ধেত্তেরি! প্রথমটা ব্রহ্মসূত্র।
<&>,
তিনপ্রস্থান হল , যতদূর মনে পড়ছে, ্ব্রহ্মসূত্র, উপনিষদ ( বৃহদারণ্যক, ছান্দোগ্য, ঈশ, কঠ , কেন , শ্বেতাশ্বতর আরও দু'একটি বোধহয়) এবং গীতা।
যাঁর থেকে শোনা স্বামী ত্র্যক্ষরানন্দ, উত্তরকাশীতে আশ্রমে থেকে গুরুর কাছে অধ্যয়ন করেছিলেন। বলেছিলেন শঙ্করাচার্য প্রবর্তিত সনাতন ধর্মের দশনামী সম্প্রদায়ের সন্ন্যাসী হতে গেলে তিনপ্রস্থান শিখে পরীক্ষা দিয়ে তবে কোন ড্যান, কোন গ্রেড এসব প্রাপ্তি-- পুরী , গিরি ইত্যাদি।
এত বছর গুচতে আসছি এই এলেবেলের মত বিষ লোক ঐ যোষিতা ট্যান এরম দু একজন ছাড়া আর দেখি নি।
না, নেই তো। আপনিঈ তো দিলেন, আপনি তো জানবেন কোথাকার লেখা। কিন্তু আমি তো লেখাটিকে সন্দের করছি না কিন্তু তার পরেও তো আরো বিশদে লেখা আছে। আর ঐ লেখা থেকে চোর সন্দেহ করা, কোষ্ঠকাঠিন্য না হলে সেটা করা যায় না। সেটাই আমার বক্তব্য।
রঞ্জনদা, সেটাই তো ব্যাপার। ছাপার অক্ষরে তো লিখেই গেছেন সব, কিন্তু না, বাংলা বাজারে গুজবমহলে জানা গেছে যে উনি একাধিক মানুষের খাতা ঝেড়েছিলেন। অতএব সেটাই প্রমাণ, আর যে চুরি করেছে সে আবার সত্যি কথা লিখবে কেন, সেটা হল লাইন। ফলে এখানে যারা ওনাকে ভগোমান বলে হেজিমনি তৈরী করছে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই চলবে।
আচ্ছা, ফাইন্যালি কেটে ওঠার আগে জানিয়ে যাই সাহেবধনী সম্প্রদায় তাদের গান বইতে আমি সুধীরবাবুর নিজের লেখার যে অংশটা কোট করেছিলাম, সেটা নেই।
অথচ সেই নিয়ে কত্ত কথা খর্চা করা গেল!
আঃ রঞ্জনবাবু, আপনি আবার এর মধ্যে ঢুকতে গেলেন কেন? এলেবেলে গুরুর সেফেস্ট লঞ্চিং প্যাড বা বারোয়ারি ঘন্টা। যে কেউ কিলিয়ে বা ঘন্টা নাড়িয়ে অলীক সুখ পায়। তাঁদের এ কাজে ব্যাঘাত ঘটাবেন না প্লিজ।
এলেবেলে ও সিএস,
আমি মোটাবুদ্ধির লোক। সুধীর চক্রবর্তী/সাহেবধনী/কুবির গোঁসাই ইত্যাদি নিয়ে তিক্ত বিতর্কের-- যা ক্রমশঃ বিতন্ডার দিকে যাচ্ছে -- কোন মাথামুন্ডু বুঝতে পারছিনা। ইস্যুটা কি ? সুধীরবাবু সাহেবধনী সম্প্রদায়ের গানের খাতা এলেবেলের পরিচিত কারও থেকে চুরি করেছিলেন বা ঝেড়ে দিয়েছিলেন?
