পুরো পৃথিবী-কেই নিজের দেশ ধরে নিলে, আর কোন সমস্যা থাকে না। মিনু মাসানি-কে এটা বলতে হত
বাংলা অনুবাদে লেখা থাকতো, গোচিনি ও ইউদেরজো। আমার এক ডেঁপো ভাই বলতো, রবীন্দ্রনাথ এঁকে নিয়েই লিখেছিলেন, "আমি চিনি গোচিনি তোমারে" ঃ-)
মণ্ডপ তৈরী হবার পর তাকে কি দর্শকশূন্য রাখা যায়? এ কেমন তুঘলকী রায়? তার থেকে এ বছরটা মণ্ডপ না করলেই বা কি এমন ব্যাপার হত? বাড়ির পুজো, হাউসিং কমপ্লেক্সের পুজোয় অন্তত কনট্যাকট ট্রেসিং সম্ভব ছিল। এখন দেখার যে পুজোর পর একটা ওয়েভ আসে কি না, বা কত নতুন কেস ডকুমেনটেড হয়।
অর্জুন, তোমার কাশ্মীর-এর বন্ধুদের থেকে কোন আপডেট পাচ্ছ ? কেমন অবস্থা এখন?
মিনু মাসানির ছেলে বলেছিল উনি যখন ইংল্যান্ডে পড়তে যান তখন ওর বাবা বলেছিলেন 'পৃথিবীর একটা সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছো যাও । কিন্তু দেশে চলে আসবে। ওটা আমাদের জন্যে থাকবার জায়গা নয়। আমিও গেছিলাম। ফিরে এসেছি। '
উনি যখন এলেন না, পিতা ও পুত্রের মধ্যে চিরকালের জন্যে বিচ্ছেদ হয়ে গেছিল।
ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মীরা অসম্ভব ক্লান্ত, প্রায় ৮ মাস ধরে একটা যুদ্ধ চলছে, কোভিডের বিরুদ্ধে। কলকাতা হাইকোর্ট রায় দিচ্ছে, মন্ডপ দর্শকশূন্য রাখতে - ডাক্তাররা সমর্থন জানাচ্ছেন, পুজোকমিটি বিরুদ্ধে, সরকার নীরব।
সরকারের কিছু যায় আসে না। মানুষ মরুক, ভোট পেলেই হল। লোকে রাস্তায় নামবে, মাস্ক পড়বে না অনেকেই, সংক্রমণ বাড়ছে, আরও বাড়বে, মৃত্যু বাড়বে, ডাক্তারদের পেটানো হবে -এ এক বিচিত্র চিত্র
গত চল্লিশ পঞ্চাশ বছর ধরে এত অতিরিক্ত ভারতীয় অ্যামেরিকা গেছে আবার থেকেও গেছে এবং নিঃশ্বাসে প্রশ্বাসে অ্যামেরিকা উচ্চারিত হয় যে ওই দেশটা নিয়ে কোন আকর্ষণ রইল না।
কমিকসের কথায় কথায় এ বছর অ্যাসটেরিকসের ৬১ বছর পূর্ণ হল। কমিকসের ট্রান্সলেশন কতটা মনোজ্ঞ হতে পারে, অ্যাসটেরিকস পড়লে বোঝা যায়। উদেরজো অবশ্য আরো বেশ কিছু ভাল সিরিজ লিখেছেন। Goscinnyর লেখা Iznogood সিরিজ অনবদ্য। ভদ্রলোক অকালে মারা গিয়েছিলেন।
দুটো পুজো হয়। একটা অ্যাসোসিয়েশন। একটা লেডিস ক্লাবের। আমি একটাতেও যাব না। বিকেলে হাঁটতে বেরিয়ে চোখে পড়ল । লেডিস ক্লাবের প্যান্ডেল ছোট ও কমপ্যাক্ট করেছে দেখলাম।
আমাদের ফ্ল্যাট থেকে দুটোতেই চাঁদা দেওয়া হয়। এবার দিয়েছে কিনা জানিনা।
দুটো গ্রুপের মধ্যে রাইভেলরি খুব। প্রতি বছর নাকি দশমীর ভাসানের পরে ঝগড়া হয়ে এদিকের সদস্য ওদিকে, ওদিকের সদস্য এদিকে চলে যায় । :-) অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সংখ্যা বাড়ছে বলে শুনেছি।
@অর্জুন, বুঝেছি। :-)
অরণ্য, সম্পাদক মশাইয়ের কমেন্ট যে আপনাকে ভাবিয়েছে, দেখছ ভাল লাগল। ওরকম হয়। ট্রাম্পের পাল্লায় পড়লে লোকে অল্পবিস্তর মেগালো হয়ে ওঠে।
অর্জুন,
কলকাতায়, তোমাদের পাড়ার দিকে দুগ্গাপুজো কেমন হচ্ছে, লোকজন বেরোচ্ছে রাস্তায়?
