সেটি কে?
S দুঃখ করবেন না, এটি এলেবেলে বাবুর লিস্ট। গুরুর রেসিডেন্ট লিস্ট স্পেশালিস্ট এখনো কিছু নামান নি এ নিয়ে।
এই কল্লোলবাবু তো বোধ হয় গীটারবাদক নন। পনিটেলও লিখতাম, কিন্তু এই করোনার বাজারে আজকাল অনেকেরই দেখি পনিটেল হয়েছে!
দেখলে এই লিস্টেও আমার জায়্গা হলনা। ধুর।
সৈকত, ঈপ্সিতা, আপনি, রৌহিন, কল্লোলবাবু - এই টিমটার সম্পর্কে আমার কোনও তিক্ততা নেই।
এই তবে সেই কুখ্যাত কোর টিম।কিন্তু কল্লোলদাও কোর টিম? হায় হায়। স্বাতি দম তারেক এরাও কোর টিম না? বইগুলোতে পরিচালকদের নাম দেখেছি মোনয়।
কিছুই জানেন না অথচ কত কিছু হ্যাজ নামালেন, কত হ্যাহ্যাহিহি করলেন - তাই না? ওই কারণেই বলেছি 'ধারণার চাষ'। ভালো থাকুন, ভালো থাকুন আপনারা সবাই। আমাকেও দয়া করে ভালো থাকতে দিন।
বুক রিভিউ ব্যাপারটাতেও কী ঘটেছে এই আপনার লেখা থেকে জানলাম। আমাদের নানাদিকে নানারকম কাজ চলে। চেষ্টা করা হয় সেগুলোকে যতটাসম্ভব ইন্ডিপেন্ডেন্ট রাখার। ব্যক্তি হিসেবে আমরা কেউ কেউ নানা কিচুর মধ্যে ঢুকে আছি এটা ঠিক। কিন্তু সেগুলোর সবকিছু আমরা নিয়ন্ত্রণ করি না, বা দৈনন্দিন ফলোও করিনা। এটা একেবারেই হার্ড ফ্যাক্ট।
আমি কচি খোকা নই। কলেজস্ট্রিট কে চালায় আর কারা চালায় না সেটা জানি। তার সঙ্গে গুরুকে জড়ানোর কিছু নেই। বুক রিভিউ-টায় গুরু জড়িয়ে। প্রতিষ্ঠান গুরু নয়, কিন্তু তিক্ততা একটা আছে। সেটা বাড়ুক তা চাই না বলেই। সদ্য ঘুম থেকে উঠেছেন তাই কী বলছেন কেন বলছেন ঠাহর করতে পারছেন না। নাম করে বলে দিই? সৈকত, ঈপ্সিতা, আপনি, রৌহিন, কল্লোলবাবু - এই টিমটার সম্পর্কে আমার কোনও তিক্ততা নেই। বইমেলায় যাব, আপনাদের স্টল থেকে বই কিনব এবং লোক বুঝে কথা বলব। এবার তো থামুন।
নাম করা আর না করায় কী এসে যায়? অয়নের সাথে আপনার ঝামেলাকে আপনি গুরুর সাথে গোলাচ্ছেন। একইভাবে গুরুর সাইটের বাওয়াল থেকে আপনি কলেজস্ট্রীট ডট নেট নিয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। এগুলো একটার ঘাড়ে আর একটা চাপছে। সেটুকুই ক্ল্যারিফাই করলাম।
পিনাকী, এভাবে প্রকাশ্যে নোংরা কাপড় না কাচলেই পারতেন। হাজার প্ররোচনা সত্ত্বেও আমি কিন্তু এখানে অয়নের নামোল্লেখ করিনি। আপনিই করতে বাধ্য করলেন এবং অকারণে আমাকে জড়িয়ে একটা বিশাল হ্যাজ নামালেন। এর দরকার ছিল না।
