বাল, মুগ্ধতা কোথায় পেলে বাল? কারণ খোঁজা আর মুগ্ধতা এক নাকি বাল?
কেসিদা সেইই যে আসাম জয় কিভাবে সম্ভব হয়েচে সংক্রান্ত বইটি পড়ল তারপর থেকে মুগ্ধতাই মুগ্ধতা :)))
" চঞ্চল চোখ স্থির হয়ে এলো। বললো: জপেন, শোনো,
মধুনিশি ভোর হয়ে গেছে কবে, খবর রাখো কি কোনো?
কারা তোমাদের মারছে এবং মারছেই শুধু মারছে…..
বন্ধু বলো বা কমরেড, তারা কোথায়-কোথায় হারছে?'"
এইসব কী হচ্ছে? না না আপনাদের কথা বলছি না, উত্তেজিত হবেন না। এই করোনার কথা বলছিলাম। এই জিনিসের কি কোনো পার দেখা যাবে না?
বিকাশবাবু, রোনাল্ড রেগন, কমঃ দাশগুপ্ত, খচ্চর কেসি -
কলকেতা, ডায়মন্ড হারবার, রানাঘাট, তিব্বত।
কোভিডের নতুন স্ট্রেনের জন্য মিডল ইস্ট সিল করে দিল।
বিজেপি-আরেসেসের সাফল্যে মুগ্ধ হওয়াটা অনেকটা মাফিয়া ডনের প্রভাবে মুগ্ধ হওয়ার মতন।
প্রাইভেট স্পেসে আর এস এস ও পাবলিক স্পেসে আর এস এস মুগ্ধতা কে , যত সরুই হোন , ছায়া মনে করার প্রশ্ন নেই। অতটা সৎ নই। সরবত্রই ফাইট চলবে যারা যে ভাবে পারবেন দেবেন। ভুল ভাল জিনিসে পাবলিকলি মুগ্ধ হলে আবাজ খাবেন।
আমরা মানে যারা বিশ তিরিশ বছর আগে স্কুলবই পড়াশুনো করেছি, তারাই। তখন তো সেরকমই লেখা থাকত, এখনও উঠে যায়নি হয়ত। সেই আমরা-য় এলিট ইত্যাদি ব্যাপার ব্যাপার আনার কোন ইচ্ছে নেই। আপনিও আনছেন কিন জানিনা।
গায়ে ব্যাথা হওয়ার কোন অবকাশই নেই, আঙুল ঠিক থাকলেই হল, ছায়াধারী মত দিলে অন্য কথা আসবে না ?
কিন্তু এসব না বলে মূল কথাটার ভুল ধরালেই হয় না লিং ইত্যাদি।
এমনই খেপেছে যে 'আপনি' বলা শুরু করেছেন।
'আমরা' কারা? এই 'আমরা'রা কি আমড়াগাছি'র বাসিন্দে?
এঁদের কি "ছায়ার সাথে কুস্তি করে গাত্রে' ব্যাথা হয়না?
