কালো সরষে ছেঁকে খান। ভালোই করেন। পোস্তর পাকস্থলি তো!
সবুজ পাতা জড়ানো জিনিসটার ভিতরে কিসের পুর আছে কোনও ঘটি কি গেস করবে?
কেসি, সত্যি এমন ট্যুর করছে আজকাল লোকে!! কী ভালো!কোনও এজেন্সীর নাম বা ফোন নাম্বার থাকলে দেবেন প্লিজ।
পোস্তর বড়া খুব ভালো খেতে।
ক্ষীরের সিঙাড়া কোথায় ভালো পাওয়া যায়? আমার এবার কোলকাতায় গিয়ে খাবার ইচ্ছে আছে খুউব।বহুদিনের ইচ্ছে। পাড়ার দোকানে আর পাওয়া যায় না।
উচ্ছে দিয়ে পোস্ত? নেমন্তন্নে? হুগলির নোক পোস্ততে খুবই ধ্রুপদী- কেবল আলু আর কালেভদ্রে ঝিঙে। পটলপোস্তটা বাটি ভালোবাসে। পটল পেলে সেটাও করি। এখানে পোস্তর গন্ধটা কেমন যেন, দেশের পোস্ত টা বেটার।
দাদার বাড়িতে আমির খান গেছে। ডিনার করছে। সবাই মিলে তাকে আলু পোস্ত খাওয়ানোর জন্য কিরকম চাপাচাপি করছে দেখুন। ২ মিনিট ১৫ সেকেন্ড থেকে দেখুন।
কালো সর্ষেবাটা তো ছাঁকতেই হয়। সর্ষের ছাল তো গরুতে খায়, খইল বলে।
ফুলুরি :-)
ঘটিদের ঐ সন্ধ্যের ঝোঁকে চপ টপ খেয়ে অম্বলে ভোগা পুরাকালের অভ্যাস- এদিকে সরষে খেলে অম্বল হয় বলে সরষে বাটায় জল মিশিয়ে ছেঁকে সর্ষের ঝোল খায়!!! কি বিচিত্র!
কেসি,আমাদের বাড়িতে ঝগড়া হলেই ২৫' বছর আগে কে কাকে তিনঘন্টা লবিতে বসিয়ে রেখেছিলো বা কে একবারও খাবে কিনা জিজ্ঞাসা না করে পুরো এগরোল খেয়ে নিলো এসব উঠে আসে- একে বলা হয় 'সমে পড়া'
আপনার ৭:০৮ দেখে মনে পড়ে গেল:-))
আহা, এখানে নিয়মিত আসতেন একজন, তিনি টিফিনে অবধি উচ্ছেসেদ্ধ নিয়ে যেতেন, এত ভালোবাসতেন। ঃ-)
সে আর বলতে
উচ্ছে খুব তেতো ছিল? ঃ-)
আমাকে একজন বাড়িতে উচ্ছে আলু পোস্ত খাইয়ে ছিল, তাকে গলা টিপে মারার ইচ্ছে হয়েছিল খাওয়ার পর।
পোস্তর বড়া, কাঁচা পোস্ত, হালকা ভাজা একটু টাইট আলু পোস্ত, পেঁয়াজ পোস্ত এই গুলো জাস্ট মাখন। বেশ একটা স্বর্গের কাছাকাছি অনুভূতি হয় খেয়ে পরে।
তবে একদিন অন্য রকম একটা করে ছিলাম, একটু কালো জিরে, কাঁচা লঙ্কা দিয়ে পোস্ত, অল্প এডেড হলুদ। অন্য রকম খেতে হয়েছিল বেশ।
যমুনার পাশের দোকানে হাম ভি খায়া। সেখানে টেবিলে প্লাস্টিকের বাটিতে নুন আর লংকা রাখা থাকত। আমার এক বন্ধু বেট ফেলেছিল কুড়িটা না কটা লংকা চিবিয়ে খাবে। সঙ্গে জল বা অন্য কোন খাদ্য-পানীয় খাবে না। সে তো খেল।বেটের পয়সা তো দিতেই হল, তার সঙ্গে গেলাস গেলাস ঠান্ডা জল, কোল্ড ড্রিংক ইত্যাদির গুণাগার দিতে হয়েছিল। নইলে তার চোখমুখ দেখে মনে হচ্ছিল সে এবার মরেই যাবে।
কেসি, অল্প বয়েসে বাংলার ফোক মিউজিকের সন্ধানে টাইপের সফর করার মন হয়েছিল। এখন আর নাই। এখন পাহাড় আর জঙ্গলের নির্জনতা টানে বেশি।
আমি ঘুরবার ছক কষছি। বাংলার পুরোনো মন্দির মসজিদ আর খাওয়ার জন্য। আর ভাষাটার ডায়ালেক্টগুলো শোনার জন্য।
যমুনা সিনেমা হল এর টিকেট কাউন্টার এর ঠিক পাশেই একটা ঘুপচি দোকানে বীফ রোল পাওয়া যেত , পার্ক সার্কাস এর সঙ্গে সম্ভবত বলে বলে টক্কর নিতে পারত , কিন্তু এই দুই এক্সপিরিয়েন্স এর মধ্যে প্রায় দশ বছরের ব্যবধান
