"কিন্তু জমি এবং উৎপাদন সংক্রান্ত ক্রমবর্ধমান নিয়ন্ত্রণ ছাড়া সৃজনশীল বিপণন অসম্ভব এমনকি সরকারি অংশগ্রহণ সত্ত্বেও, সেই ধারণাটাই ভিত্তি কতটা বাস্তব আমি সে সম্পর্কে সন্দিহান ছিলাম ব্যক্তিগত ভাবে"
@বোধি, @পলিটিশিয়ান, ভারতে বা পশ্চিম বঙ্গে ব্যাপারটা কি হতে পারে আপনারা ভাল বলতে পারবেন, আমি আওতেরোয়া নিউজিল্যান্ড এর পরিপ্রেক্ষিতে যা দেখেছি বা দেখছি সেটা লিখি। এখানে ১৯৮৪ সাল থেকে কৃষিতে কোনরকম সরকারী ভর্তুকি দেওয়া বন্ধ হয়ে গেছে, এবং আমাদের এখানকার কৃষকরা পুরোপুরিভাবে আন্তর্জাতিক বাজারের ওপর নিরভরশীল। শুধু তাই নয়, এই দেশের অর্থনীতি একেবারেই কৃষিনির্ভর। ২০১৭ সাল থেকে জলসেচের জন্য সীমিত ভর্তুকি সরকার দেন বটে, তবে যৎসামান্য।
কাজেই ফারমিং কোঅপারেটিভ (এখানে তার নাম ফেডারেটেড ফার্মার ) এর একটা নিয়ন্ত্রণের ভূমিকা রয়েছে, তবে বেশীর ভাগ কৃষকের অনেকটা করে জমি, এবং সেখানে তাঁরা সারা বছর নানা রকম ফসল এবং পশুপালন করেন। এখানে যেটা উল্লেখযোগ্য, সরকার ভর্তুকি উঠিয়ে দিয়েছে বটে, আন্তর্জাতিক বাজারে নিউজিল্যাণ্ডের কৃষির বিপণনের ব্যাপারে এগ্রেসিভ। নিউজিল্যান্ড এবং আরো ১৯ টা দেশ মিলে কেয়ার্নস ইনিশিয়েটিভ স্থাপন করে কৃষির বাজার গড়ে তুলেছে।
এই ব্যাপারগুলো ভারতে কতটা সম্ভব জানিনা।
পলিটিশিয়ান,
ইউএসঅ ফার্মিং এর তথ্য হল এরকম -
৯৭% ফার্ম হল গিয়ে ফ্যামিলি ওনড। ৩% হল বিগ কর্প। (যদিও আর এক জায়গায় ২০১২ সালের হিসেবে বলছে বিগ কর্পের হাতে ৫%)। যাই হোক, মোট কথা ফ্যামিলি ওনড ফার্মিং মেজরিটি। কৃষিজমির বেশির ভাগও ন্যাচারেলি ফ্যামিলি ওনড।
97 percent of the 2.1 million farms in the United States are family-owned operations
কিছু বড় সাইজের ফ্যামিলি ফার্ম আছে তারা প্রায় কর্পোরেট স্টাইলে চালায়, তবে বেশির ভাগই (৯০%) হল ছোট ফ্যামিলি (১০ জনের কম সদস্য)।
https://ussoy.org/97-the-percentage-of-u-s-farms-that-are-family-owned/
----
ইউএসএ-তে চাষে সরকারি অনুদান (সাবসিডি) ভালই। ২০১৯ সালে ২২ বিলিয়ন ডলার সাবসিডি দেওয়া হয়েছে চাষীদের, গত ১৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এটি হয়েছে ট্রাম্প জমানায়।
In 2019, the federal government delivered an extraordinary financial aid package to America's farmers. Farm subsidies jumped to their highest level in 14 years, most of them paid out without any action by Congress.
