ওদিকে ললিতা চ্যাটার্জি টইতে কমেন্ট করেছেন দেখে একটা বিষম খেলাম। তারপর মনে হল না সমনামী অন্য কেউ হবেন।
ছানার কেক রিষড়ার ফেলু ময়রার দোকানে অসাধারণ বানায়।সেই ছোটবেলা থেকে খাচ্ছি। আমার ছোটবেলা মানে সেইইই কোন আদ্দিকালের কথা।
বিশ্বনিন্দুকও সেই দোকানে ঢুকে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে থ মেরে যান। যখন বেরিয়ে আসেন তখন তিনি অন্যরকম।
হয়তো দোকানের নাম দিয়েছেন 'বিশ্ব-পান্তুয়া'। বিজ্ঞাপণের ক্যাচলাইন, 'এখানে বিশ্বকবি থেকে বিশ্ববখাটে সবাইকার জন্য অবারিত দুয়ার, আসুন বিশ্বপান্তুয়া খান।'
পান্তুয়ার দোকান খুলে ভদ্রলোক হয়তো রে রে করে ব্যবসা করে একেবারে লাল হয়ে গ্যাছেন। আর সময়ই পান না অন্য কোনোদিকে মন দেবার। ঃ-)
আকা, আপনি হয়ত ঠিক যে ছানাপোড়ার একটা আলাদা ঐতিহ্য আছে। আর ছানার কেক নামে যে মিষ্টিটি পাওয়া যায় সেটা আমি বহুযুগ আগে (সম্ভবত ১৯৯৫-১৯৯৬ নাগাদ) প্রথমবার প:ব: তে একটা মফস্বলে প্রথম খেয়েছিলাম। সুতরাং এটি আধুনিক কলকাতা ছাড়িয়ে বিস্তার লাভ করেছে বহু আগেই। কোথাও একটা পড়েছিলাম যে ছানার কেকের জন্ম কলকাতার অ্যাংলো সম্প্রদায়ের হাতে।
আর মিষ্টি নিয়ে আপনার সঙ্গে কথোপকথন উপলক্ষে মনে পড়ে গেল আপনাকে এখানে একজন প্রায় পান্তুয়ার রেসিপি জিজ্ঞাসা করতেন। তিনি কোথায় গেলেন কে জানে?
আরে ইংরেজী তো গ্লোবাল, ও আর আলাদা করে বলবেন কী? সব ক্ষারই ক্ষারক।
কপিপেস্টের এমন নেশা যে ডানদিকে ফুঁড়ে বেরিয়ে গ্যাছে।
মাননীয়া তো বল্লেন তিনি নাগাল্যান্ডে নাগাদের ভাষা বলেন। রাশিয়াতে রুশ ভাষা বলেন। রেঞ্জটা চিন্তা করুন একবার।
না না, ছানার কেক ফেক মিষ্টি, আধুনিক্কলকাতায় পাওয়া যায়। ছানা পোড়ার ঐতিহ্যই আলাদা।
ছানাপোড়া পুরীতে খাই নি তবে ওড়িষ্য়ারই অন্য একটি শহরে খেয়েছি। এটা খেতে এবং দেখতে অনেকটা আমাদের ছানার কেকের মত। হয়তবা অভিন্ন মিষ্টি এদুটি।
ধন্যবাদ kc
&/, আপনার আঁতোয়ানেত উচ্চারণে সমস্যা? ভালো করে জিনজার-ওয়াটার খেয়ে পেকটিশ করুন। মাননীয়ার ইচ্ছায় আপনি সফল হবেন :-)
যাচ্ছে।
আচ্ছা গুরুভাইবোনেরা একটা গুরুত্বপূর্ণ ইনফরমেশন দিন তো। দিল্লী থেকে কলকাতা কি এখন ডাইরেক্ট ফ্লাই করা যাচ্ছে নাকি এখনো আ্য়ালাউ করছে না প: ব: সরকার?
