৮,০০০ মিলিটারি ভোট এখনো কাউন্ট হয় নি। বেশির ভাগ ট্রাম্প পাবে। পুরো ওয়ানডে ম্যাচ চলছে।
জর্জিয়া প্রোবাবলি উইল গো ফর e রিকাউন্ট।
ট্রাম্পবাবুর ক্যাম্পেনের খবর তো দিয়েছে, অ্যাজ এক্সপেক্টেড
Trump campaign says it will challenge a potential Biden victory
From CNN's Betsy Klein
ট্রাম্পবাবু এবার কনসীড করে নিলেই এই গব্বযন্তনা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
হোয়াট বেঙ্গল থিন্কস টুডে, ওয়ার্ল্ড থিন্কস টুমরো। সেই যে চৌত্রিশ বছরের ভুল শুধরে নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ নীল হয়েছে, আর আজ জর্জিয়া থেকে শুরু করে, উইসকন্সিন থেকে শুরু করে, মিশিগান থেকে শুরু করে...
পেন্সিলভিনিয়াতেও বাইডেন এগিয়ে গেছে।
সেই যে একটা লোক অরণ্যদাকে মাঝ রাস্তায় গাড়ি আটকে আল কায়দা বয় বলেছিল, আর অরণ্যদা বয় বলেছে বলে খুশি হয়েছিল।
ও বলা হয় নি, আমার নেবার ছিলেন সেকেণ্ড অ্যামেন্ডমেন্ট প্রেমী। আমাদের বলেছিলেন, সাউথে এসেছ, শিগ্গির গিয়ে গুলি চালানো শিখে এসো। একবার রিমি চুল কাটার পরে আমাকে বলেছিল, কি করছ, বউকে বল, ওকে বড় চুলে ভালো লাগে।
এখানে আমাদের পরিবারের সবথেকে কাছের পরিবার হল একটি আফ্রিকান-আমেরিকান ফ্যামিলি o বাংলাদেশী পরিবার। আমরা যেকোন দিন আমাদের ছেলেদের এই দুই পরিবারের ওপর নিশচিন্ত মনে ছেড়ে দিতে পারি। আমার ছোট ছেলের দুই সেট খেলনা, জামা কাপড় ইত্যাদি। এক সেট আমাদের বাড়ি, এক সেট কালো পরিবারের বাড়ি।
এছাড়াও ইউনিভার্সিটি টাউন হওয়ার জন্য রিমির কলিগ টার্কিশ ফ্যামিলি, ইজিপ্শিয়ান ফ্যামিলি খুব ক্লোজ।
আমার ১৭ বছর হল। বোস্টন, লং বিচ প্রথম পাঁচ বছর। তারপরে বাইবেল বেল্ট, ছোট্ট ইউনিভার্সিটি টাউন। বহু পুরনো শহর, প্রচূর পুরনো লোক। আমরা থাকিও শহরের পুরনো এলাকায়। আমার পুরনো নেবার, এখানেই জন্মেছেন, এখানেই বড় হয়েছেন, কিছুদিন হল বাড়ি বিক্রি করে ছেলের কাছাকাছি চলে গেছেন। মায়ের মৃত্যুর পরে আমাকে জড়িয়ে ধরে বলেছেন আজ থেকে আমি তোমার মা। অ্যালাবামার কলিগ, সলিড রিপাবলিকান, বাড়িতে টমেটো চাষ করেন, নতুন টমেটো এনে দিয়ে বলতেন এগুলো তোমার ছেলের জন্য।
আমার এদেশে আসা ইস্তক সবথেকে কাছের বন্ধু - তার সাথে আমি নির্দ্ধিয়ায় সব কিছু শেয়ার করতে পারি - চার্চ গোয়িং ডিভোটেড খ্রীষ্টান। এমনকি দু একবার আমাকে প্রীচ করারও চেষ্টা করেছে।
আলাস্কা থেকে টাল্লাহাসি সর্বত্র ঘুরেছি কাজের সূত্রে। শায়ান, ওয়াওমিং, টোপিকা, অ্যান্কোরেজ, ডেময়েন। বহু বার গেছি এসব জায়গায়, ছোট, বড় সমস্ত এয়ারপোর্ট পেরিয়ে। আজ অবধি ঐ ছোটখাটো স্টিরিওটাইপিং ছাড়া কোনকিছুর সম্মুখীন হতে হয় নি।
