দান্তে
অলোকরঞ্জন- এর জীবনানন্দের বই এবং দান্ন্তে সংখ্যায় আলোচনা সারা জীবনের সম্পদ।
মিঠু , এখুনি শুনলাম, বহুত খারাপ লাগছে।
তোমার সংগে সেদিন কবিতা নিয়ে গল্প করেছি বলে একটা জিনিস শেয়ার করচি। জীবনানন্দের উপরে অলোক রঞ্জন এর একটা বই ছিল। আমি নাটকের দলের কাছে বেশ আঘাত পেয়ে তখন ভাগলপুরে চাকরি করি, গঙ্গার পারে আদমপুর অঞ্চলে থাকি। আমার ভাড়া বাড়ির ঠিক সামনে শরৎ বাবু প্রতিষ্ঠিত সাহিত্য পরিষদ এর লাইব্রেরী। সেখানে তোতো বসু দা বলে এক দাদা ছিলেন, মহা আড্ডা বাজ। উনি ভীষণ গুল মারতেন, যেগুলো কে সত্যি কথা বলতে কি কালেকটিভলি সমাজতান্ত্রিক গুল বলা ছাড়া কোন উপায় নেই ঃ-)))অনেকট টেকো দার মত, একটা স্বপ্নের মধ্যে থাকতেন। ওনার নাকি এক দাদা আছেন, যিনি দিকে দিকে রাষ্ট্রীয় সংস্থাকে লাভের মুখ দেখিয়ে বেড়ান, ওদিকে আমেরিকা বা চাঁদের এম বি এ। তোতো দা র নিজের নাকি একটা অফস্পিন , আর একটা স্ট্রেটার ছিল, যেগুলোর স্পিন বা বাউন্সে বিহারে রঞ্জি খেলতে এসে মহিন্দর অমরনাথ বিপদে পড়েছিলেন, আর বলেছিলেন, জ্যোতিবাবু কো বোলকে হাম আপকো দিল্লী মে লে কে আয়েঙ্গে, পাপাজি (লালা amaranaath) জ্যোতিবাবু কে দোস্ত হুয়া করতে থে। এখন এই গল্প গুলো যহেতু সত্যি বা মিথ্যের থেকে ঢের বেশি সুন্দর আমরা আপত্তি করতাম না শুনতাম, রবিবার সন্ধের আড্ডা ছিল। হয়তো সকালেই কোন ছাঁটাই এর ফলে ধুঁকতে থাকা সংসারের জন্য চাঁদা তুলে ফিরেছি। সেখানে অশোক সিং বলে পাটনা টাইম্স অফ ইন্ডিয়ার এক সাংবাদিক আসতেন মাঝে মাঝে আড্ডা দিতে, উনি লালু ভক্ত ছিলেন, বলতেন, লাল রা তো পারলো না সেকুলারিজম রাখতে, লালু যদি পারে, ১৯৮৯ এর ভয়ংকর দাংগার পরে ১৯৯২ তে বাবরি ধ্বংসের দিন খুব ভয় ছিল ওখানে, তো লালু এসে নিজে কন্ট্রোল রুম বানিয়ে বসে ছিলেন ভাগলপুরে। অ্যাপারেন্তলি একদিন তোতো দার একদিন অশোক দা র বাড়ি থেকে লালুজির টিপিন যেত। উনি কন্ট্রোল রুম থেকে বেরোতেন না, আর বসে বসে থানায় আর এস পি দের ফোন করতেন। এরকম দিন সাতেক নাকি চলেছিল। আমাদের পাড়াতেই একটি গুন্ডা, খুনের আসামী থাকতো, বেল পেয়ে, সে বা তার সাংগোপাংগো রা তোতো দা দের খুব ই শ্রদ্ধাভরে "ভাইয়া প্রণাম" বলতো আর আমাদের সংগেই চা খেত, সামনের দোকানঅটায়। আরেকজ্ন আড্ডায় আসতেন, নামট ভুলে গেছি, সম্ভবত, বিহার সিপিএম এর নেতা ছিলেন অথবা তাঁর আত্মীয় ছিলেন, ওনারা পোলিটিকাল আড্ডা দিতেন। আর আমি চুপ চাপ বই টই পড়তাম। আমি বোধ হয় বিষ্ঞু প্রভাকর এর করা শরৎ জীবনী ওখানে ই পড়েছিলাম। আরেকজন