@S, মুস্কিল হচ্ছে ওইটা তাঁরা বিস্বাস | অতএব, তর্কের ওইখানেই ইতি |
আমেরিকাতে রেসিস্ট নেই কে আবার বলল।
কিন্তু, যারা ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছে এই যেমন এই ভোটের ৬৯ মিলিয়ন লোক তারা সব রেসিস্ট, আর যারা বাইডেনকে ভোট দিয়েছে ৭২ মিলিয়ন তারা সব পল পটের খুনের দল ---- এই ভাবনা ঠিক নয়। এটা ভুল।
ডেমোক্রেসিতে যেটা হওয়া উচিত সেটা হল, আমি যাকে ভোট দিলাম আমিই তার বড় সমালোচক হতে পারি। আমি ভোটে বারবার পক্ষবদল করতেই পারি, সেটা কাম্য হওয়া উচিত।
কিন্তু এই আজকের - লেফ্ট-রাইট, লিবারালিজম-কনজারভেটিজম, সোশ্যালিজম-ক্যাপিটালিজম - এই সব স্পেকট্রামে, এই সব ডিভিশনে - এমন একটা আবহ তৈরি হয় - যে, আজ ক পার্টিকে ভোট, কাল খ পার্টিকে ভোট দেওয়া - এই ব্যাপারটাকে কেমন যেন নির্বুদ্ধিতা বলে মনে করা হয়। লোকে, ফ্লিপ-ফ্লপ বলে আওয়াজ দেয়। কেমন যেন বোঝানো হয় যে এমন যারা করে তাদের কোনো প্রিন্সিপিল নেই, বুদ্ধিসুদ্ধি নেই, রাজনৈতিক বোধবুদ্ধিহীন। লোকজনকে বোঝানো হয়, তুমি একটা পলিটিক্যাল সাইড নিয়ে সারা জীবন সেটা আঁকড়ে ধরে বসে থাকবে, তাতে একনাগাড়ে সাবস্ক্রাইব করবে। কখনও পক্ষ বদল করবে না।
"বাঙালী অমুক দা আমাদের সাবধান করবার চেষ্টা করেছিলেন যাতে মাওরীদের সঙ্গে না মিশি, মাওরীরা নাকি ভারতীয়দের ধরে মারে।"
একবার জিজ্ঞাসা করে দেখবেন তো এটা তিনি কি করে জানলেন?
তাহলে আমেরিকাতে রেসিস্ট নেই। প্রমাণঃ একজন জুমে হাসতে হাসতে বলেছে। অবশ্যি নেটিভদের শেষ করে ফেলা, ৪০০ বছরের স্লেভারি, কনফেডারেসি, ১০০ বছর ধরে ডিসক্রিমিনেশান, ডঃ কিংকে হত্যা, তারপরে ট্রাম্পের রাইজ এগুলোকে ইগনোর করতে হবে।
তবে ভারতীয়রা নিজেরাও বিদেশে মাইনরিটিদের প্রতি, এমন কি নিজেদের মধ্যেও কিছু কম বর্ণবৈষম্য প্রদর্শণ করেন না। আমি অ্যামেরিকার একাধিক ভারতীয় প্রফেসরদের জানি যাঁরা ক্লাসের মধ্যে কালো ছাত্রদের দিকে হ্যান্ড আউট ছুঁড়ে দিতেন, নিজের হাতে দিতেন না, অথচ অন্যান্য ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে এই কাজ করতে দেখিনি । এরকম আরো বহু উদাহরণ জানি। নিউ জিল্যান্ডে প্রথম প্রথম আসার পর জনৈক বাঙালী অমুক দা আমাদের সাবধান করবার চেষ্টা করেছিলেন যাতে মাওরীদের সঙ্গে না মিশি, মাওরীরা নাকি ভারতীয়দের ধরে মারে। কথাটা একদম বাজে কথা, আমরা ওনার কথায় পাত্তা দিই নি ।
ওহ, জর্জিয়া উল্টে গেলে -- এবারের মতন
ট্রাম্প কান্ট্রিতে দুএকজন বন্ধু থাকে, কথা হয়, ভালই আছে। আরও কয়কেজন আছে।
ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছে এমন কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয় - এসেছিল একদিন জুমে - তো একজন করল - ট্রাম্প সাপোর্টাররা রেসিস্ট ইত্যাদি -- হেসে বলল - তাহলে তোমরাও পল পট এর খ্মের রুজ এর সদস্য। হাসাহাসি হল।
জর্জিয়া লিড কমে এখন ৬৫০, আরো ১২০০০ মতো মেল্ ব্যালট বাকি। এর পরের রাউন্ডেই গেম ওভার .