তার মানে এই নয় জে আমি জানি না সাদা পুরুষ হলে উন্নতির চান্স বহু বেড়ে যায়।
যেখানে থাকি সেই দেশকে একটু ডিফেন্ড করা যাক ---
অস্ট্রেলিয়ার খবর কতটা পাওয়া যায় তা জানিনা। তবে নিজের চোখে দেখা ঘ্টনা। ট্রেনে এক সাদা মহিলা এক্টি নিরীহ চাইনিজ মেয়েকে বেজায় উত্যক্ত করছিল। মানে অকথ্য গালাগালি, গায়ের খুব কাছে চলে আসা, কোনঠাসা করা এইসব। কারণ যা বুঝলাম মেয়েটি বোধ্হয় গান শোনায় মত্ত্ থাকায় সিট ছেড়ে দেয়নি সময়মত। মহিলা বয়স্ক আর সামান্য অস্বাভাবিক বলে আমার ধারণা।
তো বেশ কিচুক্ষন চলার পর ওদিক থেকে আরেক সাদা মহিলা আপত্তি জানালেন। ইনি রেগুলার প্যাসেন্জার, বেশ ঘরোয়া দেখতে আর সাধারণ অফিস ড্রেস। এনার সাথেই আরেকটি মহিলাও যোগ দিলেন। দুজন মিলে জাস্ট কঠোর ভাষায় জানিয়ে দিলেন এরকম চলতে থাকলে ওনারা ট্রেন থামিয়ে হ্যরাসমেন্ট রিপোর্ট করবেন। খানিক অর্থহীন বাদানুবাদের পর প্রথম মহিলা সুড়সুড় করে নেমে গেলেন।
এনারা খানিক গজ গজ করলেন, মেয়েটিকে অভয় দিলেন আর জানতে চাইলেন সে ঠিক আছে কি না, তারপর আবার ফোন আর কিন্ডলে মনোনিবেশ করলেন।
নিতান্ত রোজকার ট্রেনচিত্র। কিন্তু যেটা বলবার সেটা হল চাপা রেসিজম যেমন আছে তেমনি তার প্রতিবাদও সাধারণ লোকের ভিতর থেকেই হয়। আর বেশ বেশিই হয়।
cnn
Tim | 174.102.66.127 | ০৬ নভেম্বর ২০২০ ১২:১১464887
আমার কিছু আত্মীয়দের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা কিন্তু আছে লন্ডনের রাস্তায় হ্যারাস্ড হওয়ার, ভারতীয় হিসেবে। বা অস্ট্রেলিয়ার খবর তো খুঁজলেই পাওয়া যায়। এরকম ঘটনা, এমনকি ট্রাম্পের আমেরিকাতেও, ভারতীয়দের বিরুদ্ধে অতটা শুনিনি। বড়ো শহরে এই মুহূর্তে যাঁরা আছেন এলসিএম দা, ন্যাড়া দা এরা বলুক।
--- এথেন্স বলে একটা ইউনিভার্সিটি টাউনশিপে থাকি। শরতের আকাশের চেয়েও বেশি নীল। ছয়-সাত বছর আগে ব্যাংক অফ আমেরিকার সামনে আমাকে শুনতে হয়েছিল - গো ব্যাক টু ইওর ওন কান্ট্রি।
ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্টে দেখছি ওঁর পেনসিল্ভানিয়া নিয়ে খেদোক্তি দেখে জনৈক মদ্রসন্তান তাঁকে সম্বোধন করছে মিঃ এক্স প্রেসিডেন্ট বোলে। আর ধমকাচ্ছে যে ব্রো, যদি আমাদের কমলা হ্যারিস ম্যাম এবং বাইডেনের পেছনে লাগো, তাহলে আমরা তামিলরা সহ্য করব না । আমদের ডন দিবাকরন কম নয়, আমরা তোমার উপরে ব্ল্যাক ম্যাজিক করব। তারপর কি একটা তামিল মন্তও লিখে দিয়েছে। কত রকম পাগল!