আসতেন আড্ডায় তাঁর নাম টা ভুলে গেছি, তিনি লাইব্রেরির অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কাজ করে দিতেন। যদিও আমি এবং দাদা দের বাড়ির বৌদি রা ছাড়া কেউ বই বিশেষ নিত বলে মনে হয় না। হতেই পারে, তোতো দা ক্রিকেট, রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থার স্মৃতিতে বিপন্ন থাকা সত্ত্বেও, লাইব্রেরীর প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন, যাতে কলকাতা থেকে বই এলে বৌদি যাতে প্রথমে বই ধার নিতে পারেন :-)))) আরেকজন শুনেছি, কলকাতা থেকে বাংল আধুনিক কবিতার বই আনিয়ে পড়তেন, লাইব্রেরীর উন্নতি কল্পে চাঁদা দিতেন, তিনি স্থানীয় সিনেমা হলের হিন্দী ভাষী মালিকের পরিবারের কেউ ঃ-)))অরুন মিত্র বা শক্তি চট্টোপাধ্যায় এর বই ওনার জন্য ই আনানো হত অ্যাপারেন্টলি :-)))))))))))))) , এবং আজকালকার ছোকরাদের (পড়ুন জয় goswaamee) তেমন হাত কই ইত্যাদি রুমিনেশন পাঁচ কান হয়ে আমার কানেও আসতো। এটা ৯০ এর গোড়ার কথা। :-)) এই পরিস্থিতিতে আমি ও যে চুপ চাপ থাকার আর কান খাড়া করে বই পড়ার ইনসেন্টিভ পেতাম বলাই বাহুল্য। টিম টিমে হলদে একটা ৪০ ওয়াটের আলোর রবিবার সন্ধের আড্ডা। অনেক সময় আমি সন্ধের মধ্যে বই শেষ করতে হবে বলে, অমলেন্দু দার গংগার পারের ভাড়া বাড়িটায় চলে যেতাম, সব সময় ওনাদের ডাকতাম ও না, গংগায় পালতোলা নৌকায় গুড় খড় তেল যেত, বা মাছের জাল গোটানো হত ছোটো নৌকয়, সেই সব দেখতে দেখতে আম কাঁঠাল আতা আর অশোক গাছের ছায়ায় বসে বই শেষ হত। তো এহেন লাইব্রেরি তে তোতোদা একবার আমায় হাঁক ডাক করে ডেকে পাঠালেন। আমি দোতলার ঘরে এক বান্ধবী র চিঠি হাতে নিয়ে খুশি খুশি হয়ে বসে ছিলাম। মনে হয়েছিল, সেই চিঠিতে একটু যেন অনুকম্পা প্রকাশিত হয়েছে। মনের মধ্যে একটা সংশয়ের হাসি, তো হঠাৎ তোতোদার হাঁক, বাপ্পা নেমে আয় দেখে যা কি এনেছি, হুঃ খুব বড় আঁতেল হয়েছিশ অ্যাঁ কাফকা কামু ছাড়া কথা নেই অ্যাঁ , আমর কিছু জানি না তাই না, জানিশ তোর বৌদি ধনঞ্জয় কে মুসুর ডাল রেঁধে খাইয়েছিলেন, এরকম কিছু একটা গোটা মত বিলাপ। তো আমি নেমে গিয়ে দেখি, এইবারে নাম মনে পড়েছে, আশু দার হাতে জীএবনানন্দ সম্পর্কে অলোকরঞ্জনের বইটি, নীল রংগের প্রচ্ছদ। আশুদা, অশোক দা, সুবোধ দা বা সুবোধ দার ভাই দা, সকলের সম্ভাব্য ভ্রুকুঞ্চন সত্ত্বেও এই বই আনিয়েছেন, রেফারেন্স অবশ্যই দিয়েছেন, সিনেমা হলের মালিকের আত্মীয় , সেই অন্ধকারের রাজপুত্র, তোতোদার বক্তব্য আরে ছেলেটা ভালো, কবিতা র বই, কবিতা সম্পর্কে বই না আনলে এরা আড্ডায় আসবে না। এটা অবশ্যই ওনার সমাজতান্ত্রিক কল্পনার মতো ই একটা ছবি ছিল মাত্র, কারণ আমি ততদিনে শুধুই প্রবন্ধের পাঁকে ডুবে গিয়েছি। কিন্তু মেরে কেটে দশ জন রেগুলার পাঠকের লাইব্রেরি তে এই পাওয় লাইটা আমি ভুলতে পারি না।
