ঠিক আছি, ম। সময় খুব কমে গেছে, আপিস বড় খাটায়। সপ্তাহান্তেও কাজ :-(
তোমরা বোধহয় অন্য শহরে গেছ। টিনটিন নতুন স্কুলে মানিয়ে নিয়েছে?
অলোক রঞ্জন সম্পর্কে শঙ্খ ঘোষ মহাশয়ের, গৌতম বসু , রাজা দা র লেখা গুলো পড়ে বার বার মনে হচ্ছে এসব কথা , এটাও আশ্চর্য্য সমাপতন, গুরুচন্ডালিতে অলোকরঞ্জন সম্পর্কে রাজা দার লেখা পড়ব এরকম কোন পরিকল্পনা কখনো ছিল না :-)
শ্রীনিকেতন থেকে বল্লভপুর পেরিয়ে সাততোড় , সাততোড় পেরিয়ে পাঁড়ুই। তার আগে ডান দিকে এটা ওটা নানা গ্রাম। সেখানে একটা বাউল আখড়া ছিল। তার আগে বাঁদিকে যাদবপুর গ্রাম, যেখানে নফিজুল মারা যায়। তো সেখান থেকে কসবার পেছন দিয়ে গোআলপাড়া শ্যামবাটী অবদি পাকা রাস্তা হয়েছে এখন। তো সেখানে এবার মেয়েকে নিয়ে গেছিলাম। গোআলপাড়া দিয়ে যখন আবার শ্যামবাটী লালবাঁধে ফিরছি, তখন মন খারাপ হয়ে গেল। ঐ রাস্তার দুপাশে তাড়ির দোকানে শীতের দুপুরে তাড়ি খেতে যেতাম, সন্ধে বেলা প্রান্তিক স্টেশনের ওখানে অল্প বাংলা বা গাঁজা যেদিন যা জুটতো খেত অনেকে আমি খেতাম না বা অন্তত রোজ খেতাম না, কিন্তু তখন ঐ রিলকে, অলোকরঞ্জন , অরুন মিত্র এসব পড়তাম চপ চায়ের দোকানের লম্ফ র আলোতে আর কে কি বলে শুনতাম, পয়সা থাকলে চপ বা ঘুগনি খেতাম মুড়ি দিয়ে নইলে কারো জয়েন্টে এক দেড় টান দিয়ে আস্তে আস্তে রতনপল্লী ফিরতাম, সেখান থেকে আবার আস্তে আস্তে সেমান্তপল্লী। এই গোটা রুটে মাঠ পেরোনো টাই বেশি। একট মাঠ ও নেই। সব বাড়ি বা হোটেল বা বুটিক বা এমনি দোকান হয়েছে। ঝক ঝকে আলো। মসৃণ রাস্তা। মেয়ের কাছ্হে বেশ বে ইজ্জত হতে হয়েছে, বহুদিন ধরে এটা ওটা গল্প দিয়ে একটা প্রায় সিটি স্ট্রীট এ নিয়ে গেলে যেরকম হয় আর কি। অন্ধকার কিংবা ধান সেদ্ধর গন্ধ খুঁজতে যেতে হচ্ছে মাইরি। চারিদিকে এত আলো আর ডিওডোরান্ট। তবে কদিন বাদে মারা না গেলে আশ্চর্য্য হব এরকম বড় দের সংখ্যা পাড়ায় ও বাড়িতে বেড়ে যাওয়ায় একটা সুবিধে হয়েছে, তাদের অনেকের কাছে মেয়ে শুনেছে মানে অনিচ্ছাতেও শুনতে বাধ্য হয়েছে তাদের বিলাপাভ্যাসের কারণে , মধ্য রাতে তার বাবা নানা গান সম্পূর্ণ অন্য আনরিলেটেড সুরে গেয়ে ফিরতো, পেছনে অসংখ্য গলা মেলানো চেনা চারপেয়ে, এটুকু না হলে ইজ্জত থাকতো না। :-)
কুরুক্ষেত্রের কান্ডের পর হয়তো আস্তে আস্তে ক্লাইমেট চেঞ্জ হয়ে হয়ে বৃন্দাবন শুষ্ক বিরহী দুঃখী হয়ে পড়ে। বৃষ্টি টিষ্টি কমে গিয়ে হয়তো গাছপালা কমে যেতে থাকে।
অরণ্যদা কেমন আছো? তোমাকে দেখি না কেন?
বৃন্দাবনে পৌঁছে আমরা গেলাম কুন্ঞ্জ বনে।চারদিকে পাঁচিল, মাঝখানে কটা কুটি কুটি ঝোপ। আমা হেন বেঁটে মানুষ বসলেও সে গাছের উপর দিয়ে মাথা দেখা যাবে- সেখানে নাকি রাত্তিরে অভিসারে আসতো!! মাগো!
