আসলে শুধু তো পুজো নয়। ঐসময় লোকে সারা বছরের জামাকাপড় জুতো মোজা গামছা গয়না সবই কেনে। অনেকে ঘরের রং করায়। বাগান - ড্রেন পরিষ্কার করায়। অনেকে এদিক সেদিক যায়। অনেকে শখের জিনিস কেনে। অনেকে ছাতা সাড়াই করায়।
"আর সেই দেশে থাকলে নিজের মাইন্ডটাও ওপেন রাখা দরকার . তাদের কালচার , আইন কানুনকে রেসপেক্ট করাটাও জরুরি , সারাক্ষন ই আমাদের কালচার , আমাদের খাওয়া দাওয়া , হ্যানাত্যনা এদের থেকে অনেক ভালো বলে নাক উঁচু করে রাখাটাও কোনো কাজের কথা নয়।"
একদম।
এসব বললে আবার অনেকে ভারি রেগে যান দেখেছি।
"ক্লিওপাট্রা কিটিমিটিকিমিটিকিটইচিমিচি করে ঝড়ের মতন বলে যাচ্ছেন, সীজার কিছুই বলতে পারছেন না, চুপ করে শুনছেন। ঃ-)"
সিনেমা করেছে বুঝি? ওটাই তো বাস্তব।
জমে গিয়েছে খেলা। জমে গিয়েছে। টইতে। ঃ-)
অরিনের ২২ অক্টোবর ২০২০ ০১:২৮ পোস্টে ক। বাইরের দেশে কাজ করে ইন্ডিয়ায় ফিরে অনেকেরই খুবই বাজে অভিজ্ঞতা আছে এবং ফিরে যেতে হয়েছে , নিজে ইনক্লুডেড। সত্যি এই নিজের দেশ , পরের দেশ কনসেপ্ট টাই মাথায় ঢোকেনা। যেদেশে থাকতে ভালো লাগবে , আইনত থাকার সুযোগ পাবো , কাজ করে হ্যাপি থাকবো , মনে হবে পরের জেনারেশন এর জন্যে বেটার বা সেফার - সেটাই আমার দেশ।
আর সেই দেশে থাকলে নিজের মাইন্ডটাও ওপেন রাখা দরকার . তাদের কালচার , আইন কানুনকে রেসপেক্ট করাটাও জরুরি , সারাক্ষন ই আমাদের কালচার , আমাদের খাওয়া দাওয়া , হ্যানাত্যনা এদের থেকে অনেক ভালো বলে নাক উঁচু করে রাখাটাও কোনো কাজের কথা নয়।
আর এতদিন অনেকে যারা ইন্ডিয়াকে নিজের দেশ ভেবে ছিলেন , তাদের অনেকেই হয়তো এবার বাকি জীবনটা কন্সেনট্রেশন ক্যাম্পে কাটাবেন মোদিবাবুর NRC প্ল্যান চালু হলে। এতদিন মেরা ভারত মহানের শেষে এই ক্লাইম্যাক্স।
মুভিও আছে, অ্যাস্টেরিক্সের কমিকস গুলোর উপরে। একটা দেখেছিলাম, সেইটা ছিল ক্লিওপ্যাট্রা আর সীজারের ঝগড়া দিয়ে শুরু। ক্লিওপাট্রা কিটিমিটিকিমিটিকিটইচিমিচি করে ঝড়ের মতন বলে যাচ্ছেন, সীজার কিছুই বলতে পারছেন না, চুপ করে শুনছেন। ঃ-)
(আমার Asterix কমিক্স এর পরিপ্রেক্ষিতে, অর্জুন): " আপনি যে নামগুলো বললেন, সেগুলোর সঙ্গেও পরিচিত নই। "
অর্জুন , তুমি এই সাইট টি থেকে এস্টেরিক্স কমিক্স ডাউনলোড করে পড়ে দেখতে পারো,
https://readasterix.blogspot.com/
প্রথম টা দিয়ে শুরু কর
https://e.filing.ml/p/asterix-gaul.html
দেখ কেমন লাগে । আমাদের অনেকের প্রিয়, জানিনা অবশ্য গুরুচন্ডালির পাঠকমণ্ডলীর বা আমেরিকায় এরা কতটা জনপ্রিয় ।
গত বছর ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদন অনুযায়ী,
"According to a 2013 report by industry body Assocham, West Bengal's Durga puja was touted to be a Rs 25,000 crore economy that was expected to grow at a compound annual growth rate (CAGR) of about 35 per cent."
