রাজীব গান্ধী দুই নৌকায় পা দিতে গিয়ে দেশে বিজেপিকে বাড়ার স্পেস করে দিয়েছিল। একই কাজ রাজ্যস্তরে করলেন দিদি।
ট্রিপল তালাক ব্যানটা ছিল বিজেপির পলিটিকাল মাস্টারস্ট্রোক। অন্তত বেশ কিছুদিন তার এফেক্ট ছিল। একইসঙ্গে হিন্দুরাও খুশি, মুসলিম পুরুষদের প্রিভিলেজ কম করার জন্য। আবার খুব কম হলেও কিছু মুসলিম মহিলার সমর্থন পাওয়া গেল। এইকারণেই এইসব কাজকর্মগুলো সেকুলার সরকারকেই আগে করে দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু কে করবে? রাজীব গান্ধী?
বিজেপি - আরেসএস হিন্দু মৌলবাদী দল। তারা মুসলিম মেয়েদের প্রকৃত উপকার তো চাইবে না, কৌশল হিসাবে কিছু করতেই পারে।
মমতা আপাদমস্তক সুবিধাবাদী , ক্ষমতায় আসা এবং ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য যে কোন কিছু করতে পারেন, যেমন সিংগুরে ৯০% তৈরী হয়ে যাওয়া একটা কারখানা সাবোতাজ করেন। পঃ বঙ্গের মানুষ, কৃষক, মুসলিম হিন্দু কারও জন্যই তার কিছু যায় আসে না । গুজরাতে নরমেধ যজ্ঞের পরও বিজেপির সাথে ছিলেন
মানুষ কিছু তলিয়ে ভাবে না মনে হয়।
অরিন, কারণগুলো তো লিখলাম পরের বাক্যে। তবে সবই স্পেকুলেশান। কিন্তু হিসাব আরকি মিলে যাচ্ছে।
এইযে ট্রাম্পভক্তরা সবজায়্গায় বলে বেড়াচ্ছে যে ডেট্রয়েটে নাকি রেজিস্টার্ড ভোটারের বেশি ভোট পড়েছে, ডাহা মিথ্যা কথা। একটা সার্চ করলেই তো জানা যায়।
https://detroitmi.gov/webapp/election-results
"হ্যাঁ এইটা বিজেপি খুব ব্যবহার করেছে নিজেদের পোকিত সেকুলার দেখানোর জন্য। দুর্ভাগ্যজনক হলেও এটা ঘটনা। কিছু এগজিট পোলে এইটা অবজার্ভ করেছিল পোলস্টাররা। তাছাড়া কিছু কেন্দ্রে বিজেপি যে মার্জিনে জিতেছিল, সেটা দেখে বোঝা গেছিলো যে অন্তত কিছু মাইনরিটি ভোট বিজেপির খাতায় গেছে।"
স্টকহোম সিনড্রোম?
অবশ্য এক ধরণের কনফারমেশন বায়াসও হতে পারে। একজিট পোল বা সারভে থেকে সত্যির নাগাল পাওয়া সংশয়পূর্ণ |
আর মোবা, ইবে , বাঙালী ফুটবলার দূরবীন দিয়ে খুঁজতে হয় :-(
না মানে,হৃদয়ে তো রাখবেনই, খাতাতেও রাখলেন।একটা দলিল হয়ে রইলো এই যা
মাইমার যত অশৈরণ কথা। বালাই ষাট।
নিয়ে নিন।মোবা র হারের গল্প ঐ পেন দিয়ে খাতায় লিখে রাখবেন
ন্যাড়াবু, ক্রিসমাসে একটা পেন কেনেন, সস্তায় দিচ্ছে https://pensinasia.com/new/product/pilot/pilot_90th_anniversary_limited_edition_raden_toki_maki-e_fountain_pen_2786.html
মাত্র ন'শো কপি ছেপেছে, তার থেকে একটা নিয়ে নিতে মন চায় না। তার ওপর কলমে লেখা বন্ধও হয়ে। গেল বছর কেনা পাইলটটা হারিয়েও গেল।
হ্যাঁ এইটা বিজেপি খুব ব্যবহার করেছে নিজেদের পোকিত সেকুলার দেখানোর জন্য। দুর্ভাগ্যজনক হলেও এটা ঘটনা। কিছু এগজিট পোলে এইটা অবজার্ভ করেছিল পোলস্টাররা। তাছাড়া কিছু কেন্দ্রে বিজেপি যে মার্জিনে জিতেছিল, সেটা দেখে বোঝা গেছিলো যে অন্তত কিছু মাইনরিটি ভোট বিজেপির খাতায় গেছে। তার অন্যতম কারণ হিসাবে দেখানো হয়েছিল ট্রিপল তালাক ব্যান। এছাড়াও যেসব মুসলিমরা সুন্নি নয়, তাদেরও নাকি কিছু অংশ বিজেপি বা এনডিএ অ্যালাইদের ভোট দিচ্ছে।
পস্চিমবঙ্গেও যখন দিদি বিজেপির জোটসঙ্গী ছিলেন, তখনও কিছু মাইনরিটি ভোট তিনোদের বাক্সে পড়তো।
রাণা আলম নামে একটি ছেলে, মূর্শিদাবাদের মনে হয়, লিখত গুরুতে, খুব ভাল লাগত ওর লেখা। অনেকদিন দেখি না আর
মুসলিম বন্ধু তো হাতে গোনা, লজ্জা হয়, এত কম এক্সপোজার।
যে কজন মুসলিম বন্ধু আছে, ছেলে মেয়ে মিলিয়ে, বিজেপি-কে কেউ পছন্দ করে না, স্বাভাবিক ভাবেই।
এরা বাঙালী, মমতাকেও পছন্দ করে না, বলে উনি মুসলিম-দের সত্যিকার কোন উপকার করেন নি
অরণ্যদা, ভক্ত বন্ধুদের কাছে শুনেছেন। মুসলিম মহিলাদের কাছে শোনেন নি তো? ওনারা অ্যান্টি সিএএ মুভমেন্টেও তো খুবই ইন্ভলভড ছিলেন, শাহীনবাগ ম্যাটার করে না মনে হয়?
