এখন বেশ কয়েকদিন খুবসে রবীন্দ্রসঙ্গীত শুনছিলাম। এরকম টানা রবীন্দ্রসঙ্গীত বহুদিন শুনিনি। নতুন করে ঋতু গুহকে আবিষ্কার করে ওনাকেই শ্রেষ্ঠ রবীন্দ্রসঙ্গীত গায়িকা হিসেবে ফার্স্ট করে দেব কিনা ভাবছিলাম, তখনই কেসি আবার গুবলেট করে দিল।
"মোহব্বত করনেওয়ালেঁ" আমার শোনা প্রথম মেহেদী হাসান। ক্লাস সেভেনে। আরেকটা গান, প্রথম তিলক কামোদ বলে জানা, "দুখুয়া ম্যায় কা সে কহুঁ" ভীষ্মদেববাবুর গলাতেই একমাত্র শুনেছি। এদ্দিন পরে দেখলাম মেহেদী হাসানের আছে।
দুটোর থেকে ক্লাস। তার আগেই শুনে ফেলি, থ্যাঙ্কু কেসিদা।
S হ্যাঁ আমিও এরকম কিছু পড়েছিলাম।
মিয়া দাবী করেছেন যে বিব্রসের সাথে কাজের জন্য মোট মাত্র ১২,০০০ ডলার পেয়েছেন। সীন প্রতি এক হাজার। বেশিরভাগটাই প্রোডাকশান কোম্পানিগুলো রেখে দিয়েছে। বিব্রস অবশ্য অন্য কথা দাবী করেছে। হ্যাঁ অন্যরকম এক্সপ্লয়েটেশানের অভিযোগও করেছেন। মিয়ার টুইটার অ্যাকাউন্টে গেলেই সেগুলো পাওয়া যাবে। মিয়া বোধয় পর্ণ ইন্ডাস্ট্রি ছেড়েছে ২০১৫তে, তিন মাস কাজ করার পর। তারপর এমনি সাধারণ চাকরি করেছেন। বলেছেন যে পর্ণের পর অন্য কোনও জব পেতে অসুবিধা হচ্ছে। তবে স্টক মার্কেটে খুব অ্যাক্টিভ মনে হয়।
অন্তঃত বেসিস ভেক্টর গুলো একই করা যেতে পারে। এবার যে য্যামন নোতুন ভেক্তর আঁকল। অ্যাকটিভিটি সেম আর কপি পেস্ট আলাদা।
এখন তো দেখাই যাচ্ছে যে কিছু লোক বাঁদরকে তাদের ভাতৃবৎ মেনেই নিয়েছে।
ইয়ে, একটা কথা। কোথাও পড়েছিলাম বোধায়, কিন্তু ঠিক শিওর না, মিয়া খলিফা ওনার অয়াডাল্ট ভিডিওগুলোর জন্য যা রয়ালটি প্রাপ্য তা পাননি। আর উনি বোধায় ওনার ভিডিওগুলো সরিয়ে নেওয়ারও অনুরোধ করেছিলেন, কিন্তু ওয়েবসাইটগুলো রাজি হয়নি। মানে কিছুটা বোধায় এক্সপ্লয়েটেশানের ব্যপার আছে (শিওর না)।
টি ঃ))
হ্যাঁ ইন্টারনেট জুড়ে ইন্ডিয়াকে খোরাক বানিয়ে দিল ভক্তগণ।
হনুমানের হাতে মশাল দিলে যা হয় তাই হচ্ছে - আলো দেওয়ার বদলে সবকিছু পুড়িয়ে বেড়াচ্ছে।
এইটে যত তাড়াতাড়ি মেনে নেওয়া যায় ততৈ ভালো যে সবাই কোনদিনই রাজা হতে পারে না, হিউম্যানের এই ফর্মে।
যদি হিউম্যান কেবল রাজা বেসড সিস্টেমে ইভলভ করে তখন হতে পারে!
ধরুন সাত বিলিয়ান লোকের মাথায় চিপ বসিয়ে সবার ব্রেন অ্যাকটিভিটি একরকম করে দিলেন!
তখন কি পৃথিবী বোরিঙ্গ হয়ে যাবে?
মিয়া খলিফাকে ভক্তেরা থ্রেট দিয়েছে, চোপ শালা মোল্লার বাচ্চা, বেশি বাড় বাড়িশ না, আমার কাছে তোর নোংরা ভেদিও আছে। নেটে ছেড়ে দেব।
:))))))))
এইসব অসামান্য লেভেলে কেউ যেতে পারবে! হ্যায় কোই!
রিহানার গান ব্যান করার দাবী ওঠেনি কেন, সেটা না হয় বোঝা যাচ্ছে যে ভক্তরা ওসব শোনেনা। কিন্তু মিয়া খালিফার পর্ণগুলো তো দেখে, সেসব ব্যান করার দাবী করছে না কেন?
হানুদা, ডিক্টেটরশিপ অফ দ্য প্রলেতারিয়েটে নেতা অন্যরকম, সে নেতা বোলপুরের বুড়োর ভাষায় "আমরা সবাই রাজা ....."
মানুষের হৃদয়ের পরিবত্তন হতে হতে সুর্য্য রেড ডোয়ার্ফ হয়ে যাবে।
মার্টিন লুথার কিং মনে করাই ভালো ঃ law does not change the heart, but it prevents the heartless.