পেনসিলভানিয়া ওল্টাবেই। কাউন্ট আসতে দেরি হচ্ছে।
ট্রাম্পের ছেলে খচে গিয়ে নিজের দলের লোকদেরই গালাগাল দিচ্ছে। সবথেকে বেস্ট টুইট করেছে গ্রেটা থানবুর্গ -এক বছর আগের ওকে করা ট্রাম্পের টুইট পুরো গালে চড় দিয়ে ফেরত দিয়েছে মোক্ষম টাইম এ ।
So ridiculous. Donald must work on his Anger Management problem, then go to a good old fashioned movie with a friend! Chill Donald, Chill! https://t.co/4RNVBqRYBA
— Greta Thunberg (@GretaThunberg) November 5, 2020
অ্যারিজোনাতে কালকে আবার কাউন্টিং স্টার্ট হবে।
আমার হিসাব অনুযায়ী পেনসিলভানিয়াতে এখনও দেড় লাখ ভোট গোণা বাকী আছে।
পেন্সিলভানিয়াতে বাইডেন হারবে মনে হচ্ছে। আরিজোনাটা কি করছে কে জানে।
ডেমোক্র্যাটদের একটা খুব বড় সমস্যা হল ম্যাসেজিং ঠিক নেই। যেমন "ডিফান্ড দ্য পোলিস" শুনলে আসল উদ্দেশ্যের অন্যরকম মনে হয়। আরেকটা সমস্যা হল ইস্যুগুলো ঠিক করে সহজ করে এক্সপ্লেইন করেনা। যেমন ইউনিভার্সাল হেল্থকেয়ার এক্সপ্লেইন করেনি। বলতে পারে যে ইনসিওরেন্স প্রিমিয়ামই দেবে, কিন্তু সরকারকে। সেটা না করে আড়াই পাতা পড়তে দিলে আজকের দিনে চলবে না। এইগুলো করেনা বলেই রিপাব্লিকানরা যাখুশি বোঝায় আর নিজেদের মতন করে টকিং পয়েন্ট তৈরী করে নেয়। লোকে গুগল সার্চ করে, উইকিপিডিয়া পড়ে সব বুঝে যাবে এটা আশা করাই ভুল। বাইডেন বলেছে চার লক্ষ ডলারের বেশি আয়ের লোকেদের ট্যাক্স বাড়াবো। অত ডিটেলস লোকে মনেও রাখেনা, বোঝেও না। বার্ণী যেমন সোজা বলে দেয় মিলিয়নেয়াররা বাজে। লোকে সেটা বোঝে। যেমন "কাউন্ট অল ভোট্স" লোকে বুঝেছে। এখন বিরোধীতা করতে গেলে সেটা ফক্স নিউজের পক্ষেও রিস্কি হয়ে যাচ্ছে। উল্টে রিপাব্লিকানরা যখন স্মল গভের কথা বলে তখন বলতে হয় যে রিপাব্লিকানরা পুলিশ আর সৈন্য ছাঁটাইয়ের কথা বলছে। দেখি কতক্ষন চেঁচাতে পারে। ট্রাম্প যখন টুইট করে "স্টপ দ্য কাউন্ট", খবর করতে হয় যে ট্রাম্প অ্যারিজোনাতে কাউন্ট বন্ধ করতে বলেছে।
গেম ওভার ফর ট্রাম্প। আরামে ঘুমোতে যান এবার. এখন জাস্ট দু একদিন ট্রাম্পের মামলার আর টিভি র তামাশা চলবে। কোনোটাই কোর্টে টিকবে না.
তবে এই উইকেন্ডে সবাই একটু সাবধানে থাকুন। ও যেসব হেট্ স্পিচ দিতে পারে এখন, তার আউটকম কিহবে কেজানে.
জর্জিয়ার ডেমোক্র্যাট লীডারশিপ অসাধারণ।
এবার পেনসিলভানিয়ার পালা পাশা ওল্টানোর।
জর্জিয়া-য় লিড পেলো বিডেন ৯০০ ভোটে।
টুইটারে দেখছি অনেকে বলছে যে এবারে আমেরিকা ছেড়ে হাওয়াই বা আলাস্কাতে গিয়ে থাকবো। কয়েকবছর আগে হলে শিওর হতাম যে মজা করছে। কিন্তু এখন যা অবস্থা, বোঝাও দায়।
যাগ্গে বিহারে কাউন্ট কবে? কতদিক আর সামলাব
বড়েস,
পার্সোনাল এক্সপেরিয়েন্স এসব বাদ দাও।
একটা ইন্টারেস্টিং ব্যাপার দেখো। এবারের ভোটে অ্যালাবামা - এখানে ফলাফল হয়েছে ট্রাম্প (৬২%), বাইডেন (৩৬%)। একদম ট্রাম্প কান্ট্রি।
তো, এবারের ব্যালটে ওখানকার স্টেট কনস্টিটিউশনে একটা অ্যামেন্ডমেন্ট এর জন্যেও ভোট হয়েছে - Amendment 4 -- এটাতে দাবী ছিল যে স্টেট কন্সটিটিউশনে কিছু জায়গা থেকে রেসিস্ট ল্যাঙ্গুয়েজ উড়িয়ে দিতে হবে, এবং এটা ৬৭% ভোটে জিতে গেছে। তার মানে যারা ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছে, তাদের একটা সেকশন এটার পক্ষে ভোট দিয়েছে।
অর্থাৎ, যারাই ট্রাম্পকে ভোট দিচ্ছে তারা সবাই আসলে তলে তলে রেসিস্ট - এটা তাহলে এখানে কীভাবে ব্যাখা করা যাবে।
এটা নিয়ে একটা আর্টিকল পড়লাম।
এদিকে ট্রাম্প খেপে গিয়ে যা টুইট করছে , টুইটার থেকে টুক করে সাপ্রেস করে দিচ্ছে. এই জিনিসটা আরো আগে হলে রেস্ রায়ট গুলো কম হতো মনে হয় .
কিন্তু কবি চন্দোবিন্দু তো তা বলেন নি, তিনি বলেছেন
--
স্টালিন ছিলো ধূর্ত
ছ'টা ডামি নিয়ে ঘুরত
গুলি খেয়ে গেল ফিওদর অরলিনোভস্কি
কিন্তু স্ট্যালিন হলো সন্দেহের উর্ধে খুনী :)