শুধু বিকাশ ভট্টচার্য্য মানে কি? আপনি কি রোনাল্ড রেগান এর কাছে চিন্তিত প্রতিবাদ আশা করেছিলেন? 188.70.14.252 | ২২ ডিসেম্বর ২০২০ ১৯ঃ২০, বাক্যটি কেসি এমন লিখেছেন, এর অর্থ বের করতে উইকেন্ডে তাঁকেই এলিট অসৎ হবে। প্রায় ওনার কবিতার মত হয়েছে। অথবা যার নাম বলতে নেই, তার এম e সার্টিফিএট এর মত।
বামপন্থী দের এলিট বলে দাগানো, আর দক্ষিন পন্থী দের দেখে মুগ্ধ হওয়া এটি পুরোনো রোগ। সমস্য নেই, আমরা পরিচিত। যখন বামপন্থী রা মানুষের সংগে থাগবেন, তখন বলা হবে সিভিল সোসাইটি তে পার্টি নাক গলাচ্ছে, কারণ আর এস এস একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন, তারা বেদ গান গাইছে। একদল সিপিএম কংগ্রেস তৃণমূল ছিলেন এখন বিজেপি হয়েহ্হেন তারা বলেন, আমাদের নিজের নিজের পার্টি আমাদের তৃণমূলের মুসলমান গুন্ডা দের হাত থেকে বাঁচায় নি, তাই আমরা বিজেপি করছি। এই সব ছেঁদো যুক্তি, বিজেপি r কেন্দ্রীয় , রাজ্য নেতারা ও কাউকে বাঁচান নি ও বাঁচাবেন না। যদি পাড়া থেকে গুন্ডা থেকে কেউ সফল হয়ে থাকে সেটা চিহ্নের জোরে হয় নি, দল বাঁধার জোরেই হয়েছে, এবার যদি কেউ বলেন, লাল ঝান্ডা হাতে থাগলে জোট বান্ধতে পারছি না, মানুষ কে ধর্মের জন্য ঘৃণা করতে অসুবিধে হহ্ছে, পদ্মফুল আমার ধর্মের ভিত্তিতে ঘৃণার স্বাধীনতা এনেছে, তাহলে ঠিক ই আছে, ওটুকু অসৎ দূরত্ব ভালো ই।
আর যদি এটা ক্ষমতার স্পেকুলেশন হয় , যে ভাই আমি মস্তানি করব, লোকাল ডেভেলপমেন্টের টাকায়, লো লেভেল সিভিল কনট্রাক্ট্স এর টাকা খেয়ে শান্তি নেই, অবসরে মুসলমান হিন্দু দাংগা লাগাবো, লোকের নাগরিকত্ত্ব কাড়বো, কে কি খেলো, কে কার সংগে শোবে সেই নিয়ে আমাদের বিচক্ষন বক্তব্য কে দেশের আইন করে মস্তানি আরো বাড়াবো, "পার্ট অফ দ্য উইকেন্ড গেম" , এবং আমায় রক্ষা করবে, রাজ্যের নতুন রাজ্নঐতিক শক্তি, তাহলে তো ঠিক ই আছে, যাদের পর্যবেক্ষন সৎ তাদের মাটি কামড়ে থাকা সততার এই নতুন সংজ্ঞার দায় তাদের ই থাকছে।
হাহা, সর্বধর্ম সহিষ্ণু সার্বভৌম দেশের আইনসভার ভিত পুজো করেন দেশের প্রধানমন্ত্রী, করতে বলেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত, বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলেন শুধু বিকাশ ভট্চাজ, সহ নাগরিকরা লেনিনগ্র্যাড থেকে আওয়াজ তোলেন খস-খস-খস, পোবোন্ধোর রাজ্যে তখন ত্যাঁদড় সফটওয়্যার আপডেট, ও পরে দেখা যাবে। তার থেকে মোটাভাইয়ের পোস্তর বড়া বেশি ফটোজেনিক কিনা!!
- একটি সৎ দর্শন
আর এস এসের লোকের পরিশ্রমের কথা শুনি বটে। এও শুনি যে আমরা যাদের আদিবাসী বলে জানলাম তাদের এনারা বনাবাসী বলেন কারণ আদিবাসী বললে প্রমাণ হবে যে ভারতে সেই আর্যরা থেকে মুসলমান অবধি সবাই বহিরাগত, আদিবাসীরা ছাড়া কেউ এ দেশের আদি লোক নয়, ফলে তাদের মুসলমানদের ভারত দখল তত্ত্বটি মার খাবে। একদম বেসিক থেমে শুরু করছে সে ঠিক এবং বিজেপি নয় আর এস এসই আসল পান্ডা সেও ঠিক কিন্তু এদের তো গোড়াতেই গণ্ডগোল।
