এইটা ফার্স্ট অ্যামেন্ডমেন্টঃ
Congress shall make no law respecting an establishment of religion, or prohibiting the free exercise thereof; or abridging the freedom of speech, or of the press; or the right of the people peaceably to assemble, and to petition the Government for a redress of grievances.
এখানে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলঃ কঙ্গ্রেস শ্যাল মেক নো ল। মানে সরকার কারোর মুখ বন্ধ করবেনা। টুইটার, ফেসবুক যে প্রাইভেট কোম্পানি, নট সরকার, সেটা অনেকের খেয়াল নেই বোধয়। ট্রাম্প এখনও যা খুশি বলতেই পারে রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে বা অন্য প্ল্যাটফর্মে। টুইটার অনেকটা আপনার বাড়ির দেওয়াল। আপনি বিজেপি, তিনো, বা বামেদের বলতেই পারেন যে এইখানে কিছু লিখবেনা। তার সঙ্গে ফ্রী স্পিচের কোনও সম্পর্ক নেই।
কিন্তু সেকশান ২৩০ নিয়ে একটা সমস্যা আছে। এইযে আমি আপনি ট্রাম্প টুইটার, ফেসবুক, গুরুচন্ডালিতে যাখুশি লিখি এর জন্য সরকার এই সাইটগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেনা। কারণ যদিও আমি গুরুর সার্ভার ব্যবহার করছি, কিন্তু বক্তব্যটা আমার, গুরুর নয়। ফলে কেউ তর্ক করতেই পারে যে টুইটার যেহেতু সেকশান ২৩০ টুইটারকে ইমিউনিটি দিচ্ছে, তাহলে টুইটারের এই সেনসরশিপের কোনও অধিকার আছে কিনা। আর টুইটার যদি নিজের সেনসরশিপ করে, তাহলে সেকশান ২৩০এর আর প্রয়োজন আছে কিনা।
এখানে দুটো কথা বলে রাখি। আইটি সেলের গুন্ডারা ফ্রী স্পিচ নিয়ে লেকচার দিতে এলে কানেই নেবেন না। ওরা এখনও কমেডিয়ানদের অ্যারেস্ট করে চলেছে। আর রিপাব্লিকান ল'মেকাররা যতই সেকশান ২৩০ নিয়ে বলুক না কেন, কিছু করবেনা। কারণ তাহলে সবকটা রাইট উইঙ্গ ডিজিটাল মিডিয়া একদিনেই উবে যাবে। লিন্ডসি গ্রাহাম সেকশান ২৩০ নিয়ে লম্বা টুইট করেছে বটে, কিন্তু ওসব ফাঁকা আওয়াজ। এখন তো কঙ্গ্রেসে সাপোর্টও নেই।
ব্যক্তিগতভাবে টুইটার, ফেসবুকের এই ব্যান মোটেই করা উচিত হয়নি। ফিলসফিকালি এবং প্র্যাকটিকালি বিরোধিতা করছি। ফ্রী স্পিচ শুড বি আল্টিমেট, সেখানে হেট স্পিচও চলা উচিত। এর ফলে ট্রাম্পভক্তরা আরো অপমানিত বোধ করবে। যাদের একটা বড় অংশ ৬ তারিখের টেররিস্ট অ্যাটাক সমর্থন করে। এরা আরো হিংস্র হয়ে উঠবে। টুইটার তাও এদের অ্যাঙ্গার এক্সপ্রেস করার একটা জায়্গা ছিল। এদের ট্র্যাক করার একটা এবং এদের সঙ্গে ইন্টারাক্ট করার জায়্গা ছিল। সেটা গেলো।
পার্লার নামে রাইট উইঙ্গদের একটা টুইটারের মতন অ্যাপ আছে। যা শুনেছি সেখানে লেফ্ট উইঙ্গ কিছু লিখলে অ্যাকাউন্ট ব্যান করে দেওয়া হয়। সেদিন একটা খবরে পার্লারের স্ক্রীন শট দেখলাম। হেট স্পিচ তো বাচ্চা ব্যাপার মশাই, লোকজন ক্রাইম করার ডাক দেয় সেখানে।
এদিকে ট্রাম্প কে টুইটার ব্লক করে দেওয়ায় বিজেপি র ভক্তদের টেনশন চড়ে গেছে. অবশ্য যারা ফ্রি স্পিচ আর হেট্ স্পিচ এর মধ্যে তফাৎ করতে পারেনা , তাদের কাছে এটাই এক্সপেকটেড.
