ইলেকটোরাল পলিটিক্সে যদি এর প্রতিকার না হয় তাহলে কোন একটা সময়ে ব্যাপারটা ইলেকটোরাল পলিটিক্সের বাইরে বেরিয়ে যাবে। হয় ফ্যাসিজম নয় বাঁ দিকে বিপ্লব। আমি আপনি কি ভাবছি তাতে কিছু যাবে আসবে না।
আপাততঃ আগ্নেয়গিরির চূড়ায় পিকনিক। :-)
হাউসের ১৯৯ জন রিপাব্লিকানদের মধ্যে ১২০+ জন আজকে সমর্থন করলো অ্যারিজোনার রেজাল্টের বিপক্ষে। টেররিস্টরা আজকে রিপাব্লিকানদের ভয় দেখাতে পেরেছে।
কোখ ব্রাদার্স প্রতি ইলেকশান সাইকেলে প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার তুলে দেয়। এই জর্জিয়ার দুটো সেনেট রান অফে প্রায় ৯০০ মিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে। অবশ্য এসব খবর অনেকেই রাখেনা।
“Two suspected explosive devices were rendered safe by the FBI and our law enforcement partners,” a spokesperson for the bureau said in a statement. “The investigation is ongoing.”
এত কিছুর পরও এটাই বাস্তব যে
(১) ট্রামপ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট, এবং তাঁর হাতে অশেষ ক্ষমতা; আরো ১৪ দিন তিনি থাকবেন যদি না ২৫তম / ইমপিচমেন্ট হয় |
(২) বহু দুষ্কৃতি পুলিশের এসকর্টে ক্যাপিটল থেকে বেরিয়ে গেছে এবং কেউ তাদের কেশাগ্র স্পর্শ করেনি |
নাটক এখনো শেষ হয়নি ।
অয়েল জায়ান্ট, ওয়াল স্ট্রিট জায়ান্ট দের কাউন্টার করার জন্যে কোনো একটা জায়্ন্ট তো লাগবে। খালি জনগণ দু পাঁচ টাকা দেবে আর সেই টাকায় ইলেকশান লড়ব - এরকম ভাবলে আর কোনো ইলেক্শানেই জিততে হবে না। অ্যাটলিস্ট যতদিন মানি ইন পলিটিকস না কমছে। সেটা কমানোর জন্যেও ইলেক্টোরাল পলিটিকসে ঢুকতে হবে। হীরক রাজাকে সরানোর জন্যে হীরে চুরি করে প্রহরীদের ঘুষ দিতে হয়েছিল। মজার ব্যাপার হচ্ছে হিলারি ক্লিন্টন পলিটিকসে মানির ইন্ফ্লুয়েন্স কমানোর জন্যে কন্সটিউশন অ্যামেন্ড করার কথা বলেছিলেন।
এই যে স্টেসি অ্যাব্রামসকে এখন ভগবান মনে হচ্ছে সেই স্টেসি অ্যাব্রামস ফেয়ার ফাইট অর্গানাইজেশান চালানোর জন্যে সবার থেকে টাকা নেয়, ইনক্লুডিং মাইকেল ব্লুমবার্গ। তাই 'প্রগ্রেসিভ'রা স্টেসি অ্যাব্রামসকে পছন্দ করে না। বলে এস্ট্যাব্লিশমেন্ট সেল আউট। তাই কাল বলেছিলাম স্টেসি অ্যাব্রামসকে চেয়ার বানালে প্রথমেই প্রগ্রেসিভরা রে রে করে ছুটে আসবে। সেই সব প্রগ্রেসিভ, যাদের ক্লেম টু ফেম হচ্ছে টুইটারে বিপ্লব করা। একেবারে বিগ টেকের হদ্দমুদ্দ।
রিপাবলিকানরা কেয়ার করে না। আর ডেমরাও যদি না কেয়ার করে তাইলে আর কি চার বছর পর পর পিটি পটে বসে কাঁদবে, দেখেছ ডিপ্লোরেবল রা কেমন হারিয়ে দিল। ট্রাম্প এল , তারপর সকাল হলে চোখ মুখ ধুয়ে কাজে যাবে।
অরিণ ইনইকুইটি ব্যপারটা কি? বুঝি নি। আর আম্রিগায় ইনইকুয়ালিটি তেমন নেই, এর ডেটা আছে?