আমার তো মনে হয় এদের পুরোটাই পণ্ডশ্রম আর লোকের জন্য বলিপ্রদত্তটা ভুল পথের, আসল উদ্দেশ্যে হল নিজেদের কিছু ধারণা আছে যেটা দিয়ে দেশটাকে তৈরী করতে চায়, আমার যতটুকু ধারণা, তত্ত্বগতভাবে সেটা খুবই সংকীর্ণ। হ্যা, বলতে পারি যে এটা ভারত স্টেটটির প্রভূত ব্যর্থতা যে তারা স্কুল কলেজের ব্যবস্থা করতে পারেনি, তার বদলে সেই ব্যবস্থা দায়িত্ব আর এস এসের হাতে চলে গেছে, অনেক জায়গাতেই।
উদাহরণ স্বরূপ, দেশ্টা একটা ধর্ম অবলম্বনকারী, একটা অঞ্চলের , একটা তৈরী করা ভাষার , একটা বর্ণের লোকের থাকবে না সর্ব ধর্ম সহিষ্ঞু হবে? অন্য বর্গগুলিতেও ক্রমশ অন্তর্ভুক্তি বাড়বে কিনা, একেবারেই বেসিক। কে ঠিক আবার করবে, মানুষ ই ঠিক করবে, ত্যাঁদড়েরা করবে না। যারা প্লুরালিটি তে বিশ্বাস করবে না, নাগরিকত্ব যখন তখন কেড়ে নেবা যায় বলে মনে করবে, তারা ত্যাঁদড়। খুব কঠিন দার্শনিক কোন প্রশ্ন না। সৎ ও না। সম্মান নিয়ে বেঁচে থাকার থাকার অধিকারের আবার সৎ অসৎ কি, বেঁচে থাগলে তো সৎ। আমি আপনার বাড়ির ছেলে মেয়েকে অন্য ধর্মের লোকদের , যে কোন অন্য ধরনের লোক কে সন্দেহ করতে শেখাচ্ছি জেনে আপনি আমায় আপনার বাড়ি ঢুকতে দেবেন? যদি দেন, তাইলে আর আলোচনায় লাভ কি, সৎ থাকুন।
দিশা কোনটা? কিসের দিশা? কে আইডেন্টিফাই করছে দিশা?
খুন খারাবি পার্ট অফ দ্য গেম। সে জোতদার হতে পারে, পুলিশ হতে পারে, মুসলমান খ্রিস্টান, নকশাল সিপিএম, সাংবাদিক, গুন্ডা লুম্পেন সব হতে পারে।
গ্রাসরুটের কাছে কে কতটা থাকছে সেটাই আসল।
একটা লোকের বাড়িতে আরেকটা লোক রোজ যায় , সুখে দুঃখে থাকে, খুব দরদ, আর দুটো বাড়ি পরের মুসলমান কে ঘৃণা করতে শেখায়, নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়াকে সমর্থন করা শেখান, অন্য ধর্মের প্রচারক দের খুন করাকে সমর্থন করা শেখান দরদের সংগে কুড়ি বছর ধরে। দুটি বই শুকনো রুটি ছাড় দাঁতে কাটেন না, aএটা আমি কুড়ি বছর ধরে দেখি। সৎ ভাবে। সো? এইটা কি ত্যাগের মহত্ব না দ্বেষ ব্যবসার খাদি গ্রামোদ্যোগ?
পড়ে থাকা লেগে থাকা এগুলো শুনতে ভালো, কিন্তু দিশা কি কে দেখাবে, দেশের, সমাজের ভবিষ্যত সম্পর্কে কার কি দৃষ্টিভংগী, সেটা আমার পর্যবেক্ষনের মধ্যে থাকবেনা। বিশেষত যে পর্যবেক্ষনের মূল দাবী সেটা সৎ । কি বলবো উচ্চশিক্ষিত মানুষ এরকম বললে। বলতে হবে আপনার সততা আর এস এস বিজেপি ফ্যাসিস্ট দের কাজে লাগলো। অবশ্যই দেশের ভয়ংকর ভবিষ্যতের জন্য আপনাকে দায়ী করা হয় তো যাবেনা, কিন্তু আপনি সৎঅ ভাবে দায় এড়িয়েছেন এটা ছাড়া এই পর্যবেক্ষনের প্রক্রিয়ায় আপনার সাফল্য কি?