যাবতীয় তিক্ততার অবসান হোক। আপনারাও ভালো থাকুন, আমিও ভালো থাকি। অহেতুক কথা চালাচালি প্লিজ বন্ধ করে দিন। দিজ ইজ ডিসগাস্টিং, ইরিটেটিং অ্যাজ ওয়েল।
গুরু আমার শত্রু নয়, কোনোও দিন হবেও না। পিরিয়ড। একটি প্রতিষ্ঠান যা বহু জনের বহু পরিশ্রমের বিনিময়ে তিলে তিলে গড়ে উঠেছে, তার বিরুদ্ধে কোনও লোকের শত্রুতা থাকা সম্ভব নয়। এখানেই গোটা অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি ঘটুক।
দেখুন এগুলোই হল সমস্যা। আমি সিরিয়াসলি জানি না কোন টই, কোন ব্লগার। আর্ধেক সময় শীতঘুমেই থাকি। মানে সাইটে লেখালিখির রেসপেক্টে। ভাটে, বিদ্যাসাগরের ব্লগ লেখায় কিছু বাওয়াল দেখেছি। কিন্তু এটাও তো মানবেন, আপনি যেখানে বাওয়াল সেখানে। লাইফবয় যেখানে, স্বাস্থ্য সেখানে। এ কি সারাক্ষণ ফলো করে চলা কোনো মানুষের পক্ষে সম্ভব? তাতে আপনি ভীষ্ম বলুন, বিষ্ণুর অনন্তশয্যা বলুন, বা অন্ধ ধৃতরাষ্ট্র - এটা ফ্যাক্ট যে সবকিছু ফলো করা সম্ভব নয়। বিশেষত আপনার সঙ্গে বাওয়াল। অয়ন বিশ্বেন্দুদার সঙ্গে কী করে, কী কথা বলে, কী বই রাখে বা রাখে না - এসব কিছুই আমি জানিনা, জানার কথাও নয়। আমার পয়েন্টটা হল আপনি তরোয়াল চালাচ্ছেন চালান, কিন্তু আমাদের অবস্থানটা গ্যালারিতেই। আমরা এই যুদ্ধের পার্ট নই। আপনার সম্বন্ধে গুরুর ফেবুগ্রুপের অ্যাডমিনদের একটা সিদ্ধান্ত ছিল বা আছে। সেটা বহাল আছে। ভুল হোক বা ঠিক হোক, হঠকারী হোক বা না হোক, সেটা ফেবুর ব্যাপার। কলেজস্ট্রীট ডট নেট নিয়ে আপনি অয়নের সাথে যা ডুয়েল লড়ার লড়ে নিন। সেটাও আপনার এবং কলেজস্ট্রীট ডট নেটের ব্যাপার। কিন্তু এগুলোর কোনোটাই গুরু প্রতিষ্ঠানটার অ্যাজ আ হোল অবস্থান নয়। আপনি খানিক অজ্ঞতায়, খানি ক্রোধে এগুলো সবই গুলিয়ে রেখেছেন - সেটা বুঝি। কিন্তু এ নিয়ে বেকার কথা বাড়িয়ে কোনো লাভ নেই। গ্যালারি থেকে এখুনি নামার প্রয়োজন মনে করছি না।
হুতো, একমুখী সিদ্ধান্ত নেবেন না। আমার আগের পোস্টটি পড়ে নিলে আরও অনেক কিছুই স্পষ্ট হবে। আর গুরুতে মূর্খের চাষ মানে কিন্তু গুরুর সবাই মূর্খ তা নয়। সে কথা বলার মতো ঔদ্ধত্য আমার নেই। তবে অনেকের যে আছে সে তো মানে আপনি জানেনই। ভালো থাকবেন