'তিনতালাক বন্ধ করার পরে বহু মুসলীম মহিলারা বিজেপিকে ভোট দিচ্ছে' - এটা আমি ও শুনছি, ভক্ত বন্ধুদের কাছে।
মুসলিমদের মধ্যে বিজে পি-র গ্রহণযোগ্যতা বাড়ছে - এইরকম ন্যারেটিভ
ট্রাম্পের জিনিস ব্যাকফায়ার করছে? https://www.cnn.com/videos/politics/2020/12/05/georgia-senate-trump-loeffler-perdue-eberhart-ebof-sot-vpx.cnn
বড়েস,
একদম ঠিক। প্রনব কি সব বলল, ঠিকই বলেছিল, আমিই ভুল বুঝেছিলাম।
প্রেসিডেন্ট ক্লিন্টন, বুশ, আর ওবামা লাইভ টিভিতে কোরোনার ভ্যাকসীন নিতে রাজী হয়েছে।
"অরিনদাও সেই নিয়ে আমাকে টন্ট করলেন বটে।"
না না, আপনাকে টন্ট করিনি (অন্তত উদ্দেশ্য তো ছিলই না কখনোই) | কেন মনে হল? কোন কথা/লেখাতে মনে হল? অনবধনাবশত যদি মনে হয়ে থাকে, আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
এই ব্যাপারটা গত দিল্লি ইলেকশানের পর একজন আপ নেতা টিভিতে বলেছিলেন যে আপার ক্লাসের মধ্যেই মুসলিম বিদ্বেষ বেশি।
লসাগুদা আর সুরজিত দুজনেই ভুল করেছে। অরিনদাও সেই নিয়ে আমাকে টন্ট করলেন বটে।
কিন্তু এইটা বিজেপি বিভিন্ন সেগমেন্টে কত % ভোট পেয়েছে, সেটাকেই দেখাচ্ছে। মানে ২০১৯এ আর্বান ভোটের ৪১%, সেমাই আর্বান ভোটের ৩৩%, আর রুরাল ভোটের ৩৭.৬% ভোট পেয়েছিল। বিজেপির ভোটের সেগ্রিগেশান নয়, নইলে ১০০%+ হয়ে যাবে।
এগুলো তো খুব সোজা ব্যাপার স্যাপার। লোকজনের এত সময় লাগে কেন এসব বুঝতে?
হ্যাঁ এগুলো সবই সার্ভের রেজাল্ট। কারণ এরকম সীট নেই যেখানে সবাই গরীব, বা সবাই মাইনরিটি, বা সবাই আপার কাস্ট ইত্যাদি। বা ব্যালটের উপরে লোকের ডেমোগ্রাফিক্স লেখা থাকেনা। সার্ভে করা হয়, তারপর বিভিন্ন সীট এবং পুরো রেজাল্টের সঙ্গে ট্যালি করে দেখা হয়। তবেই বোঝা যায় যে সার্ভেটা বিশ্বাসযোগ্য কিনা।
তিনতালাক বন্ধ করার পরে বহু মুসলীম মহিলারা বিজেপিকে ভোট দিচ্ছে। এইসব তো জানতে হবে।
@lcm, ধন্যবাদ, এইবার ব্যাপারটা বোঝা গেছে।
এঁরা সরাসরি ইলেকশন কমিশনের ডাটা থেকে Analysis করেন নি। এঁরা ইলেকশনের পর একটি সারভে করেছিলেন, এই সব চার্ট সেই সব সার্ভে থেকে বেরিয়েছে। আর এঁরা গোটা ডাটাসেট টাও দেন নি, শুধু যতটুকু aggregate করে গ্রাফ এঁকেছেন, সেইটুকুই | আর্টিকেলটায় দেখুন লিখেছেন,
"... an analysis of the National Election Studies 2019, a post-poll survey conducted by Lokniti-Centre for the Study of Developing Societies immediately after polling in each phase of the election, reveals that the BJP made disproportionate gains largely among groups where it has traditionally lacked support."