Farmers Got Billions From Taxpayers In 2019, And Hardly Anyone Objected
https://www.npr.org/sections/thesalt/2019/12/31/790261705/farmers-got-billions-from-taxpayers-in-2019-and-hardly-anyone-objected
আরেকটা জিনিস ছিল সেটা আপনারা লক্ষ্য করেছিলেন কিনা জানিনা, সাধারণ ভাবে প্রোডিউসার কোঅপারেটিভ গুলির থেকে হোলসেলার কোন অপারেটিভ গুলি অনেক বেশি সফল হচ্ছিল যদিও প্রশাসনিক অর্ডার দিয়ে কিছু নিয়ন্ত্রণ হচ্ছিল এবং সরকারি ক্রয় টিই তার মূল কাঠামো ছিল।
শুধু বিপণন হলে হয়তো ব্যাপারটা সামলানো যেত। আমূলের উদাহরণ নিয়ে কথা হত। কিন্তু জমিতে শুধু বিপণন তো নয়। ঠিকঠাক সমবায় করতে হলে জমি সমবায়ের হাতে না হলে সম্ভব না। অন্ততঃ সেটাই কনসেনশাস ছিল।
কিন্তু জমি এবং উৎপাদন সংক্রান্ত ক্রমবর্ধমান নিয়ন্ত্রণ ছাড়া সৃজনশীল বিপণন অসম্ভব এমনকি সরকারি অংশগ্রহণ সত্ত্বেও, সেই ধারণাটাই ভিত্তি কতটা বাস্তব আমি সে সম্পর্কে সন্দিহান ছিলাম ব্যক্তিগত ভাবে। তবে খুব স্বাভাবিক ভাবেই খুব দীর্ঘ দৈনন্দিন অভিজ্ঞতা না থাকায় এ বিষয়ে আর প্রাথমিক তথ্যা আহরণ সম্ভব হয়নি।
ঠিক। বিজনেস সাইড সামলাতে ব্যর্থতা ও তাই নিয়ে আত্মকলহের ভয় ছিল। প্রোডাকশন ইনপুট ও টেকনোলজি চুজ করা নিয়েও মতবিরোধ ও আত্মকলহের ভয় ছিল।
লোকে রাশিয়ার অভিজ্ঞতার কথা খুব বলত। কোয়ায়েট ফ্লোজ দি ডনের কথা বাড়ে বারেই উঠত। রাষ্ট্র ক্ষমতা হাতে নিয়েও যৌথ খামার বানানো সহজ হয়নি। সেখানে পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপারটা আরো অনেক কঠিন হত।
ঠিক। বিজনেস সাইড সামলাতে ব্যর্থতা ও তাই নিয়ে আত্মকলহের ভয় ছিল। প্রোডাকশন ইনপুট ও টেকনোলজি চুজ করা নিয়েও মতবিরোধ ও আত্মকলহের ভয় ছিল।
লোকে রাশিয়ার অভিজ্ঞতার কথা খুব বলত। কোয়ায়েট ফ্লোজ দি ডনের কথা বাড়ে বারেই উঠত। রাষ্ট্র ক্ষমতা হাতে নিয়েও যৌথ খামার বানানো সহজ হয়নি। সেখানে পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপারটা আরো অনেক কঠিন হত।
পোলিটিশিয়ান, ধন্যবাদ। আমরা ৮৫-৮৬ সাল নাগাদ একটা সসীমিত সার্ভে করেছিলাম তাতে প্রশ্ন গুলি খুবই কাঁচা ছিল, এবং বিপণন সংক্রান্ত প্রশ্ন কম ছিল , যদিও ক্রপ ডাইভারসিফিকেশন নিয়ে কিছু প্রশ্ন ছিল কারণ তখনকার সরকারি নীতি অনুযায়ী আমরা কাগজ রেডিও সর্বত্রই কৃষি ক্ষেত্রের গঠনমূলক খবর হিসেবে বিভিন্ন ফসলের খবর পেতাম। কিন্তু তখন আমরা যেটা দেখেছিলাম, এমনকি সফল কোন অপারেটিভ গুলি র ও একাধারে বিপণন এবং উৎপাদন সামলানোর অভিজ্ঞতা ছিল না। এবং সদ্য বন্টিত জমির নতুন কনসোলিডেশন এর ভয় তীব্র ছিল,যে আশংকা অনেক পরেও সত্য প্রমাণিত হয়েছে।
রঞ্জন,
