এলে, আমার টেকটা এরকম, সেরকম হলে কংগ্রেস দিদির সঙ্গে সরকারে যাবে, বামেরা ইস্যুভিত্তিক ওয়াকআউট করে ভোটদানে বিরত থাকবে।
৬০+১০টা সেটা ৫০+১০ বা ৪৫+১৫হতেও পারে
যদি উল্টোটা লাগে, তাহলেও তৃণমূল কে সেটা কমিট করতে হবে
যদি নেই। সংখ্যাগুলো নেহাত আবোদার মতো বলিনি। তিনোতে সেই ৬০+১০ সরাসরি যাবে নাকি রেজ্জাক মোল্লাদের মতো যাবে?
খ, খড়ের মানুষ ফ্যালাসিতে ভুগবেন না। ঝেড়ে কাশুন। আপনারা তিনোকে ভেতর থেকে সাপোর্ট করবেন নাকি কংগ্রেসের কোর্টে বল ঠেলে দিয়ে পোবোন্দো লিখবেন।
ব্যক্তিগত এক্সপেরিয়েন্স থেকে বলছি। আইআইটি আইআইএম করা ছেলে, ভালো কর্পোরেট জব করে। স্ত্রী আইআইএম করে টপ টিয়ার কনসাল্টিং ফার্মে কাজ করে। দুজনের মিলে আয় সেই ২০০৯ সালে চল্লিশ পন্চাশ ছিল। দেখেছি মোদিজীকে পিএম করার জন্য উৎসাহী। কারণটা কেউ বলতে পারবে?
@রঞ্জনদা,
২০০৮এর অ্যাটাকের সময় আমি মুম্বাইতে ছিলাম। সেখানে আমার সার্কল কিছু ছোট ছিলনা (তখনও গুরু করতে শুরু করিনি)। কখনও একজনকেও এই নিয়ে পাকিস্তানকে টাইট দেওয়ার কথা বলতে শুনিনি। বরন্চ লোকজন জেনারালি যুদ্ধের বিরোধীতাই করেছিল। মুসলমানদের দায়ী করার কথা আমার পার্সোনাল সার্কলে তো ভাবাই যেতনা। এমনকি তখন সলমন খান ক্লাস নিয়ে একটা কথা বলেছিল, যেটা মোটামুটি মুম্বাইয়ের লোকেরা সমর্থন করেছিল।
তবে সে বোধয় অন্য সময় ছিল।
হ্যাঁ তৃণমূল এর যদি সরকার তৈরি করতে বাম কংগ্রেসের সমর্থন লাগে ,বাম কংগ্রেসের সেটা দেওয়া উচিত। অবশ্য ই ডকুমেন্টেড পলিসির ভিত্তিতে। এটার সম্ভাবনা কিছু টা আছে , যদি উল্টোটা লাগে, তাহলেও তৃণমূল কে সেটা কমিট করতে হবে । তবে বিজেপি র সমর্থনে তৃণমূল সরকার করা টাও একটা সম্ভাবনা:-))))
আমিও বিজেপি সমর্থকদের ছাগল বলি না। কিন্তু যেটা বলি সেটা এখানে লিখবো না। বিজেপির আর্বাণ ভোটাররা সেটাই। এইসব এলিট বিজেপি ভোটারদের যে নামেই ডাকা হোক না কেন, তারা ঐটাই। গ্রামের ভোটারদের আমি চিনিও না, জানিও না, তারা কেন কাউকে ভোট দেয় সেই নিয়ে আমার কোনও এলিট চিন্তাভাবনাও নেই।
সবার আগে নদীয়ার ১৭টা বিধানসভা সিটের নাম বলুন দু মিনিটের মধ্যে।
আপনাদের ভোট অ্যানালিসিসের প্যারামিটার হচ্ছে ২০১১ আর ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচন! যেখানে ২০১৮ থেকে বাংলার ভোটে একটা বিশাল প্যারাডাইম শিফট ঘটে গেছে!!
