**তাঁবেদার সর্বশক্তিমান শিল্প গোষ্ঠী গড়ার প্রবণতা
বড় এস আমি ঠিক এভাবে দেখি না। ৬০ - ৭০ দশকের কৃষি, শিল্প সংকট, আভ্যন্তরীন গণতন্ত্র সম্পর্কে সিপিএম এর একটা অবস্থান ছিল। কৃষি সংকট সম্পর্কে উচ্চফলনশীল ফুড গ্রেন এর বীজ আর বড় সেচ যেমন কংগ্রেস সরকারের অবস্থান ছিল, বামেদের অনেকেরি শুধু না, কংগ্রেসে র ও ঘোষিত অবস্থান ছিল ল্যান্ড রিফর্ম। ইত্যাদি। পোলিটিকাল উইলে সিপিএম বামপন্থী রা এগিয়ে ছিল। শিল্প সংকটে আজকের বার্নি দের ডেমোক্রাসি অ্যাট ওয়ার্ক প্রপোজাল এর সংগে সিপিএম সহ বামেদের দাবীর খুব অমিল ছিল না, যদিও রাজনৈতিক সেকটারিয়ানিজম এর প্রভাবে ধীরে ধীরে ট্রেড ইউনিয়নিয়নিজম এর নিজের লেজিটিমেসি ই নষ্ট হবে বোঝার মত ম্যাচিওরিটি তাদের ছিল না, আমাদের ও হাইন্ড সাইট অ্যাডভান্টেজ রয়েছে। রাষ্ট্র শক্তি, ফরেন পলিসি, স্টেট ফর্মেশন এবং জাতি এই প্রশ্ন গুলিতে রাজ্য সরকার গঠনের কারণেই হোক, অন্য মেন স্ট্রীমিং এর কারণেই হোক, সিপিএম er যে পজিশন ৮০ নব্বই এর দশকে এসে দাঁড়ায়, তাকে খুব বেশি দিন খুব প্রোগ্রেসিভ বলা কঠিন ছিল, সেটার বিরোধিতা কবীর সুমন দের জেনারেশন রা বা তার আগের প্রজন্মের বামপন্থী রা করেছেন। কিন্তু ঘটনা হল, রাষ্ট্রায়ত্ত্ব শিল্প থেকে কেন্দ্রীয় সরকার গুলোর সরে আসা, গ্লোবালাইজেশন, ইর্যাশনাল আর্বানাইজেশন, জবলেস গ্রোথ, এবং ইনডাস্ট্রিয়াল অটোমেশন শিল্পে নতুন সংকট আনে এবং কৃষিতে দীর্ঘদিনের সমস্যা গুলো এমন জায়্গায় গিয়ে নব্বই এর দশকের শেষ দিকে পৌছয় তার উত্তর দল বা রাজ্য সরকার হিসেবে সিপিএম এর কাছে ছিল না। এবং সেট খুব একটা দোষের ও না, দিজ আর সাইন্স অফ টাইম্স। একেকটা সময়ে একেকক্টা পার্টি কে একেকটা শ্লোগান কে বেশি রেলিভান্ট মনে হবে এটাই স্বাভাবিক। এই ক্রাইসিস গুলোতে সাধারণ মানুষের রেসপন্স কি হবে, সেট নিয়ে যারা সিপিএম কে গালাগাল দেন সারাদিন তাদের কাছেও যে খুব আনসার এখনো আছে তা না। পশ্চিমের আইডেন্টিটি পলিটিক্স er আদলে আমাদের যে নতুন কোয়ালিল্শন গুলি গড়ে তোলার চেষ্টা হচ্ছে, ছাত্ররা পারছে, কিন্তু ইউনির বাইরে সাকসেসফুলি পারা যাচ্ছে না, তার নানা রকম কারণ তো আপারেন্ট। আর একটা পার্টি খামোখা ৩০ বছর ক্ষমতায় থাকবে এটা তো কোন কাজের কথা না। আমি সিপিএম সমর্থক, ডোনার, ভলানটিয়ার হয়েও এ কথ বলঅতেই পারি, যে কোনো সেনসিবল লোক ই বলবে। বুদ্ধিজীবি দের উপরে রাগ করে লাভ নেই। তাঁরা ধান্দাবাজ প্রত্যেকেই যদি হন ও, তাতে কি হয়েছে, মানুষ কে কটা লোক গান গেয়ে ছবি এঁকে কতই বা ইনফ্লুয়েন্স করতে পারে। মানে আজকের দিনে, সে আগে যা করেছে করেছে। এখন তো মেডিয়া এনটারটেনমেন্ট