছনে সেসব ছিল। কং আসার পর জনগ বোঝে তারা তপ্ত কটাহ থেকে জ্বলন্ত উনুনে পড়েছে, এবং সিপিএম ফেরে, এবং সে বোধহয় বাস্তবিকই উন্নততর ছিল। কিন্তু তাতে অতীতের কটাহের উত্তাপের বাস্তবতা কমেনি।
ক্লাব টাব হলেই তৃণমূলের নাম আসবে। তৃণমূল ছ্যাঁচড় ধরনের চোর সে সবাই জানে। কিন্তু ওসব দিয়ে তো ডিফেন্স হয় না, হোয়াট্যাবাউটারি হয়।
এবার এসব বলে লাভ নেই। ভোট পেতে হবে, না হলে সত্যিই চলবে না। কিছু কিছু প্রশ্ন বা অভিযোগ ভ্যালিড হলেও এড়িয়ে যেতে হয়। কিন্তু সাধারন লোককে গাল দিয়ে কী লাভ। লোকেদের মতামত পরিবর্তনশীল। ত্রিপুরায় পরশু যারা সিপিএমের চোখের মণি ছিল কাল কারা নেমন্তন্ন করে বিজেপিকে ডেকে নিয়ে এল। এরা তো রাতারাতি ছাগল হয়ে যায়নি। যে বিপদটা এরা এনেছে সেটা বোঝানোর দায়িত্ব তো অন্য রাজনৈতিক দলেরই। ত্রিপুরায় লোকজন অলরেডি বুঝতে পারছে, সেসব বোঝা যাচ্ছে। পবঙ্গে সেরকম না হলে তারও নিশ্চয় কারন আছে।
পিটি স্যার আবার ঘোমটার আড়ালে খ্যামটা লাচতে লেগেছে। মাস্টারির কি নমুনা!
সব নেতা চোর নয় কিন্তুক সব ভোটার ছাগল। হোয়ট আ পিটি!
মোদীর রাজ্যে কি শহুরে মধ্যবিত্তের ডিসপোজেবল ইনকাম বেড়েছে?
হুতো, সে গরীব অশিক্ষিত লোকের সংস্কার থাকতে পারে। কিন্তু উচ্চশিক্ষিত শহুরে পিজা খাওয়া লোকের ঠিক কিসের এত মোদিভক্তি সেটাতো বুঝিনা। অতিরিক্ত ডিসপোজেবল ইনকামের কি এতই মোহ। বাকী কথা লিখলে অনেক অপ্রিয় কথা লিখতে হয়।
"সব নেতারাই চোর" বলে দিলে নিজের আর কোনো দায় থাকেনা। নিজের ভোটটা কাকে দিচ্ছি বা দিয়েছি তা নিয়েও বিশেষ বেদনা থাকে না। এমনকি মিডিয়া ও পন্ডিতের বানানো গপ্প গলাধঃ করণ করে সম্ভাব্য চোরেদের ক্ষমতারোহণে সাহায্য করার পরেও কোন অনুতাপ হয়না।
প্রাচীন অরণ্যের প্রবাদ ঃ "you get the government you deserve!!"
দু'দি, অভিমুখ না বদলাতে পারলে আমি বলবো সেসব রাজনৈতিক দলগুলো ব্যর্থতা। ত্রিপুরায় যখন একসময় কং জোটকে হারিয়ে বামেরা ফিরে এল তখন আমরা সেই অভিমুখের বদল নিয়ে উল্লসিত হয়েছি। আজ বিজেপি এল বলে জনগনকে ছাগল বলবো, এ হয় না।
বড়এস, কী জানি, এটা নিয়ে একেকবার একেক রকম মনে হয়। ৪৩এর মন্বন্তরে অভুক্ত মানুষ ডাস্টবিন থেকে রাস্তার কুকুরের থেকে কেড়ে ভাত খুঁজেছে কিন্তু জিআইদের ভিক্ষে দেওয়া টিনের খাবার নাকি সংস্কারবশত খেতে পারেনি। এগুলো হয়তো আমাদের বোঝার বাইরে।
এবার কি লোটালুটির মাত্রা নিয়ে আলুচানা হবেক? তাহলে কি নিজের আশেপাশে থাকা মূলত বাম নেতা নেত্রীর রেফারেন্স দেওয়া যাবে? যারা ঐ ৩৪ বছরই এক্কেবারে সামনের সারিতে ছিলেন এদিকে নিম্ন মধ্যবিত্ত জীবন কাটিয়ে গেলেন চিরদিন?
