হাওয়া বা স্রোত না থাকলে দাঁড় টেনে এগোনো যেত না ? মানে ভেলার পর ভেলার পর ভেলা দড়ি জোড়া করে আর তাতে দশজন করে দাঁড়ি। দাসপ্রথার যুগে তো ইজি রিসোর্স। কেও ট্রাই নেয়নি ?
নেহাৎ ই কৌতূহল :)
গোটা সাইটে প্র কৃ ত টই একটিই আছে - ভাটিয়ালি, আদিগন্ত জীবনের মত
হাওয়ায় হাওয়ায় এতকাল চলেছে? বিশ্বাস হতে চায় না। কয়লার ইঞ্জিন কবে থেকে চালু হল? মাত্র এই সেদিন। ঈশ, কী অবস্থা! :-)
সিনেমা বানালে ভাস্কোদাদার রাফায়েল জাহাজের ওপর জলফড়িং এর ঝাঁক দেখাতে ভুলবেন না।
ওইদিকে ভাস্কো দাদা কপালের ফেরে ঐ ঘোরা মৌসুমীর ধাক্কা পেয়ে জগদ্দল জাঁহাবাজ জাহাজ পার করে নিয়ে গেল সোজা কালিকটে! ঃ-)
আরে ধন্যবাদ তো আমি দেব,আপনি বছরে একটি করে অন্তত এমন গুরুতর প্রশ্ন তোলেন বলে না আমার এসব স্মরনে আসে। ধন্যবাদ আপনাকেই...
কনটিকি অভিযান শুকতারাতেও বেরিয়েছিল। । সে সেই অষ্টাশি উননব্বুই হবে। আরে সেইজন্যেই তো আমি হেয়ারডালকে কল্পনার লোক মনে করেছিলাম, ওই ফ্রান্সিসদের মতন। ঃ-)
চানাচুর খেয়ে এই উপলব্ধি হয়েছে যে আয়ুর্বেদিক বা হেকিমি সব চানাচুরই দিনের শেষে চানাচুর। যে নামেই তাকে ডাকুন না কেন!!
ওঃ, টেড টকটা শুনলাম। কী ভালো কী ভালো! বৃষ্টির পথ ধরে চলা ড্রাগনফ্লাইয়ের দল। চার প্রজন্মে মহাসাগর ভ্রমণ! অপূর্ব।
অনেক ধন্যবাদ কেলোদা।
মনে নেই ছোটবেলায় দেব সাহিত্য কুটীরের কোন এক পূজাসংখ্যায় কনটিকি অভিযান বেরিয়েছিল। তখন থেকে আমি ওনার ভক্ত। সে সাতের দশকে হবে তাই না ?
আর বলবেন না, আমি তো ছেটবেলা থেকে স্বপ্ন দেখতাম থরসায়েবের মত আমিও একদিন বেরোবো। তা যেদিন সামনাসামনি দেখা হয়েছিল আমি সোজা ওনার হাতে চিমটি কেটে বলছিলাম আপনি স্বপ্ন না সত্যি সেটা শিওর হতে চিমটি কাটলাম। আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরেছিলেন হাসতে হাসতে। শেষ অব্দি মনে রেখেছিলেন আমাকে। তবে মিশে বুঝেছিলাম একেবারে মাটির মানুষ। ডাউন টু আর্থ আর দরাজ দিল। সে অবশ্য সমুদ্রবিজ্ঞানীদের হয়েই থাকে,উনি তো সে অর্থে খাঁটি সমুদ্রবিজ্ঞানীও ছিলেন না।
সন্ত রবিদাস বলেছেন
যব মন চঙ্গা
তব কাটোরে মে গঙ্গা।।
খেয়ে বুঝলুম মন চঙ্গা হলে সব চানাচুরই হল গে আয়ুর্বেদিক চানাচুর।
থর হেয়ারডাল? ঈশ, কিংবদন্তীর লোক! বহুকাল বিশ্বাসই করিনি ওরকম মোচার খোলায় চড়ে মহাসমুদ্র পাড়ি দেবার কেসটা। ভেবেছিলাম তাত্ত্বিকভাবে প্ল্যান করেছেন, সত্যি সত্যি যান নি। ঃ-)
আয়ুর্বেদিক চানাচুর খেলেন? সিঙ্গুল k? কেমন সে জিনিস জানতে মঞ্চায়।
তবে এটা ঠিকই বলেছেন, আমি দেখেছি ধান ভানতে শিবের গীত গাওয়াটা সমুদ্রবিজ্ঞান ঘেঁষা লোকেদের একটা বদভ্যাস। অ্যান্ডারসন বাবুর বক্তৃতাটিই দেখুন,কোথা থেকে কি না টেনে এনেছেন।
আমার মুখোমুখি বসে চার্লস অ্যান্ডারসনবাবু, থর হেয়েরডালবাবু, এস জেড কাশিমবাবুর মত বেশ কিছু বাঘা বাঘা সমুদ্রবিজ্ঞানীর সঙ্গে কথা বলার অভিজ্ঞতা রয়েছে আমি দেখেছি সকলেরই একই দোষ।
তবে এঁদের সান্নিধ্য আমার সারা জীবনের সম্পদ।