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে অক্সিজেন দিতে হচ্ছে। আশাকরি ভালো হয়ে উঠবেন ।
নিউ জার্সীর কল্লোল আম্রিগায় প্রথম দুগ্গাপুজো শুরু করে, এ নিয়ে কোন সন্দেহই নেই। দেখেওছি সে পুজো, নেহাত বয়সজনিত কারণে সালটা ঠিক স্মরণে আসচে না
এদিকে আং ইশেন বলে দিয়েচে, আম্রিগার নির্বাচনে নাকি 'পৃথিবীর ভাগ্য নির্ধারিত হচ্ছে'।
আম্রিগা নিয়ে বেশী হাউ-চাউ হচ্চে বলে পিটি আর লেখেন না, নিউজিল্য্যন্ড-এর নাম না করলে অরিন মেন্টাল মডেল সারাতে চান, তার মধ্যে স্বয়ং সম্পাদক যদি এ সব লেখেন
কতদিক আর সামলাব :-(
আমি কাগজ টাগজ খেতাম না। ঃ-) আমি খুব বাধ্য, বাচ্চা ছিলাম। এটা সাহিত্যের স্বাদ । বোধের স্বাদ । @ অরিন-দা
টার্গেট প্রথমে ভাল লাগত না। আনন্দমেলা, শুকতারা বেশী ভাল লাগত। পরে ভাল লেগে গেছিল। তবে আমি ক্লাস ফাইভ থেকে লুকিয়ে বড়দের ম্যাগাজিন পড়তাম । এখন ভাবলে অবাক লাগে তখন বাড়িতে সাত, আটটা ম্যাগাজিন আসত।
"নতুন টইগুলো সার্চে পাওয়া যায় না, পুরানো টই তোলা যায় না"
সব আছে, পাওয়া যায়, টইতে উঠেও আসে - 'সদ্য আলোচিত' ক্লিক করলেই
কেউ কিছু খুঁজে পায় না, এদিকে আমি পাই --- এবং সেটাও জাস্ট পাতি সার্চ মেরে, এই যেমন "নিওলিথিক" শব্দটা দিয়ে আর কিছু চেঞ্জ না করে মেরে দিলাম সার্চ, দিব্যি রেজাল্টে চলেও এল
অরিনদা, that was a sixer!
মডেস্টি পড়েচি। ওটাও ব্রিটিশ কমিক। নভেল থেকে এডাপ্টেড।
ম্যাক্লাক্সির বন্ড স্কেচ হোলো রাগেড বন্ড এর ফার্স্ট লুক। পোস্ট ওয়র বন্ড কে আঁকতে গিয়ে মূল ইলাস্ট্রেশনের বাইরে বেরিয়েছিলেন। হোরাক ভাল লাগত স্ট্রেট লাইনের ইউজ এর জন্যে।
ভালো শিল্পের কী অদ্ভুত গুন, যা একটা থারকি বাচ্চা ছেলের চোখেও অন্য সব ছাপিয়ে ধরা দেয়। মনে আছে, খুব ঝুঁকে পড়ে নিউড স্কেচের মজা নিচ্ছি, শরীরে যা পুলক ইত্যাদি ত হচ্চেই, কিন্তু চোখ সরালে, সপাট সব স্ট্রেইট লাইন, কী সব স্ট্রোক!! সেই বয়েসে স্কেচ বলতে ইস্কুলের বাথরুমে গোল গোল ফ্যালিক আদিকলা এবং আঁকার ক্লাসে আপেল কুমড়ো :))) হোরাকের নিউড মাথায় বসে গেসল অজান্তেই।
নতুন টইগুলো সার্চে পাওয়া যায় না, পুরানো টই তোলা যায় না! কি নিদারুন যন্ত্রণা
এই জন্য কবি বলেছেন ট্রাম্পই এই গুপ্তচক্রের সমাধান।
এদিকে গোল্ডম্যান স্যাকস আর গ্যাম্বলিং মার্কেট - সবাই বলে ব্লু ওয়েভ।
(ভাগ্যইস ব্লু ফিলিম বলে নি )
"পুঁথিকাটা ওই পোকা
মানুষকে জানে বোকা
পুঁথি কেন যে সে চিবিয়ে খায় না
এই লাগে তার ধোঁকা।"
এইটা কোথায় ছিল? লিপিকায়? নাকি অন্য কোথাও?
অর্জুন:" প্রচুর কমিক্স থাকত। তবে স্বাদে ভারতীয় ম্যাগাজিন গুলোর চাইতে একেবারে অন্যরকম।"
ছোট বয়সে অবশ্য অনেকে কাগজ খায়। তবে আজ অবধি কাউকে কাগজের স্বাদ নিয়ে মন্তব্য করতে দেখিনি। বেশ ইন্টারেস্টিং।
গুরুচন্ডালি সাইটে একটি লেখা ছিল, "দুর্গাঃ এক নিওলিথিক উত্তরাধিকার", এইরকম একটা নাম ছিল লেখাটার। লেখাটা খুঁজে পাবার কোনো উপায় আছে?