নট টু সে শিপিয়েম চুরি করেনি বা চুরি করা আটকাতে পেরেছে। সেতো প্রধান সেবকও পারেননি। আমার মাঝে মাঝে মনে হয় শিপিয়েম বোধহয় গায়ের জোরে চুরি করেছি বেশ করেছি এই মনোভাবটাই ঠিকঠাক মার্কেট করতে পারেনি।
আচ্ছা, একটি লিংক পোস্টিয়ে যাই। ভোটের বাজারে অনেকেই হয়তো খ্যাল করেননি। বিশেষ করে আকাদা ;)
পবতে মিম মানে ওয়েইসির দলের মূল নেতারা রাণীমার দলে যোগ দিয়েচেন :))
https://www.thehindu.com/elections/west-bengal-assembly/aimims-west-bengal-unit-chief-joins-tmc/article33535778.ece
একটা লোক সোজাসুজি বলেছিল, "শালা বাঙালিগুলো নিজেদের পাপে ডুবে মরুক।" তারপরেও সেই লোক দেশের প্রধান হয়েছিল, জোশিলা রাজ করেছিল, কেউ টু শব্দটি করতে পারে নি।
সবাই কম বেশি আখের গোছায়। একদল তারউপরে আবার মুসলমান মারে। এবারে ভেবে দেখা যাক।
"সাধারণ মানুষ কোনোদিন উল্টোটা দ্যাখেনি। জিনিসপত্তরের দাম কোনোদিনই কমে নি, নিত্য নিত্য বেড়েছে, কর্মসংস্থান কোনোদিনই বাড়ে নি, হয়রানি চিরকালই বেড়েছে। সে ক্ষমতায় কংগ্রেসই আসুক, বিজেপিই আসুক, শিবসেনাই আসুক, অন্য যে বা যারাই আসুক। সবাই নিজেরা লোটে, বন্ধুবান্ধবসহ লোটে, সম্পত্তি ফম্পত্তি করে নিয়ে চলে যায়। কোনোদিন টিকিটিও কেউ ধরে না তাদের।"
এর থেকে খাঁটি সত্যি কথা কখনো শুনি নি। এই সব সিপিএম, তিনো, বিজেপি, হ্যান দল ত্যান দল, হাই গ্রাউন্ড লো গ্রাউন্ড মরাল গ্রাউন্ড, এই সব কিছুর পর দিনের শেষে সত্যি কথা এটাইঃ যে আসে সেই লোটে, সবাই নিজের নিজের আখের গোছায়। আর সাধারন মানুষও সেটা খুব ভালোই জানে।
হুতো অভিমুখ বদলাবে না। কোন এক কালে মোদী বুদ্ধবাবুর চেয়ে করিৎকর্মা মুখ্যমন্ত্রী এসব কি শোননি না ভুলে গেছ?
রামের ভোট বামে
"ঘরে ছেলে ঢুকিয়ে রেপ করিয়ে দেব" বলার অপরাধেও কি কারো শাস্তি হয়েছিল? অম্বিকেশ মহাপাত্র কিন্তু এখনো কোর্টে চক্কর কাটছে!!
(চুপ, বিজেপি ক্ষমতায় চলে আসবে!!)
কারা নাকি সারাদিন খেয়ে দেয়ে তারপরে সন্ধ্যেবেলা ইফতার করতে আসে তেনার সঙ্গে, সেই অপরাধে তাদের খাঁচা নাকি ভেঙে দেবেন তিনি! ---এসব তো খোলাখুলি বিদ্বেষমূলক বক্তৃতা! এসবের বেলা পুলিশ থাকে কোথায়? আর ওদিকে শান্তিপূর্ণ মিছিল করতে গেলে পিটিয়ে মেরে দেয়।
শুধু বলেইছে। আরেকদল তো সেসব করে দেখাচ্ছে।
বাপরে!!! কী দাপট! একটা ভিডো দেখলাম। বলছে ক্ষমতায় এলেই নাকি গাছে বেঁধে পেটাবে। শুধু তাই না, খাঁচাও নাকি ভেঙে দেবে।
(এসব উস্কানিমূলক বক্তৃতা নয়? এইসবের জন্য জেল টেলের ব্যবস্থা নেই? )
হুতোর পোস্ট পড়ে কিযেন একটা লিখবো ভাবলাম। ও হ্যাঁ। এইযে লোকে বলে যে বিজেপিকে ভোট দিয়েছি উন্নতির জন্য, অর্থনীতির জন্য, উনিজী দেশকে সেরা বানাবে সেই জন্য। এবারে যখন জিডিপি গ্রোথ কমতে থাকে, জিনিসপত্তরের দাম বাড়তে থাকে, কর্মসংস্থান কমতে থাকে, মানুষের হয়রানি বাড়তে থাকে, ক্যামেপিন ফাইনান্স বিল পাশ করিয়ে কোরাপশান লিগালাইজেশান হয়, অথচ তারপরেও লোকে বলে যে বিজেপিকেই ভোট দেবো তখন বুঝতে হবে যে আসলে এগুলো কোনও ইস্যুই নয়। আসল ইস্যু সেই মন্দির মসজিদ। লোকে লজ্জায় নেহাত বলতে পারছেনা।
আর মশাই, বাংলা বিজ্ঞানের বিষয়ের বই নিয়ে আলোচনায় সবখানেই দেখি এক ফ্যাশন, "ঈশ্বর বললেন ড্যাশ ড্যাশ" "ড্যাশ ড্যাশ লিখলেন ঈশ্বর" "বর্ণে ছন্দে গীতিতে ড্যাশ ড্যাশ ঈশ্বর" "কণায় কণায় ড্যাশ ড্যাশ ঈশ্বর" "ঈশ্বরের কী লীলা! " "ঈশ্বরের অশ্রুর গাথা শোনালেন কোপার্নিকাস" "ডারুইন ধাক্কা মেরে ফেলে দিলেন ঈশ্বরের স্বর্গ থেকে" ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি। এসব কি ফটিক সিন্ড্রোম?