কোন দেশে নেই?
কোন দেশেতে ... ইয়ে মানে ...
এমন দেশটি কোথাও খুঁজে ...
পেলে যাবো সেখানে
ইন্ডিয়াতে তো লাস্ট নেম দেখে লোকের জাত, ধর্ম, রাজ্য সব আন্দাজ করে নেয়। আমি মুম্বাইয়ের ফ্ল্যাটের লিফটেই দেখেছি লোকে মাথা থেকে পা অবধি মাপছে। তাতে করে এখানে ওয়ালমার্টে যে লোকটা আমাকে দেখেই চোয়াল শক্ত করলো, সেটা ভুলতে পারছিনা।
আমি সিরিয়াসলি বলছি আপনারা ট্রাম্প কান্ট্রি কি জিনিস জানেন না।
এইতো মুশকিল। আম্রিগাতে রেসিজম আছে মানেই ইন্ডিয়াতে নেই কে বললো। সেটাই তো বলছি যে ইন্ডিয়াতেও আছে। আমরা জানতে পারিনি, বা জানতে চাইনি। ইন্ডিয়াতেও অনেক ডিসক্রিমিনেশান আছে (আমি নিজেও অনেক ফেস করেছি)। তার মানে আমেরিকা নিয়ে আলোচনা করা যাবেনা তার কোনও মানে নেই।
আমাকে একজন দক্ষিণ ভারতীয় আইটি বলেছিল -- ও সবথেকে বেশি ডিসক্রিমিনেশনের শিকার হয়েছিল অন্য ভারতীয়দের কাছে, দেশে এবং বিদেশে, ওর গায়ের কালো রং এর জন্য, কাস্ট এর জন্য, গ্রাম থেকে আসার জন্য, ইংরেজি উচ্চারণের জন্য ...
খুব বড় শহরে থাকলে অনেক কিছুই বোঝা যায়্না। আমি পৃথিবীর সবথেকে ভদ্র লোক দেখেছি টেক্সাসে আর টেনেসিতে। তাতে কিছু পরিবর্তন হয়্না।
চাইনিজরা অঙ্কে ভাল - আমি রেসিজিজমই বলব, হয়ত নেগেটিভ নয় তত। কিন্তু হতেও পারে। আমি "ইন্ডিয়ানরা কম্পিউটারে ভাল"- করোলারি শুনেছি, "... তাই অত ক্রিয়েটিভ নয়। ডিজাইনার ভাল হবে না।" একজন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারের কাছে "ইন্ডিয়ানরা কম্পিউটারে দড়" পজিটিভ ডিসক্রিমিনেশন, একজন ডিজাইনারের কাছে "নেগেটিভ ডিস্ক্রিমিনেশন" হতে পারে।
আমি মিড-ওয়েস্টে ৬ বছর ছিলাম -- কোনো রেসিজিম কিস্যু টের পাই নি --- তবে, নিউইয়র্ক শহরে ট্রেনে, স্যান ফ্রানসিস্কো ফর্টি নাইনার্সের স্টেডিয়ামে... দেখেছি রেসিস্ট স্লার --
চাইনিজরা অঙ্কে ভালো - এটা কি রেসিজিম? তর্ক করার জন্য না, জানার জন্যই জানতে চাইছি। এটা ফ্যাকাল্টিদের নিজেদের মধ্যে বলতে শুনি।
হুচিকে - আমি যা বুঝি - রেস ধরে স্টিরিওটাইপিং রেসিজম। স্টিরিওটাইপিং হলে তার পেছন পেছন আসে ডিসক্রিমিনেশন। "ভারতীয় মানেই কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার" সেরকম স্টিরিওটাইপিং।
সবই আ্যমেরিকা। আ্যমেরিকায় হিস্প্যানিক পপুলেশন সবচেয়ে দ্রুত বাড়ছে।
কোস্টাল আ্যমেরিকা আর মিডল আ্যমেরিকা খুব আলাদা। কিন্তু দুইই আ্যমেরিকা। রেসিজম দিয়ে সব বিশ্লেষণ করা যায়না। এত ভিন্ন জনগোষ্ঠী - তাদের ইতিহাস আলাদা, অভিজ্ঞতা আলাদা, আকাঙখা আলাদা। যদি কিছু কমন থাকে তা হল এর কোন হোমোজেনিটি নেই। আ্যমেরিকার কোন এক জায়গায় বসেই আ্যমেরিকা বোঝা অন্ধের হস্তীদর্শন।