কয়েকটা কথা বলার ছিল। কৃষিতে ভর্তুকি প্রায় সব দেশই দেয়। কারণটা খাদ্য সুরক্ষা। কিন্তু ওটা বাদ দিলে বাংলার কৃষির সাথে আমেরিকার কৃষির তুলনা করা ঠিক হয় না। আমেরিকায় কৃষির বেশিরভাগ কর্পোরেট চাষ। ব্যক্তিমালিকানায় চাষ আমেরিকায় খুব কম। মোট জনসংখ্যার সামান্যই কৃষির ওপর নির্ভরশীল। যতদূর মনে পড়ছে দুই কি আড়াই পার্সেন্টের বেশি না।
তাত্ত্বিকভাবে অপারেশন বর্গার পরের স্তর হিসেবে সমবায় চাষ হওয়া উচিত ছিল। তাতে চাষীর আয় বাড়ত। সিপিএমেরও তাতে মুলগত কোন আপত্তি ছিল না। সেই সময়ে সিপিএমের কিছু অর্থনীতিক ও কৃষকনেতার সাথে কথা হত।
যেটা বুঝেছিলাম, সিপিএম এত বড় ব্যাপারের লজিস্টিক সামলাতে পারবে সে ভরসা করে উঠতে পারেনি। এক সময়ে অসুবিধাগুলো একটা খাতায় নোট করেছিলাম। সে খাতা এখন কোথায় কে জানে। যতটা মনে পড়ে সেগুলো এই রকম ছিল।
এক, চাষী পরিবারে ওই জমিটুকু শুধু আয়ের উৎস নয়, বিপদের সঞ্চয়। জমি বিক্রি করে বা বন্ধক দিয়ে আকস্মিক খরচ সামলানো হয়। সমবায়ের জমি দু একটি পরিবারের জন্য বিক্রি বা বন্ধক সম্ভব না। আর সমবায় ব্যাংক থেকে কোন কোল্যাটারাল বাদে ঋণ দিলে আদায় হবে কিনা সে প্রশ্ন ছিল। সমবায়ে যাওয়া জমির উপসত্ত্ব বন্ধক হিসেবে ব্যবহার করার একটা প্রস্তাব ছিল। কিন্তু সে উপসত্ত্ব একটু বেশী না হওয়া অবধি সেটা করলে একটা মানবিক ইস্যু আসার ভয় ছিল।
দুই, আইনি পরিকাঠামোর একটা ব্যাপার ছিল। সমবায়ে জমি দিতে সবাই রাজী নাও হতে পারত। সেক্ষত্রে অল্প কিছু লোক পুরো প্রকল্পটাই আটকে দিতে পারত। এরা প্রকল্পটাকে হোস্টেজ হিসেবে ব্যবহার করে অন্যায়ভাবে বেশী অংশীদারিত্ব চাইলে সেটা ভারতের আইনী কাঠামোর মধ্যে হ্যান্ডল করা নাও যেতে পারে।
তিন, আয় বাড়লে কৃষক পরিবারের সদস্যরা কৃষি ছেড়ে লেখাপড়া করে অন্য পেশায় যাবে সেটা ধরে নেওয়া হয়েছিল। সেক্ষেত্রে অনুপস্থিত স্বত্বভোগীর সংখ্যা বাড়তো। সেটা অনেকেই চায়নি।
চার, জমিতে সবাই কাজ নাই পেতে পারত। সমবায় যদি উন্নত কৃষি করত তাহলে লোকের দরকার কম হত। যারা কাজ করত তারা মজুরী ও উপসত্ত্ব দুই পেত। যারা শুধু উপসত্ত্ব পেত তারা এটা নিয়ে খুশী হবে না সবসময়। সেটা সমবায়ের স্থায়িত্বের জন্য বিপদ।
আরো কয়েকটা পয়েন্ট ছিল। মনে পড়ছে না।
আমি ব্যক্তিগতভাবে কি মনে করি সেটা ইচ্ছাকৃতভাবে বাদ রাখলাম।
T,
একদম ঠিক কথা বলেছেন।
কিন্ত একটি সংস্থা যেমন তার ঘোষিত মিশন ও ভিশন স্টেটমেন্ট এর বাইরের কোন " প্র্যাকটিক্যাল" কাজে হাত লাগাতে পারেনা , তেমনই কমিউনিস্ট পার্টির প্র্যাকটিস ও তার প্রোগ্রাম এর সঙ্গে শুধু কনসিস্টেন্ট নয় , তার নেসাসারি করোলারি হতে হবে।
তাই নয়টি পয়েন্ট ছাড়েন, শুধু এই পাঁচটা ওয়ান লাইনের এবং বুলেট পয়েন্টে। আমি ধারণা বদলে নেব।
বিপ্লবের স্তর , প্রধান শত্রু, রণনীতি , রণ কৌশল , প্রেেেজেন্ট টাস্ক।
কেন বলছি?