----
রঞ্জন দা , সনাতন ধর্মের বিকল্প ন্যারেটিভ বলতে কি, দমন করার নতুন লোক সাপ্লাই করতে হবে , তাকে নিয়ে থিয়োরাইজ করতে হবে। যেটা কে বামেদের ব্যর্থতা বলে দেখাচ্ছেন, সেটা মতাদর্শের মৌলিক পার্থক্য। আপনি সমানাধিকারে বিশ্বাস করেন , নাগরিকের সম্মানে বিশ্বাস করেন , মানব সহিষ্ঞুতার নব উত্তরনে বিশ্বাস করেন, যে প্রগতি তে আস্থা রাখেন যা দুর্গতি কে কাছে টেনে নেবে, , আপনি কেন গ্লানি বোধে ভুগব। আমি ই বা কেন অমন করব। আমার তো তেমন টাক ও নেই। ভুঁড়ি আর চুলকুনি আছে শুধু মাইরি :-))))
বাড়িতে একট ব্যায়ল বাদক ভাড় করেন, আপনার এই মিসপ্লেস্ড আত্মোপলব্ধি গুলো আপনাকে পড়ে শোনাবে, আপনার ই রিডিকিউলাস লাগবে। আই ডোন্ট সি হাউ ইয়োর স্পিরিচুয়াল ইনকোয়ারি, হ্যাজ গট এনিথিং টু ডু উইথ দ্য নিড অফ স্টপিং দিস ডিসাস্টার।
রঞ্জনদা, বিজেপি না বিজেপি না, বিজেপি একদম উপরের লেয়ার শুধু। আসল হিমবাহ হল আরএসএস। আজকে যে বিজেপি কে জাতিভেদ ব্রাহ্মণ্যবাদ ইত্যাদি হ্যানাত্যানা বলে আমরা বক্কা নামাচ্ছি, গ্রাসরুটে সেটাকে মোকাবিলা করছে বিজেপি নয় আরএসএস, যাদের মেইন কথাই হচ্ছে অস্পৃশ্যতার বিরুদ্ধে, তারা সেটা পালন করে দেখাচ্ছে বছরের পর বছর মাটি কামড়ে, একদম চুপিসারে। আমাদের বক্কা একদম খেলো হয়ে যাচ্ছে ওখানেই। আজকে বাঁকুড়া পুরুলিয়ায় জঙ্গলে যে পতাকা উড়ছে সেটা বিজেপির নয় আরএসএসের। ফল তুলছে বিজেপি। বিজেপি জিতছেনা আদৌ, জিতছে গ্রীনরুমে থাকা লোকেরা।
কুড়ি বছর আগে যে শ্রীকাকুলাম কোরাপুট কালাহান্ডি বিজয়নগরমের ভিতরে হদ্দ গরিব জায়গায় দেখতাম লাল পতাকা, গ্রাম কে গ্রাম খ্রিস্টান, এখন একটাই পতাকা, তার পিছনে মাটি কামড়ে থেকেছে আরএসএস।
চুপচাপ পড়ে থেকে লোকের সঙ্গে থাকতে হবে এখন, ফল ফলতে টাইম নেবে। দুটো পোবোন্ধ আর বক্কা দিয়ে কিস্যু হবেনা, আলাদা হয়ে যাওয়া ছাড়া।
আমি কিছু বলিনা, কারণ বলতে জানিনা, শুধু দেখে যাই। এই দেখাটা কিন্তু খুব সৎ।
বোধি,
এখানে আমরা কেউ যোগ্য বা অযোগ্য নেই। একটা জগদ্দল পাথরকে টেনে সরাতে সবাইকে হেঁইয়ো করে হাত লাগাতে হবে। সবার রোল আলাদা। একটা অর্কেষ্ট্রার মত। কেউ ভায়োলিন, কেউ চেলো, কেউ ট্রাম্পেট বা ড্রাম।
আমার স্ট্র্যাটেজিক লক্ষ্য একটাই। বিজেপি একটু একটু করে যে ফলস ন্যারেটিভ তৈরি করেছে নানা লেভেলে তাকে এক্সপোজ করা। তার জন্যে তার শক্তি ও দুর্বলতা দুটোকেই চেনা।
আমার ট্যাক্টিসঃ প্রথমত; কোন ব্যক্তিকেই( মোটাভাই, ছোটাভাই, রাহুলবাবা, পিনারাই কাউকে না) গাল না দিয়ে পলিসি নিয়ে কথা বলা। ব্যক্তিগত আক্রমণ করলেই আমি স্ট্যাম্প লেগে অমুকের বা তমুকের হয়ে যাব। আমার কথায় যদি ২% সারবত্তাও থাকে তাও কেঁউ শুনবেনা শুধু আমার মত লোকজন ছাড়া।