আচ্ছা, অতি দ্রুত পিতামহ ভীষ্ম তাঁর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এবং আমার সম্পর্কে নানাবিধ ধারণার চাষ করেছেন! পিনাকী অতি ভদ্র, অতি সজ্জন ব্যক্তি। তাই যাবতীয় অপ্রিয় সিদ্ধান্ত এবং বুকফোলানো ঘোষণার ক্ষেত্রে পিনাকীকে এগিয়ে দেওয়া হয়। এবং ওই কারণেই তিনি পিতামহ ভীষ্ম আর কি।
আগে আসি ফেসবুকের ক্ষেত্রে। ওই নিয়ে আমার বিন্দুমাত্র দুঃখ নেই কারণ পরোক্ষে ওটি আমার অত্যন্ত উপকার বই অপকার করেনি। এবং অন্য যে ফেসবুক গ্রুপে আমি সক্রিয় ছিলাম সেখানে গুরুর ফেসবুক পেজের প্রশংসা বই নিন্দা করেছি বলে আমার মনে পড়ে না। সৈকত, রৌহিন এবং অয়ন সেই গ্রুপে ছিলেন বা আছেন, তাঁরা এই কথাকে মিথ্যে বলে উড়িয়ে দিতে পারবেন না। এঁদের মধ্যে চুকলিবাজ অয়ন একবার চাটনি চাখতে এসে আমার কাছে বিপুল অপদস্থ হয়ে আর মুখোমুখি হওয়ার খ্যামতা অর্জন করতে পারেননি।
কোনও অভিযোগে কাউকে ব্লক করার আগে বিবিধ স্টেপ নেওয়া যায়। মিউট, ওয়ার্নিং, মন্তব্য ডিলিট করার জন্য অনুরোধ বা নির্দেশ দেওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি। বলা বাহুল্য, এর কোনও পদ্ধতিই আমার জন্য প্রয়োগ করা হয়নি। উল্টে নতুন এক নিয়ম জারি করে ব্লক করা হয় কারণ 'হয়তো' ওটা জরুরি হয়ে উঠেছিল। একটি ছেঁদো অজুহাতের সন্ধান অনেক দিন ধরেই চলছিল, সেটা মিলে যেতেই সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়। এবং সেই সিদ্ধান্তটি নেন সুইডেনবাসী পিনাকী যাঁর অ্যাডমিন হিসেবে ওখানে কার্যকলাপ অত্যন্ত সীমিত ছিল। সে যাই হোক, এ বাজারে আপনাদেরও সদস্যের অভাব হবে না। আমারও অন্য গ্রুপে বিচরণ করতে সামান্যতম অসুবিধে হয়নি বা হচ্ছে না।
গান্ধী নিয়ে যখন তুমুল বাওয়াল চলছে তখন হুতো কিছু বলেছিলেন-টলেছিলেন বলে মনে পড়ে। এবং আরও কেউ কেউ বলেছিলেন। আমার 'ধারণা' অনুযায়ী তাঁরা গুরুর 'পুরনো' লোক। পিনাকীর একটা মন্তব্য সেখানে ছিল ঠিকই কিন্তু সেটা অ্যা-ও হয়, ও-ও হয় মার্কা। খ এসে সবচেয়ে জোরালো প্রতিবাদটি করেন। কী আশ্চর্য তিনিও গুরুর 'পুরনো' লোক!
বিদ্যাসাগর টইতে যখন গুরুরই একজন ব্লগার গুরুর অন্য এক ব্লগারকে যাচ্ছেতাই রকমের ব্যক্তি আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছেন, সেই নিয়ে ভাটে অ্যাজ ইউজুয়াল কেউ কেউ চাটনি চাখছিলেন এবং পিনাকী 'সম্ভবত' নিদ্রা গিয়েছিলেন। সৈকত একটি বড় ঘোষণা করেন। আজ লগিন করতে গিয়ে দেখি পিনাকী আমার 'গ্রাহক' ছিলেন। বুঝ লোক যে জান সন্ধান!