আমার দু'পয়সাঃ
১ যদি অভিযোগ সত্যি হয় ( মনে হচ্ছে সত্যি) তো বোলব বেশ করেছিলেন। আমারও ওইরকম ইচ্ছে মনের মধ্যে কুলবুলোয়, সে ধক নেই। যদি কোন দিন সফল হই তো হেঁ হেঁ, সেদিন দেখবেন। এই তো সেদিনের কথা। প্রয়াত লেখক উদয়ন ঘোষের নাকতলার বাড়ি থেকে একট্রাঙ্ক 'অপ্রকাশিত' খাতাপত্তর ঝেড়ে দেবার বরাত পেয়েছিলাম। কারণ আমি নাকতলার ছেলে। কিন্তু মহা আতাক্যালানে, তাই হোস্টেলের অভিজ্ঞতা থেকে কায়দা করে নিঃশব্দে জানলার কাঁচটা ছিটকিনির পাশ থেকে মেপে ভাঙলাম। কিন্তু হাত গলিয়ে ছিটকিনিটা খুলে যেই ভেতরে পা রেখেছি একটা খেঁকি কুকুর খেউ খেউ করে উঠল। ব্যস, রাস্তা থেকে ওর দোহারকি তারপর বৃন্দগায়ন সব শুরু। বাড়ির মহিলাটি জেগে -কেও গোপাল নাকি বলায় আমি পাইপ বেয়ে পিছলে নামলাম।
বুঝলাম, ভগবান আমাকে সুধীর চক্কোত্তি বা মার্ক টোয়েন ক্যান, একজন নিননিছা হওয়ার বরও দেননি। শুভবুদ্ধির উদয় হতেই নাকতলা ছেড়ে সোজা গুরগাঁও।
২ বেশ করেছিলেন কেন বলছি? এই দেখুন রাহুল সাংকৃত্যায়ন তিব্বতে লামাদের গুফা থেকে আচার্য ধর্মকীর্তির প্রমাণবার্তিক চুরি করে এনেছিলেন। নিজেই বলেছেন। কিন্তু সেন্ট পিটার্সবার্গ থেকে আরেক ভারতবিদ্যাবিদ আচার্য শেরবাটস্কি বললেন এই কাজটি (চুরি?)এমন অনন্য যে আন্তর্জাতিক সম্মেলন ডেকে সেলিব্রেট করা উচিত। কারণ ওই মহাগুরুত্বপূর্ণ বইটি ভারতে হারিয়ে গেছল। সুধীরবাবু ওই কাজটি না করলে (চুরি/ঝেড়ে দেওয়া/অলৌকিক প্রাপ্তি) আমরা ওই সম্প্রদায়ের সম্বন্ধে কিছুই জানতাম না। ওই সংগ্রহটি ওদের গভীর গোপন হয়েই থাকত। তাতে ম্যানগো পাবলিকের কি লাভ হত ? উনি বইয়ে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। তাঁরা তো কখনও বলেননি --এটা ফেক, ওদের সম্মতি নেই। এলেবেলে যদি এটা দেখাতে পারেন তবে তাঁর আক্রমণ ভারে কাটবে।
৩ এলেবেলের পরিচিত বা বন্ধু স্থানীয় কারও থেকে সুধীরবাবু ঝেড়েছেন? ঋণ স্বীকার করেননি? তাহলে তাঁর অভিযোগ কোথায়? বা এতদিন এই অভিযোগ ওঠেনি ক্যান? উঠছে আজ, যখন সুধীরবাবু নিজের ডিফেন্স দেওয়ার অবস্থায় নেই?
৪ যদি ধরে নেই এলেবেলের অভিযোগ ন্যায়তঃ ধর্মতঃ সত্যি, তবু বলব সব কিছুরই নিজস্ব 'ল' অফ লিমিটেশন' আছে। আর আছে ক্যানন অফ আকুইএন্স (বাঙলা উচ্চারণটা ভুল হলে শুধরে দেবেন)। যখন সুধীরবাবু এত আগে ছাপার অক্ষরে সোর্স স্বীকার করেছেন তখন কেউ আপত্তি করেননি তখন ওই ক্যানন অনুযায়ী আজ এসব কথা বা চুরির অভিযোগ তোলা যায়না। বাস্তব জীবনে বহুবার কিল খেয়ে কিল চুরি করতে হয়।
ন্যান, এবার সায়গলের গান শুনুনঃ "মধুকর শ্যাম হমারে চোর !"
সাইটের হেজিমনি থাকবে কোন দুঃখে? সাইটে বিচরণকারী ব্লার্বপড়ুয়া ও না-পড়ুয়াদের হেজিমনি। সেই নিয়ে তক্কো করার হেজিমনি। সব কিছু কেবল আমরাই বুঝি - তার হেজিমনি। শেষে যা দাঁড়ায় বাদাম্ভাজায় নুন বেশি পড়ে।
হ্যাটা দিলে কী আর পার্সোনাল আর্কাইভ থেকে এক্ষণ পাবেন? তাও ১৯৭৯ শারদ?
সাইটের হেজিমনি নিয়ে বাচ্চা প্রফেসরের ধারণাগুলো ফোনে জেনে নিয়ে সময় করে লিখে দেবেন। আর কোথায় কোথায় দুই মক্কেল মিলে হুজুরদের হেজিমনি ভাঙছে সেসবও।
আরো কত লেখা লিখবেন অনেকদিন , আরো কত দেখবেন।
হ্যাঁ, হুজুর আপনারা যেটাকে গসিপ বলে স্ট্যাম্প মেরে দেবেন সেটাই গসিপ। আপনাদের ধারণাই ধারণা। আপনাদের পড়াই পড়া। আপনাদের বোঝাই বোঝা। মোদ্দা কথায় যার পেচুনে আপনাদের স্ট্যাম্প নেই, তারা নিতান্তই... আজ থেকে তো আর দেখছি না। বুঝলেন কি না! কাটি হুজুর?