সেই "বালুকাবেলায় আমি লিখেছিনু" কেস বলছেন? সাগরের ঢেউ দিয়ে তারে মুছিয়া গেলাম? না না সিরিয়াস, একটা টই খোলা দরকার। গ্রীক নাটকের একটা টই হয়েছে দেখলাম, নর্স বীরদের ব্যাপারেও একটা টই হওয়া উচিত। গ্রীক নাটক অতিশয় পিতৃতান্ত্রিক, ব্যাপারটা ব্যালেন্স করার জন্য নর্সদের আনা উচিত।
ধূরধূর আমার কত দামী দামী কথা ভাটিয়ালীতে হারিয়ে গেছে আপনি ছাড়া আর কেউ তো বুঝল না
কেলোদা, ভেবে দেখুন, হাল্কা কনটিকি টাইপের ভেলায় চড়ে চড়ে যদি ভাস্কোরা সমুদ্রে ঘুরতেন, কবেই ভারতে টারতে চলে গিয়ে একাকার করতেন। সর্বনাশ হয়ে যেত। অনেক আগেই এই ব্যাটারা ভারতে ডেরাডান্ডা ফেলত।
একটা টই খুলে এই আপনার উত্তরটা রাখা উচিত। মূল্যবান জিনিস আছে। সমুদ্র নেভিগেশন ভাস্কো ফড়িং মৌসুমীবায়ুর ঘুরান দেওয়া, নইলে সব ভাটিয়ালিতে হারিয়ে যাবে।
আরে! সিঙ্গল কে, অনেক অনেক ধন্যবাদ। জানতাম সমুদ্রের ব্যাপারে আপনাকে পাওয়া যাবেই। ঃ-)
বিলাতকোষ অনুসারে ভাস্কোবাবু এই কটি এইধরনের জাহাজ নিয়ে বেরিয়েছিলেন-
“Da Gama sailed from Lisbon on July 8, 1497, with a fleet of four vessels—two medium-sized three-masted sailing ships, each of about 120 tons, named the “São Gabriel” and the “São Rafael”; a 50-ton caravel, named the “Berrio”; and a 200-ton storeship.”
বিলকুল হাওয়া না থাকলে পুরো তিনটে মাস্ট এর পাল আনরিফ করেও ঐ গাম্বাট ১২০ টন ডিস্প্লেসমেন্টের জাহাজ নাড়ানো সম্ভব নয়। ইঞ্জিন নেই তো.. দাঁড় ফাঁড় টেনেটুনে খানিক এগোনো যেতে পারে, কিন্তু সে বিস্তর খাটনি মশাই। সামান্য হাওয়া থাকলে সমুদ্রস্রোতের বিপরীতে এমনকি আপউইন্ডও এগোনো সম্ভব কিন্ত হাওয়া আর স্রোত দুটোর কোনোটাই না থাকলে কি করবেন? একমাত্র ঐ বেরিও নামের হালকা পলকা কারাভেলটা নিয়ে এগোতে পারতেন, কিন্তু রেশন সাপ্লাই দেবার ২০০ টনের মালগাড়ি-জাহাজটাকে কিছুতেই কেপ অব গুড হোপ পার করানো যেত না। কারাভেলের কথায় মনে পড়ল, কারাভেলের পোর্তুগীজ হল কারাভেলা, যার থেকে বাংলা ভেলার উত্পত্তি। আহা, গেল বছর ঠিক এইরকম রাতেই বাংলা 'কুঁজো'র উত্পত্তি জিজ্ঞেস করে এই এটুজেডই আমাদের সারারাত কাবুলী কাওয়ালী শুনিয়েছিলেন।
বিলাতকোষে এও লিখছে যে --
“The fleet reached São Tiago (Santiago) in the Cape Verde Islands on the 26th, remaining there until August 3. Then, to avoid the currents of the Gulf of Guinea, da Gama undertook a long detour through the South Atlantic before attempting to round the Cape of Good Hope. The fleet reached Santa Helena Bay (in modern South Africa) on November 7. Unfavourable winds and the adverse current delayed the rounding of the Cape of Good Hope until November 22. Three days later da Gama anchored in Mossel Bay, erected a padrão on an island, and ordered the storeship to be broken up. Sailing again on December 8, the fleet reached the coast of Natal on Christmas Day. On January 11, 1498, it anchored for five days near the mouth of a small river between Natal and Mozambique, which they called the Rio do Cobre (Copper River).”