এর মধ্যেই বিবৃত থাকে --- কার বিরুদ্ধে এবং কার সঙ্গে হাত ধরব , কখন , কেন এবং কীভাবে।
যদি এসব ফালতু মনে হয় তো কাটিয়ে দিন । আমি একটা হরিদাস পাল।
এত তক্ক তবে বন্ধ হোক এবার?
"ছোট ছোট আলে বিভক্ত ক্ষেত জুড়ে কোঅপারেটিভ ফার্মিং কি একটি বিকল্প হতে পারে?"
হতেই পারে, কিন্তু অনেক দিন আগে কোথাও বিনয় চৌধুরী বলেছিলেন যে cooperative firming বাঙালী কৃষকের মানসিকতার সঙ্গে খাপ খায়না।
উনিজির দাবির সত্যতা আছে। 1878 সালে আমেদাবাদে মেজদা সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছে মাস দুয়েক ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। (তথ্যসূত্র: অমিত্রসূদন ভট্টটাচার্য)
পিটির সঙ্গে সহমত।
সামান্য যতটুকু জানি আধুনিক হাই কস্ট কৃষি আজ ইউরোপ আমেরিকা কোথাও লাভজনক নয়। কিন্ত খাদ্য সুরক্ষার জন্য ভর্তুকি দিয়েই চালানো হয়। আমেরিকার চাষিদের আয়়ে়র চল্লিশ প্রতিশত আসে সরকারি ভর্তুকি থেকেই।
কিন্ত তাহলে কৃষি তুলে দিতে হবে? নাকি উন্নত প্রযুক্তির ও ইনসেন্টিভের মাধ্যমে কৃষিকে শিক্ষিত নতুন প্রজন্মের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে? খাদ্য সুরক্ষার ও শিল্পে কাঁচামাল যোগান ভাবুন।
ছোট ছোট আলে বিভক্ত ক্ষেত জুড়ে কোঅপারেটিভ ফার্মিং কি একটি বিকল্প হতে পারে?
দেখুন স্যার আমার ৭০ শতাংশ ছাত্র চাষার ব্যাটা। চাষবাস আমি খুব কাছ থেকে দেখি। কাজেই...
দায়ভাগ নিয়ে আলোচনা করতে গেলে প্রথমে মনু, তারপরে দায়ভাগ, তারপরে রঘুনন্দন, তারপরে হ্যালহেডের আইন - এই পুরোটা বুঝতে হবে। হ্যালহেডের আইনের আগে অবধি একটি বিধবাকে সতী করা হয়নি।
"আজকের কাগজ পড়ছিলাম - উনিজি-র দাবী"
উনিজি টা আবার কে রে ভাই?
"করোনা কন্সপিরেসি ভিডিও বলছে ভ্যাকসিন নেবেন না। ওটা ডিজিটাল সার্টিফিকেট এর অজুহাতে সরকারের প্রাইভেট ডেটা মনিটর করার কল।"
না না, ভ্যাকসিন যদি পান, নেবেন (তবে মডার্ণা বা ফাইজার বা এমন কোন ভ্যাকসিন যেটা পরীক্ষিত) | সরকার ডেটা মনিটর এসব বাজে কথা। তবে মনে রাখবেন, ভ্যাকসিন নিলেও হাত ধোয়া, দূরত্ব, মাস্ক, এসব আগের মতই চালিয়ে যেতে হবে। সাবধানের মার নেই |
অরিন,
একটি করোনা কন্সপিরেসি ভিডিও বলছে ভ্যাকসিন নেবেন না। ওটা ডিজিটাল সার্টিফিকেট এর অজুহাতে সরকারের প্রাইভেট ডেটা মনিটর করার কল।
নিউজিল্যান্ড সরকার ও 500 সৈনিক পাঠিয়ে যারা নিতে চায় না তাদের বোঝাচ্ছে। এটা ফেক নয়?