কলকাতায় ফ্লুরিজে টিরামিসু পাওয়া যায় জেনে হেব্বি আনন্দ হল। আমার অবশ্য কোনোদিন ফ্লুরিজে যাওয়া হয় নি। তবে ইটালিয়ান বন্ধুর বাড়িতে তৈরী টিরামিসু খেয়েছি। এককথায় অমৃত।
মেরী আঁতোয়ানেত উচ্চারণ করতেই পারতাম না, খালি আতোয়ানেত হয়ে যেত। তাই বলতাম, মেরী আঁতে ঘা। আঁতে বলার সময় কিন্তু চন্দ্রবিন্দু উচ্চারণ হত। অথচ এমনিতে হত না। বিচিত্র কান্ড।
প্রথমে গেছিল ঝুন্ডীতে। এখন গিয়ে পড়েছে হুন্ডীতে। তারপরে শুন্ডী। ঃ-)
এইবার বোঝা যাচ্ছে এলিয়েনের কেরদানি। হায়ার ডাইমেনশনে চালাচ্ছে মনোলিথ। মনোলিথ একবার এখানে ভ্যানিশ হয়ে ও ও ও ই দূরে গিয়ে ভুস করে ভেসে উঠছে। গুপীবাঘার মতন। ঃ-)
কেক কেক করব না? কি যে বলেন! সঙ্কটকালে তো কেক খেতেই বলেছেন মারি আঁতোয়ানেত।
এই নিন। আবার অ্যালিয়েনের ডাণ্ডা, এবারে রোমানিয়ায়।
মিঠু,
তোমার প্রিয়জনদের অসুখের কথা পড়লাম। দেখবে ওঁরা ঠিক সেরে উঠবেন। কিন্তু এখন তোমার চিন্তাও হবেই আর খারাপও লাগবে। সেটা থেকে হাজার চাইলেও বেরোনো মুশকিল। কী আর করবে বলো। কষ্ট করে কটা দিন পার করে দাও। তারপরেই আবার সব ভালো হয়ে যাবে।
আরে আপনারা কেক কেক করছেন, ওদিকে মাননীয়া কী বলেছেন শুনলেন? তিনি চোদ্দোটা ভাষা জানেন, কিন্তু গর্ব করেন্না।
আমারও ক্রিমওলা কেক ঘোরতর অপছন্দের। ফ্রুট কেক ভালো লাগে , তবে কিটকিটে মিষ্টি হলে ভাল লাগে না।
কেক হবে কিটকিটে মিষ্টি, ওপরে ক্রিমের লেয়ার, হুইপড ক্রিম হলে ভালো, না হলেও চলবে। ইনফ্যাক্ট কেকের বাকিটা না হলেও চলে শুধু ক্রিমটা হলেই চলবে।
টাটকা
মিঠু, আমি আকা'র মত বলি 'কোঈ নেহি জি কোঈ নেহি কোঈ নেহি'। ওঁরা ভাল হয়ে যাবেন। এখন একটু ভোগান্তি আর কি।
এইবারে অভ্যু'কে কেক বিষয়ে ঃ আহা তোমাকে আমি নাহয় ফ্লুরিজের টটোকা কেকের ছবি দিয়ে দেব, এই বছরটা ঐ দিয়ে কাজ চালিয়ে নিও। আমাদের ঝুমঝুমিও দারুণ কেক বানায় (ছবি দেখেছি, খাই নি এখনো.)
আমার আবার একগাদা ক্রিমওলা কেক, ফনডেন্ট কেক একদম ভাল্লাগে না। ফ্রুট কেক বা কম ক্রিমের কেক চীজকেক ইত্যাদি বেশ লাগে। কদিন খুব ব্লুবেরী চীজকেক খেতে ইচ্ছে হচ্ছিল তা পুণেতে আমাদের সোসাইটির এক বেকারকে অর্ডার করেছিলাম। অ্যাহ সে মহিলা ক্রীমচীজের বদলে গাদাখানেক ক্যাতক্যাতে ক্রীম দিয়ে সে কি বিকট একটা বস্তু বানায়ে দিলেন! আবার বলেন গ্রুপে ফীডব্যাক দাও। :-(
ফ্লুরিজের টিরামিসুও দিব্বি খেতে।
ম-এর সঙ্গে পরিচিতি নেই। শুধু বলি আমার শশ্রুমাতা বর্তমানে ৮০। তাঁর কোভিড হয়েছিল। বর্তমানে সম্পূর্ণ সুস্থ। চিকিৎসা বাড়িতে রেখেই হয়েছিল। আশা করব, আপনার পরিচিতরাও দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।