"হিউজ ইন্ডাস্ট্রি" বটে, কিন্তু এই ইন্ডাস্ট্রি তে কি উৎপন্ন হয় (output ) যাতে ব্যাপারটা দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তিতে sustain করতে পারে?
এখন রিসাইকেলের যুগ । প্যান্ডেল, ডেকেশন, প্রতিমা সব বিক্রি হয়ে যায় ।
@অরিন-দা, কমিক্স প্রায় পড়িনা বললেই চলে। আপনি যে নামগুলো বললেন, সেগুলোর সঙ্গেও পরিচিত নই। কমিক্স নিয়ে একটা লেখা লিখে ফেলুন।
লসাগুদার ছবিতে ট্রাম্পকে কিন্তু মহিষাসুর এর রোলে দারুন মানিয়েছে। ইন ফ্যাক্ট অসুরের ফেসিয়াল এক্সপ্রেশন এক্ষন এরকমই হওয়া উচিত।
:) :)
শুধুমাত্র তাই নয়। বহুজায়্গায় দুগ্গা পুজোর বাজেটের একাংশ দিয়ে কালী পুজো হয়। কোলকাতার দুগ্গো পুজোর লাইটিং, প্যান্ডেলের একাংশ নিয়ে গিয়ে জগদ্ধাত্রি পুজোয় ব্যবহার করা হয়। এইটাই বাংলার ফেসটিভ সিজন। অর্থনীতির একটা বিশাল বড় অংশ চলেই এই উৎসবগুলোকে ঘিরে।
মিনোসের রুস্তম মাসানি
দুর্গা পুজো একটা HUGE INDUSTRY । এই উৎসবের পরতে পরতে জড়িয়ে আছে মানুষের জীবিকা। কিছু সম্প্রদায়ের মানুষের ওটাই একমাত্র বাৎসরিক আয়। প্রতিমা নির্মাণের জন্যে মাটি তোলা থেকে বিসর্জনের জল তোলা পর্যন্ত। যাদের মাসিক স্যালারি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে নিমেষে ঢুকে যায়, তাদের বোঝা মুশকিল।
আচ্ছা, কবি কালিদাস কত বছর আগের লোক? সর্বাধিক স্বীকৃত সময়কাল হিসেবে কী জানা যায়?
এ হে হে। আমি এতকাল মিনু বলতে ভেবেছিলাম মহিলা! ঐ মৃন্ময়ীর ডাকনাম যেমন মিনু। বিরাট মিসটেক হয়েছিল।
বড় বড় জাঁ লুক অভিরা বলেন, "ওটা আমাদের জমিদারি নয়। এইটা আমাদের জমিদারি। এইখানে হামকীধামকী দিতে পারি, ওইখানে ওসব অন্য জমিদারেরা দেয়। তাই বলি বাপু, ব্যাপারটা বুঝে দেখো। পরের ভূমিতে দাসত্ব আর বাপের জমিদারিতে রাজত্ব--কোনটা বেছে নেবে?"