চাষ লাভজনক নয়, চাষীর ছেলেমেয়ে তো অন্য পেশায় যেতে চাইবেই - এ নিয়ে কি আর তক্কো হয়
প্রকাশ কারাত নিমিত্তমাত্র। ধ্বংসের বীজ নিহিত রয়েছে 34 বছর বিরামবিহীন ক্ষমতায় থাকায়। বুদ্ধ ও মার্ক্স।
তাই ত্রিপুরা ও বঙ্গে নেই, কিন্ত কেরলে রুটি উলটে ফর্মুলা মেনে আছে।
একই কারণে গান্ধী পরিবারের পদরজ: নিয়ে বুঁদ হয়ে থাকা কংগ্রেস এবং ইডিওলজিবিহীন ও লুঠপাট মগ্ন তিনোর শেষের দিন সমাগত। কোনরকমে এবারের বৈতরণী পেরোলেও অতি শীঘ্র মায়াবতী হয়ে মুখ বুজে থাকবে।
বিজেপির ধ্বংসের বীজ একটি ইডিওলজি বেসড ক্যাডারবেসড পার্টির সংগঠনের উর্দ্ধে এক অবতারকে মোদী হ্যায় তো মুমকিন হ্যায় করায়। এটা চিন নয়। কয়েকবার ফলস প্রফেট প্রমাণিত হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। হিটলারের মডেল ওভাবেই দুর্বল হবে কিন্ত শেষ হবেনা। করোনার পরে বিশ্বজুড়ে দক্ষিণ পন্থা কমজোর হলে আলাদা কথা।
কিন্ত যতদিন মানুষে মানুষে সামাজিক ও আর্থিক বিশাল ফারাক থাকবে ততদিন বুদ্ধ ও মার্ক্স বিশেষ প্রাসঙ্গিক থাকবেন। অবতার বদলে যাবে ।
সারা বিশ্বে স্তালিনিস্ট পার্টির মডেল এখন অচল। তাই মাওবাদীদের জনযুদ্ধ মডেল অচল।
লাতিন আমেরিকার বা ইউরোপের যে বামপন্থীদের উত্থানে আমরা কলকাতায় পুলকিত হই খেয়াল করুন তারা কেউই সাবেকি অর্থে কমিউনিস্ট নয়। খোদ রাশিয়ার কম: নীনা ও জিউগানভের দল মার্জিনালাইজড।
সিপিএমের পুনরুত্থানের জন্য নবরূপে নতুন অবতার হওয়া দরকার। খালি শালকিয়া প্লেনামের "ক্লাস পার্টি থেকে মাস পার্টি" ঘোষণা যথেষ্ট নয়।
এবার বন্ধুদের থেকে গাল খাব। লেপমুড়ি দিয়ে শুলাম।
".......just 1.2% aspired to be a farmer. While 18% of the boys wanted to join the army or the police, 12% wanted to be engineers. Young girls preferred teaching (25%) or working as a doctor or a nurse (18%). About 13% of the boys and 9% of the girls surveyed also said that ‘any government job’ is preferable........
..........a 2014 survey released by the Delhi-based Centre for the Study of Developing Societies also showed that about 60% of farmers were ready to quit farming for a better job in the city. “When asked whether they would like to see their children engaging in farming only 18 % responded positively," said the report titled State of Indian Farmers."
চাষার ব্যাটাদের PhD করার ইচ্ছে নিয়ে ব্যঙ্গ- বিদ্রুপ করার luxury আমার নেই। ছাত্রদের কাছে চড়- থাপ্পড় খেতে হতে পারে।
তবে এটা পরিষ্কার যে অনেক চাষীর ব্যাটাই banglore-এ গিয়ে "চাকর" হতে চায়, পিজ্জা কিনে খেতে চায়, বান্ধবী নিয়ে pub-এ যেতে চায়, mall-এ ঘুরে বাজার করতে চায় আর প্রয়োজনে কলকাতার নামী হাসপাতালে বাবা-মার চিকিৎসা করাতে চায়।
শহুরে বাঙালী বুদ্ধিgb রা ব্যাপারটা ঠিক বুঝে উঠতে পারেনি সিঙ্গুর- নন্দীগ্রামের এতদিন বাদেও।
এমনকি ঋত্বিক- বিজনও কালক্রমে এই "বিভৎস মজা"র দেশেই আশ্রয় নিয়েছিলেন।
মেরি কিরিহিমেতে!
