অনেকগুলো কেসের অলরেডী নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। এগুলো সব নতুন কেস মনে হচ্ছে।
এই লিংক এ বেশ ডিটেল করে ট্রাম্পের স্টেট্ ওয়াইস মামলা আর তার উপ টু ডেট স্টেটাস পেলাম। একটা কিন্তু নোটিশ করার জিনিস , মামলাগুলোর কোনোটারই হয়তো সাবস্টেন্স কিস্যু নেই , কিন্তু ফাইনাল আউটকাম ষ্টীল পেন্ডিং। মানে ত্যাদড় উকিল বা জাজ ইচ্ছে করলে ঝুলিয়ে রাখতে পারে।
https://apnews.com/article/donald-trump-legal-challenges-explained-63bb3909a0af7a781a229cb523806fc0
খচ্চরতর ট্রাম্প ইতিমধ্যেই আছে। ট্রাম্প অর নো ট্রাম্প, আদতে সবই কতিপয় বিলিওনেয়ারের খেলা বই তো নয়। কোভিডে যখন গাদা লোক মরলো, গাদা লোকের চাকরি গেল, তখন এদের অনেকেই আরো বড়োলোক হয়েছে। এবং সেই খচরামি আবহমান কাল থেকেই চলছে। অথচ আমাদের খালি হেবি স্ট্রেস হয় ট্রাম্পকে দেখে।
সেই আর কি। কে জানে এর পরে শাহ বা যোগী পিম হয়ে গেলে হয়তো তখন মোদিকে অনেক ভালো, নরমসরম -বাজপেয়ী বা মনমোহন সিং টাইপের মনে হবে। সবই রিলেটিভ।
"এর পরের ট্রাম্প অনেক বেশি ডেঞ্জেরাস হবে। "
সে অবশ্য হতেই পারে। যে দেশে যেমন জনতা, তাদের তেমনই সব নেতা। ভারতকে দেখছেন না?
"সিস্টেমের ভাল মত স্ট্রেস টেস্ট হচ্ছে। সেটা একদিকে খুব ভাল ব্যাপার। এর পরে আবার নতুন কিছু আইন পাশ হবে হয়ত ভবিষ্যতে যাতে এই সিচুয়েশনের মোকাবিলা করার জন্যে।"
কে করবে? ট্রাম্প রাস্তা দেখিয়ে গেলো, এর পর দেখুন কি হয়?
গার্ড রেলগুলো যে চেষ্টা করলে বাঁকানো বা নাড়ানো যায় সেটা তো ট্রাম্প দেখিয়ে গেলো , নেহাত মালটা আদতে আকাট বলে ভাঙতে পারেনি , জাস্ট নুইসেন্স করে যাচ্ছে । কিন্তু একই রকম র নাত্সি এট্রিবিউট-এর বুদ্ধিমান কেও চলে এলে সে এগুলো ভেঙেও দিতে পারবে সেটা এখন মোটামুটি নিশ্চিত। এর পরের ট্রাম্প অনেক বেশি ডেঞ্জেরাস হবে।
সিস্টেমের ভাল মত স্ট্রেস টেস্ট হচ্ছে। সেটা একদিকে খুব ভাল ব্যাপার। এর পরে আবার নতুন কিছু আইন পাশ হবে হয়ত ভবিষ্যতে যাতে এই সিচুয়েশনের মোকাবিলা করার জন্যে।
এখানে অনেক ক্ষেত্রেই দুই পার্টিকেই একই লাইনে বসিয়ে দেওয়া হল। সেটা ঠিক নয়। পার্থক্যটা হল রিপাব্লিকানরা যেটা দাবী করে, সেটা হান্টার বাইডেনের ল্যাপটপ নিয়েই হোক বা ভোটার ফ্রড নিয়েই হোক বা পিজাগেট নিয়েই হোক, প্রথমত ব্যাপারগুলো খুবই অ্যাবসার্ড, তারপর আদ্ধেক এভিডেন্স দেখা যায় ভুয়ো, শেষে ফেক ভিডিও, ডীপ স্টেট, সিয়া ইত্যাদি দিয়ে মেলাতে হয়। ওদিকে ডেমরা যেটা দাবী করে সেটার এভিডেন্স হল "ট্রাম্প নিজে বলেছে"।