আমার ভোট কোথায় যাবে সেটা জানার আগে বাংলার ২৯৪টা বিধানসভার নাম পাঁচ মিনিটের মধ্যে না গুগলিয়ে জানান আগে।
অথচ নির্বাচনের আগে সিপিএম কর্মী-সমর্থকরা কংকে খড়কুটো ধরে বিজেপির বিরোধিতায় নামছেন! তাঁদেরও রেজ্জাক মোল্লা-আবু আয়েশ-ঋতব্রত-কমল গুহকে মানুষ যে দেখেননি, তাও নয়। মানে আপনারা বিজেপির বিরোধিতায় নামবেন কংগ্রেসকে ঢাল রেখে! যত দোষ কং-এর হোক আর নিজেদের হংসপাখা শ্বেতশুভ্র থাকুক?
তা এলেবেলে, আপনার ভোটটা কোথায় যাচ্ছে, বিজেপি ?
অমিত তো জানিয়েই দিয়েছেন, বিজেপি।
নির্বাচনের পরে "কোমর ভাঙ্গা" তিনোর সঙ্গে কং সরকারে যাক না। বামেদের যাওয়ার কি প্রয়োজন? বিজেপিকে আটকানোর জন্য সমর্থন দিলেই হবে!
এবং এই ৪০টা সিট আসবে প্রধানত মালদা, মুর্শিদাবাদ ও উত্তর দিনাজপুর থেকে। শুভেন্দু কিন্তু আব্দুল মান্নানের সঙ্গে মিটিং করছেন।
আচ্ছা, তার মানে বাইরে থেকে সমর্থনে আপত্তি নেই কিন্তু ভেতরে যেতে আপত্তি আছে। কিন্তু কং আর তিনো যে মাসতুতো ভাই এবং তাদের গোটা ৪০ সিট আসতে পারে, এটা কি আপনারা বিশ্বাস করেন? নাকের ডগায় মানস ভুইঞা আছেন কিন্তু।
"কংগ্রেস যদি আজ নখদন্তহীন বাঘ হয় এবং তার সঙ্গে জুটি বাঁধা উইজডম হয় , তাহলে গোটা দেশে এবং বাই ডিফল্ট কেরলে ওরা ক্যান শত্রু?"
গোটা দেশে এখন কং শত্রু কি? বিহারেও তো সবাই একসঙ্গেই লড়ল। আর কেরলে যদি কখনো বিজেপি ৩০% এর বেশী ভোট পায় তাহলে আমার বিশ্বাস যে বাম-্কং জোট সেখানেও হবে।
"কংগ্রেসের গুন্ডামির কাছে তিনোমূল শিশু"
ঠিক, কিন্তু শিশুটি প্রতিভাবান। সিধুদার উত্তরসূরী কিনা!!
সুযোগ পেলে তারা কং-্কেও লজ্জা দেবে। কেননা তারা গুন্ডা "পোষে" বলে প্রকাশ্যে দাবী করেছে ও RSS-কে দেশপ্রেমিক মনে করে।
শুভকামনা,
আপনার প্রতিটি শব্দকে সমর্থন জানাই। যা বলতে চেয়েছিলাম তা আপনি গুছিয়ে অনেক ভালো ভাবে বলে দিয়েছেন।
ওদের হিসেবে খেললে মুশকিল। বল এমন জায়গায় পিচ করাতে হবে যেটা ওরা আশা করেনি। তাই ওদের স্ট্রেংথ ও উইকনেস বুঝে ক্যাম্পেন এবং ন্যারেটিভ তৈরি করতে হবে। নুইলে পপিচু হবে, আর ওরা গোল দিয়ে বেরিয়ে যাবে। এবার নয়তো আগামীবার। তাই এ মহামারীর ভ্যাকসিন চাই।
আমার কাজের বা লেখালেখির একটাই রিফ্রেইন -- বিজেপি যেন ভোট না পায়। ওদের ভোট কমুক। কে সরকার গড়বে সেটা ফল বেরোলে ঠিক হবে।
"ধরুন বিজেপি ১২০, কং-বাম ৬০ এবং তিনো ১১০।"
এটা অরুণাভ ঘোষের-ো সংখ্যা। শুনে আনন্দ পেয়েছি। কিন্তু এমন দিন কি হবে তারা?