হ্যাহ্যাহিহি খুব ভালো জিনিস, শরীর তাতে ভালো থাকে। তবে অয়ন বাবাজি বিশ্বেন্দুদাকে অর্থনৈতিক 'সাপোর্ট' দিতে চেয়ে তাঁর লিখিত, অনূদিত ও প্রকাশিত একাধিক বই কলেজস্ট্রিটনেট-এ রাখেন বলে আমাকে ফোনে বলেন। বিশ্বেন্দুদা এর প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন যে গত দু-বছর তাঁর কোনও বই-ই ওখানে রাখা হয়নি। ফলে কার সাক্ষী কে বা সেটা পিনাকী হতে চান কি না - ব্যাপারটা তাঁর বিবেচনার ওপরেই ছেড়ে দিলাম। আর হ্যাঁ, অয়নের চুকলি নিয়ে আমার সঙ্গে তাপসেরও কথা হয়েছে। অবিশ্যি সেটা নিয়ে তাপস-পিনাকী হ্যাহ্যাহিহি করেছেন কি না জানি না, জানতে চাইও না।
নীলাঞ্জন হাজরা গুরুতে আমার বইটার রিভিউ করার জন্য অনেক দিন আগে থেকেই প্রকাশককে বলে রেখেছিলেন। কিন্তু ওই রিভিউ প্রকাশিত হলে তিক্ততা আরও বাড়তে পারে বলে আমি বারণ করে দিয়েছি। যেখানে বইয়ের দাম নির্ধারণ নিয়ে নানাবিধ মন্তব্য ভেসে আসে এবং সে বিষয়ে ন্যূনতম জ্ঞান না থাকা সত্ত্বেও একচেটিয়াভাবে জ্ঞান ফলানো যায়, যেখানে লেখককে গুরুর 'বছরবিয়োনি' লেখক বলে দুয়ো দেওয়া হয়, যেখানে নানাবিধ লোকজন নানাবিধ নিকে ব্যক্তি আক্রমণ অব্যাহত রাখেন লেখাটি প্রকাশিত হওয়ার আগে ও পরে - সেখানে এই রিভিউ-এর প্রয়োজন পড়বে না।
আর হ্যাঁ, গুরুতে একজন না লিখলে যেমন গুরুর কিছু যাবে-আসবে না, তেমনই আমারও গুরুতে না লিখলে কিছু যাবে-আসবে না। আমি ঢাকঢাক-গুড়গুড় পছন্দ করি না বলে প্রকাশ্যে জানিয়েছি। তাতে গুরু নাবালক নাকি সাবালক, তার কতজন ব্লগার আছেন এসব হাস্যকর ছেলেমানুষির কোনও অর্থ হয় না। গুরুর পুরনোদের মধ্যে সৈকত, রঞ্জনবাবু, কল্লোলবাবু, রৌহিন এখনও আমার ফেবু ফ্রেন্ড। কাজেই আমার ছায়ার সঙ্গে যুদ্ধ করার প্রয়োজন পড়ে না।
অরিনবাবুকে 'নতুন' বলেছিলাম এই কারণেই যে তিনি সাইটে এক বছরের বেশি লিখছেন না বলে। তাতে যদি কোনও ভুল হয়ে থাকে তবে আমি তাঁর কাছে লিখিতভাবে দুঃখ প্রকাশ করলাম।
পিতামহ ভীষ্ম ভালো থাকুন। আর চেগে উঠতে হবে না আপনাকে।
সেদিন অপু কলি বলে ডেকে প্রচণ্ড ঝাড় খেলেন অভ্যুর কাছে, এদিকে দেখুন আজ ম দিব্বি কলি লিখলেন, অভ্যু সেব্যাপারে হিরণ্ময় নীরবতা পালন করলেন। যদিও তারপরে দিব্বি অন্য পোস্টে কথা বললেন। এরকম আরো অনেকেই হয়ত বলেছেন, কথা শোনেননি। একে লীলাবিলীয় দ্বিচারিতা বলা যায় নাকি আদর্শ চণ্ডীমন্ডপীয় ব্যবহারের উদাহরণ, না পপিচুপনা সে আপনারাই ঠিক করেন।
তারপর ধরুন যাঁরা নিজেরাই নানাসময় নানা লেখায় ভাল লাগল, দিব্বি লাগল, দারুণ, অসাধারণ, অপূর্ব, বাহ বাহ, চুপ করিয়ে দিল, হাতটা ছুঁয়ে দিয়াম লেখাটা পড়ে আর কিছু কাজকর্ম হবেনা, এরকম জাতীয় অজস্র মন্তব্য করে রেখেছেন, পুরনো মন্তব্যের টই হয়তো এরকম প্রতিক্রিয়া অনুভব করেই দিয়েছেন, তাঁরাই আবার অনিয়মিত বা নতুন বা নিকহীনেরা এরকম মন্তব্য করলে শ্রী নিয়ে উপহাস করেন। একেই বা কীই বা বলবেন!