তো আমি অলোকরঞ্জন পড়ে উল্টে দিয়েছি তা না। কিন্তু আজকের মৃত্যু সংবাদ টা অনেকগুলো স্মৃতি নিয়ে এলো, এবং স্মৃতির রং অবশ্যই সেই নীল টা। অলোকরঞ্জনের জীবনান্দের উপরে বই টির প্রচ্ছদের মত।
তোমাদের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা। ছানা কে হাগস ।
বোধি
তুমি যে বলেছিলেন সময় হলে
মুখোশ খুলে দেবে বিভোর বিভা
নৌকো হবে সব পথের কাঁটা
কীর্তিনাশা পথের নমিতা নদী
সময় হল।
তুমি যে বলেছিলে রাত্রি হলে
---------------------------------------
অহংকার ভুলে অরুন্ধতী
বশিষ্ঠের কোলে মূর্ছা যাবে
রাত্রি হল।। (অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত)
দিনের বেলা ক্লান্ত আমি
রাত্রে আমি অসাড়,
তবু যখন বৃষ্টি পড়ে
তোমার পাশে বসার
একটুখানি সময় দেবে?
( স্মৃতির ভুলে কিছু শব্দ ভুল ভাল)
ভগবানের গুপ্তচর/মৃত্যু, এসে বাঁধুক ঘর/ছন্দে, আমি কবিতা ছাড়বো না
(নড়বড়ে স্মৃতি থেকে লিখলাম, যতিচিহ্ন তো বটেই, কিছু কথাও এলোমেলো হয়ে গেল নিশ্চই। সুবোধ সরকার বলেছিলেন, এইরকম পংক্তি ছাদে উঠে জোরে আবৃত্তি করলে মন ভাল হয়ে যায়।)
পথ ঢেকেছে মন্দিরে মসজিদে
(আলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত)
--
ইউক্রেনিয়ার বিমানবন্দরে
কাস্টমসএর মেয়েটি বলে ওঠে,
"এ কী কান্ড! এ ভিসা রাশিয়ার!"
রাশিয়া মুখ ফসকে যেই
"লেনিনগ্রাদ" বলেছি তক্ষুনি
ওরা বলল বিদায় নিতে হবে।
যাবার পথে চুটিয়ে যত দেশে
মজা করেছি, ফেরার পথে দেখি
সে সব দেশ বিভক্ত হয়েছে!
ফিরে আসার রাস্তা জুড়ে ভাবি
যেখান থেকে রওনা হয়েছিলাম
সেইখানেতেও কি নেই আমাদের ভিসা?
*** *** *** ***
নির্বাসন
(আলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত)
আমি যত গ্রাম দেখি
মনে হয়
মায়ের শৈশব।
আমি যত গ্রামে যত মুক্তক পাহাড়শ্রেণী দেখি
মনে হয়
প্রিয়ার শৈশব।
পাহাড়ের হৃদয়ে যতো নীলচে হলুদ ঝর্ণা দেখি
মনে হয়
দেশগাঁয়ে ছিল কিন্তু ছেড়ে আসা প্রতিটি মানুষ।
ঝর্ণার পাশেই নদী, নদীর শিয়রে
বাঁশের সাঁকোর অভিমান
যেই দেখি, মনে হয়
নোয়াখালী, শীর্ণ সেতু, আর সে-নাছোড় ভগবান
---
হ্যাঁ কেসি।
আকার বাদ পড়ে গেছে
'ম', সত্যি খবর?
অলোকরন্ঞ্জন চলে গেলেন!