লেখক আতর্থী মশাই সে এ এ ই কোন ব্রিটিশ আমলে বাড়ি থেকে পালিয়ে পালিয়ে দিল্লি, আগ্রা, মথুরা, বৃন্দাবন কাশী ঘুরতেন। একবার খুব গরমে মথুরায় ছিলেন। তো, হোটেলে একজন কর্মচারী বলে দিল বৃন্দাবনে জঙ্গল আছে, সেখানে ছায়া, ঠান্ডা পাবেন। পরদিন তিনি যমুনার ব্রীজের উপর দিয়ে গেলেন বৃন্দাবন। গিয়ে দ্যাখেন, বেঁটে সেঁটে গেঁটে তিনটে গাছ, আর হু হু করছে ধূ ধূ মাঠ, সেই নাকি জঙ্গল। তপ্ত হাওয়া বইছে, রোস্ট হয়ে যাবার অবস্থা। উনি পত্রপাঠ মথুরা ফেরত গেলেন, পরে লিখলেন, "এ বৃন্দাবনের বাহাদুরি আছে বাবা"
আমি যখন দেখেছি,ঐ মাঠে একটামাত্র গাছ ছিলো,একটেরে। ঘাসও ছিলো না তেমন- এদিকে ওদিকে কিছুটা জায়গাজুড়ে মরাঘাস। সন্ধ্যেবেলা বাদামভাজা,ঘটিগরম পাওয়া যেত। অন্ধকারে কারা কারা যেন বসে থাকতো, দূরে দূরে ছায়া ছায়া। সমাজবিরোধী আর আমাদের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান:-)
মাঠেরা স্মৃতি হয়ে যায়
এত বছর পার হয়ে গেল? নাহ, এইবেলা মহাভারতের শেষদিকটা আবার দেখে নিয়ে বের হয়ে পড়তে হবে।
সার্কাস না হলে পাতা শুকতো। ওই মাঠে, আর ঈশ্বরচন্দ্র নিবাসের পেছনের মাঠে - এখন যেখানে পুলিস কোয়ার্টার।
সব বদলে গেল কী তাড়াতাড়ি:-(
তা আছে। আগে সার্কাস হত
হ্যাঁরে:-) মাঠটা তোর মনে আছে?
ঝোরা?
ওটা হয়েছিল বলেই না দেশে আচ্ছে দিন এলো।
আমরা তখন ক্লাস এইট। পরের দিন কোন কাগজ মনে নেই - সম্ভবতঃ আনন্দবাজারের, হেডিং আর ছবিটা স্পষ্ট মনে আছে এখনো।
সন্ধ্যেবেলা উল্টোডাঙার মাঠে(পরে যেখানে স্টেট ট্রান্সপোর্টের একটা কুৎসিত বহুতল তৈরি হলো) বসে কচিকাঁচা কজন একটা ছোট পত্রিকার মিটিং করছিলাম, মিটিং কম, গজল্লা বেশি। সে মাঠে তখনো অল্প ঘাস ছিলো,আর ছিলো একটা ছোট চায়ের দোকান। সেই দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে পরের সপ্তাহের প্ল্যান হয়েছিলো। কেউ জানতাম না পরেরদিন থেকে কী হতে যাচ্ছে... ২৮ বছর হয়ে গেল...
সবাই তো ছাড়া পেয়ে গেল।
২৮ বছর আগে আজকের দিনে ...
উরেব্বাবা নয়, উরি উরি বাবা।
সেই উরি সিনেমার সিকোয়েল হবে বলেছিল না, নাম হবে উরি বাবা?
ঐজন্যই তো গানটার নাম উড়িবাবা।
পোস্তবাটা আর ধোকা ----উরেব্বাবা। ঃ-)
*লেস
এইটা হল রসগোল্লা গানের রিমেক। তবে রুকমিনি বড্ড বেশি হাতপা ছুঁড়েছে। আর স্কার্টটা একটু বেশি বড় হয়ে গেছে।
এরম ক্ল্যাসিক ভিডিও আমার ক্লাশলেশ ফোন দেখাতে অস্বীকার করছে!:-(
আপনারাই উপভোগ করুন
সারা শহর খুঁজে দেখি আছে অনেক বোকা,
(আরে) তাদের দেবো পোস্তবাটা, খেতে দেবো ধোকা।
ক্লাসিক।
কোথায় ছিলে দুষ্টু ছেলে লুকিয়ে এত কাল,
হঠাত এসে চমকে দিলে, একি তোমার চাল।
ইস্কুলে যে এইদুটো লাইনের ভাবসম্প্রসারণ দেয়নি, এই অনেক।
আপনাদের কোনও ক্লাস নেই। এইগানের সঙ্গে অরিজিনাল ভিডিওটা না দিলে জমে নাকি?