মন্তুব্য না এলেও সমস্যা বলে লিখেছেন, এলেও সেনিয়ে ভাটে হাসাহাসির আসর বসে, একেই বা কী বলবেন। মন্তব্য করতে ভয় হয়। লেখা পড়ে মনে আসা কোন ভাললাগা জানানো একটা সাধারণ মন্তব্য করে আবার কাদের উপহাসের পাত্র হতে হবে। যতই ভার্চুয়াল দুনিয়া আর অচেনা মানুষের ঠেক হোক, গায়ে লাগে।
অয়নের সাইট নিয়ে জিরো নলেজ। আমিও জানতাম না ও দেবোত্তমবাবুর বই রাখতে চেয়েছে। ও বিশ্বেন্দুদার সাথে কিছু কাজ করছে সেই জায়গা থেকেই জেনেছে বইএর কথা। পুরো কেসটা এরকম হয়েছে - 'অকস্মাৎ কোথা হইতে কী হইয়া গেল, চরাচর ধোঁয়ায় ভরিয়া গেল। ধোঁয়া সরিলে দেখা যাইল তিনটি মৃতদেহ পড়িয়া আছে এবং স্বপনকুমার তাঁহার কালো ঘোড়ায় চাপিয়া দূরে দিগন্তে মিলাইয়া যাইতেছেন।' :-)
আরে অয়ন জানেই না ভাটে মুহুর্মুহূ অসির ঝংকার আর দুন্দুভির আওয়াজে কান পাতা দায়।
পিনাকীদার পোস্টটা পড়ে কিছু অস্বস্তি দূর হলো। গুরু পরিবারের পুরনো খেঁচো তাঁর বই সাইটে রাখতে চেয়ে বিতাড়িত হয়েছে, বা কোন লেখা গুরুতে না বেরুনোর জন্যে সৈকতদার জন্যে খারাপ লাগা, এগুলো পড়ে একটু ধন্দে পড়ে গেছিলাম, কে খেঁচো কে চুকলিখোর কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। অয়ন যে আদৌ সিনে আছে সেটাই নতুন তথ্য, অয়ন কি আদৌ সাইটে আসে, বা সাইটে কি হচ্ছে খবর রাখে? আমি যেমন ফেসবুক গ্রুপের খবর, খুব দরকার না হলে রাখি না।
এলেবেলের লেখাপত্র মন দিয়েই পড়েছি, তথ্যবহুল খেটে লেখা, নির্দিষ্ট অবস্থান ও এজেন্ডা থেকে, কিন্তু অবশ্যই পরিশ্রমী লেখা, সেসব মাত্রাতিরিক্ত ট্রোল হতে দেখে তার প্রতিবাদও করেছি। কিন্তু তারপর ক্রমাগত গুরুর লোকেদের ফাটছে, গুরুতে মূর্খের চাষ, গুরুর খেঁচো (এর কী মানে কে জানে), চুকলি (আশ্চর্য, চুকলি কে কাকে করবে, এ কী স্টার জলসার সিরিয়েলের প্লট?) - এইসব অতি বিরক্তিকর লাগছিল। আর তারপর গুরু পরিবারের অনলাইন ইত্যাদি দেখে অবাকই হচ্ছিলাম।
সেই দিক থেকে এই বার্তাটা কিছু জিনিস পরিষ্কার করলো।
Calculus on এনিফোল্দ্স টা কিনেই রাখ্লুম। দিব্য দাস মুখার্জী কে মনে করাল। ধন্যবাদ।
পিস্কুনভ বলে একটা বই ছিল কারো মনে পরে?
ইনটারেস্ট না থেকে
এইটেতে বোধির ইনটারেস্ট থেকে ভালৈ করেছে কারণ এটা ঠিক পাঠের বস্তু নয়।
কেবল মুশকিল এই, যা আগেও বলেছি, তার যাতে কোর ইনটারেষ্ট সে সবের লোকজন এ নিয়ে যথেস্ট মাথা ঘামিয়ে গেছেন - কেবল সব জিনিষের সমান প্রচার নেই - মার্কেটই সত্য কি না!