অরিন, এরা মনে করে যে হোয়াইট সুপ্রিমেসি ইজ গুড।
সেই জন্যই ট্রাম্প ইজ রং সলিউশন। ডেমরা রাইট সলিউশন চেষ্টা করুক।
টেররিস্টরা ঢুকেছিল ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের রেকর্ড নষ্ট করার উদ্দেশ্যে। রিপাব্লিকানরা সেটা সমর্থন করছে।
"রেসিস্ট টেররিজমের পক্ষে, সেটাই প্রমাণ হচ্ছে"
এটা যে একটা রেসিজম _এবং_ টেররিজমের সমস্যা, সেটা এরা বোঝে কি?
গুরুর বুদ্ধিমানদের কথা পড়লে মনে হয় যে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সোশাল সিকিউরিটি, ইনিকুয়ালিটির জন্য ট্রাম্প এবং রিপাব্লিকানরা খুব পরিশ্রম করছে। আর ডেমোক্র্যাটদের জন্যই সব আটকে যাচ্ছে। এদিকে ট্রাম্প ভোটাররা ক্রমশ বলে চলেছে যে উই ডোন্ট ওয়ান্ট সোশালিজম, ওবামাকেয়ারের বিরোধীতা করছে, পাবলিক স্কুলের বাজেট কমিয়ে দিতে বলছে, বড়লোকদের ট্যাক্স কাটের সমর্থন করছে।
"রাইট সলিউশন হল ইনিকুয়ালিটি কমানো।"
খাতায় কলমে আমেরিকায় ইনিকিউয়ালিটি খুব একটা নেই, সমস্যা বরং ইনিকুইটির |
সে একটি অধিকারের সমস্যা |
সেনেটে ৬ জন এবং হাউসে এখনও অবধি প্রায় ১০০ জন রিপাব্লিকান অবজেকশানের পক্ষে ভোট দিল। পেনসিলভানিয়া নিয়েও জশ হলি অবজেক্ট করবে জানা যাচ্ছে। আরো হতে পারে।
রিপাব্লিকানস আর অ্যাক্টিং লাইক দিস ইজ দ্য লাস্ট ইলেকশান অব দেয়ার লাইফটাইম।
রিপাব্লিকানদের একটা বড় অংশ যে এই রেসিস্ট টেররিজমের পক্ষে, সেটাই প্রমাণ হচ্ছে।
রাইট সলিউশন হল ইনিকুয়ালিটি কমানো।
সোশ্যাল সেফটি নেট শক্তিশালী করা।
সোসাইটিতে আপওয়ার্ড মোবিলিটি বাড়ানো।
খাদ্য বস্ত্র বাসস্থান শিক্ষা চিকিৎসা সুলভ করা।
অমিত সে লিখতে হলে প্রবন্ধ লিখতে হয়। আজ বউয়ের সাথে হোয়াটসাপে এই নিয়ে বকে বকে হাত ব্যথা হয়ে গেছে।
এককথায় ডেমদের ব্লাইণ্ড স্পট হল হোয়াইট ওয়ার্কিং ক্লাস। আর ওবামা এসে টেক জায়েন্টদের সাথে মিলে মিশে বখে গিয়ে এদের জন্য কিছুই করে নি। বিগত ত্রিশ চল্লিশ বছর ধরে জমা ক্ষোভ ট্রাম্প কাজে লাগিয়েছে। এই তো ব্যপার, একে অস্বীকার করলে যা হবার হবে।
যেমন আবার ওবামা ইনফ্লুয়েন্সে টেক জায়েন্টরা বাইডেনের আশে পাশে ঘিরে ধরে আছে। বাইডেনের ভিপ সিলেকশন কমিটিতে অ্যাপেলের এক্সিকিউটিভ ছিল। তবে না কমলা হ্যারিস এয়েছে। এইসব।
রিপাব্লিকানরা এখনও অবজেকশান করেই যাচ্ছে। অবজেক্শানের পক্ষে ভোটও দিয়ে যাচ্ছে। এতসবের পরেও কোনও পরিবর্তন নেই।
জর্জিয়া নিয়েই তো যত গন্ডগোল :)
আচ্ছা রাইট সলুশন গুলো ঠিক কি কি ?
