r2h,
এনগেজমেন্ট কমছে বলা কঠিন, গত এক বছরে গুরুতে এমন আর্টিকল বেরিয়েছে যে একটি আর্টিকল ফেসবুকে ৬০০০+ বার শেয়ার হয়েছে, তো ধরো যদি প্রত্যকের গড় কানেকশন ১০০ জন করে, তার মানে ঐ আর্টিকলটি ৬০০০০০ জনের ওয়ালে গেছে।
তো এটা একটা এনগেজমেন্ট। মানে যাকে বলে অর্গ্যানিক এনগেজেমেন্ট... এই সব।
এবং, যিনি এই ফেসবুকে এই আটিকল শেয়ার করছেন তার ওয়ালে এই থ্রেডে কমেন্ট পড়ছে, সেগুলো আমরা দেখতে পাচ্ছি না।
অর্থাৎ, কমেন্ট সোজা গুরুর সাইটে এসে না পড়লেও, এই লেখা নিয়ে আলোচনা ফেসবুক বা হোয়াটসঅ্যাপে হতেই পারে যা কিনা আমরা এখানে দেখতে পাচ্ছি না।
অর্থাৎ, এই যে আগের কনসেপ্ট যে যেখানে লেখা বেরোচ্ছে সেখানেই একমাত্র সেই লেখা নিয়ে আলোচনা হবে, এই কনসেপ্টটা বদলে যাচ্ছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এনগেজমেন্ট কিন্তু অন্য ভাবে হতে পারে।
আমায় সবাই বিটকয়েন এর লোভ দেখায় , বিশেষ করে এই ব্রেভ ব্রাউসার সারাক্ষণ ঝোলাঝুলি করে , কিন্তু কিছুতেই সাহস করে কিনতে পারি না
গুরু যদি কমেন্ট এর বদলে বিটকয়েন দেয় ...... শুধু হুকুম এর অপেক্ষা বাকিটা আমি বুঝে নেব :)
সত্তর পয়সা বলতে আপনারা সত্তর সেন্ট ভাবছেন নাকি? সত্তর পয়সাও আজকাল কচুপোড়াও হয় না।
এক বিটকয়েন, সর্বনাশ, পৃথিবীর সব জায়গা থেকে এসে লোকে মন্তব্য করে যাবে! (কিন্তু হপ্তাখানেক ধরে দেখছি বিটকয়েন মাঝে মাঝে নিম্নগামী?)
মিঠুদি, হাহা, তা তো আছেইঃ)
অভ্যু:-))) সে কুপন কেমনি করে লোড করে?
অ পোচ্চুর কমেন্ট করেন বুঝি? দুগগাপুজোর সময় এক মাস দেড় মাস ধরে গাদা লেখা বেরোল যার বেশিরভাগই গড়পড়তা অন্য পুজোসংখ্যার চেয়ে অন্য ধরণের তার কটায় কমেন্ট করেছিলেন? এত ব্লগ বেরোয় কটায় কমেন্ট করেন? নাকি সাদাপ্রিন্টে টাইপ করেন তাই দেখা যায় না।
বিটকয়েন শুনে টিনুও হয়তো বসে যাবে:-))
অরিনবাবু যে ডীপ স্টেটের লোক, সেটা আজকে প্রমাণ হয়ে গেল। বিটকয়েনের সঙ্গে ডলার মিশিয়ে দিলেন। যান যান ঐ ডেমদের গিয়ে ভোট দিন, আর ফেক নিউজ দেখুন।
মিঠুদি, তুমি যদিও আমার মতো কিপ্পুস নও তবু বলি - এই ক্রোগারে পোচ্চুর কুপন পাওয়া যায় অনলাইনে ওদের ওয়েবসাইটে। সেইগুলো কার্ডে লোড করতে হয়। এই যেমন কাল আমি Simple Truth Organic Milk হাফ গ্যালন দেড় ডলারে কিনে আনব। অন্ততঃ দু তিনটে কার্টন তো কিনবই। এই হপ্তার লুকোনো ডিল ওটা। রেগুলার প্রাইস সাড়ে তিন ডলার মতো, স্টোরে গেলে ঐ দামই দেখাবে। শুধু চেক আউট করার সময় চুপি চুপি দাম কমিয়ে দেবে যদি কুপন লোড করা থাকে :)