দ্বিতীয়তঃ দীক্ষিতের মধ্যে তর্ক করে নিজেদের পিঠ চাপড়ে কিবা লাভ? আমার লক্ষ্য ২০২১ বা ২৪ নয় , যে বিষ ছড়ানো হয়েছে তার এফেক্ট অনেকদিন চলবে। ঘৃণার বাষ্পে আমরা সবাই অসুস্থ, সে যে সরকারই দিল্লি বা বাংলার মসনদে বসুক। ঠিক যেমন ট্রাম্পিজম আমেরিকায় হারেনি, শুধু ট্রাম্প হেরেছে--যদিও এর গুরুত্ব খাটো করছিনা।
তৃতীয়তঃ মোদীর তৈরি করা ন্যারেটিভের ( ভারতকে জগতসভায় শ্রেষ্ঠ আসন পাওয়াতে ওই ৫৬ইঞ্চি বুকের ছাতি যোগ্য লোক। মুসলমানরা যত নষ্টের গোঁড়া। দুনিয়াজুড়ে আতংক ছড়াচ্ছে। গান্ধীজি থেকে নেহেরু ইন্দিরা মুসলিম তোষণ করে আমাদের মহান ভারতকে তিন্টুকরো করিয়েছে। ফিরোজ গান্ধি আসলে ফিরোজ খান। শাস্ত্রে ধর্মরক্ষার জন্যে হিংসাকে মান্যতা দেওয়া আছে। গান্ধীজির "অহিংসা পরমো ধর্মঃ" শাস্ত্রের বিকৃতি। সনাতন হিন্দুধর্ম আমাদের দেশের আসল সংস্কৃতি। এদেশে মুসলিমদের মাথা নীচু করে থাকতে হবে, তবেই দেশের মঙ্গল। ইত্যাদি) বিকল্প ন্যারেটিভ বামপন্থীরা এখনও তৈরি করতে পারেনি। কম্যুনিস্ট রাষ্ট্রে একদলীয় শাসন, সংবাদপত্রের এবং ব্যক্তিস্বাধীনতার অভাব বরং মোদীজির মডেলকে পরোক্ষে জাস্টিফিকেশন যোগাচ্ছে। আর এস এস এর প্রতিনিধিরা এমনই এমনি চীনের কম্যুনিস্ট পার্টির কাছে কিছু শিখবে বলে যায়নি।
চতুর্থতঃ দরকার একটি বামপন্থী গণতান্ত্রিক এজেন্ডার এবং তার প্রয়োগের ন্যারেটিভের। ম্যানিফেস্টো আর গোথা প্রগ্রাম আওড়ালে হবেনা। লাতিন আমেরিকা বা ইউরোপে ( স্ক্যান্ডেনেভিয়ান দেশগুলোতে) এভাবেই দক্ষিণপন্থী শভিনিজমের উত্থান ঠেকানো গেছে।
তাই ওদের ইকনমিক পলিসি নিয়ে গুলপট্টি, এক মহানায়কের পায়ে সব বিদ্যাবুদ্ধি অর্পণ, রামায়ণ মহাভারতের এবং বেদের নামে মহিলাবিদ্বেষী দলিতবিদ্বেষী এজেন্ডাগুলোকে জাস্টিফাই করার প্রচেষ্টার গ্যাস-বেলুন ফুটো করে দেওয়া এই নিয়েই থাকতে চাই। এতে আগামী ২০২১শে বাংলায় যদি বাম-ডেমো আসে এবং ২৪শে দিল্লিতে অন্য ডেমোরা আসে খুশি হব।
পিটির 'রক্তমাখা ভাতের' গল্প বিশ্বাস করে ছাগল পাবলিক বামেদের ছেড়ে গেছে -- আমার ভুল মনে হয়। তাহলে গুজরাতে ত্রিশূল দিয়ে পেট চিরে দেয়ার কাহিনী শুনে সবাই মোদীর বিরুদ্ধে ভোট দিত। বামেদের ব্যর্থতার কারণ খুঁজতে হবে প্রত্যাশা বাড়িয়ে জনগণ থেকে সরে যাওয়ার মধ্যে। ভূমি সংস্কারের পর আর কিছু না ভাবার মধ্যে।
হানু,
৬৩ থেকে ৬৬। ভারত রক্ষা আইনে বাম কমিউনিস্টদের বড় নেতারা সব জেলে। দেশদ্রোহী, চীনের দালাল অভিযোগে ক্যাডার ও পার্টি অফিসের উপর আক্রমণ চলছে। আবাপ হুংকার দিচ্ছে--সত্যজিৎ রায় নীরব ক্যান?