আজকে আর ঝামেলা না করে কঙ্গ্রেসে হারিয়ে দেওয়া উচিত। কিছু রেজিগনেশান। নইলে বেশি পাত্তা পেয়ে যাবে। অ্যাক্ট লাইক হি ইজ নো ওয়ান। তবে টোয়েন্টি ফিফ্থ লাগালে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে পারে, সেই নাটকটাও নেহাত কম মজার নয়।
এবারে ভোটিং প্যাটার্নে একটু ধরা পড়েছে ---- রুরাল আমেরিকা, আর, আর্বান/সাবার্বান আমেরিকায় একটা পরিষ্কার বিভাজন। একেবারে উল্টো ভোটিং প্যাটার্ন। তো এটা একটা ব্যাপার।
ট্রাম্প এবারে একটা অ্যাটম বোম্ব ফাটিয়ে দিলেই পারে। জর্জিয়ায় না ফাটালেই হল।
এই কথাটা একদম ঠিক। রং সলিউশন ফর এ রিয়েল প্রবলেম।
কোন রাইট সলিউশন না আসা অবধি রং সলিউশন আসতেই থাকবে।
এইমাত্র এক হাউস মেম্বার (বোধহয় টেক্সাস এর) এখনো ভাট বকে গেলো , তাতে সব ছিল ANTIFA, BLM ,the usual suspects ..... কিন্তু আজকের ঘটনার কোন উল্ল্যেখ নেই
একে 'সিকিওর্ড লোকেশন এ না নিয়ে গিয়ে ওই মব এর সামনে ছেড়ে দিতে হতো , আমি নিশ্চিত ওরা ভাই রে বলে গলা জড়িয়ে ধরতো ।...নিঘিন্নে লোকজন সব
ট্রাম্প ইলেকশানের আগেই বলেছিল যে হারলে তবে ইলেকশান রিগড দাবি করবো। আগের ইলেকশানের আগেও বলেছিল যে জিতলে আপত্তি করবো না। এগুলো জাস্ট বদমায়েশি। ক্ষমতায় থাকার। অত তত্ত্বকথা আলোচনা করার কিছু নেই।
অবশ্য আর সময়ও বেশি নেই। মেরেকেটে ৮-৯ টা ওয়ার্কিং ডেজ।
তো কি করা উচিত ?
ট্রাম্প ইজ এ রঙ সলিউশন ফর e রিয়েল প্রবলেম।
এই বাকি কদিনে আর কি কি করবে কে জানে। 25th অ্যামেন্ডমেন্ট লাগিয়ে হঠিয়ে দিলে পারে।
গোরক্ষক বা ট্রাম্প, কাউকেই কেউ জাস্টিফাই করছে না। যদি সিস্টেমে একটা বড় পপুলেশন থাকে যারা সিস্টেম রিগড বলে মনে করে তো কেউ না কেউ তার সুযোগ নেবেই।
ক্যাবিনেট টোয়েন্টি ফিফ্থ অ্যামেন্ডমেন্ট কনসিডার করছে। এটা না করলেই ভালো হয়।