কমেন্ট পিছু এক বিটকয়েন। কমেন্ট করুন, ডলার কামান।
হুতো, কিছু লোকের গুরু র প্রতি অসম্ভব মন্দবাসা আছে। এখানে মুন্ডপাত করেই তারা শান্তি পান না, অন্যত্রও কটি নিন্দেমন্দ করে তারপর জল খান:-)
সত্তর পয়সা দিলে তো আমি এখনি রিটায়ার করে যাবো।
সত্তর পয়সা করলে একটা কম্পিটিশন আসবে। আমাদের মতন বুড়োদের রিটায়ারমেন্টের পরে একটা অর্থোপার্জনের পথও খুলে যাবে।
কন্টেন্ট না পড়ে কমেন্ট করলে চলবে? গুরু থেকে কমেন্ট প্রতি পাঁচ পয়সা ভাতা দেওয়া হোক।
না, দুঃখিত হবার কিছু না, বাংলা সাহিত্যের সম্পদবৃদ্ধি কিনা তাও জানি না, যে কোন ভাষাতেই যা লেখা হয় তার কতটুকু আর টিঁকে থাকে। চর্চাটা চালু থাকাই বড় কথা।
কিন্তু কিছু জিনিস আছে, যেমন গুরুতে অনেকেই মন্তব্য করতে একটু দ্বিধা করেন, মন্তব্যটা অ্যাট পার হচ্ছে কিনা তা নিয়ে চিন্তা থাকে, ফেসবুকে একটা লাইক ইমোজি স্টিকার আদরবাসা যা কিছু বলে দেওয়া যায়, গুরুতে সেটা গ্রহণীয় নাও হতে পারে সেই সচেতনতা অনেক পাঠকেরই আছে। এইটাকে আমি খারাপও বলবো না, জাংক কন্টেন্টের বদলে অর্থপূর্ণ কিছু আসা ভালো - আমি নিজেও মন্তব্য প্রায় করিই না, এবং করলেও বেশিরভাগ সময় নিন্দেমূলক কিছু থাকলে তবেই করিঃ)। কিন্তু আমি এনগেজমেন্টটাকেও অ্যাপ্রিশিয়েট করার পক্ষে।
এমনিতে সামগ্রিকভাবে এনগেজমেন্ট কমেছে, তার কারনও আছে, এখন আরো পাঁচটা ফোরাম আছে, ফেবু আছে, যোগাযোগের মাধ্যম অনেক বেড়েছে, গুরু তৈরি হওয়ার সময় প্রাবাসী লোকেরা বাংলা লেখার জায়গা পেতেন না, এখন সেই বাধা নেই; তারওপর প্রবল রাজনৈতিক মেরুকরণের ব্যাপারও আছে। তো ঐ আরকি, পাঠকের দোষ কী। ব্যানাল মন্তব্য নিয়ে আমোদ করতে আমিও মন্দবাসি না। তবে সত্যিই ব্যাপারটা পাল্টাতে চাইলে ওটা নিতান্ত কঠোর বিকল্প।
আচ্ছা অভ্যু, গেলেই দেখবো। যদি পাই, আনবো। কাল কালোজিরে আর বেগুন গিয়ে ইলিশ রান্না করব। একটা ইলিশ আনিয়েছি:-)
"এ তো ভারি মুশকিল, কমেন্ট না হলে সমস্যা আবার কমেন্ট হলে সেগুলো মর্যাদাপূর্ণ কিনাতা নিয়ে চুলচেরা, তাহলে তো কুমোরটুলি থেকে অর্ডার দিয়ে কমেন্ট বানিয়ে আনতে হয়ঃ)"
আমার ক্ষেত্রে কমেন্ট না হওয়াটা বাজে লাগে, মর।যাদা হ্যান ত্যান নিয়ে আমার বিলাসিতার জায়গাই নেই। বাদ দিন।
ম, অভ্যু, &|, kk, b, আপনাদের উৎসাহ পেয়ে দারুন ভাল লাগল। আমি যেরকম ভাবতাম সেরকম নয়। "পাঠক" আর /, আপনাদেরও ধন্যবাদ, আমার "জ্ঞান" নিয়ে ইনসাইট দেবার জন্য।