এর মডেল ই বদলে গেছে। মধ্যবিত্ত ছাত্র আন্দোলন থেকে লোক নেতৃত্ত্বের উচ্চতম স্তরে লোক না এসে, যদি কৃষক বা শ্রমিক ফ্রন্ট থেকে লোক আসতো তাহলে অনেকে মনে করেন, পার্টির ক্রেডিবিলিটি সহজে হারাত না, এটা একাংশ সত্যি হলেও, ঘটনা হল, নতুন ধরণের সময়ের নতুন ধরণের তাত্ত্বিক পজিশন ফর্মুলেশন e দেরি হওয়া, অ্যালায়েন্স গুলো নষ্ট হওয়া এসব পার্টির ডিক্লাইনের নানা কারণ তো আছে, তারা নিজেরাও অস্বীকার করে তা তো না। আমার মনে হয়, ভালো লোক খারাপ লোক, এর বাইনারির বদলে সময় টাকে ধরে অ্যানালিসিস এর দরকার আছে। সিপিএম এর বিরুদ্ধে যে কোয়ালিশন হয়েছিল, চিট ফান্ডের পয়সা খেটেছিল সেগুলো সত্য যেমন ঠিক ই, তেমন ই মানুষের ডিসকন্টেন্ট ও ছিল।
তেমন ই এখন, মমতার উত্থানের সময়কার নানা কনসিটের কথা মনে রেখে যদি লোকে তাকে শিক্ষা দেবার জন্য বিজেপির দিকে ঝোঁকে সেটা মুর্খামি হবে। তো অনেক লোকের এক সংগে মুর্খ হবার সাধ জাগলে আর কি করা যাবে, ঠেলা বুঝবে, যতটা রেজিস্টান্স যে পারে করছে। আশা করা যায়, বিজেপির শুধু সাম্প্রদায়িক চেহারাই না, অর্থনইতিক সমস্যা , মানুষের রুজি রোজগারের সমস্যার ম্যানেজমেন্ট এর ক্ষেত্রে তার একাধারে সার্বিক ব্যার্থতা অন্য দিকে তাঁদের শিল্প গোষ্ঠী তৈরী করার প্রবণতা আশা করা যায় মানুষ একদিন বুঝতে পারবে। আর মমতাও আশা করি বুঝবেন একদিন পাবলিক লাইফে ধর্ম আচার ইত্যাদি কে নিয়ে এসে , কনজারভেটিজম কে শুধুই বামপন্থার কাউন্টার পয়েন্ট হিসেবে তুলে নিয়ে এসে তিনি যে আগুণ নিয়ে খেলেছেন, তার থেকে বেরোনোর কাজ তাকেই করতে হবে, নইলে তিনি ই প্রথমে অবলিটারেট হবেন। ইত্যাদি। এগুলো ভালো খারাপ, ও মা দেকোচো কেমন ভ্যাংআচ্চে, বাব্ব কি টিভি তে কি দুটো ঝগরুটে ত্যাদের ব্যাপার না।
সমালোচনা যদি করতে হয় বড় নিউজ মেডিয়ার সমালোচনা করা উচিত, মমতাকে আইডিওলোজিকাল সার্টিফিকেট দিয়েছিল তারাই, তারাই এখন বিজেপি কে কেন্দ্রের বন্ধুসরকার, মমতার ক্যাওটিক স্টাইলের কনট্রাস্টে ভীষণ চানক্য হিসেবে দেখাচ্ছে, এবং গোটাটাই পয়সার বিনিময়ে, দেশ ছাড়খার হলে এরাই নাকি কান্না কাঁদবে। :-))))
এরকম ধরণের কমেন্ট ব্যক্তি মানুষ সম্পর্কে না করাই ভালো। এই মানুষটি আমাদের অনেক কিছু দিয়েছেন।
কবীর সুমন প্রসংগে :-যত কম বলা যায় তত ভাল !একটা শব্দ বন্ধ প্রয়োগ করছি ।..মার্জনা করবেন।.. "বদমাশ জিনিয়াস" আছে কিছু লোক ! অসম্ভব ট্যালেন্টেড কিন্তু বদমাইশি প্রচণ্ড !!অত্যুক্তি হলে "মার্জনা করবেন "
তবে যা বুঝেছি ক্ষমতা বদলানোর সঙ্গে সঙ্গে তিনোদের কাছে সিঙ্গুরের প্রয়োজন শেষ হয়ে গেছে। সেই এগ্রিমেন্ট কি কেউ দেখতে পেয়েছে এখনও?