সেই কঠিন সময়ে সিপিএমের নতুন প্রজন্ম (ব্যতিক্রম গণেশ ঘোষ, সতীশ পাকড়াশি) যেমন, রাধিকা প্রামাণিক, শান্তি ঘটক, বিজয় মোদক ইত্যাদি গড়ে তুললেন খাদ্য আন্দোলন গ্রাসরুট লেভেলে। ফলে পিটির ছাগল জনতা ওই দেশদ্রোহী কমিউনিস্টদের ভোট দিয়ে জেতাল। এক্ষণ? নির্বাচনের আগে ছাড়া গলার স্বর শুনি? শাহীনবাগ আন্দোলনের সময় সতীত্ব বাঁচাতে কেউ ওদের জমায়েতে গিয়ে পাশে দাঁড়াইনি। বরং ফিসফিস করেছি-- এসব তো অন্যের পয়সায় হচ্ছে, স্পন্সর্ড। আজ আশা করব ওরা কং-বামকে ভোট দেবে ? কোন কোন পকেট ছাড়া?
ভাল কথা, শুভেন্দুর সঙ্গে দুই কমিউনিস্ট পার্টির দুজন মোটাভাইয়ের আশীর্বাদ নিয়েছে। এটা কী করে হল? অথবা রাজাবাজার সায়েন্স কলেজের কৃতী ছাত্র এস এফ আইয়ের একসময়ের রাজ্যনেতা সিপিএমের ডাকসাইটের আদিবাসী এম পি খগেন মূর্মু কী করে গতবার বিজেপির এম পি হলেন? ওনারা তো কালীঘাটে যাননি । সোজা সিংহ দরোয়াজা দিয়ে গেছেন। পিটি দু'পয়সা সেবেন নাকি?
এদের একটা মুখস্থ করা টেকনিক হল মূল ইসু থেকে নজর ঘুরিয়ে কাক দেখানো বক দেখানো। খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে নিটপিকিং করা, যাতে কিনা মূল বক্তব্য চাপা পড়ে যায়।
শুধু ফেবুগ্রুপে না, এখানেও আসে ।
আপাদমস্তক মিথ্যেবাদী পিটি বলছে মিথ্যে নিয়ে। আহাহা গো এমন আতকা ভন্ডামি দেখে চোখের জল আর বাঁধ মানছে না। সেদিনে কারা বুঝি ভুল চ্যানেলের নাম ধরিয়ে আসল পোস্টদাতাকে পৌঁছে দিতে বলেছিল তাতেই পোপেচোরবাবু অমনি তাদেরকে আক্রমন শানালেন অপরাধ ঢাকছে বলে। অথচ কেউই কিন্তু ঘটনা অস্বীকারও করে নি,মিথ্যেবাদী ছিহপিএমিদের মিত বিকল্প ব্যাখ্যাও দেয় নি জাস্ট ভুল নামিটা ধরিয়ে দিয়েছিল। তারপরে সেই ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী কোন দলে আগে ছিল বলে খুব ধমকানোর পরে কে যেন বল্ল বিপ্লব বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী বরাবর বিজেপী। তা এই জালিপিটি তাকেও উলটে ধমকাতে লাগল অমুকটা পড়ো নেপেনের সাথে কথা বলো হ্যান ত্যান।
এ আবার আসে অন্যদের ছবক দিতে? এদের দেখলে বোঝা যায় কেন ছাত্ররা কেবল মুখস্ত কিরে। এদের প্রশ্ন করলেই ধমকায় আর ভুল দেখালে কথাই নেই। যা খুশী দাগিয়ে ভবিষ্যত শেষ করে দেবে।