অমিত মালব্য, বিজেপি-র আই টি সেলের প্রধান
Deplatforming Donald Trump, a sitting US president, sets a dangerous precedent.
It has less to do with his views and more to do with intolerance for a differing point. Ironically, those who claim to champion free speech are celebrating.
Big tech firms are now the new oligarchs.
— Amit Malviya (@amitmalviya) January 9, 2021
ট্রাম্পের অ্যাপ্রুভালো রেটিং রিপাবলিকানদের মধ্যে ছিল ৯০%।
মাক্কালি ট্রাম্প ও তার এনাবলারদের নিয়ে মুভি তৈরী হল বলে। টেড ক্রুজ পুরোপুরি স্যাড কেস। ট্রাম্প ক্রুজ, তার বউকে কিনা বলেছিল।
ডিসি,
"বেচারা ট্রাম্পের জন্য আমার কষ্ট হয়। কোভিড না হলে হাসতে হাসতে দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হতো। তা না, এখন সবার কাছে গাল খাচ্ছে। "
কোভিডের আগে ট্রাম্পের অ্যাপ্রুভাল রেটিং খুব ভাল ছিল না। গাল আগেও অনেক খেয়েছে, ইমপিচড-ও হয়েছে। ট্রাম্পের পুরো চার বছরই ছিল রকি, ইভেন্টফুল (নেগেটিভিটি)।
ইন্ডিয়া কি হেরে গেছে?
সিএনএন এ লিখছে কংগ্রেস ইম্পিচমেন্ট নিয়ে এগোচ্ছে. লিস্ট ও দিয়েছে কারা কারা সই করেছে . কিন্তু সেনেট এ কোনো রিপাব্লিকানস সাপোর্ট নেই, মাত্তর ৩৮ জন ডেম. বেকার আবার প্রপোসাল তুলে ফেল করার মানেই হয়না. টাইম ও নেই . মাঝখান থেকে ট্রাম্প আবার একটু পাবলিসিটি আর ফালতু সিমপ্যাথি পেয়ে যাবে. সাবমিট না করে বরং হইচই করে কটা দিন কাটিয়ে দিতে পারলেই বেটার.
সোশ্যাল মিডিয়া টোটাল ব্যান করেছে ওকে . তাতেই ৯০% কাজ হয়ে যাবে।
দেড়খানা ব্যাটসম্যান নিয়ে কি আর টেস্ট জেতা Jaay
লাউসেন তো চন্ডীমঙ্গল নাকি? অন্য কোন মঙ্গল?
উফ্, বর্তমান নয় ব্যান।
পর্নহাব ভারতে বর্তমান নয়?
ধেত্তেরি। স্মিথ।
এবার কি লাউসেন আর প্রমিত দুজনেই সেঞ্চুরি করবে?