ওয়ারেন বাফে বেচে দিলেন - কস্টকো র সব স্টক বেচে দিলেন - তার কোম্পানি বার্কশায়ার হাথাওয়ে সম্প্রতি কস্টকোর ৪৩ লাখ শেয়ার বিক্রি করে দেবার জন্য আবেদন ফাইল করেছে - সেই কস্টকো, যার সম্বন্ধে বলা হচ্ছে - one of the most dominant retailers on the planet: Costco । ২০০০ সাল থেকে কস্টকো তে ইনভেস্টমেন্ট শুরু করেছিলেন বাফে। শুধু তাই নয়, কস্টকো বোর্ডে ছিলেন বাফের রাইটহ্যান্ড ম্যান চার্লি মাঙ্গার, যদিও মাঙ্গার এর এখন বয়েস ৯৬।
বাণিজ্য মহল মনে করছেন, তবে কি আমাজন এর ব্যাপ্তি এর কারণ, প্রসঙ্গত, বাফে র এখন আমাজনে সাড়ে পাঁচ লাখের মতন শেয়ার আছে।
https://www.foxnews.com/politics/facebook-twitter-grilled-hunter-biden-story-hearing-dorsey
প্রফেসর ব্রায়ান হ্যাচার, বিদ্যাসাগরকে নিয়ে কথা বলবেন, শান্তিনিকেতনের আমন্ত্রণে, ওয়েব কাস্টের জন্য রেজিস্টার করতে হবে। লিঙ্ক দেবোনা। যাদের ইচ্ছে, একটু খুঁজলেই পেয়ে যাবেন।
অসাধারণ
https://www.cbsnews.com/news/georgia-election-brad-raffensperger-lindsey-graham-throw-out-ballots/
আমার বাও কি teo
এই বারে এক এক করে নয় বছর হবে।
কতদিন আর কতদিন, বলো মা?
নয় নয় করে এক বছর হয়ে গেল এই হতচ্ছাড়া ভাইরাসের।
ওয়াটারক্রেস নাকি কলমি শাক। ছ্যা ছ্যা। আমি ভাবছিলাম কি না কি।
ইয়েস, নিজেরে হারায়ে খুঁজি।
সম্বিৎ
নিজেরে হারায়ে খুঁজি?
আমি টেকো বুড়ো , সুপার আঁতেল বোধির ভাট তুলিয়া দিবার প্রস্তাবের তীব্র প্রতিবাদ করিতেছি। কারণ তাহা হইলে গুরুচন্ডালি তাহার ঘোষিত ম্যান্ডডেেট হইতে বিচ্যুত হইয়া কেেে কেবল গুরুত্ব রূপ ধারণ করিবে।
চন্ডালেরা স্বতঃ বহিষ্কৃত হইবে।
তবে ""আরেক রকম"" কী দোষ করিল?
রঞ্জনদা, অহীন চৌধুরীর আত্মজীবনী খুব আনন্দ করে পড়ছি। আপনার কাছেই প্রথম রেফারেন্স পেয়েছিলাম।
@এসব কেউ আজকাল,
আমারও একই হাল। কুঁড়ে এবং প্রেমিক নেচার, কিন্তু সিরিয়াস ব্যাপার? ঘরে বাইরে কেউ পৌঁছে না।
কিন্তু আমার কাছে তো গুরু শুধুই আড্ডা মারার জায়গা! :-( গুরু শুধু সমোস্কিতি চর্চা করার জায়গা হয়ে গেলে আমি কাটবো
জুম রেগুলার হলে কি ভাট উঠবে? তাহলে আছি:---)))))
প্লাগ ইন হাইব্রিড গাড়ি কিনুন। টেসলার অর্ধেক দাম, ইচ্ছেমত ইলেকট্রিক আর হাইব্রিড মোডে ব্যবহার করতে পারবেন।
আমার কত্তদিনের ইচ্ছে রঞ্জিত মল্লিক ও তস্য কন্যাকে কেজিখানেক করে জিভছোলা গিফট করা।
যাঃ, টেসলার দাম বেড়ে গেল। বলেছিলাম, আগে থেকে স্টক কিনলে একটা টেসলা কিনতে পারতেন। শুনলেন না তো!!
ওঁর একটা বিখ্যাত বেল্ট ছিল শোনা যায়। সেই বেল্টে বেঁধেই হয়তো টেনে নিয়ে যাচ্ছেন।
অনবদ্য রঞ্জিত মল্লিক। একা টেনে নিয়ে যাচ্ছেন বাংলা সিনেমাকে।নির্মল আনন্দ!