অবশ্যই এই কোমর ভাঙ্গা তিনো-সরকারকে বাইরে থেকে সমর্থন দেওয়া উচিত। তবে বিনিময়ে বিজেপিকে আটকানো ছাড়া আর কি কি পাওয়া যাবে সেটা পরিষ্কার করে নেওয়া ভাল।
কংগ্রেসের গুন্ডামির কাছে তিনোমূল শিশু
@পলিটিশিয়ান,
"আমার প্রশ্ন হল মানুষ কোন কোন সময়ে নিজের ইন্টারেস্টের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নেয় কিনা। যদি নেয় তো সেটা বলা এলিটিজম হবে কেন। আর যদি না নেয় তো বিজেপি জেতায় অসুবিধা কিসের?"
--অতি সংগত প্রশ্ন।
মানুষ ভুল সিদ্ধান্ত নেয়্ , কারণ অনেক সময় নিজের ইন্টারেস্টটা কী সেটা ঠিক চিনে উঠতে পারেনা। কখনও কখনও তাৎকালিক বা অল্পকালিক স্বার্থে কাজ করতে গিয়ে দীর্ঘকালীন ইন্টারেস্টের পায়ে কুড়ুল মারে।
এটা বলা বা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়া ভুল তো নয়। বরং উচিত কাজ। কিন্তু আপনি যদি সারাক্ষণ আপনার ছাত্রও বা ছেলেকে দূর ছাই করেন, পাশে না দাঁড়িয়ে জাজমেন্ট পাস করেন তাতে কোন ফল হবে? বরং সে 'ফালতু জ্ঞান দিচ্ছে'বলে দূরে সরে যাবে। তাই ছাগল বোলে দেগে না দিয়ে ওদের সঙ্গে এনগেজ করতে হবে । বোঝাতে হবে যে ক্যান ওর চয়েস আজকে যতই মোহময় বা লোভনীয় হোক , ওর লং টার্ম ইন্টারেস্টে ক্ষতিকর, যেমন এখনকার তিনটে কৃষি আইন।
আজ যদি আমার ছেলে মদ খেয়ে রাস্তায় মাতলামি করে পাবলিকের হাতে আড়ং ধোলাই খায় এবং সেটা যদি আমার চোখে পড়ে তো আমি কি করব?
দুটো অপশনঃ
১ আমিও 'বেশ হয়েছে, মাতলামি করলে উত্তম মধ্যম দেয়া দরকার, তবে যদি শোধরায়' বোলে ওখান থেকে সরে যাব।
২ সবাইকে হাত জোড় করে দরকার হলে আমার নাক কান মূলে ওকে গোহাটার মার থেকে বাঁচিয়ে ঘরে এনে চিকিৎসা করাব, এবং হয়ত নিজে দুটো থাপ্পড় লাগাব।
প্রথমটায় ছেলে বরাবরের মত দূরে সরে যাবে। ' কমবয়সে একটা ভুল করেছিলাম, কিন্তু বাবা যা করল তার সঙ্গে পাড়ার অন্য লোকের তফাৎ কোথায় ?'
দ্বিতীয়টায় বন্ধু হবার বা আমার কথা মন দিয়ে শুনবে সেই সম্ভাবনা তৈরি হয়। আর কমিউনিস্ট থিওরি অনুযায়ী তো জনগণ ইতিহাসের নির্ণায়ক শক্তি। আজ কোন মুহুর্তে আমার স্ট্যান্ডের সঙ্গে না মিললে তাকে ছাগল বোলব?
==============================
কংগ্রেস যদি আজ নখদন্তহীন বাঘ হয় এবং তার সঙ্গে জুটি বাঁধা উইজডম হয় , তাহলে গোটা দেশে এবং বাই ডিফল্ট কেরলে ওরা ক্যান শত্রু?