কোন দেশই বা নিজের থাকার জায়্গা? কোনদিন একজন এসে বলে দিলো যে তোমরা আর এখানে থাকতে পারবেনা। তার হাতে একটা পেন্সিল কাটার ছুড়ি থাকলেই মাথা নীচু করে মেনে নেব। হাতের কাছে যা থাকবে সেই নিয়ে সেখান থেকে চলে যেতে হবে। কোথায় যাবো? যেখানে কেউ সেইমুহুর্তে অন্তত একই কথা বলছে না। মানুষের অ-সভ্যতার এইটাই ইতিহাস।
মিনু মাসানির ছেলে বলেছিল উনি যখন ইংল্যান্ডে পড়তে যান তখন ওর বাবা বলেছিলেন 'পৃথিবীর একটা সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছো যাও । কিন্তু দেশে চলে আসবে। ওটা আমাদের জন্যে থাকবার জায়গা নয়। আমিও গেছিলাম। ফিরে এসেছি। '
উনি যখন এলেন না, পিতা ও পুত্রের মধ্যে চিরকালের জন্যে বিচ্ছেদ হয়ে গেছিল।
এরকম সেন্টিমেন্টে কিশোর বয়েসে কত যে হাততালির অপচয় করেছি!
'পুরো পৃথিবী-কেই নিজের দেশ ধরে নিলে, আর কোন সমস্যা থাকে না। ' এটা largely প্রচণ্ড একটা vague concept।
সেটা ভাবতে গেলে পৃথিবীর অনেক কিছু এত বদল হতে হবে তবেই সম্ভব। সেটা আগামী পাঁচশো বছরেও হবেনা।
@aranya দা, কাশ্মীরের সবাই ভাল আছে। অন্তত তাই তো মনে হয়। ওদের তো বছরের পর বছ্র লকডাউন থাকে। তাই এই লকডাউনে বিশেষ কিছু হচ্ছেনা । একজনের বিয়ে হয়ে গেল। ওরা কী বাচ্চা বয়েসে বিয়ে করে! ২৫ বছর বয়েস।
একটা খবর ভাল না। আঠেরো বছরের দুটি কিশোরের মধ্যে একজনের NEET র ফলাফল দেখে দেবার জন্যে ফোন করেছিল। সে কোয়ালিফাই করতে পারেনি।
মূর্তি ও আনুষঙ্গিক সাজসজ্জা বানানোর বিশাল ইন্ডাস্ট্রি, সেটাকে কোনোভাবে কমপেনসেট না করলে তো চলবে না। কত লোকের রুটিরুজি। তারপরে আছে ক্লাবের ব্যাপার, তারাও বলবে আমরা ঝলমলে বিরাট বিরাট মূর্তি ছাড়া কী করে জাস্টিফাই করবো এত টাকা নেওয়া? তারপরে আছে ধর্ম ও ট্রাডিশন, সাকার সাধনা ইত্যাদি, সে এক বিশাল জটিল জাল।
তাও সবই রিপ্লেস করা সম্ভব, কিন্তু অনেক ছোটো ছোটো বিপ্লবের ভিতর দিয়ে যেতে হবে। ঃ-)
:-), অস্ট্রেলিয়ার ল্যাম্ব ad টাও থাক ,সেবারেও হিন্দুরা বেজায় চটে ছিল:
মাসানিরা পলিটিক্যাল ফ্যামিলি। তাদের উত্তারাধিকারের খুব প্রয়োজন হয়। ওদের এই ব্যাপার তো আছেই। ওদেশে থাকলে ইমিগেন্টদের রাজনীতি ও জনজীবনে ভূমিকা অতি সীমাবদ্ধ। জাহির মাসানির বিলেতে থেকে যাওয়ার একটি অন্যতম কারণ হল উনি সমকামী। সত্তরের দশকে ভারতে সমকামী হয়ে জীবনযাপনে কোন পজিটিভ ভবিষ্যৎ ছিল না। উনি ভুগতে রাজী ছিলেন না। England was then opening up. কিন্তু সে ব্যাপারে বাড়িতে বলা সম্ভব হয়নি। তবে পরে মনে হয়েছিল ওর সিদ্ধান্তে ভুল ছিল না। উনি বহু বছর সুখী partnered জীবন কাটিয়েছেন ওদেশে। প্রফেশনের ক্ষেত্রেও দেশে থাকলে যে স্বাধীনতা পেতেন না, ওখানে তা পেয়েছিলেন। .