এ বিষয়ে এইটেই আমার শেষ পোস্ট।
গুগুল করে দেখেছিলাম ওটা ভোলা মাছের জাত। খেতে অনেকটা গুর্জাওলির মতো। গন্ধ একদম নেই, ভাজার সময় ছেটেও না একবারে, তবে একটু কাঁটা আছে। পেঁয়াজ টম্যাটো আদা রসুন দিয়ে যোগীয়া মাছের ঝাল বানিয়েছিল। খুব ভালো খেতে হয়েছিল।
না না হুতো, সূক্ষ্মবিচারের কিছু নেই। সেরকম মনে হলে দুঃখিত। যাঁরা সিরিয়াস কাজকর্ম করছেন তাঁদের জন্য সবসময়েই শ্রদ্ধা। এই যে বড় বড় ভালো লেখা আসে, তথ্যসমৃদ্ধ, গভীর---সেই সবই তো খুবই ভালো। সম্পদ বৃদ্ধি পাচ্ছে বাংলাসাহিত্যের।
সেই মাছ চারটে কীভাবে রেঁধে খেলে অভ্যু? কড়া করে ভেজে ? নাকি আলুবেগুন দিয়ে ঝোল? নাকি প্রচুর লঙ্কাপেঁয়াজ দিয়ে ঝুরা?
এ তো ভারি মুশকিল, কমেন্ট না হলে সমস্যা আবার কমেন্ট হলে সেগুলো মর্যাদাপূর্ণ কিনাতা নিয়ে চুলচেরা, তাহলে তো কুমোরটুলি থেকে অর্ডার দিয়ে কমেন্ট বানিয়ে আনতে হয়ঃ)
মজা করলাম, অনেক কমেন্টই মূল লেখাকে যথাযথ কম্প্লিমেন্ট বা সাপ্লিমেন্ট করে। কিন্তু আমি নিতান্ত সাধারন পাঠক, তেমন কিছু জানি না, কিন্তু ভালো লাগাটুকু জানাতে চাই - সেটা করা যাবে না? আমি হয়তো নিজে তত ভালো লিখতে পারি না, কিন্তু ভালো লাগাটা আন্তরিক - সেরকম কি হতেই পারে না?
পাঠক রেডি রাখার সন্দেহটাও আমার হয় না। আজ হিরণ মিত্র বা অমর মিত্র বা জগন্নাথদেব বা মণিশংকর বিশ্বাসের লেখা তাদের টাইমলাইনে শেয়ার হলে কিছু বেশি মানুষ আসবেন সেটা তো খুবই স্বাভাবিক। নাম না করতে পারলে ভালো হতো, কিন্তু কয়েকটা উদাহরন দিতে হতো।
কোন লেখায় কেমন এনগেজমেন্ট হবে সেটাও নানা কিছুর ওপর নির্ভর করে, আমি জানি না সেগুলো কী, কিন্তু করে। ইস্যুর ব্যাপার থাকে, যেমন বাংলাপক্ষ নিয়ে প্রতিবেদনটাতে দেখছি ভালো এনগেজমেন্ট।
মোটের ওপর এসব খুবই আশ্চর্য। গুরুর পুরনো ভাটিয়াল লেখক ইত্যাদিদের গুরুর প্রকাশনা, বই হোক বা ম্যাগাজিন, সেসব নিয়ে এনগেজড হতে দেখাটা খুব সুলভ না। ওদিকে যারা করছে তাদেরও আমরা সূক্ষ্ম বিচার করে ব্যতিব্যস্ত করে রাখবো, এ ভারি মজা। টাইমপাস হিসেবে ঠিকই আছে, তবে টাইমপাসের বাইরে একটু কেমন লাগে আরকি।
এক ভূপর্যটক বন্ধু সেনেগাল বেড়াতে গেছেন। মাছের ছবি দিয়ে ছয়লাপ করে ফেলছেন। কত রকমের যে মাছ! একটা অভয়ারণ্যেও গেছেন, সেখানে লম্বা লম্বা জিরাফ রাজকীয় চালে ঘুরছে, বড় বড় উটপাখি ঘুরছে, আরো কত কী!