দুটো অপশনঃ
১ কেরলে ওরা সত্যিকারের বাঘ, কিন্তু বিজেপি নখদন্তহীন। এবং
২ বঙ্গে ওরা নখদন্তহীন, কিন্তু বঙ্গে ্তিনোরা বাঘ, বিজেপি দুধভাত।
৩ দুটোই সত্যি।
৪ সব মায়া।
যাঁরা বিজেপিকে হটাতে চাইছেন মনেপ্রাণে, তাঁদের নিঃশর্ত সমর্থন জানাই। শুধু পরিষ্কার বলুন, সেক্ষেত্রে আপনারা নির্বাচন পরবর্তী সময়ে তিনোকে কং-বামের সমর্থন দেবেন কি না? ধরুন বিজেপি ১২০, কং-বাম ৬০ এবং তিনো ১১০। এই সময়ে আপনাদের অবস্থান কী হবে?
বামপন্থী প্যামফ্লেটিং এর সময় একটু খেয়াল রেখে অভ্যস্ত জার্গন পরিহার করবেন, আশা করি বেশি মানুষের কাছে পৌঁছতে পারবেন। এই যেমন "ফ্যাসিস্ট" "বুর্জোয়া" "প্রলেতারিয়েত"। পুরনো অভ্যস্ত গাঁত ও পার্টিজান চর্চা বা কমরেডদের সপ্রসংশ অনুমোদন একটু কম হবে হয়তো, কিন্তু বেশি মানুষের সাথে কানেক্ট করতে পারবেন। মার্কিস্ট, লেনিনিস্ট, স্তালিনিস্ট অভ্যস্ত থিয়োরেটিকাল জার্গন সম্পূর্ণ বাদ দিয়ে দৈনন্দিন কথ্য ভাষায় কথা বলার বা প্রবন্ধ লেখার চেষ্টা করুন। সমাজতন্ত্র, সাম্যবাদ, মেহনতী মানুষ, এসব বললেই মনে হয় এখুনি কৌটো নিয়ে এসে নাড়তে থাকবে।
বিজেপির অ্যাজেন্ডার বিরুদ্ধে পয়েন্ট ধরে ধরে কথা বলতে চাইলে আগে বুঝে নিন আপনার যুক্তিতে কতজনকে একইসাথে দূরে ঠেলে দিচ্ছেন। এবং সবচেয়ে প্রয়োজন, বিজেপির অ্যাজেন্ডার বাইরের পয়েন্টে চর্চার জায়গা তৈরি করা। যথা
১) ভারতীয় মুসলমানদের অস্তিত্ত্বের অধিকারের ডিনাইয়াল - এর বিরুদ্ধে লিখতে গিয়ে আপনি যেটা করবেন তাকে অলরেডি মুসলমান তোষন বলা হয়ে গেছে।
২) হিন্দু রাষ্ট্র গঠন - রাম মন্দির গঠন - লাভ জিহাদ রোধ - বাংলাদেশী অনুপ্রবেশ রোধ - এর বিরুদ্ধে আপনি যা লিখবেন সেগুলোও বিজেপি আরেসেস লজিকে অলরেডি কাউন্টার করা রয়েছেই।
ওদের দেগে দেওয়া মাঠে খেলতে নামলে যাইই লিখুন অ্যালিয়েনেশনই বাড়াবেন। ওদের পক্ষে অস্বস্তিকর ইস্যু খুজে নিন, সেইগুলোতে চর্চা বাড়াতে থাকুন। নিজের টার্মে খেলা পরিচালনা করুন।
ভোট যেই পাক যেন বিজেপি না পায় এই দিকে কনসেন্ট্রেট করতে হবে। যদি সমষ্টিগতভাবে বাম-কং ভোট তিনোদের ছাপিয়ে যেতে পারে, তখন জোটের প্রশ্ন, তখন মিলিজুলি সরকারের প্রশ্ন। সেটা তখনকার স্ট্র্যাটেজি।