কবীর সুমনের অন্ধ সিপিএম বিরোধী হওয়াতে আমার কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু প্রায় যেচে গিয়ে তিনোতে যোগ দিয়েছিল। একজন নকশাল আন্দোলনকারী, যার ন্যাচারালি সিপিএমের উপর রাগ আছে, যে কি করে তিনোদের সাথে হাত মেলায় সেটা অন্তত শুধুমাত্র রাজনৈতীকভাবে সম্ভব নয়।
আমি যতদূর জানি একজন বিরোধী বড় নেত্রীর যতটুকু সম্মান প্রাপ্ত বুদ্ধবাবু রা মমতা ব্যানার্জি কে কখনো দেন নি, তাঁর অতি-নাটকীয়তা তাঁদের হজম হয় নি। প্লাস প্রচুর বিটারনেস ছিল। মমতা ব্যানার্জি বা তার দল বল বুদ্ধবাবু দের খুব ব্যক্তিগত সৎ ভালো লোক বলে মনে করে উদ্ধার করে দিচ্ছেন তাও না। একজ্ন অসুস্থ লোকের ছবি যে দিতে হয় না সেটা ধনখড় ছাগল টা বোঝে না, তবে মৃতদেহ রাজনৈতিক মিছিলে ব্যবহার যে খানে রীতি হয়ে উঠেছে, সেখানে এসব দিকে না তাকানৈ ভালো। আমি যেটা বুঝি না, পরিবার এসব বরদাস্ত করে কেন, বললেই হয়, আসুন তবে দরজা খুলব না।
কবীর সুমন এর প্রচুর কন্ট্রিবিউশন আছে, অন্ধ সিপিএম বিরোধী , শো ম্যান শিপে ভর্তি এবং আপাতত সেনিলিটির নানা লক্ষন। বাংলা গানে তার কন্ট্রিবিউশন স্বীকার না করতে চাইলে কিসু করার নেই। সংগীতের একজন ভালো থিয়োরেটিশিয়ান এটা নর্মালি শুধু গাইয়ে হওয়ার ব্যাপার না।
ছিহপিএমের আটিসেলের হাতে আবার পয়সাকড়ি এসচে দেকচি।
তা ২০১১ সালে তো দিদি ক্ষমতায় এলেন। এই নয় বছরে সিঙ্গুরে ঠিক কত শষ্য উৎপাদন হল?
উল্টোটা করলে ঐ এফেক্টটা আসতো না। বুদ্ধি করেই করেছে। বোরাটের থেকে বেশি ক্রিটিকালি অ্যাক্লেইম্ড কমেডি বিগত ৩০-৪০ বছরে খুব কমই হয়েছে।
মির্জাপুর 2 রিলিজ করে গেছে।
আমার ঐ সীনটা অসাধারণ লেগেছিল। দ্য এন্টায়ার আইডিয়া ইজ টু মেক অডিয়েন্স আনকমফর্টেবল।
তা শরতচন্দ্রের অনেক গল্পেই তো এই একইরকম ব্যাপার থাকত। তখন পড়ে অসুবিধা হয়নি?
একজনকে ঠোঁটে ভালো করে চুমু খেয়ে তারপর বলা এ আমার বোন, আমি অমুক দেশের লোক, আমার বোনের এই ক্যারেক্টার - এটা ভালো লাগাতে হলে, এটাকে সেই দেশের লোকজনের প্রতি খুব সম্মান দেখানো হচ্ছে বলতে গেলে, যে ক্ষমতা লাগে সেটা আমার নেই। স্বীকার করতে কোনো লজ্জাও নেই।
আর হ্যাঁ বিহারের নির্বাচন বুধবার থেকে, আমি ছড়িয়েছিলাম। আসোলে ট্যুইটারে ভীড়ের ছবি দেখে অবাক হয়ে গুগলাচ্ছিলাম। তাতে দেখি কোন কাগজে যেন লিখেছে কোভিডের জন্য বুথে কম লোক যাবার সম্ভাবনাইত্যাদি। আমি ভাল করে না পড়েই লিখে দিয়েছিলাম।
মোদিজী কবে দিদিকে লুফে নেয়, এখন সেই অপেক্ষাতেই আছি।
বোরাট বোঝার ক্ষমতা যে সবার নেই, সেটা বহু আলোচিত।
এই অভ্যু, ট্যাগাতে গেলে লগাতে হবে। শুধু লগিন করলেই হবে না আবার ফলো করতে অর্থাৎ গ্রাহক হতেও হবে। কাটিয়ে দাও, বহুত হ্যাপা।
