গুরু পদ্ধতিতে, truTi = ত্রুটি
না, আতোজ জিজ্ঞেস করলো তাই - রিসেন্ট কিছু মনে হয় না।
উরিত্তারা, পোস্টে ঠিক এসেছে
r2h, গতকাল আপনি আর অটোজ বাচ্চা পেটানো নিয়ে আলোচনা করছিলেন। রিসেন্টলি কি কোনো ঘটনা ঘটেছে নাকি? নাকি আগের কোন ঘটনার বা এই সম্পর্কিত কোন টই এর আলোচনা করছিলেন আপনারা?
ত্রুটি কি করে লিখি? ত্রূটি লেখা যাচ্ছে!
আজকাল ব্যাঙ্কের তথ্য চুরি খুব বেড়েছে, ওদের বলে জামতাড়া গ্যাং, কিন্তু জামতাড়া শুনলেই আমার মনে হয় 'আমরা যাবো জামতাড়াতে চড়বো কেমন ট্রেইনে', ওদিকে হাতরাস নিয়ে আছে '...চারজন হাড়গিলে ছোকরা কাৎরাতে কাৎরাতে চললো হতরাসের দিকে...' (কার লেখা যেন?), পঞ্চাশ একশো বছর আগে ঐসব অঞ্চল বাঙালীদের কাছে মনে হয় নির্ঝঞ্ঝাট বেড়ানোর পশ্চিম, দেহাত, অরণ্যের বা জঙ্গলের দিনরাত্রি ঐরকম ছিল। হঠাৎ করে এইসব গুহামানবের উপদ্রব হলো যারা ধর্ষকের মুক্তির দাবিতে আন্দোলন করে, ফ্রিজে মাংস রাখলে পিটিয়ে মেরে ফেলে? নাকি এইসব ছিলই, বাঙালী পর্যটক ভদ্রলোক অন্য জগতের লোক ছিল, দুই পৃথিবীর দেখা হতো না? নাকি লবটুলিয়া বইহার থেকে আজকের শহর গঞ্জ মফস্বলের যাত্রাপথের ভাড়া এইসব?
(বিহার ইউপি হরিয়ানা সব আলাদা, আমি হরেদরে গোবলয় এক করে ভাবছি)।
ডিরেক্ট কপিপেস্ট করেছিলাম কিছু ইমেজ। সেগুলো নেই। আজ ভোরেও ছিল।
আপনার লেখায় যে ইমেজগুলো আছে , যেমন - ---http : // postmyimage.com/img2/591_Russian.jpeg --- এই সাইটের postmyimage.com ইমেজগুলো আর কাজ করছে না । যদি ইমেজগুলো আপনার কাছে থাকে, তাহলে এডিটর মেনুর ডানদিকে i বাটন ক্লিক করে আপ্লোড করতে পারেন।
খেরোর খাতায় কিছু ছবি দিয়েছিলাম, কালকেও দেখা যাচ্ছিল। এখন আর নেই।
খেরোর খাতায় ভিডিও কেমন করে আপলোড করব?
টেকনিক্যাল টিমের সাহায্য চাইছি।
কেসটা সত্যি।
তবে হোওয়াইট হাউস এ বক্তৃতায় ট্রাম্প জেঠু যেভাবে হাপাচ্ছিল ভোট অব্দি টিকলে হয়। শ্বাস কষ্টের সবকটা লক্ষণ ই দেখলাম। মনে হচ্ছে কেস টা সত্যি।
কোভিড er পরামর্শ টা নিশ্চই মোদিজি দিয়েছেন . এই ট্রিক টা ঠিক আমেরিকান নয় .
ট্রাম্প বহুদিন ধরেই মাস্ক ছাড়াই এদিক সেদিক ঘুরে বেড়ালো। বহু লোকের মাঝে দাঁড়িয়ে সভা করলো। মাস্ক ছাড়াই হোয়াইট হাউসের রোজ গার্ডেনে নতুন জাজের নাম ঘোষণা করলো, চারদিকে একগাদা লোক। হোপ হিক্সের কোরোনার সিম্পটম আছে জেনেও ফান্ড রেইজার ইভেন্টে গেল। ডিবেটে খারাপ পারফর্ম করতেই কোভিড ধরা পড়লো। তারপর হাসপাতালে চলে গেলো। সেখানে কাজ দেখানোর নামে সাদা কাগজে সই করলো। একদিন পর কয়েকমিনিটের জন্য গাড়িতে করে ঘুরে এলো। আবার পরেরদিনই হোয়াইট হাউসে ফিরে এলো।
এই যদি কোনও ডেমোক্র্যাট করত, কনস্পিরেসির লোকেদের ফিল্ড ডে হত। তাতে অবশ্যই জর্জ সোরোস আর ক্লিন্টনকে দায়ী করা হত (কনস্পিরেসির লোকেদের বাড়িতে জল না এলেও এদের দায়ী করা হয়)। হয়ত বিল গেটসকেও (এটা নতুন হয়েছে)।
কিন্তু ট্রাম্পের ক্ষেত্রে কোনও গল্প নেই। কারণ পুতিন বারণ করে দিয়েছে।
আচ্ছা মল্লরা তো আগে মাল্ব ছিল,তাই না?