রান্নাবান্নার গন্ধ নিয়ে মনে পড়লো, এই ছবিটা দেখলাম কদিন আগে । দিব্যি লাগলো
"তবে "ও তুমি ভারতীয়? তবে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার" - এ কথাও তো রেসিজম।"
আমার নিজের অভিজ্ঞতা আছে দুটো দেশে। অনেকে ইন্ডিয়ান দের বাড়ি ভাড়া দিতে চায়না মসলার জন্যে রান্নাঘর নোংরা হয় বলে।
আমি একবার লেজার কোম্পানীর একজন কে প্রিন্টস্ক্রিন শিখিয়ে দিয়েছিলাম। সে অভিভূত হয়ে বলেছিলো তুমি তো জানবেই ইন্ডিয়ানারা সবাই সফটওয়ারে এত ভালো
অ্যালামেডা কাউন্টিতে ৩1% নন হিস্পানিক হোয়াইট আর ৩১% এশিয়ান। ওখানে থেকে ট্রাম্পের আমেরিকা চেনা যায় না।
আমার বর্তমান নিবাসও ট্রাম্প স্টেট। কিন্তু এখানে ভয় নাই। ইন ফ্যাক্ট গভর্নর রিপাবলিকান হয়েও মোটের ওপর কোভিড সেন্সিবলি ডিল করেছে আর ট্রাম্পের কথাও শোনেনি সব সময়। এটা ভালো লেগেছে।
বাড়ি ভাড়া নিয়ে সমস্যা পাইনি, শুনিওনি। কেনার খবর জানিনা। হতে পারে।
S এটা ঠিক বলেছেন, সোশাল স্টেটাস বেটার বলে প্রোটেক্টেড তো বটেই।
আমি বড় শহরে থাকিনা। তবে কিছুদিন বড় শহরে কাজ করতে গেছি। স্যান হোজে আর স্যান ফ্র্যানসিসকো। কিন্তু এই দুটো শহরই এত লিবারাল আর ইমিগ্র্যান্টে ভর্তি, আমার অভিজ্ঞতা রিপ্রেজেনটেটিভ নয়। আমি ব্যক্তিগতভাবে নেগেটিভ রেসিজম ফেস করিনি। তবে "ও তুমি ভারতীয়? তবে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার" - এ কথাও তো রেসিজম।
গেল বছর পেনসিলভেনিয়ার প্রায় মাঝে, হ্যারিসবার্গের কাছে একটা কোম্পানিতে মিটিং করতে গেছিলাম। সারাদিনে 20-25 জনের সঙ্গে মিটিং করেছি। আমি ছাড়া আর কোন নন-সাদার দেখা পাইনি। কালোও নয়। বাইশ বছরের বে-এরিয়ায় কাজ করে কোনদিন এই অভিজ্ঞতা হয়নি।
এইযে বিভিন্ন দেশে সাদারা ভয় পাচ্ছে যে তারা মাইনরিটি হয়ে গেলে তাদের উপর খুব অত্যাচার হবে, সেটা অনেকটাই প্রোজেকশান। মানে নিজেরা মেজরিটি থাকতে যা যা করেছে, ভাবছে যে ওরাও তাই করবে।
ভারতীয়দের কিছু নেইবারহুডে বাড়ি বিক্রি করেনা, সেই খবর দেখেছিলাম।
ভারতীয়্দের সঙ্গেও হয়। অনেক কম। কারণ ভারতীয়রা সংখ্যায় এমনিতেই অনেক অনেক কম। একটু আলাদা ভাবে ভালো নেইবারহুডে থাকে। তাছাড়া ভারতীয়দের সোশাল স্টেটাস বেশি, তাই অনেক প্রোটেক্টেড।
আমি একদম ট্রাম্প কান্ট্রিতে থাকি। গতবার ইলেকশানের পর বুঝতে পেরেছিলাম যে ইন্ডিয়ার মাইনরিটিরা কি ভয়ে থাকে। আগেও জানতাম, কিন্তু এবারে যেন সেই তাপটা নিজের চামড়ায় পেলাম। তার মানেই কি আমার সঙ্গে কিছু হয়েছে? হয়নি। কিন্তু হতে পারে এই ভয়টাই যথেষ্ট।
:-)