এই রইল ভাস্কোবাবুর বিলাতকোষের পেজের লিঙ্ক-
https://www.britannica.com/biography/Vasco-da-Gama
এ বিষয়ে আলোকপাত করতে আমি অবশ্যই শুধু নেভিগেশনের শুকনো তত্বে আটকে থাকব না। প্রখ্যাত সমুদ্রজীববিদ চার্লস অ্যান্ডারসন বাবুর এই মনোমুগ্ধকর টেড টকটির প্রতি আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষন করব-
https://www.ted.com/talks/charles_anderson_dragonflies_that_fly_across_oceans/transcript?language=en
সময় করে টকটি দেখলেই বুঝতে পারবেন যে ভাস্কোবাবু কপালগুনে ঐ যায়গাটা বছরের ঠিক এমন সময় উপস্থিত হয়েছিলেন যখন মৌসুমীবায়ু ঘুরছে, মানে ফড়িংদের ফেরার সময়। বিলাতকোষে দেখুন লিখছে নভেম্বর বাইশ থেকে পঁচিশের মধ্যে উনি উত্তমাশা অন্তরীপ পেরিয়ে পুবদিকে মোসেল উপসাগরের কোন দ্বীপে ওনার অধিকারের খুঁটি পুঁতে দেন। মানে সাও রাফায়েলের ভারতে আগমন একেবারেই দৈবনির্দিষ্ট।
আরবিজির প্রতি এসেনেলের ট্রিবিউট ভালো লাগলো।
চরিত্রগুলো সব, ' কাজ নাই কর্ম নাই/ বইস্যা বইস্যা ড্যাশ ফাটাই" টাইপ। অসহ্য
কারণ সব ক্রাইমেল মূলেই আছে গ্রীড বা রিভেন্জ বা দুটই।
আর গা জ্বলে যায় ভারতের গোয়েন্দা গল্প পড়লে। কোথায় কোন বাদশার আংটি, কোথায় কোন নেপোর বোতাম, কোথায় কোন শাজাহানের না জাহাঙ্গীরের মুদ্রা, কোথায় কোন ফড়নবিশের জরোয়া হার ----এইসব নিয়ে সব গোয়েন্দাকাহিনী। বাস্তবের সঙ্গে বিন্দুমাত্র মিল নেই। চেষ্টা পর্যন্ত নেই। এক জমিদার টাইপ লোক বসে আছেন, ঘিরে আছে মোসাহেবেরা। এই সেটাপে গোয়েন্দাগল্প , এই আবার তুমুল জনপ্রিয়। আফিম তো ধর্ম নয়, আফিম এইগুলোই।
"মেরা ভারত মহান" আসলে এখনও সামন্ততান্ত্রিক যুগেই আছে। বড়লোকের পোলারা বিন্দুমাত্র যোগ্যতা ছাড়াই কেম্ব্রিজ ফেম্ব্রিজে পর্যন্ত ঢুকে পড়ে। এই তো রা গা ই তো ঢুকেছিল। সবই হয় অর্থ নয় স্ট্রিং টানার ব্যাপার।
স্যান্ডি, দেখুন গিয়ে সেসবও বানোয়াট কিনা। বড় বড় বড়দা পেছনে থাকলে কোনো কিছুরই তো বিশ্বাসযোগ্যতা নেই।
আসলে ভারতে সায়েন্স কালচারটা গড়ে ওঠেনি। অংশু পান্ডের পিএইচডি দেখলাম ইউ শিকাগোর মত টপ র্যাংক স্কুল থেকে। ভাবতে অবাক লাগে এরকম অযাকাডেমিক প্রোফাইল থাকা সত্ত্বেও ভদ্রলোক ঠিক স্ট্রেটব্যাটে খেলার সৎ সাহস দেখাচ্ছেন না। ওনার ওয়েবপেজে কন্ট্রোভার্সিয়াল পেপারটি র কোন উল্লেখ নেই , এমনকি উনি যে হাই টি সি ফিল্ডে কাজ করেছেন সে তথ্যও বেমালুম চেপে গেছেন। হাইলি সাস্পিশাস !
ট্রাম্পের জন্য প্রে করলে হবে না , স্প্রে করতে হবে স্যানিটাইজার :-)
ট্রাম্পের জন্য প্রে করলে হবে স্প্রে করতে হবে স্যানিটাইজার :-)