যেদিন প্রমোদ দার ক্যান্টিন এর লুচি আর গলা দিয়ে নামতো না , চলে যেতাম কলেজ স্কোয়ার এ ঠিক দেখার মুখে একটা গুমটি তে সূপ বিক্রি হতো , বলতো চিকেন কিন্তু কোনোদিন সন্দেহ যায় নি :) আর তার পশে একজন ছাতু নিয়ে বসতেন
এক এক করে গুটিশুটি মেরে বেড়িয়ে আসতে থাকলে রাত কাবার হয়ে যাবে
এতক্ষণে পেলাম ভিডিওটা। "হেথায় দাঁড়ায়ে দু'বাহু বাড়ায়ে নমি নর দেবতারে", কী অবস্থা করেছে ওটার! আজ কবি থাকলে হয়তো রোদ্দুরকেই ডেকে বলতেন, ওরে ভাই, চল পালাই।
পোস্ত নিয়ে এত আদিখ্যেতার কি আছে বুঝি না। হ্যাঁ জিনিসটা খেতে ভাল। গোটা গোটা কাঁচালঙ্কা কামড়ে খেতে হয়। তবেই ভাল। তা সে তো কতকিছুই খেতে ভাল। ঘটসদের আর ভাল কিছু খেতে নেই তাই পোস্ত নিয়ে এত আদিখ্যেতা। চিংড়ির মালাইকারিটাও বাঙ্গাল রাঁধুনি রাঁধলে তবেই ভাল। কোলকাত্তাইরা রাঁধলে রসগোল্লার রসে ডোবানো চিংড়ির মত লাগে খেতে। আর মালাইকারি মানে মালয়কারী। সেও তো এসেছে বাঙাল দেশ হয়ে। আরাকানের ভেতর দিয়ে।
রথযাত্রা!!!! সেই রামরথ মনে পড়ে যায়। ঃ-)
কেসি, করলে হয়। কিন্তু আমার তো "দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া" কেস। কলকাতার সব খাবারই এখনও ভাল করে চাখা হলনা।
ক্ষীরের সিঙ্গাড়া সম্বন্ধে বলা হত মিষ্টি টকে গেলে সেগুলো কাজে লাগানো হয়। কিন্তু যাই হোক, ফাটাফাটি খেতে।
ন্যাড়াদা, এখনতো রথ ব্যাপারটা বেশ ইন থিং। একটা নতুন বিজনেস শুরু হচ্ছে একটু করে। মিনিবাসে টাইনি হাউস। টয়লেটও থাকছে তাতে। ড্রাইভার আর হেল্পার মালিকের। হাতে এক মাস মত ছুটি নিয়ে ওই রথ ভাড়া নিয়ে পুরো বাংলা একবার ঘুরে নাও। শুধু খাওয়ার জন্য।
নিজেও শুরু করা যায়। আমার এক বন্ধু করেছে।
বেহালা ট্রামডিপো থেকে ব্রাহ্মসমাজ রোড এর দিকে যেতে পড়ত মা লক্ষী মিষ্টান্ন ভান্ডার , সপ্তাহে দু দিন সেখান থেকে ক্ষীরের সিঙ্গারা ছিল বাঁধা , স্কুল শেষে দুই ছেলেকে মিউজিক স্কুল এ নিয়ে যাবার সময় এক মায়ের পক্ষে এর থেকে ভালো কোনো অপসন ছিল না
তারপর পাখিদের ডানা হলো , আর সেই স্ন্যাক বিস্মৃতির অতলে তলিয়ে গেলো
এরকম কত কি
তবে কলকাতার লোকেদের নিজেদের রান্নাবান্না কিসুই নাই। শুধু সন্দেশ ছাড়া আর কিছুই ভালো না কলকাতার।
বলে কী রে! কলকাতা না থাকলে তেলেভাজা, চপ-কাটলেট, মোগলাই পরোটা, নারকোলের সিঙাড়া কোথায় পেতি? সন্ধ্যের ঝোঁকের কলকাতাই আসল খাওয়াদাওয়ার কলকাতা।
দু'টো পাতুরি মতন দেখলাম। সত্যিই পাতা জড়িয়ে যেকোনো রান্নাই খুব ভালো খেতে হয়।
মামীর দেওয়া ছবিটায় ওই সবুজটা কী? পাতা জড়িয়ে মাছ ভাজা মনে হচ্ছে!! দেখেই খিদে পেয়ে গেল।
বিল এলেই আইন হবেটা ঠিক ই বলেছেন। কৃষি আইন ই তো যাতা ভাবে পাস করেছে।
ঝগড়া তো চলবেই, জর্ম্মনদের ক্লাব আর পার্টির দশা এখন খারাপ। ঘটসরা এখন সুইপ করছে। ফলে ঘটসদের অন্তর্দ্বন্দ্ব বাইরে বেরিয়ে পড়ছে। কলকাতা (০৩৩ কোড) বনাম বাংলা।
তবে কলকাতার লোকেদের নিজেদের রান্নাবান্না কিসুই নাই। শুধু সন্দেশ ছাড়া আর কিছুই ভালো না কলকাতার।
অন্তর্দ্বন্দ্ব চলছে, জেলাওয়াড়ি পর্যালোচনা শেষ হলে জানাবেন ঝোল/ টাইট কে জিতলো, কেমন??
ততক্ষণ চারচক্ষু একটা বওও ড়ো ত্রিপল এনে সব ভালো করে ঢাকা দিয়ে ফেলুন:-)))))