তবে মুশকিল হল, প্রাণপনে এবার যদি টায়ে টায়ে বিজেপিকে ঠেকিয়েও দিতে পারেন, পরের বারে অনিবার্য বিজেপি রাজ পশ্চিমবঙ্গে। গোটা দেশ থেকেই বিজেপি ন্যারেটিভ প্রতিহত করার কোনো পথ খুঁজে পাচ্ছেন না তো কী আর করা যাবে!! ওদের ফিল্ডে নেমে ওদের ধরাশায়ী করার মতো ন্যারেটিভ না নামানো অবধি কোনো আশার আলো নেই। (প্রো-হিন্দু অ্যান্টি-মুসলিম) ধর্ম ব্যপারটাকে এত বেশি লাইমলাইট নিতে দেওয়া আটকাতে হবে, আর সেটা বাড়ি-বাড়ি পাড়া-পাড়া ক্লাব-ক্লাব পঞ্চায়েত-মিউনিসিপ্যালটি লেভেলে গিয়েই, তৃণমূল স্তরে্র সাংগঠনিক দক্ষতাতেই।
পিটির দ্বিচারিতার কোনো সীমা নেই। বিজেপির বিরুদ্ধে কংগ্রেসকে ভোট দিলে ভোটাররা ছাগল নয় কিন্তু রক্তখেকো সিপিয়েমের বিরুদ্ধে তিনোমূলে ভোট দিলেই সব ব্যাটা ছাগল। কংগ্রেসের তাও গুন্ডামির ইতিহাস আছে, তিনোমূলের নেই। তবু পিটির মতে কং লেসার ইভিল হতেও পারে, তিনোরা কিছুতেই নয়। নির্লজ্জ দ্বিচারিতা!
পলিটিসশিয়ান,
অপশনের অভাব বলতে আমি হিন্দি বলয়ে কং ও বিজেপি বলছি। বাম দলের বা অন্য রাজনীতি বা সোশ্যাল ডেমোক্রাসির না থাকার কথা বলছি। অনেককে দেখেছি তারা বিজেপির মুসলমান ব্যাশিং এর সমালোচনা করে কিন্তু বিজেপিকে ভোট দিইয়েছে মন্দের ভাল ভেবে। ক্যান? কং জমানায় করাপশন দ্যাখে এরা তিতিবিরক্ত। আন্না আন্দোলন মনে করুন। ফলটা পেল বিজেপি। কারণ কংরেসের ভ্যায়াবল অপশন ওখানে কোন দল নেই। আপনারাই তো দেখছেন ক্যান আম্রিকাতে রিপাব আর ডেমোর মধ্যে অদলাবদলি। এলসিএম দেখিয়েছেন ডেমর সমর্থক মানে বিএলএম এর সমর্থক এমন সরল ইকোয়েশন নেই। সামান্য হেরফের।
আর একটা বড় কারণ হল পাকিস্তান। বঙ্গে প্রতিবেশি বাংলাদেশ। কিন্তু উত্তর ও পূর্ব বলয়ে পাকিস্তান এবং কাশ্মীর নিইয়ে চোরাগোপ্তা হামলা। এই ভয়টাকে পুঁজি করে আর এস এস ভালো প্যাকেজিং করেছে-- পাকিস্তানএর মাজা ভেঙে দিলে দেশের শান্তি সুরক্ষা ফিরে আসবে, আতংকবাদ (অনেকগুলো ঘটনা দিল্লি ও মুম্বাইতে হয়েছে) পাকিস্তানের পয়সায়। ফল্র শান্তি সমৃদ্ধি ও আর্থিক বিকাশের জন্যে পাকিস্তানকে ঠ্যাঙাও এবং বাই ডিফল্ট সমস্ত মুসলমানকে, এরা পোটেস্নশিয়াল টেররিস্ট। এটা মোদীজিই পারেন , বুদ্ধিজীবী মনমোহন না। এর সঙে জুটেছে মিডিয়ার অপটিক্স। ঘন ঘন ট্রাম্প আসছে, শি-পিং আসছে। মোদীজির প্রভাবে বাঘে গরুতে একঘাটে জল খাচ্ছে। অন্য কোন সরকারের আমলে এরা এতবার করে ভারতে এসেছেন? ইকনমি ৩ ট্রিলিয়ন, ৫ হবে। ভারত আবার জগতসভায় শ্রেষ্ঠ আসন লবে। হেডি কমবিনেশন। মোদীজির বালবাচ্চা ফ্যামিলি নেই । কার জন্যে ধন সঞ্চয় করবেন? ওদিকে গান্ধি পরিবার ছুটি কাটাতে কোথায় কোথায় যায়! জামাইটা তো গুরুগাঁওয়ে ইন্ডাস্ট্রির নামে শস্তায় জমি কিনে কিছু না করে ডিএলএফ কে ভাল টাকায় বেচে বিলিওনেয়ার হয়য়ে গেল। কি করাপ্ট রে বাবা!
