টেস্ট
করোনা না আসলে অন্য কিছুতে ছড়াত। লিডার যদি অপদার্থ হয় তাহলে কোনো না কোনো সময় তার অপদার্থতা দেখিয়েই ছাড়ত।
Corona না আসিলে কি হতো?
এদের বেশিরভাগেরই জন্ম আমেরিকাতে। ওবামাও হাফ ব্ল্যাক। এলেইন চাও তো মিচ ম্যাকনেলের স্ত্রী।
কন্ডোলিজা এনেসে আর স্টেট ডিপে ছিল জানি। অন্য ডিপার্টমনেন্টগুলো জানতাম না।
এই ছিলো অবস্থা
হারের ইচ্ছা না থাকলে বাইডেন কে দাঁড় করায় কেম্বায়
কোক, পপকর্ণ নিয়ে রেডি থাকুন, শুরু হতে চলেছে লিপ রিয়ালিটি শো। কাজকম্ম তাড়াতাড়ি গুটিয়ে প্রিপারেশন নিন, গাফিলতি করবেন না।
এদের মধ্যে কন্ডোলিজা রাইস - অনকগুলো পজিশনে ছিলেন - ডিফেন্স, ট্রেজারি, স্টেট
কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে অনেকে হয়েছেন
- কলিন পাওয়েল (রিপাবলিকান - প্রথম আফ্ৰিকান আমেরিকান সেক্রেটারি অফ স্টেট - বুশ এর আমলে )
- কন্ডোলিসা রাইজ (রিপাবলিকান - প্রথম মহিলা আফ্ৰিকান আমেরিকান সেক্রেটারি অফ স্টেট - বুশ এর আমলে )
এছাড়াও অনেকে রেগন, ক্লিন্টন এর সময় থেকে ক্যাবিনেট পজিশন পেয়েছেন
সোমালিয়া থেকে রিফিউজি হয়ে আসা ইলহান ওমার। মহিলা, ব্ল্যাক, মুসলিম। মিনিয়াপোলিস থেকে আবার রিইলেক্টেড হতে চলেছেন। রশিদা তালিব। ডেট্রয়েট থেকে আবার রিইলেক্টেড হবেন।
প্রবলেম তো ভারতীয়দের। কতজন ভারতীয় সক্রিয় রাজনীতিতে উৎসাহী? তাই গাদা গাদা ভারতীয় ডাক্তার, ইন্জিনিয়ার, প্রফেসর আর সিইও দেখা যায় কিন্তু পলিটিশিয়ান দেখা যায় না। সেকেন্ড জেনেরেশানে অনেকেই অনেক হাই লেভেল ক্যাবিনেট পোজিশন পেয়েছে। কমলা হ্যারিস, নিকি হেলি, ববি জিন্দাল, রো খান্না ইত্যাদি।
ইউএসএ-তে আছে কিছু, এই যেমন, (এখানে তো মিনিস্টার নয়, সেক্রেটারি অফ ডিপার্টমেন্ট)
(১) এলেইন চাও (Elaine Chao) -- জন্ম তাইওয়ানে। এখন ট্রাম্প অ্যাডমিনস্ট্রেশনে পরিবহণ মন্ত্রী (সেক্রেটারি অফ ট্রান্সপোর্টেশন), ইনি এর আগে বুশ এর আমলে শ্রম দপ্তরের হেড ছিলেন (সেক্রেটারি অফ লেবার) হয়েছিলেন। রিপাবলিকান পার্টি। অবশ্য ইনি সেনেট মেজরিটি লিডার মিচ ম্যাককোনেলের স্ত্রী।
(২) নর্ম্যান মিনেতা (Norman Mineta) - জাপানিজ বংশোদ্ভূত। ডেমোক্রেটিক পার্টির। ক্লিন্টনের আমলে শিল্প দপ্তর (সেক্রেটারি অফ কমার্স), বুশ এর আমলে পরিবহন মন্ত্রী ছিলেন।
(৩) স্টিভেন চু (Steven Chu) --- চাইনিজ অরিজিন। ফিজিক্সে নোবেল প্রাইজ পাওয়া এই বিজ্ঞানীকে সেক্রেটারি অফ এনার্জি পজিশনে নিয়ে আসেন প্রেসিডেন্ট ওবামা।
(৪) নিকি হ্যালি (Nikki Haley) -- সাউথ ক্যারোলিনার শিখ পরিবারে জন্ম। ইউনাইটেড নেশনস (রাষ্ট্রপুঞ্জ) এ ইউএসএ-র ২৭ তম রাষ্ট্রদূত হয়েছিলেন। রিপাবলিকান। উইকি বলছে - In 2017, Haley became the first-ever Indian-American in any presidential cabinet. She was the first Asian-American female governor (she was also the first female governor of South carolina).