খর চোখের ব্যাখ্যা ছিল, অলৌকিকেরও। কিন্তু সেসব অপাত্রে দেওয়া হয়েছে।
ঘাড় নাড়ান ঠিক আছে। কিন্তু সেসব আবার প্রচার করতে গেলে মুশ্কিল।
গসিপ করতে কোথায় যাবেন সে তো আপনার ব্যাপার। ইচ্ছে হলে যাবেন।
হ্যাঁ, শুধু বইটাই যা খুঁজে পাওয়া যায়নি। হয়, অমন হয় হুজুর। কাটি?
আমি মেনে নিয়েছি আপনাদের সর্দারি। এমনকি সর্দার বলেওছি। এবারকার মতো ছেড়ে দিন হুজুর।
কাল রাতেও লেখা হয়েছে, আজ সকালেও।
কখন কী লেখা হচ্ছে কিছুই তো বুঝতে পারেন না দেখি।
তাও তো এইটুকু সব লেখা।
এম্মা পড়বেন তো আপনারা। বুঝবেন তো আপনারা। আমি শুধু বাংলা বাজারের গপ্পে ঘাড় নাড়াব। জো হুকুম সর্দার।
বইটা যে পড়েননি বোঝাই যাচ্ছে।
কিন্তু বইটা পড়ার কথা বলিনি, সাহেবধনীদের খাতা প্রসঙ্গে গত রাতেই ঐ বইয়ের প্রথমে কী আছে সেসব লেখা হয়েছিল।
সেও পড়েননি বোঝাই যাচ্ছে।
আজ্ঞে পঞ্চাশ হাজারেরটা দেখতে পেয়েছেন আরেক বিজ্ঞের জন্য। আসলে ওই পণ্ডশ্রমটিতে কিঞ্চিৎ বেশি শব্দ লেখা হয়েছে। আহা রে বেঁচে গেলেন সেসব থেকে! শুধুই জাজমেন্টাল হওয়া। কী অলীক সুখ!
এই যে এখনই বললেন আজ সকালে লিখেছেন? ও ওটার মানে কাল রাত ধরতে হবে? ইশশ, আগে বলবেন তো।
হ্যাঁ, রাতে আবার পন্ডশ্রমের রচনা লিখতে বসতে হবে পরের বছরের পঞ্চাশ হাজার শব্দের গুমোর তৈরীর জন্য। কাজ কী আর কম !
আপনি তো পড়েছেন নিয্যস। তা খুঁজে পেলেন না কেন। বলে দেওয়ার পরেও। খর চোখের কী একটা ব্যাখ্যা করেছিলেন না? আর অলৌকিকেরও? নাকি করেননি?
সাহেবধানী সম্প্রদায় / তাদের গান।
স্বীকৃতি আর আত্মপক্ষতে তো অনেক মানুষের উল্লেখ আছে যারা সাহায্য করেছেন, যারা খাতা দিয়েছেন তাদের নামও আছে। কাল রাতেই তো লিখলাম, লোক ঠকানো তো সে বই থেকে বোঝা যাচ্ছে না। সেসব পড়েননি বোঝা যাচ্ছে। সকালে কোষ্ঠ ক্লিয়ার হয়ে যেটা চোখে পড়ে তার আগে সব ভুলে যান দেখছি।
ঐ দুজনের কথাই সকালের কুবির গোঁসাই বই থেকে তোলা হয়েছিল।
যান, গুমোর নিজের নিজের পকোটে গুঁজে রেখে কাজে যান। খেল খতম।
আচ্ছা বুঝলাম কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ। সকাল্বেলায় এই বইটার উল্লেখ দেখতে পাচ্ছি --- মানিনী রূপমতী কুবির গোঁসাই।
ওই জন্যই তো ভাবি কোষ্ঠকাঠিন্য কেন!!
তা খিক, এখানে পাত্তা পাওয়ার রকমসকমটা ঠিক কেমন?
বইয়ের নামটা বলুন না। গোদা বাংলায়।
পাঁঠা অনেক দেখেছি। খিকের মতো এমন নধর পাঁঠা দেখিনি। ধরেই নিয়েছেন কেউ বুঝিয়েছে খাতাচোর আর...। বলিহারি পাঁঠা মাইরি।
সাহেবধনীদের নিয়ে বইয়ের স্বীকৃতিতেই সুশান্ত কর্মকার আর রামচন্দ্র ঘোষের উল্লেখ আছে, কুবির গোঁসাইয়ের খাতা নিয়ে।
তাদের নিয়েই বিস্তৃত লেখা, আজ সকালে যা তুলে দিয়েছি।
অন্য লেখা থেকে সহজেই যা বোঝা যাচ্ছে সে না বুঝতে পেরে উল্টে বোঝা হয়েছে খাতা চুরি করেছেন !