দেবোত্তমবাবুর 'গুরুর লোক' ব্যাপারটা নিয়ে ধারণা কম। এদিকে ওনার সবসময়েই একটা শত্রুপক্ষ প্রয়োজন। ফলে আপাতত গুরুচণ্ডা৯ ওনার সবচেয়ে বড় শত্রু। এ অব্দি ব্যাপারটা বোধগম্য। এর ফলে যেটা হয়েছে, উনি গুরুকে যতটা সিরিয়াসলি নিয়েছেন, সত্যিকারের গুরুর লোকেরাও গুরুকে অতটা সিরিয়াসলি না নেওয়ায়, এই পোবোল শত্রুতাজনিত লম্ফঝম্ফের বেশিটাই মাঠে মারা গেছে। এ নিয়ে আমি আর অয়ন খুব একচোট হ্যাহ্যাহিহি করেছি ফোনে।
বাই দ্য ওয়ে, ভুল ধারণা প্রসঙ্গে বলার, কলেজস্ট্রীট ডট নেট, যা অয়ন এবং ওর কিছু বন্ধু মিলে চালায়, সেটা আগে গুরুর অধীনে থাকলেও, এখন ওটা একটা স্বাধীন বিজনেস। ওর অ্যাকাউন্টস ইত্যাদি সবই আলাদা। আমাদের সহযোগী সংস্থা, কিন্তু ওখানে কোন বই রাখা হবে বা হবে না, সেটা অয়নরা ঠিক করে। গুরু সেখানে মাথা ঘামায় না। আমরা কিছু রিসোর্স ইত্যাদি শেয়ার করি। এই পর্যন্ত। ফলে অয়নকে গাল দিয়ে গুরুর ওপর ঝাল মেটানোর উদ্দেশ্য থাকলে বলি, সেই তীর লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে। এই নিয়েও গতকাল আমরা হেসেছি।
গুরুর ফেসবুক গ্রুপে দেবোত্তমবাবুকে ব্লক করা হয়েছিল। সেখানে উনি অভিযোগ এনেছিলেন গুরুর বাংলাদেশের বই বিক্রি বাড়ানোর জন্য ওখানকার মৌলবাদীদের প্রশ্রয় দেয়, ইত্যাদি। অ্যাডমিনদের সিদ্ধান্ত ছিল মিসইনফর্মেশন স্প্রেড করার কারণে ব্লক করা হোক। ব্লক করা হয়েছে। কিন্তু যেহেতু ফেসবুকের অ্যাডমিনরাই আবার সাইটের সবকিছু নির্ধারণ করেন এমন নয়, তাই সাইটে এসবের পরেও ওনার লেখা আটকানো হয়নি। কেউ এসে চুকলিও করেনি। যেহেতু উনি সবসময়েই যুদ্ধং দেহি মোডে থাকেন, তাই ওনার সাথে স্বাভাবিক নিয়মেই কিছু লোকের লেগেছে। তাঁদের কেউ কেউ গুরুর 'পুরোনো লোক'। আবার সেরকমই পুরোনো লোকদের কেউ কেউ ওনার লেখার প্রচুর প্রশংসাও করেছেন। যেমন অরিনদা। যাঁকে উনি মনে করেন 'নতুন আসছেন'। ফলে এটা পরিষ্কার যে এই বিষয়ে ওনার ধারণা খুবই ঘাঁটা। উনি ভাটে এবং ব্লগে বিদ্যাসাগর নিয়ে লিখতে শুরু করার পর কিছু ট্রোলিংও হয়েছে। কিন্তু সেগুলোর অধিকাংশই গুরুর পুরোনো লোকেদের করা নয়। ওনার সাথে ফেসবুকে অনেকেরই খটাখটি আছে। বিদ্যাসাগর, নিবেদিতা, বিবেকানন্দ - এসব নিয়ে ফেসবুকে বহুদিন ধরে দুটো গ্রুপ অফ পিপলএর মধ্যে তিক্ত বাদানুবাদ চলছে। গুরুর ফেবু গ্রুপ এবং আরও কয়েকটি ফেবু গ্রুপ এর সাক্ষী। এরকমই বিরোধী মতের কেউ কেউ এসে বেনামে ট্রোলিং করেছেন বলে আমাদের ধারণা। দেবোত্তমবাবু ধরে নিয়েছেন এগুলোর জন্য দায়ী গুরুর লোকেরা।