(৫) বারাক ওবামা - আমি জানি না, হোয়াট মেজরিটি অন্য কোনো দেশে কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট/প্রাইম মিনিস্টার দু-দুবার নির্বাচিত হয়ে ৮ বছর পদাসীন হয়েছেন কি না। (২০০৮ সালে যখন ওবামা প্রথমবার জেতেন তখন ইউএসএ-এর প্রায় ১৩০ মিলিয়ন ভোটারের মধ্যে ৭৬% ছিলেন শ্বেতাঙ্গ এবং ১২% কৃষ্ণাঙ্গ সম্প্রদায়ের মানুষ )
হ্যাঁ, আমি এটাই আরেকটু দেখতে গেলাম সন্দেহ হলো বলে, দেখলাম যে এরকম সেনেটার আছে । বলছে যে ন বছরের মার্কিন নাগরিকত্ব লাগে সেনেটার হওয়ার জন্য। তাহলে তো দেখা যাচ্ছে নিয়ম আছে, করাও হয়েছে ।
হেনরি কিসিঙ্গারের জন্ম জার্মানিতে। ম্যাডেলিন অলব্রাইটের জন্ম চেকোস্লোভাকিয়াতে।
টিম ঐ নিয়মটা শুধুমাত্র প্রেসিডেন্ট আর ভিপের জন্য।
আমেরিকাতে করতে পারেনা মনে হয়। আমেরিকান বর্ন হতে হয় যতদূর জানি। কমলা হ্যারিস কে নিয়ে রিপাবলিকান আটভাট আপত্তি নিয়ে একটা আর্টিকল পড়ছিলাম, সেখানে দেখলাম এই নিয়ে কোর্ট কাছারির ইতিহাস আছে।
ইন্ডিয়াতে এখনও অবধি কোনও মুসলিমকে ডিফেন্স মিনিস্টার করা হয়েছে?
আমেরিকাতেও অ্যালাউড। করে দেখাক তো। একটা কোরিয়ান সিনেমাকে অস্কার দিয়েছে, তাতেই কত লাফালাফি।
জেসিন্ডা আর্ডেন খুবই ভালো লিডার। কিন্তু এটা কি ওনার সাহসের ওপর নির্ভর করে? এটা তো এক একটা দেশের সংবিধানের গল্প।সেখানে অ্যালাওড না হলে করতে পারতো?
আমার উচ্ছ্বাস আছে। কিন্তু সেটা ঐ ভারতীয় উদ্ভূত মহিলার জন্য নয়। আমার উচ্ছ্বাসটা জেসিন্ডা আর্ডেনের জন্য। যে তিনি এই সাহস দেখাতে পারছেন। একজন ভারতীয়কে ক্যাবিনেটে নিতে পারছেন। কানাডার ডিফেন্স মিনিস্টার একজন পান্জাবে জন্ম হওয়া শিখের। অথ্চ আমাদের দেশে এখনও ....
ভারতেই "উদ্ভূত" কিন্তু অন্য দেশের নাগরিক, এমন নোবেল প্রাপকদের নিয়েও আমরা বিশেষ উচ্ছ্বাস দেখিয়ে থাকি। এইসব "আমাদের লোক" বলার প্রবণতাটা আমাদের সামাজিক সফলতা না ব্যর্থতা কে জানে!!!
নিজেকে পৃথিবী-র নাগরিক ভাবলে কোন দেশ নিয়েই আনন্দিত হওয়ার কিছু নেই। ভারত, আম্রিগা, নিউজিল্যান্ড সবই মায়া
পিটিদার এই প্রশ্নটা আমারও।
এখন ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদ বিস্তারের সময়। লোকাল ফালতু বিষয় নিয়ে আলোচনা করে সময় নষ্ট করার সময় নয় এখন।
পিটি,
যদ্দূর দেখলাম ইনি শুধু "ভারতীয় বংশোদ্ভুত'ই নন , ইনি ভারতেই "উদ্ভূত"। কাজেই আনদের কারণ ' পড়াশুনো গোড়াতে নিউজিল্যান্ডে নয়, ইউনি লেভেলে স্টাডি ও চাকরি সূত্রে নিউজিল্যান্ডে গিয়ে ক্রমশঃ নাগরিক এবং সক্রিয় রাজনীতি। এঁর মামাবাড়ি কেরালায়, দিদিমা ওখানে জীবিত এবং যাতায়াত আছে।
অরিন সঠিক বলতে পারবেন।
পিটিদার প্রিয় সন্ময়বাবুরই বা কী খবর ;)
এই যে পিটি এসেছেন। অধিকারীবাবু কি পাল্টি খেলেন?
অরিনবাবুকে dhanyaJog
"ভারতীয় বংশোদ্ভূত" কিন্তু আদতে ভারতীয় নয় এরকম মানুষেরা অন্য দেশে ক্ষমতাসীন হলে ভারতীয়দের আনন্দিত হওয়ার কারণ কি?
ট্রাম্প তো বলছে ইলেকশানের পর ডঃ ফাউচিকে ছাড়িয়ে দেবে।