মুম্বাই তাজ হোটেল, পার্লিয়ামেন্ট অক্ষরধাম হামলা এবং পুলওয়ামা গরীব মানুষের মধ্যে ইন্সিকিউরিটির ফিলিং বাড়িয়েছে, এটা বঙ্গে দূরে থেকে এতটা ফিল হয়না।
ফলে খেটে খাওয়া মানুষের মধ্যে এখন মোদীপ্রীতি তুঙ্গে। অথচ ঠিকমত নাড়ি টিপে আন্দোলন করলে কি হয় তার প্রমাণ পাঞ্জাব -হরিয়ানা- পশ্চিম ইউপির কৃষক আন্দোলন।
কেরলে বিজয়নের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারির বিরুদ্ধে মিডল ইস্ট থেকে সোনা পাচারের অভিযোগ। এখন বোধহয়। কিন্তু কোভিডে এবং বন্যায় যেভাবে পাবলিকের জন্যে কাজ করেছে তার জন্যে জনতা , ছাগল ভেড়া যাই হোক, ঢেলে ভোট দিল , বিজেপি ও কংগ্রেসের যৌথ প্রচেষ্টা কাজে এল না।
আজকের সামারি, যে রাম সেই ছাগল ইদানিং এই দেহে রামছাগল। এই বলিয়া পেদো বাম দিকে পাশ ফিরিয়া শোয়, তাহার দক্ষিণ হস্ত হইতে আবাজ নির্গত হয় খস-খস-খস .....
কাগজে কলম ঘষার আবাজ, পোবোন্ধ লেখার আবাজ।
"কং সত্তর একাত্তরে এমার্জেন্সিতে এবং ১৯৮৪তে দিল্লিতে ইন্দিরা গান্ধি হত্যার পর ছেলেবুড়োনারী কাউকেই মারেনি। "
২০০৬ থেকে ইতিহাসকে ঘেঁটে ঘ করে দেওয়ার যে প্রচেষ্টা শুরু হয়েছিল তা এখনো চালু আছে।
সেই কংগ্রেসের তুলনায় আজকের কংগ্রেস নখ-দন্তহীন বুড়ো বাঘ। তাকে বিজেপির বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে পারাটাই যুক্তিপূর্ণ অবস্থান। এ ছাড়া খুব একটা অন্য অপশন আপাততঃ নেই।
১৯৮৪-র শিখহত্যা একাটি ক্ষমাহীন অপরাধ। কিন্তু সেটা কংগ্রেসের পোষা গুন্ডাবাহিনীর কুকাজ। আইন আদালত ঠিকমত কাজ করতে এতদিন তাদের ফাঁসি হওয়া কথা। তবে কোন ইতিহাসবিদ যদি সেটাকে RSS-এর তাত্বিকতার practical appication এর সঙ্গে গুলিয়ে দিতে চান তো কি-ই বা বলার থাকতে পারে?
ছাগল বলার সমর্থক আমি একেবারেই না।
আমার প্রশ্ন হল মানুষ কোন কোন সময়ে নিজের ইন্টারেস্টের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নেয় কিনা। যদি নেয় তো সেটা বলা এলিটিজম হবে কেন। আর যদি না নেয় তো বিজেপি জেতায় অসুবিধা কিসের?
"কমিউনিস্ট পার্টির দুটো প্রোগ্রাম থাকে। পার্টি টার্মিনলজিতে ম্যাক্সিমাম ও মিনিমাম।"
সব পার্টিরই দুটো প্রোগ্রাম থাকে। ভোটারদের দুভাবে দেখতে হবে - ভগবান ও ছাগল। ভোটে জিতলে ভোটাররা ভগবান, হারলে ছাগল।