অরিন বুঝতে পারছেন তো কত লোক আপনার লেখা পড়ে!
আমি সব লেখাই মোটামুটি পড়ার চেষ্টা করি। জানানো হয় না।
অভ্যু, ঐ মাছটা খেতে দেশের কোন মাছের মতো? আমি তো সব মাছেই দেশের কোনও একটা মাছের মতো বা কাছাকাছি বলে ধরে নিই:-) গন্ধ না থাকলেই হলো
জটায়ু থাকলে লিখতেন, "ক্রোগারে ক্রোকার" ঃ-)
অরিনদা রাগ করার আগে বলে দি, ওয়াইল্ড কট অ্যাট USA :)
আজ দেখি ক্রোগারে croaker fish বিক্রি হচ্ছে, বেশ সুন্দর পরিষ্কার করে ছাড়িয়ে মাথা কেটে রেখে দিয়েছে - চার ডলার পার পাউণ্ড দাম। নিয়ে নিলাম চারটে। আগে কখনো খাই নি মাছটা।
"নিজের বেলায় ডেঁড়েমুশে কমেন্ট চাই আর অন্যের বেলায় এড়িয়ে যাই ।"
আমার লেখায় কে কটা কমেন্ট করে? আপনি যে করার লোক নন, সে তো বোঝাই যাচ্ছে | আর আমি অন্যের বেলা এড়িয়ে যাই? কোথায়?
এয়ার ইন্ডিয়া তো? ওমা গো টুরু লাব তো !৬৮০ তে টিকিট দিচ্ছে শুনলাম।
@হুতো, তাঁরা ওরকম "ঋদ্ধ হলাম" "আদরবাসা জানালাম" ধরণের মন্তব্য করেন বলেই তো খটকাটা। কারণ লেখায় ওরকম মন্তব্য থেকে তো লেখাটা নিয়ে কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। না সদর্থক কিছু, না সমালোচনমূলক কিছু। এরকম মন্তব্যে কি লেখাটার মর্যাদা থাকছে? হয়তো প্রচুর খেটেখুটে বড় আকারে একটা লেখা লিখেছেন কেউ, বহু তথ্য ও গভীর চিন্তাভাবনাওয়ালা লেখা হয়তো। সেই লেখার মন্তব্যে পর পর যদি ঋদ্ধ হলাম, ছুঁয়ে গেল- এই ধরণের মন্তব্য পড়ে---তাহলে তো--মানে ইয়ে---
হ্যাঁ কলি:-))
অভ্যু, সেটা কোন মাছ(চক্ষু গোল্লা গোল্লা করে) আবার? বুধবার ক্রোগারে গিয়ে মাছের সামনে যে দাঁড়িয়েছিলো তাকে গজগজ করে বলে এলাম ভালো ভালো মাছ আনতে পারো না? না আনলে লোকে খেতে শিখবে কী করে? ছেলেটা ঘাবড়ে গিয়ে একটা বস গোছের লোককে ডেকে আনলো, তাকেও বললাম অভ্যু কেন সব ভালোভাবে মাছ পায়, আমরাও যেন পাই।মাছের বিক্রি বাড়াতে সাহায্য করার জন্যে তোমায় আদরবাসা জানিয়েছে:-)
গীতা ঘটক আমার টুরু লাব। এই রেকর্ডিং বোধহয় আমি যখন ক্লাস এইট-নাইনে পড়ি তখনকার। এখনও মাঝে মাঝে গেয়ে "গোপাল উড়ের গান" বলে ঘ্যাম নিয়ে লোককে তাক লাগিয়ে দিই।