সকলে নিখরচায় ভ্যাকসিন পাবেন, শুধু নিউজিল্যাণ্ডের মানুষ নন, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অন্যান্য দেশগুলোতেও পাঠানো হবে এখান থেকে।
আজকের কাগজ পড়ছিলাম - উনিজি-র দাবী রবীন্দ্রনাথ দীর্ঘদিন গুজরাতে কাটিয়েছেন। ভোট বড় বালাই :-)
অরিন এবং আরেকজন
দুজনকেই ধন্যবাদ। তাড়াহুড়ো ভুলভাবে লিখেছি। আপনারা ফর্ম ও ইনটেন্ট দুটোই শুধরে দিয়েছেন।
ঠিকই বলেছেন।
আমার আগের পোস্টে "মুদ্রন" কথাটা ভুল লেখা হয়েছে, কথাটা হওয়া উচিত ছিল " মগধের পক্ষে বজ্জীদের সরাসরি যুদ্ধ করে হারানো সম্ভব নয়" ।
অন্যান্য মানুষের মত বুদ্ধও একজন মানুষ। ভবিষ্যতবাণী করা তার কাজ নয়, সে পছন্দও করত না। তবুও এই ঘটনাটা যেভাবে বিবৃত হয়েছে তা সত্য হতেই পারে। আমি এটা তার ন্যাচারাল রাজনৈতিক স্কিলকে ব্যবহার করে দুটো প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মধ্যে রক্তক্ষয় রোধের চেষ্টা হিসেবেই দেখছি।
@রঞ্জনবাবু:"একটু পরে আশীর্বাদ নিতে এলেন কোশল (নাকি মগধ সাম্রাজ্যের) প্রধান সেনাপতি। তাঁকেও বুদ্ধ বললেন যে এই এই কারণে বজ্জীরা জিতবে"
আপনি খুব সমভবত মহাপরিনির্বাণ সূত্রে মগধ এবং বজ্জীর যুদ্ধ সম্বন্ধে লিখছেন। মগধের রাজা অজাতশত্রু তাঁর মন্ত্রী ভাস্করকে বুদ্ধদেবের কাছে বজ্জী জয় করার এবং আক্রমণ করার ইচ্ছা প্রকাশ করে পাঠিয়েছিলেন। তখন বুদ্ধদেব ভাস্করকে বজ্জীদের সাতটি গুণের বর্ণনা (পালি: সত্ত অপরিহনীয় ধম্ম) করে বলেন যে এদের সুদৃঢ় গণতন্ত্র ইত্যাদির কারণে মগধের পক্ষে বজ্জীদের সঙ্গে সরাসরি মুদ্রন করেন হারানো সমভব নয়। পরে ভাস্কর এবং অজাতশত্রু বজ্জীদের একতা ভেঙে দেন ও তাদের পরাজিত করেন।
এতে অবশ্য বুদ্ধের কথা ব্যর্থ হয়েছে এমনটা কেউ মনে করেন বলে জানতাম না। তবে এ থেকে আজকালকার দিনে বেশ কিছু শিক্ষণীয় আছে, যার উল্লেখ আপনিও করেছেন।
আমি বলেছি বিধবাকে কাশী পাঠিয়ে দেবার বা মেরে ফেলার একটা ইনসেন্টিভ ছিল। কিন্তু ইনসেন্টিভ থাকলেই মানুষ সবসময় সে কাজটা করে না। ধরুন, আমার সামনের লোকটার পকেটে এক লক্ষ টাকা আছে। সেক্ষেত্রে লোকটিকে মেরে টাকাটা কেড়ে নেবার ইনসেন্টিভ আছে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে সকলেই লোকটিকে মেরে টাকা কেড়ে নেবে। রানী ভবানীর কেসের ডিটেল আমি জানি না। কিন্তু ওনাকে পুড়িয়ে মারা হয়নি থেকে কিছুই প্রমান হয়না।
ব্রিটিশের বদলানো আইন, আর তার আগে প্রচলিত দায়ভাগ নিয়ে একটু আলোচনা করুন না। শুনতে ভাল লাগবে।
প্রথমে হ্যালহেড দায়ভাগকে বিকৃত করেন। পরে জোন্স।