অস্ট্রেলিয়া কাল বিকেল অব্দি ব্যাট করুক আর ইন্ডিয়া পঞ্চম দিনের শেষে ৭/২৬৪ করে খেলা ড্র করুক।
পরের ম্যাচে নতুন উদ্যমে।
মনে হচ্ছে চারদিনেই খেলা শেষ হয়ে যাবে।
ডিসি , হিটলার এর জন্যেও কারোর কারোর কষ্ট হয় কিন্তু।
বেচারা ট্রাম্পের জন্য আমার কষ্ট হয়। কোভিড না হলে হাসতে হাসতে দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হতো। তা না, এখন সবার কাছে গাল খাচ্ছে।
প্রচুর লোকের মাথা নষ্ট করে দিয়েছে ট্রাম্প। সঙ্গে ফক্স নিউজ, ওএনেন, কিউঅ্যানন, কনস্পিরেসি থিওরিস্টদের পেয়েছে। সেদিন কয়েকজন বলছিলেন যে লোকেদের খারাপ অবস্থার কারণে এইসব হয়েছে। ৬ তারিখের টেররিস্ট অ্যাটাকের সমর্থকদের মধ্যে কিন্তু সব স্ট্র্যাটার লোকজনই রয়েছে। শিক্ষিত, ভেরি ওয়েল টু ডু জনগণের সংখ্যাও কম নয়।
টুইটার তো বলেছে ওই জন্যেই একাউন্ট ব্লক করে দিয়েছে। ভক্তদের উস্কাচ্ছে যে ২০ তারিখ আমি ওখানে থাকছি না , তোমরা যা করার করে নাও।
২০ তারিখে আরো একবার গোলমাল হলে অবাক হবনা।
কিন্তু ব্র্যাডকে তো অনেকদিন আগেই সড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল ক্যাম্পেইন থেকে।
এনিওয়ে ফ্লোরিডা নিয়ে আমার ধারনা হল ওখানে ট্রাম্প ক্যাম্পেইন আর রিপাব্লিকানরা প্রচুর পরিশ্রম করেছিল কারণ ধরেই নিয়েছিল যে ফ্লোরিডা জিতলেই হয়ে যাবে (উল্টোটা অবশ্যই সত্যি, ফ্লোরিডা হারলে কোনই আশা ছিলনা)। লোকে সোশাল মিডিয়ায় লিখছিল যে সাদার্ণ ফ্লোরিডা ট্রাম্প পেন্স ফ্ল্যাগ দিয়ে মুড়ে দিয়েছিল, বাইডেনের নাকি নামগন্ধ ছিলনা। বাইডেন ক্যাম্পেইনের টার্গেট ছিল মিডওয়েস্ট।
ইনফ্যাক্ট সেদিন ব্র্যাড একটা ইন্টারভিউতে বললো যে ট্রাম্প যদি প্যান্ডামিকের সময় একটু সিমপ্যাথি দেখাতো, তাহলে সাবার্বান ভোট হাতছাড়া হয় না।
ট্রাম্পের মাইনরিটি ভোটারদের মধ্যে ভালো করার একটা বড় কারণ হল ব্র্যাড পারস্কেল। ব্র্যাড টার্গেট করেছিল লো ইনফরমেশন মাইনরিটি ভোটার। প্রুফ অফ কনসেপ্ট হিসেবে।
এরা ইনফরমেশন বলতে শুধু ট্রাম্পের সাইডটাই শুনেছে। নাথিং এলস।
পিওসি সাকসেসফুল। এবার ডোনাররা নিশ্চিন্তে ঢালতে পারে পয়সা। জাস্ট নজর রাখুন।
টিপস - র্যাচেল বাইটকফারকে ফলো করুন। অনেক সোজা জিনিষ সোজা কথায় জানা যায়
ট্রাম্প একটা ফুলস্কেল পাগলা----- লোক। ও জাহান্নমে গেলে কার কি। কিন্তু ওর সাথে ঝুলে থেকে প্রচুর ইয়ং স্টাফ নিজের ক্যারিয়ার ফালতু বরবাদ করে দিলো। কে এদের পরে চাকরি দেবে ? ট্রাম্প তো ফিরেও দেখবে না। দে আর এক্সপেন্ডেবলস।
"ভারত আমার ভরতবর্ষ :((((
"ভারতবর্ষ আমার ভারতবর্ষ!! ! :(((((
পর্ণহাবে এত খারাপ লোকেদের অ্যাকাউন্ট খুলতে দেওয়া হয়্না, সেটা সত্যি কথা।
ট্রাম্প নাকি পার্লারে যাচ্ছে। ওদিকে অ্যাপল পার্লারকে ২৪ ঘন্টার আলটিমেটাম দিয়েছে মডারেশান করার। নইলে অ্যাপ স্টোর থেকে তুলে দেবে। গুগল অলরেডি ব্লক করে দিয়েছে। স্পষ্টতই ৬তারিখের টেররিস্ট অ্যাটাকের প্ল্যান করার এবং পাবলিক ফিগারদের ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়েছিল পার্লারকে।