কে একজন জানতে চেয়েছেন চন্দ্রগুপ্তের অম্বল হয়েছিল কিনা। সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দিতে পারছি না। ভদ্রলোক উপোষ করে মারা গিয়েছিলেন। সে ওই অম্বলের জ্বালায় কিনা কে জানে?
আরে কে এক রাহটোগি বলে বেড়াচ্ছে দেখলাম, সতীদাহ অতি ভালো প্রথা ছিল। ব্রিটিশের দালাল রামমোহন সেই ভালো প্রথা নাশ করে দেশের সর্বনাশ করেছেন।
ঠিক এই জিনিস না বললেও এই টোনে কথা আরও অনেকে দেখি বলছে সম্প্রতি।
ধাক্কা কি আর সবসময় আসে ভাবলেই -? সেই সুইস চিজ হোলের মতো অনেক গুলো ফ্যাক্টর একসাথে এলাইন হয়ে গেলে জোর ধাক্কাটা পড়ে নাহলে অনেক সময়েই বুদ্বুদের মতো মিলিয়ে যায়।
যেমন রামমোহন বিদ্যাসাগর এর সময়ে -কলোনিয়াল রুল , সমাজের অব্যবস্থা অত্যাচার , ওনাদের নিজেদের মনের জোর -সব মিলিয়ে কয়েকটা জোর ধাক্কা পড়েছিল এই জগদ্দল মডেলে । তার রেশ এখনো কাটাতে পারেনি অনেকে . এই তো কদিন আগে দেখলুম বলিউড এর কোন একটা ৩র্ড গ্রেড এক্ট্রেস বলে বেড়াচ্ছে যে তেনারা নাকি ব্রিটিশের চামচা ছিলেন। কে দেয় এদের কেজানে.
বলেই বা কী হবে? এসব যে মানুষ জানে না বা দেখছে না তা তো নয়! শত শত বছর ধরে দেখছে। পাল্টাবার তাগিদ এলে দল বেঁধে পাল্টাবে, নাহলে যেমন চলছে তেমন চলবে। এ তো বাইরে থেকে হবার নয়, সমাজের ভেতর থেকে ধাক্কাটা আসতে হবে।
ভেরি টু। আমাদের ঘর বাড়ি বা সমাজ সবকিছুতেই তো নানা ধরণের খাপের অত্যাচার . প্রচন্ড রিগ্রেসিভ। মডেল হলো সব জায়গায় একজন আলফা ডগ থাকবে , আর তার চাদ্দিকে বা ফ্যামিলিতে বাকিরা তার জাস্ট মিয়ার ফলোয়ার বা ক্রীতদাস ।
আবার ঠিক তার ওপরের লেভেলেই সেই আলফা ডগ নিজেই তার বসের পা চাটা ক্রীতদাস হয়ে যায়. যত জোশ বা চোটপাট শুধু তার দলের বা ফ্যামিলির দুর্বলের ওপর।
ইন্ডিয়াতে ডেমোক্রেসি জাস্ট নামেই .. আমাদের সবকিছুই এখনো পুরোনো মনার্কি মডেলে চলে। রাজা জমিদার এদেরকে নিয়ে আদিখ্যেতা দেখলেই বোঝা যায়।
প্রচুর ছেলেও টর্চার্ড হয় , আপন লোকের হাতেই, তারা আরও বেশী নিশ্চুপ থাকতে বাধ্য হয়। সাপোর্ট দূরের কথা, সমাজ হাসবে, ব্যঙ্গ করবে। কোনো প্রতিকার তো হবেই না, ছাপমারা লুজার হয়ে যাবে সে। তাই মীটু তে পুরুষদের টর্চার্ড হবার খবর প্রায় আসেই নি, প্রায় কেউই বলতে পারে নি ছোটোবেলা তারা কী বীভৎসভাবে টর্চার্ড হয়েছিল। সমাজের যা অবস্থা, বলতে পারবেও না অদূর ভবিষ্যতে।
ঐ যে আগে কায়্দা ছিল মেয়েদের দুঃখকে গ্লোরিফাই "চারযুগের জনমদুখিনী", সত্যে লক্ষ্মী, ত্রেতায় সীতা, দ্বাপরে রুক্মিনী, কলিতে বিষ্ণুপ্রিয়া ---এইসব জিনিস নিয়ে যাত্রা টাত্রা, এখন সেটাই নতুন ছদ্মবেশ নিয়ে এইসব লোকদেখানো ইজম হয়েছে। আসল বড়দা ঠিকই নিজের ক্ষমতাতেই রয়ে গেছে, সব ব্যাটাবেটীকে ক্রীতদাস বানিয়ে রেখে ছে।
গড়পড়তা ভারতীয় সমাজে ছেলেদের অবস্থাও খুব একটা বেশি ভালো যে, তাও বলা যায় না। অধিকাংশই নানা ইন্ডাইরেক্ট দাসবৃত্তি ই করে চলতে বাধ্য হচ্ছে, পদে পদে মাথা নোয়ানো আর হাত কচলানো। বাঁশ খাওয়া। মেয়েদের নিয়ে আলাদা করে বলা ও আসলে একধরণের পিতৃতান্ত্রিক চালাকি। ডিভাইড অ্যান্ড রুল পলিসি, যা নিজেরা লড়ে মর। আসল দাস সাপ্লাই অটুট থাকুক।