ডিজঅনেস্ট হলেও তার বেডরুমের ছবি প্রকাশ করাটা অসভ্যতা অন্যায়। মমব্যানও সেটা করেন নি।
কবীর সুমন বেসুরো!! আইব্বাস আইটিসেল লুফে নেবে। :-))
বোরাট দেখতে আরম্ভ করেছিলাম। সিক লাগল। একজনকে বোন আর একজনকে মা বলে দেখিয়ে যা আরম্ভ করল, এই যদি কমেডি হয়, সে যে দেশের লোককেই দেখাক না কেন, তাহলে সেটা আমার রুচিতে সয় না।
বোরাট o ঐ ডিক্টেটর মুভি কোনটাই ভালো লাগে নি। ওভাররেটেড।
সেকি। আমি তো শুনেছিলাম যে বুদ্ধবাবু খুব ডিজনেস্ট আর ধুর্ত একজন মানুষ। আর রাণীমা হলেন একদম সাদাসিদে অনেস্টির প্রতিক।
কবির সুমন না কে একটা ছিল না। সুরছাড়া গান গাইতো আর সুবিধাবাদী রাজনৈতীক অবস্থান নিত।
আমি নিজে দেখেছি, মনোরঞ্জন গুহরায় এর বাড়িতে অমিতা সেন , সুরজিত সিংহ রা প্রণাম করতে আসছেন রিক্সা করে হেঁটে। এসব এখন কল্পনাতীত। অবশ্য এনার কেউ ই খুব বাজে দু চারটে লেখা ছাড়া বড় কোন অপরাধ করেন নি। ঃঃ-))))আমি বলছিলাম সেলিব্রিটি, ভি আই পি , কালচার, এই অসহ্য শো অফ এবং অতিরিক্ত কম্ফর্টের অভ্যেস, এসব অনেক রিসেন্ট ফেনো মেনা।
বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত
১৮ জানুয়ারি ২০১৬ ১৪:১৯ এরকম কোনও কমেন্ট পেলাম না তো।
https://www.guruchandali.com/comment.php?topic=1&page=10868
বুদ্ধদেবের বাড়িতে তক্তপোষ আর বেশ কিছু বই আর লেখার ডেস্ক ছাড়া বিশেষ কিছু কোনোদিন ই ছিল না। এ মানে পরিবার সহ প্রচুর লোকের কাছে শুনেছি, যাদের ঢপ দেবার কোন কারণ নেই, অনেকেই বিশেষ ভক্তও ছিলেন না। রীতিমত খারাপ সম্পর্ক ওয়াল লোকেরাও একই কথা বলেছেন। সেটা তখন রীতি ছিল, পোলিটিকাল নেতারা , বিশেষতঃ আদি কংগ্রেসী বা বাম নেতারা বেশ সাধারণ জীবন যাপন করতেন, এস ইউ ভি আর চারিদিকে সুরক্ষা বেষ্টনি এসব বেশিদিন আগেকার কথ না। শান্তিনিকেতনে নেহরু কলকাতা ব পানাগড় থেকে একটি দুটি পুলিশ সহ অ্যাম্বাসাডর গাড়ি করে আসতেন, শুনেছি, ইন্দিরা হেলিকপ্টারে এলেও, পায়ে হেঁটে শ্রী সদন থেকে কলাভবন গেছেন, মেয়েদের সংগে ছবি তুলেছেন গান গেয়েছেন, রামকিংকর এর কাছে ডিসটার্ব করার জন্য বকুনি খেয়েছেন, রাজীব আমাদের সংগে সামান্য একটা চেয়ারে বসে এমন ভাবে প্রশ্ন নিয়েছেন , মাথা ঠান্ডা রেখে আমাদের পোলিটিকাল প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন, হস্টেলের পড়াশুনোর খোঁজ নিয়েছেন, যেটা আজকাল একটা জেলা সভাপতি ও নেয় না। তাই দিয়ে তাঁদের র্যাম্পান্ট অ্যাবিউজ অফ পাওয়ার এর যে গল্প তা সম্পূর্ণ মিথ্যা হয়ে যায় না।