করবে আর করেছের মধ্যে ডিফারেন্স আছে তো। চেষ্টা করলেও যে ইন্স্টিটিউশনাল গার্ডরেল আছে, এখনো পর্যন্ত সেসব কাজ করেছে।
ট্রাম্পের সবথেকে বড় সমস্যা হল ট্যাক্স ফ্রড। সেটা নিয়ে প্রচুর ঝামেলাতে পড়বে। সেই কারণেই ইলেকশানে জিতে টিকে থাকতে চাইছে।
কালকে একজনের সাথে কথা হচ্ছিলো। উচ্চশিক্ষিত ট্রাম্পভক্ত। জিগালাম যে ভ্যাকসীন কবে পাবো। বললেন যে ট্রাম্প যদি প্রেসিডেন্ট থেকে যায়, তাহলে শীঘ্রই ব্যবস্থা হবে। এরা এখনও স্বপ্ন দেখে যাচ্ছে যে ট্রাম্প টিঁকে যাবে। ভোটে হারার পরও। ট্রাম্প সড়ে গেলে এরা আশাহত হবে।
আচ্ছা একটা লোক যে দিনের পর দিন গোটা দেশের সাথে খচরামি করেই যাচ্ছে করেই যাচ্ছে এর কোন রিপার্কেশান হবে না? অনেক সময় পাস্ট প্রেসিডেন্টেদের একসাথে কাজ করতে হয়, এর সাথে কেউ মিশবে? বা ডাকবে? মেয়ে জামাই তো শুনলুম নিউ ইয়র্ক সোস্যাল সার্কেলে আর ওয়েলকাম নয়, তারা হয়ত ফ্লোরিডা চলে যাবে! কিন্তু লোকটা যদি সত্যিই তার ৪০০ মিলিয়ান ধার আর ২০০ মিলিয়ান ট্যাক্স তোলার জন্য থিম পার্ক আর টিভি চ্যানেল বানায় - তাকে তো সর্কারের সাথে ডিল করতে হবে। তখন ঝামেলা খাবে না? আর কোথাও কিছু বাঁশ আসবে না ?
মিশিগানের ওয়েইন কাউন্টিতে ব্লক করেছিলো লোকাল রিপাব্লিকান অফিশিয়াল। বলেছিলো ভোটের রেজাল্ট সার্টিফাই করবে না। শেষমেশ করেছে। এরা যে গণতন্ত্র নিয়ে আদৌ উৎসাহী নয়, সেটা এই ইলেকশানে বোঝা গেলো। অবশ্য আগের ইলেকশানের পরেও অনেক রিপাব্লিকান এবং ট্রাম্পসমর্থকরা বলেছিল যে আমেরিকার ইলেকশানে রাশিয়ার নাক গলানো নিয়ে তাদের কোনও আপত্তি নেই যেহেতু তাদের দল জিতেছে।
মিচিগানের ভোটের উপডেট দিতে পারেন কেও ? কনফ্লিক্টিং সব খবর আসছে নিউস পোর্টালে। কেও বলছে পুরো ভোট সার্টিফাই করে দিয়েছে। কেও বলছে শুধু ওয়েন কাউন্টির টা করেছে. এদিকে ট্রাম্প শালা টুইট করে যাচ্ছে মিচিগান সার্টিফাই করতে ডিনাই করেছে , সাবাস। হচপচ কেস এক্কেবারে। পুরো খোরাক যাকে বলে।
আমার মনে হয় ভুবন সোমের কাজ হয়তো আগে শুরু হয়েছিল। একটু খোঁজ করতে হবে।
বড়েস,
অমিতাভ বচ্চনের ডেবিউ বলতে - ১৯৬৯ এ সাত হিন্দুস্তানি (যেখানে ওই সাতজনের একজন ছিলেন উৎপল দত্ত), আবার ঐ একই ১৯৬৯ এ মৃণাল সেন-এর ভুবন সোম এ ব্যাকগ্রাউন্ড ভয়েস - ন্যারেটর। সেই হিসেবে ডেবিউ ঠিকই।
এই আমেরিকার ইলেকশানের সময় দুটো কথা লিখেছিলাম। কিছু আমেরিকা নিবাসীরা সবাই নস্যাৎ করে দেয়।
১) আমি বলেছিলাম রিপাব্লিকানরা জর্জিয়া ইলেকশান চুরি করার চেষ্টা করবে। ব্যালট পার্জ করবে। জর্জিয়ার রিপাব্লিকান সেক্রেটারি অব স্টেট ক্লেইম করেছে যে লিন্ডসি গ্রাহাম সহ কিছু রিপাব্লিকান তাকে এগজ্যাক্টলি সেটাই করতে বলেছে।