এরকম ধরণের সার্ভেতে প্রচুর বায়াস থাকে, যার জন্য ছবিটা বোঝা যায় না। যেমন, আপনি যদি প্রথম গ্রাফটির ডাটা ডাউনলোড করেন, দেখবেন এঁদের স্ট্যাটস অনুযায়ী ২০১৪ থেকে ২০১৯ এ বিজেপির মুসলিম ভোট ৯% থেকে ৮% হয়েছে। এটা কতটা বিশ্বাসযোগ্য?
আমরা সাধারণত কম্পিউটারকে বিশ্বাস করি। যার জন্য মনের মত গ্রাফিকস দেখলে, যা বিশ্বাস করি তাকে চোখের সামনে দেখলে চট করে "এই তো গ্রাফ ঠিক লাগছে", "দারুণ ডাটা", বলতে ভাল লাগে। কিন্তু তার মধ্যে যে কত রকমের ব্যাপার লুকিয়ে আছে? বিশেষ করে কত রকমের এলগোরিদম, কত রকমের প্লট/গ্রাফ/ডাটা জনিত ম্যানিপুলেশন?
গত কয়েকদিন ধরে গুগল থেকে টিমনিট গেবরু নামে এক কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেনস গবেষকের "প্রস্থান"কে (না, কি, "বিতাড়ন"কে) কেন্দ্র করে আলোড়ন উঠেছে। টিমনিট গেবরু গুগলের AI সিস্টেমের নৈতিক ইস্যু নিয়ে কয়েকটি প্রশ্ন তুলে তাঁর কোলিগদের ইমেল করেন। গুগল থেকে তাঁর চাকরিটি খোয়ান।
আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেনসের রেসিয়াল বায়াস কিছু নতুন নয়, কৃষ্ণাঙ্গ , এবং মহিলাদের বিরুদ্ধে AI face recognition জনিত বায়াস অনেকেই জানেন (না জানলে http://gendershades.org নামে পেজটি দেখতে পারেন) |
অথবা, এই ভিডিওটি:
টিমনিট গেবরুর সমর্থনে ৩০০০ এর অধিক গুগলার ও একাডেমিক একটি খোলা চিঠি লিখেছেন, পড়ে দেখুন:
অরিন,
লিংকটা পেয়েছি। সুরজিত খানিকটা ধরেছেন, এই সংখ্যাগুলো কিন্তু বিজেপির প্রাপ্ত ভোট (যেটা মোট ভোটের ৩৭.৪%), তার মধ্যের অ্যানালিসিস। মানে, ভারতে মোট রুরাল ভোটের % নয়।
Where did the BJP get its votes from in 2019?
https://www.livemint.com/politics/news/where-did-the-bjp-get-its-votes-from-in-2019-1559547933995.html
The graph looks correct.
BJP vote went up in 2019 (37%) from 2014 (31%). This increase was partly contributed by more votes from poor and rural section. The numbers in the graph are % distribution of the votes of BJP, not in respect to the total vote casted.
"এই ডেটা ভারতের লোকসভা ইলেকশনের ২০১৪ এবং ২০১৯ সালের। লিংকটা দেখব। এই ডেটা আপনি নেটে পেয়ে যাবেন।"
হ্যাঁ, লিঙ্কদুটো দিলে ভাল হয়। না হলে এই ডাটা আনইনপ্রিটেবল। ইলেকশন কমিশনের সাইটে যে স্প্রেডশিট দেখাচ্ছে তাতে এই রুরাল, আরবান, পুওর , লোয়ার, ইত্যাদির গল্প দেওয়া নেই (https://eci.gov.in/files/file/10955-20-performance-of-national-parties/0।
আবার লোকনীতি'র National Election Studies (https://www.lokniti.org/lok-sabha-election) এর ওয়েবসাইটেও আপনি যে ধরণের ডাটা দেখাচ্ছেন পাওয়া যাচ্ছে না।
ইলেকশন কমিশনের দেওয়া ডাটা সাইটে ( ওপরের লিঙ্ক দেখুন) তাদের স্প্রেডশীট অনুযায়ী বিজেপি মোট টোটাল ভ্যালিড পোলের ৩৮% মত ভোট পেয়েছে | যদি ধরে নেওয়া যায় তার মধ্যে ৮০% গ্রামাঞ্চলের ভোট, তাহলেও ৩০% এর বেশী ভ্যালিড ভোট দাঁড়াচ্ছে না। এটা ২০১৯ এর হিসেব, ২০১৪ এ আরো কম ছিল।
অতএব কার্যকারণ ডিপ অ্যানালিসিস করে দেখার আগে এইগুলো সাধারণত লোকে বিচার করে।
কাজেই আপনি কোন সাইট থেকে কি পেয়েছেন সেটা না জানলে বা আপনি না জানালে আপনার লেখা কথাগুলো ইনটারপ্রিট করা সম্ভব নয়।