এবার মুশকিল হল মানুষ কখন কী ভাববে এটা গুরু কেন কারুর পক্ষেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। তাই সেই নিয়ে ভেবে সময় নষ্ট করার মানে নেই। গুরুতে শয়ে শয়ে লোক গত পনেরো বছরে লিখেছেন। শুধুমাত্র রেজিস্টার্ড ব্লগারের সংখ্যাই ৪৫০ র ওপরে। এনারা কে কখন লিখবেন বা লেখা বন্ধ করবেন, এসব নিয়ে গুরুর মাথার চুল ছেঁড়ার ইচ্ছে বা অবকাশ নেই, ছিঁড়তে চাইলেও বাস্তবত তা অসম্ভব। কাজেই এই ফাঁকা আওয়াজগুলো অর্থহীন, এবং শূন্যগর্ভ।
গুরুর ১৭ বছর বয়স হল। আর একবছর পরে সে অ্যাডাল্ট হবে। ইতিমধ্যে বাংলাবাজারকে তার খানিকটা দেখা এবং চেনা হয়েছে। সেখানে তার নিজের কন্ট্রিবিউশন নিয়ে তার খুব স্বচ্ছ ধারণা আছে, এবং তা প্রতিমুহূর্তে অন্যের ভ্যালিডেশন প্রত্যাশী নয়। লেখা এবং লেখকের আসা যাওযার স্রোত থাকবে। গুরুর নিজের জায়গাও নিজের মতই থাকবে, বা থাকবে না। এসব নিয়ে গুরুর ইনসিকিওরিটি নেই। দেবোত্তমবাবুর ইচ্ছে হলে লিখবেন, না ইচ্ছে হলে লিখবেন না। যুদ্ধ করতে ইচ্ছে হলে ছায়ার সাথে যুদ্ধ করুন। আমরা গ্যালারি থেকে হাততালি দেব। আমাদের দিক থেকে কোনো যুদ্ধ নেই।
ধন্যবাদ।
এক্স্যাক্টলি!পুরো ড্রেসআপ দেখেই নেটিজেনরা মুগ্ধ। বুড়ো ভারি মিষ্টি উত্তরও দিয়েছে মিমারদের।
'আই ওয়াজ জাস্ট সিটিং দেয়ার ট্রাইং টু গেট ওয়ার্ম' :D
বর্ণির কি ঐ গ্লাভস দেখে সবার মিমেচ্ছা জেগেছে? বুড়ো হেভি কিউট।
লন্কা মনে হচ্ছে এই টেস্টটা বাঁচিয়ে দেবে।
অভ্যু , পৃথিবীতে যা কিছু সত্যিই অন্তর থেকে ঘৃণা করি সেটার মধ্যে একদিকে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি, অন্যদিকে আধুনিক এইচ আর।:---))))))এ মানে শীর্ষেন্দুর থেকেও খারাপ।:----)))) মানুষ গুলোকে না অবশ্য ই, আইডিয়া টাকে , সাধারণ ভাবে আমি ম্যানেজমেন্ট জিনিস টাকে দুচক্ষে দেখতে পারি না আইডিয়াটাই রিভোল্টিং, এবার ক্যাপিটালিজম এর নানা থিয়োরি র মধ্যে ম্যানেজমেন্ট টা একটা গড়ে ওঠা সিস্টেম অফ থট, সোশাল সাইন্স বা কোনকোন ক্ষেত্রে মেটেরিয়াল সাইনসের মত হিসেবে পড়ানো হলেও আমরা চার পাশে যা দেখি তাতে প্রাকটিস গুলি সম্পর্কে থুতকড়ি ছাড়া আর কিসু জাগা কঠিন:--)))))
বার্নিকে নিয়ে যে মীম রায়ট চলছে,তার মধ্যে এইটা সবচেয়ে মিষ্টি লাগল বলে শেয়ার করলুম। রিচার্ড ডকিনস কী বলবেন অবশ্য জানিনা।
জেমি অ্যান্ডারসন ৬ উইকেট পেলো। ইন্ডিয়াকে খুব সমস্যায় ফেলবে। জেফ্রি আর্চার নিয়েও চিন্তাভাবনা শুরু করা উচিত।