শুধু তিনো নয়, আমেরিকাতেও একই ব্যাপার। লোকজন গুজব নিয়ে থাকতেই পছন্দ করে। ঠিকমতন ইনভেস্টিগেশান হোক কেউ চায় না। এদিকে বেশিরভাগ লোক কন্টেন্টটাই ঠিকমতন জানে না। জানবে কি করে? তার প্রিয় নিউজ অ্যান্কর (বা অ্যাক্টর) যে সারা সন্ধ্যে জুড়ে চেঁচিয়েই গেলো। আসল ইস্যু নিয়ে ডিসকাসন তো এক রভিশ ছাড়া আর কেউই করেনা।
ফেবুগ্রুপেও তাই করে। মিথ্যা, অর্ধসত্য এইসব নিয়ে চেঁচিয়ে তোলপাড় করে। এক দল আছে একেবারে বাঁধাধরা, তিনোর কোনো দুর্নীতি নিয়ে একটা স্টেটমেন্ট পড়ামাত্র রে রে রে রে করে এইসব মিথ্যা অর্ধসত্য নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। অনেক সময় ভালো করে জানেও না, মুখস্থ করে রেখেছে, সেইসব বলে যায়।
এই দ্যাকো, ছোঁড়া আবার হতাশার কতা বলচে। ওরে বাপু হতাশার কতা বললেই একটি পোবোন্দ ফাইন। কেষ্টর একটি নকুলদানার বদলে বোধিবাবুর একটি পোবোন্দ। এই হচ্চে এবারের ভোটের বন্দোবস্ত।
আমার ব্যক্তিগত অভিমত হচ্ছে যে সেই "রক্তমাখা ভাত" থেকে শুরু করে বামেদের সম্পর্কে যেসব মিথ্যাভাষণ লোকে সত্যি বলে মেনে নিয়েছে সেগুলোর বিরুদ্ধে প্রচার করা। কেননা কোন কথার প্রতিবাদ করলেই ঐসব মিথ্যা, অর্ধসত্য ও গুজবের আশ্রয় নিয়ে আসল আলোচনাকে ধামাচাপা দিয়ে দেওয়া হয়। এই ফোরামেও তার উদাহরণ মেলে বিস্তর।
এই মিথ্যা, অর্ধসত্য ও গুজব জিইয়ে রাখার জন্যই কোন মামলার নিষ্পত্তি করা হয়না। ভোট এলেই সেগুলো নিয়ে প্রচার তুঙ্গে ওঠে।
ইউপিএ ১ এর এত ভালো ভালো কাজ আছে। নরেগা, সর্বশিক্ষা, মিড ডে মিল। এগুলোর কতগুলো আগেও ছিল। কিন্তু ইউপিএ ১ এসে ব্যাপকভাবে ইনভেস্ট করেছিল। সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। পলিটিকাল স্টান্টের বদলে অ্যাকচুয়ালি গ্রাউন্ড লেভেলে কাজকর্ম হয়েছিল। সেখান থেকে আজ দেশ এত অন্যদিকে চলে গেছে, যে হতাশা ছাড়া আর কিছুই বাকী নেই।
টেকো বুড়ো দা, দেখুন আপনাকে ভালোবেসে ইয়ার্কি মারি বলে আপনার ব্যাপক অভিজ্ঞতা ও পড়াশুনো কে অস্বীকার করি না। আপনি আমার থেকে অনেক যোগ্য লোক সর্ব অর্থেই। এমনিতে তো আমি কে, আমাকে কেউ চেনে না, সম্পূর্ণ বাল। আমার মত জেলার ছাত্র নেতা, তাও আবার তিরিশ বছরের প্রাক্তন er কোন পোলিটিকাল ভ্যালু নাই। কিন্তু বিজেপি কে রেটোরিকাল স্পেসে ছেড়ে কথা বলতে ইচ্ছে করে না। এই আর কি তাই হয়তো ওভার দ্য টপ কথা বলে ফেলি। আভোরান্ট ইজ দ ওয়ার্ড।