ফেবুগ্রুপে দেখলাম নতুন নাম দিয়েছে কোর কমিটিকে। সি বি সি। চালচোর বাঁচাও কমিটি। :-)
মঙ্গলে হয়রানি আরও বেশি। হাঁটা পর্যন্ত যায় না, সড়াৎ সড়াৎ করে লাফিয়ে উঠতে হয়। অক্সিজেন ফক্সিজেন কিস্সু নেই, সব পিঠে সিলিন্ডারে নিয়ে ঘুরতে হবে।
এটা তো বিধানসভার নির্বাচন। তাই ইয়েচুরির চেয়ে বিমান বসু বেশি প্রাসঙ্গিক। প্রধান শত্রু প্রশ্নে রাজ্য ইউনিটের নির্বাচনী ইস্তেহার কী বলছে শুনতে ঢাই। সেটাই তো ফাইনাল, নয় কি?
সে তো বাড়বেই।
কারন যদি নব্বই শতাংশ মানুষের হয়রানিও কমে যায়, তখন বাকি দশ শতাংশই চেঁচাবে।
সিঙ্গল টিএর একটা বক্তব্য দেখে চমকৃত হলুম। "রাণীমার ভালো কাজগুলো তো মানতেই হবে"
মানে, এভাবে তো কেউ বলে না - ভালোগুলো দেখে খেলে খারাপ বলে চার মারার চেষ্টা পলিটিক্সে সবাই করে। কেবল, বলটা যে ভাল ছিল - কখন শুনি না। হয়্ত পলিটিকাল বাধ্যবাধকতা থাকে।
তবে, ঘোষিত সত্য এই যে মঙ্গলে না গেলে হয়্রানি কমবে না!
সাধারণ মানুষ কোনোদিন উল্টোটা দ্যাখেনি। জিনিসপত্তরের দাম কোনোদিনই কমে নি, নিত্য নিত্য বেড়েছে, কর্মসংস্থান কোনোদিনই বাড়ে নি, হয়রানি চিরকালই বেড়েছে। সে ক্ষমতায় কংগ্রেসই আসুক, বিজেপিই আসুক, শিবসেনাই আসুক, অন্য যে বা যারাই আসুক। সবাই নিজেরা লোটে, বন্ধুবান্ধবসহ লোটে, সম্পত্তি ফম্পত্তি করে নিয়ে চলে যায়। কোনোদিন টিকিটিও কেউ ধরে না তাদের।
সাধারণ মানুষ এসব সেই সাতচল্লিশ থেকে দেখে আসছে। তার আগে তো নাহয় "অত্যাচারী বিদেশী" র আমল ছিল, তখন অন্যকথা।
* ক্যাম্পেইন
হুতোর পোস্ট পড়ে কিযেন একটা লিখবো ভাবলাম। ও হ্যাঁ। এইযে লোকে বলে যে বিজেপিকে ভোট দিয়েছি উন্নতির জন্য, অর্থনীতির জন্য, উনিজী দেশকে সেরা বানাবে সেই জন্য। এবারে যখন জিডিপি গ্রোথ কমতে থাকে, জিনিসপত্তরের দাম বাড়তে থাকে, কর্মসংস্থান কমতে থাকে, মানুষের হয়রানি বাড়তে থাকে, ক্যামেপিন ফাইনান্স বিল পাশ করিয়ে কোরাপশান লিগালাইজেশান হয়, অথচ তারপরেও লোকে বলে যে বিজেপিকেই ভোট দেবো তখন বুঝতে হবে যে আসলে এগুলো কোনও ইস্যুই নয়। আসল ইস্যু সেই মন্দির মসজিদ। লোকে লজ্জায় নেহাত বলতে পারছেনা।