২) ট্রাম্প যুদ্ধে যায়নি কারণ ট্রাম্প ভোটারদের মধ্যে এখন যুদ্ধের প্রতি তেমন সমর্থন নেই। এই নিয়ে গার্ডিয়ান বহুদিন আগেই একটা পীস লিখেছিল। যাইহোক সম্প্রতি ট্রাম্প নাকি ইরানের নিউক্লিয়ার সাইটে বম্বিং করতে চেয়েছিল। পেন্স, পম্পেও ইত্যাদিরা মিলে থামিয়েছে। শোনা যাচ্ছে যে তাদের অন্যতম যুক্তি ছিল বলেছে যে এর ফলে লম্বা যুদ্ধ শুরু হবে আর ট্রাম্পভক্তরা এখন যুদ্ধ চাইছেনা।
এলেবেলে, আমিও দেবো ভালো সিনেমার লিস্ট। তারপরে বেকায়দা টাইপের প্রশ্নও করবো। দেখাই যাক।
ভিক্টর ব্যানার্জি (সতরঞ্জ কি খিলাড়ী)
আরও আছেন যারা প্রথম সিনেমা শুরু করেছিলেন ---
সত্যজিৎ --
করুণা ব্যানার্জি (পথের পাঁচালী)
অলকানন্দা রায় (কাঞ্চনজঙ্ঘা)
ঋত্বিক --
কেষ্ট মুখার্জি (নাগরিক)
সতীন্দ্র ভট্টাচার্য (নাগরিক)
তপন সিনহা --
অজিতেশ ব্যানার্জি (আরোহী)
চিন্ময় রায় (আরোহী, গল্প হলেও সত্যি)
শুভেন্দু চ্যাটার্জির প্রথম সিনেমা আকাশ কুসুম (১৯৬৫)। বিগলিত করুণা জাহ্নবী যমুনা - পরে ১৯৭২ তে।
সতীন্দ্র ভট্টাচার্য ঋত্বিকের অন্যতম প্রিয় অভিনেতা। অযান্ত্রিক ও কোমল গান্ধারে ছিলেন ।কাঞ্চনজঙ্ঘাতেও। তবে সৌমিত্রর খারাপ ছবি নিয়ে যে আলাপ চলছে , আমার প্রযুক্তিগত অসুবিধার জন্য তাতে যোগ দিতে পারছি না ।আগামী শনিবার আবারও বাম সৌমিত্র ন্যারেটিভের বারোটা বাজাব। গুচ্ছ খারাপ সিনেমার লিস্টও দেব।
সতীন্দ্র ভট্টাচার্য ভাল অভিনেতা। মুখে একটা কমিক্যাল এক্সপ্রেশন থাকত। সুপুরুষ ।
ঋত্বিক ঘটকের 'নাগরিক' এ ছিলেন ।
গঙ্গা
মনু মুখার্জি নীল আকাশের নীচে।
তরুন মজুমদারের প্রোজেক্ট দিয়েও অনেকে কাজ শুরু করেছেন।
মৌসুমী চ্যাটার্জী - বালিকা বধু
অয়ন ব্যানার্জী, মহুয়া রায়চৌধুরী - শ্রীমান পৃথ্বীরাজ
তাপস পাল - দাদার কীর্তি
সমিত ভঞ্জের প্রথম কাজ সম্ভব্ত তপন সিনহার হাটে বাজারে।
সন্ধ্যা রায়ের প্রথম কাজ সঠিক জানি না। তবে তরুন মজুমদারের ছবিতে সন্ধ্যাকে খুবই মানাতো। পলাতক, নিমন্ত্রণ, ফুলেশ্বরী, ঠগিনী - খুবই ভালো ভালো কাজ। সংসার সীমান্তে নামে একটা ফিল্মের নাম শুনেছি, দেখিনি কোনদিন। তরুন মজুমদারের পরিচালনা। সন্ধ্যা রায় আর সৌমিত্র মুখ্য ভূমিকায়। সে নাকি দারুন সিনেমা।
মহাপুরুষ সিনেমায় যেমন সোমেন বোস চমৎকার অভিনয় করেছিলেন নিবারণের ভূমিকায়। ভদ্রলোক আর খুব বেশি সিনেমা করেছেন বলে মনে পড়ছে না।
নাগরিকে সতীন্দ্র ভট্টাচার্য। মহাপুরুষের সত্য। বাক্স বদলে অপর্ণা সেনের নার্ভাস প্রেমিক। খুব ভালো অভিনেতা।