অমর চিত্রকথা প্রচুর পড়তাম । এখনো সেগুলো আছে। ডায়লগ ুলো পড়তে খুব ভাল লাগত। একটা ইংরেজি ম্যাগাজিন রাখতাম আমি। নাম Target। প্রচুর কমিক্স থাকত। তবে স্বাদে ভারতীয় ম্যাগাজিন গুলোর চাইতে একেবারে অন্যরকম।
এ বিষয়ে ডকুমেন্টেড গুলটি যেহেতু আপনি দিচ্ছেন সেই জন্যে অবশ্যই জানতে হবে কে পেন্সিল দিয়ে তাকের কোনে দুর্গা ঠাকুরের ছবি এঁকে পুজো করেছিল ? পূজকের নাম কি? গুল ইনকমপ্লিট রাখলে হবে না। @Icm
যাইহোক, ম্যাসাচুসেটসের কোহাসেটের বেদান্ত সেন্টারে প্রথম দুর্গাপুজো হয়েছিল,১৯৩৪ সালে। তবে শুধুই ঘট পুজো। মূর্তি পুজোর সূচনা ষাটের দশকের শেষে
আর ছিল অমর চিত্রকথা। ছবিওয়ালা গল্পের বই। ইতিহাস ও পুরাণের নানা গ্রাফিক গল্প।
এখনও কি অমর চিত্রকথা বের হয়?
জেমস বন্ড পড়েছি, কিন্তু নিয়মিত না, আজকাল অব্শ্য খুব বেশিদিন রাখা হয়নি, আমাদের ওদিকে তখন কোন কাগজ আসবে না আসবে সে নিয়ে অনেক অসুবিধে ছিল, আবাপর এত শক্ত নেটওয়ার্ক তাও বছরখানেক আনন্দবাজার পত্রিকা, অন্য সময় বছরখানেক দেশ আসা বন্ধ হয়ে গেছিল। তো আজকাল যখন রাখা হতো তখন বেশি ছোট, জেমস বন্ড যাবতীয় ব্যাপার স্যাপার সহও টেনে রাখতে পারেনি!
পড়তাম মডেস্টি ব্লেজ, টেলিগ্রাফে (নাকি অন্য কোন?) বেরুতো। চমৎকার ড্রয়িং, কেন্দ্রীয় নারীচরিত্র, অকেশ্যনাল ন্যুডিটি সে খুবি আকর্ষনীয় কমিক্স ছিল।
গোয়েন্দা রিপ কার্বি ছিলেন আমাদের এক আত্মীয়ার খুবই প্রিয়। ছোটোবেলা থেকেই গোয়েন্দা রিপ পড়তেন। তবে তিনি আলাদা কমিক্স বই পান নি, খবরের কাগজে যা বেরোতো সেইটা পড়তেন।
আমাদের সময়ে ইন্দ্রজাল কমিক্স বলে একরকম অতি পাতলা কাগজের ছিলছিলে রঙীন বই বেরোতো, সেইখানেই পাওয়া যেত অরণ্যদেবকে। ম্যানড্রেককেও। কারোলা বলে এক রাণী ছিলেন ম্যানড্রেক সিরিজে, সম্রাট ম্যাগননের রাণী, সম্রাজ্ঞীই বলা যায়। তাঁকে আমাদের বন্ধু বলতো, করোলা খাওয়া রাণী। তাঁর নাকি মুখ এমন দুঃখী, অত্যন্ত তেতো করোলা খেলেই অমন হয় মুখ।
রোব্বারের জেমস বন্ড কমিকস পড়তে না? ম্যাকল্যাক্সি - হোরাকের দুরদান্ত স্কেচ! যদিও প্রথমবার চোখ বুলোনর সময় চোখ শুধু ঢালাও নুডিটি খুঁজত :)))
সেই টেলিভিশন পত্রিকা নিয়ে ক্যাচালের সময় আজকাল এটাও তুলে দিল!!
আর ট্রাম্প নিজেই বলে দেয় যে অমুককে মারো, তমুককে ধরো। তোমায় সাহায্য করবো, যদি বাইডেনের ছেলের নামে ইনভেস্টিগেশান শুরু করো। বাইডেন বা হিলারী বা ওবামাকে কেন অ্যারেস্ট করা হচ্ছেনা, ওরা আমার নামে খুব খারাপ খারাপ কথা বলে, আমাকে ইলেকশানে হারাতে চায়। ট্যাক্স দেবোনা। ইলেকশানে বিদেশের সাহায্য নেবো। হোয়াইট হাউসে নিজের ফ্যামিলি নিয়ে বসে নিজের ব্যবসায় লাভ করে। শুধু নিজের গল্ফ কোর্সে খেলতে যায়, আর আমেরিকার সরকারকে কয়েক লাখ ডলার বিল করে দেয়। মহিলাদের ঐখানটা ধরবো। বাচ্চা এবং নিজের মেয়ের সম্বন্ধে যা বলেছে, সেসব ছেড়েই দিলাম।
ছোটোবেলা থেকেই কর্মখালির বিজ্ঞাপণ পড়ার অভ্যাস? খুবই দূরদৃষ্টি ছিল। ঃ-)