বুদ্ধ উনি বা ওনার মেয়ে তখনকার তৃণমূলী দের গসিপ অনুযায়ী টাটার টাকা খাওয়া সত্ত্বেও যথেষ্ট লুকিয়ে রেখেছিলেন বলতে হয় :-))))) তবে আমার যেটা বিরক্ত লাগে, যতদূর জানি ওনার পরিবার চিকিৎসার ব্যাপারে সরকারী অনুগ্রহ , পার্টির অনুগ্রহ সব কিছুকেই যথা সম্ভব এড়িয়ে চলেন, তাইলে তাঁরা এই সব পোলিটিকাল লিডার কে ফোটো অপ দ্যান কেন সেটা আমার কাছে পরিষ্কার না। ব্যক্তিগত হনেস্টি যদি একটা বড় পজিশন হয়, তাইলে প্রথমেই এই সব ভি আই পি দের লেজিটিমেসী দেবা বন্ধ করা উচিত।
বুদ্ধদেবের সাধারণ জীবন যাপন অবশ্য ওনার নানা বিষয়ের ব্যক্তিগত ও যৌথ নির্বুদ্ধিতার জাস্টিফিকেশন করে আমি অন্তত দেখতে রাজি নই। অবশ্যই হনেস্ট লোক, হনেস্ট লোক মুর্খ হলে আর কি করা যাবে।
SC | 117.206.249.8 | ১৮ জানুয়ারি ২০১৬ ১৪:১৯669731নন্দীগ্রাম ভারতের ইতিহাসের অন্যতম উজ্জ্বল অধ্যায়। ভীষণ গর্ববোধ করি নন্দীগ্রাম কে সমর্থন করেছিলাম বলে।
কয়েকটা আলবাল বুজিও যদি সাপোর্ট করে থাকে, তো আমি কি করতে পারি। সে তো দাদা কেজরিবল কেও সমর্থন করেছিলাম, তখন
কি কে কে দিল্লিতে ওকে ভোট দিয়েছে, তারা ভালো লোক না খারাপ লোক, তার লিস্ট বানিয়ে সাপোর্ট করব নাকি।
সিঙ্গুরে যে ঘটনাটা ঘটেছে, ওটা নন্দীগ্রামের বাই প্রোডাক্ট।
কারখানা তো হওয়াই উচিত, যে কোনো কারখানায়। কিন্তু কারখানা করছি অজুহাতে যা নয় তাই করব, পুলিশ আর চটি পুলিশ এনে মানুষ মারব, তাপসী মালিক এর মত কান্ড ঘটাব, তার পরে কেউ কিছু বললেই, "এই আমার কারখানার প্লান বিগড়ে দিল" বলে চিল্লাব, তা তো হয় না। চন্দ্রিল মনেহয় এই সম্পর্কে সবচেয়ে সুন্দর দু লাইন লিখেছিল:
তারা হাতুড়ি কাস্তে,
শিল্প হচ্ছে, আস্তে।
মিঠুন , শুচিস্মিতা র পজিশনটি বুঝীনি খুব ভালো করে। জন ক্লিজ , ফল্টি টাওয়ার্স, এরিক সিলভার, মন্টি পাইথন বা ডেল বয় কিম্বা গ্রেম নর্টন এর প্রথম দিককার কমেডি তে একসপোজার থাকলে পাতা ব্যারন কোহেন এ হাসি পাবার কথা।
ভুল বুঝছো, কমেডি আলোচনা র বিরুদ্ধে নই, যেকোনও কালচারাল প্রোডাক্ট এর মতো ই অবশ্যই কমেডি ভালো লাগা মন্দ লাগা থিয়োরাইজেশন হতেই পারে হয়েই থাকে। আমার বক্তব্য ছিল তে কমেডি বিষয় টাই এমন বিশেষ করে সেন্টিমেন্টালিজমের , জেন্টীলিটির বিপক্ষে যে কমেডি সেটা তে হাসি পেলেই হল, সে পোলিটিকালি কারেখ্ট কিনা দেখে লিভ নেই। ঘন ফ্যাক্ট একমাত্র কমেডিতেই আমি কনজারভেটিভ পজিশনে মজা পাই, তদুপরি সোশাল লিবেরাল পজিশন থেকে সেটা সাবভারটেড হলে আরও মজা লাগে।:-))))))
মমব্যানও বুদ্ধবাবুর বাড়ি গেছিলেন কিন্তু বেডরুমের ছবি পোস্ট করেন নি। অটলবিহারীর বাড়িতেও অনেকেই যেতেন কিন্তু কেউই ছবি পোস্ট করেন নি। অসুস্থ মানুষের ছবি বেডরুমের ছবি এইগুলো যে পোস্ট করার নয় সেই বেসিক সৌজন্যটুকু মেগালোম্যানিয়াক ফেকু আর সাঙ্গপাঙ্গোদের নেই।