"এর বদলে শাকম্ভরী অবতারে(বৃক্ষদেবী হিসেবে) পুজো করা বরং ভালো, রিচুয়াল হিসেবে কিছু বৃক্ষরোপণ করা হল হয়তো, সারাবছর যত্ন নেওয়া হবে, মন্ত্রে এই শপথ নেওয়া হল।"
অসাধারণ !
এই বছর থেকে সার্বজনীন শুরু হলে সবচেয়ে ভালো হত ! সুযোগ ও ছিল ।
এতে করে অর্থনীতির কোনো সমস্যা হবার কথাই নয়, বরং দেখা যেত বৃক্ষরোপন আর যত্ন কে কেন্দ্র করেই আরেকটা ব্যবসার পথ তৈরী হয়েছে ।
এই কার্টুন নিয়ে আম্রিগার হিন্দুরা নাকি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন -
ঠিক ঠিক! কাল ও সম্পাদক বোধায় এটাই বল্লে, মগজে সেঁদোয় নি!
কিন্তু ঐ আলাদা আলাদা ট্যাব্গুলো নজরে এলো না ক্যানো! সেগুলো তো আর রাতের তারা নয় যে দিনের লিস্টে লুকিয়ে থাকবে! পুরোনো ওব্যেস? ট্যাব্গুলান কি একটু বাহারি করা উচিত?
জনস্বার্থে জিগোলাম আর কি! আমার তো সমস্যা চুকেই গ্যাছে
আমাদের পাড়ার পুজোয় এবারে প্রতিমা হবে না, ঘটে পুজো হবে। আশেপাশের অনেক পাড়াতেই তাই হবে। বেঁচে যাওয়া অর্থে দরিদ্রদের বস্ত্র ইত্যাদি দেওয়া হবে।
মাঝে মাঝে আমার মনে হয় এই বিশাল বিশাল প্রতিমা গড়ে পুজো, পরে আবার বিসর্জন ---এই ব্যাপারটা পরিবেশবান্ধব নয় ঠিক। এর বদলে শাকম্ভরী অবতারে(বৃক্ষদেবী হিসেবে) পুজো করা বরং ভালো, রিচুয়াল হিসেবে কিছু বৃক্ষরোপণ করা হল হয়তো, সারাবছর যত্ন নেওয়া হবে, মন্ত্রে এই শপথ নেওয়া হল। ঘটে পুজোও ভালো। ওরকমভাবে তো বিসর্জন দিতে হয় না।
যদি কেউ বলেন, ধুনুচি নাচ টাচ বাদ দিলে আর রইল কী? নাচ বাদ দেবার দরকার তো নেই। নাচবে তো মানুষেরা, তারা নাচুক না! তারজন্য অত বিশাল বিশাল মূর্তির প্রয়োজন কী?
কিন্তু অর্থনীতির একটা বিরাট ব্যাপার আছে, সেটাকে অস্বীকার করা কঠিন। তার সমাধানটাই কঠিন। সেটার রাস্তাই হয়তো খোঁজা হবে ভবিষ্যতে। কী করে পরিবেশবান্ধব দুর্গোৎসবও হয় আর অর্থনীতিও সচল থাকে।
বহু মানুষ বিদেশ থেকে পড়াশোনা করে ফেরত আসার পর দেশে একটা ভয়ঙ্কর প্রতিকূল কাজের সমস্যার মুখোমুখি হন। যার জন্য অনেকেই ফিরে যেতে বাধ্য হন। বাধ্য - এই কথাটা শুনতে অদ্ভুত লাগতে পারে, কিন্তু বাস্তব। কেউ না ফিরে এলে না আসবেন, "আমাদের থাকার জায়গা নয়", সেন্টিমেন্ট আমার মাথায় ঢোকে না।
কোন মামলা হলে আদালত তা নিয়ে রায় দেয়। মন্ডপ তৈরী শুরু হওয়ার আগে এ নিয়ে কোন মামলা হয় নি মনে হয়, পরে হয়েছে।
অবশ্য, খুব বিরল অবস্থায়, আদালত নিজে উদ্যোগ নিয়ে কোন রায় দিতে পারে, মামলা না হলেও