আশেপাশের ভক্তদের চিহ্নিত করে রাখুন। যেদিন সর্বনাশ হয়ে যাবে, সেদিন যেন এরা সাধারণ মানুষের আড়াল না পায়।
জনগণকে আমিও ধোয়া তুলসিপাতা মনে করি না। আমার আপনার ইন্টার্যাকশান তো জনগণের সঙ্গেই হচ্ছে। তাদের মধ্যেও তো ধম্ম জাত দেশভক্তির নেশা কিছু কম দেখিনা। হিটলার যখন জার্মানী শাসন করছে, তখন তার ভালই সমর্থন ছিল। সবাই বিশ্বজয়ের স্বপ্ন দেখছে। যুদ্ধে হেরে যাওয়ার পরে নাকি হুঁশ ফিরলো। ক্যাপিটল হিল আক্রমণের পর আমেরিকার একাংশ লোক এই কারণে দুঃখে আছে যে ক্যু সফল হলনা।
একটা বাচ্চা মেয়ে গ্রেটা থানবার্গ er নামে এফ আই আর করছে পুলিশ, আর্মি থেকে রিটায়ার করা 'বড়লোক'্চাষী দের গ্রেপ্তার করছে, কোথায় গেছে সাইকোফ্যান্সি। গুঁফো সিকিউরিটি ওয়ালারা যাদের টিভিতে দেখা যায় তারা আবার পুলিশ এর ইন্ডিপেন্ডেন্স এর কথা বলে। জালি সালা।
গান্ধী , সুভাষ রা যখন বেঁচে ছিলেন, তখন কি লোকে রাস্তায় হিসি করতো না? নেতারা সমাজের রিফ্লেক্শন সম্পূর্ণ হলে তাঁর কিসের নেতা? এগুলো কোন কথা না। কেসি র একটা জনগণ কে দোষ দেবার রোগ হয়েছে। ওটা কিছুদিন বহরমপুরে থাগলেই চলে যাবে , তখন আবার বলবে, ওর পাড়ার লোক ই পৃথিবীর বিশুদ্ধতম। নেতারা মানুষকে ফেল করছে। ইত্যাদি।
নেতা দেশকে দিশা দেখাবেন। সাংস্কৃতিক পরিবর্তন ধীরে ধীরে আসবে। বড় আন্দোলনে চৌরি চৌরা এবং রেডফোর্ট হবে। ডিল উইথ ইট ;-)
@kc 16:07 একদম একমত, দেশের মানুষের এই হাল হলে সেলেব, রাজনীতিবিদ, বিদ্বজন এরাই বা অন্য রকম হবে এই আশা কেন ।
সমাজ চেঞ্জ হওয়া দরকার আছে , নইলে এদের শোধরাতে ওই চাইনিজ ফেস-রেক-টেক লাগবে।
আর ইমেজ, ল্যাঙটার নেই বাটপারের ভয়। পুউরো দেশ জিজিতে গেছে।
এই এপিসোডে দেশের ইমেজের কি বারোটা বাজছে সে আর কি বলবো।
হতেই পারে আশ্চর্য্য না। টোটাল খোরাক একটা দেশ।
রিহানার টুইটের থেকেও ইন্ডিয়ানদের রিয়্যাকশান অবশ্যই কৃষক প্রোটেস্ট শুধু না পুরো গোদি রাজত্বেরই সারা দুনিয়ার সামনে কাছা খুলে দিল। নাটক এখনও চলছে। এরপর বিয়ন্সে যদি এই নিয়ে মুখ খোলে তাহলে আমি সিওর যে পাকিস্তান আক্রমনের প্রস্তুতি নেবে ভারতের বর্তমান সরকার।
অভ্যু, মালামাল উইকলি বলে একটা সিনেমা আছে, কমেডির উপরেই। একটা আস্ত গ্রাম কিভাবে কোরাপ্টেড হয়ে যায় তার গল্প। পারলে দেখো।
আজকে পুরো দেশের জনতা তাদের ক্ষমতাবলে যতটুকু করা যায় ততটাই কোরাপ্টেড। তার মানে, মানসিক ভাবে ফুললি।
নেতারা নয়, আম মানুষেই ট্রেনের সিটের চামড়া খুঁটে তোলে, মগ, বাল্ব বাড়ি নিয়ে যায়, ইলেক্ট্রিসিটি হুকিং করে, রাস্তার ধারে এক ঠ্যাং তুলে দাঁড়ায়। চেতনার লেভেলে বড়সড় বিপ্লব না এলে নিস্তার নেই। সেই চেতনা কোত্থেকে আসবে সেটাই কথা! পলিটিক্যাল পার্টি আনতে পারবেনা এই বিশ্বাস আমার জন্মে গেছে।
গ্রেটার বিরুদ্ধে কেস করেছে দিল্লি পুলিশ।
গ্রেটার টুইটঃ We stand in solidarity with the #FarmersProtest in India.
কেসের গ্রাউন্ডঃ "criminal conspiracy and promoting enmity on grounds of religion"
আরেকটা কথা। পোদান মন্তিরি অন্য দেশে গিয়ে বলে আসতে পারে যে ট্রাম্পকেই ভোট দিও, কিন্তু বারবাডোসের প্রাইভেট সিটিজেন বলতে পারেনা যে কেন কৃষক আন্দোলন নিয়ে কথা হচ্ছেনা?
তবে টুইটারে বহু ডিক্লেয়ার্ড মোদিভক্তরা বলছে যে রিহানা নাকি পেইড টুইট করেছে। তার মানে এইযে কিছু সেলেব হঠাত হাঠাত দেশভক্ত হয়ে ওঠে, এরা নিশ্চই পায়।