অটোজ , সেটাতো আছেই প্লাস এমনিতেও এভারেজ ভারতীয় সমাজে মেয়েদের স্টেটাস চিরকালই সেকেন্ড ক্লাস সিটিজেন এর।অনেক শিক্ষিত বাড়িতেও ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স বা অপমান করাটা খুবই কমন। সোশ্যাল সাপোর্ট বলেও কিছু নেই , মেয়েরা যে বেরিয়ে আসবে বা একা থাকবে সেই অবস্থাও সমাজে নেই। তাই মুখ বুজে সেই খানেই পড়ে থাকে অনেকে। প্রচুর মেয়ে নিজের ফ্যামিলির চেনাশোনা লোকের হাতেই টর্চারেড হয় কিন্তু মুখ খুলতে পারেনা। তাদের মায়েদেরও একই হাল মেয়ের হয়ে মুখ খুললে হয়তো দুজনকেই ভাগিয়ে দেওয়া হবে। এই তো অবস্থা। কোথাও বেশি আর কোথাও হয়তো কম বা কোথাও রিপোর্টিংই কম , এটুকুই যা ফারাক। পব তে রিপোর্টেড ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স ইন্ডিয়াতে এখন ২ন্ড না ৩র্ড।
প্রচুর ইন্ডিয়ান কে বাইরের দেশে এসে সেই নিয়ে ঘ্যান ঘ্যান করতে দেখি রেগুলার যে আমরা রোজগার করে ট্যাক্স দেব , আর সেই ট্যাক্সের টাকায় যত ডিভোর্সি ফ্যামিলিকে সোশ্যাল সাপোর্ট দেওয়া হবে। এই জন্যে নাকি এসব দেশে ইন্ডিয়ার মতো ফ্যামিলি ভ্যালুজ ডেভেলপ করেনা। আমি তো এসব শুনলেই সোজা এদেরকে মুখের ওপর বলি যে অত ফ্যামিলি ভ্যালুজ এর দরদ থাকলে দেশে ফিরে গিয়ে দেখাস , এখানে কেঁউকেউ না করে .
এই যে এত অপরাধী, এত ধর্ষক, এত খুনি তৈরী হয়, অধিকাংশই এই ব্যবস্থার ফসল। দুর্বল অবস্থায় মারধোর খেতে খেতে ছোটোবেলা কাটিয়ে বড় হয়ে "দুর্বলতর" এর উপরে শোধ নেয়। আসল জায়্গায়, অর্থাৎ যারা অত্যাচার করেছিল, তাদের তো কিছু করতে পারে না, অন্য যারা ওর চেয়ে দুর্বল, ওর হাতের নাগালে, তাদের উপরে শোধ নেয়।
চোখামতন একটা বাঁশ সঙ্গে থাকলে আরও ভালো। এইসব লোকের শিক্ষে হবার দরকার ছিল খুব। দ্যাখ ক্যামোন লাগে তোর নিজের ওষুধ তোর উপরেই প্রযুক্ত হলে।
রাস্তায় যেখানে সবচেয়ে বেশি খোয়াভাঙা ঠিক সেইখানে তক্কে তক্কে থেকে--মোক্ষম একটি ল্যাং। শঠে শাঠ্যং সমাচরেৎ।
ভয়ংকর বাড়চে এসব। বাচ্চা কার সঙ্গে কথা বলে, নতুন বন্ধু বা বান্ধবী, তার প্রতিটি গতিবিধি আজকের বাপ মায়েরা মেপেই চলেচে। নিজেরা রাস্ট্রের সারভাইল্যান্সের তলায় সর্বক্ষন, বাড়িতেও মিনি রাস্ট্র বানিয়ে প্রচন্ড হাসিখুশি " বন্ধুত্বপূর্ণ" মোড়কে বাচ্চার ওপর সারভাইল্যান্স চলেচে।
কোন কালে কী হত ভেবে, নিজেদের মহান ভাবার মুহুর্ত বোধহয় এটা নয়। এই সময়ে দাঁড়িয়ে এই সময়ের ইভিলকে চিনতে না পারলে, ভবিষ্যতের কোন ভাটপাতায়, আজকের বাচ্চারাও, এভাবেই গাল দেবে :))
লোকটাকে ল্যাং মেরে ফেলে দিত, তবে বুঝতাম ।
কী মুশকিল বাচ্চাটা পড়ে থাকবে কেন, সেও গল্প শুনেছে, স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে বন্ধুকে ল্যাং মেরে রাস্তায় ফেলেও দিয়েছে।
মারপিট খারাপ সে তো বটেই। নিজে বিশেষ খাইনি অন্যদের দেখে আর গল্প শুনেই পাজাঞ্জুরীতে তিড়িতংক লেগেছে।