বাচালতা ক্ষমা করবেন, যা লিখেছেন পড়ে বোঝার চেষ্টা করব। ভোটের লেখা আলাদা, প্রচারের জন্য, বিজেপি কে হারাতে যা লিখতে চান, জানাবেন, কাকে সিপিএম কংগ্রেস লিবারেশন কাকে জেতাতে চান বা ১৭ দলের জোট কাকে জেতাতে চান ক্লিয়ারলি জানি য়ে দেবেন, আমি চেষ্ট করব ক্যাম্পেনার দের কাছে পৌছতে, আপনার মেটেরিয়াল নিয়ে পৌছতে ব নিজেরাই পপুলারাইজ করার চেষ্টা করব। টি এম সি কে যদি জেতাতে চান, তাইলে অবশ্য আমি হেল্প করব না। ওটা আমি দেখি না, দিদি দেখেন ;-)
ইলেকশন হল, সাধারণ চোদু টাইপের লোকেদের মস্তানির সময়। এই সময়, শুধু এই সময়ে রাজনইতিক নেতারা একটু গলবস্ত্র হন, তবে সেটা স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে, এখনকার পরিস্থিতিতে, রাষ্ট্র শক্তির আস্ফালন ই মানুষকে চোখ ধাঁধানোর উপায়। আপনাদের আমলের মিছিল এখন রোড শো। এই পরিস্থিতিতে প্রকৃত ইনকোয়ারি ও বিশ্লেষণের গুরুত্ত্ব যেমন রয়েছে, ফ্যাক্টস ও ফ্যাক্ট্স চেকিং গুরুত্ব বরঞ্চ বেড়েছে, পাল্টা প্রচারের একটা গুরুত্ত্ব রয়েছে। ঝাঁপান, কোন ছাড়া ছুড়ি না। চ্যাংড়ামির একটা লিমিট আছে। আর যদি মনে করেন, পোবোন্দো লিখে কিছু হবেন না, কিসু লোক জন সেটা মনে করছেন, তাইলে তাঁদের সংগে হাত মিলিয়ে টেলিভিসন চ্যানেল খুলুন, ওরা ক্লিয়ারলি কোড অফ লিবেরাল কনডাক্ট এর ঐ চ্যাপটারে পৌছে গেছেন :-)))
যে আমলে রিজার্ভ ব্যাংকের ক্রেডিবিলিটি নষ্ট করা হয়েছে দায়িত্ত্ব নিয়ে সে আমলে সোশাল ইনক্লুশনের উদ্দেশ্যে ব্যাংকিং অসম্ভব। ভালৈ করেছেন, বিষয়টা বেছে।
বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত
বোধি,
তোমার স্পিরিটকে শিরোধার্য করে-- বিনা যুদ্ধে নাহি দিব স্যূচগ্র মেদিনী-- একটা পোবোন্ধো নামালাম। টইপত্তর দেকে নিও।
প্রথম যৌবনে জানতাম ইন্ডাস্ট্রিয়াল ক্যাপিটা+ ফাইনান্স ক্যাপিটাল অথবা ব্যাংক ক্যাপিটাল= ফ্যাশিস্ত পলিটিকো ইকনমি। তাই মনে হল খালি কৃষক আন্দোলন নয়, শ্রম এবং ব্যাংকে যা হতে যাচ্ছে তা নিয়ে এখনই গলা তোলা দরকার।
দেখতে পাচ্ছি 'বিষমদুঃখে ব্রণের পিন্ড বিদীর্ণ হয়ে তার, কলুষপুঞ্জ করে দিক উদ্গার'। ইত্যাদি ইত্যাদি।
জানি, আমি - - -, হরিদাস পাল। আমার এখানে ওখানে মিনমিন পিনপিন করায় কারও একগাছি কেশও উৎপাটিত হইবে না। কিন্তু নিজের কাছে সৎ থাকা দরকার , সেই তাগিদে।
কি কটিন কটিন কথা বললাম মাইরি! নাঃ আমার হবে।
এখন তুমি যা কও।
ভবদীয়
টেকোবুড়ো