কিন্তু, নায়্ক সিনেমায় জীবন ও কালীদা কোথায়?
শরৎচন্দ্র নিয়ে আর কী বলব। শিব্রামের টাকা মেরে দিয়েছিল। ভাবা যায়?
মনে হয় বলতে চাওয়া হচ্ছে আপ্রয়োজনীয় সেন্টি, যা না থাকলে মানুষের কিছু এসে যায় না, এবং যার মধ্যে মহত্তর কিছু নেই - তাই নিয়ে নৃত্যনাট্য অর্বাচীনতা
নায়ক
উফ্ফ্ফ্ফ্ফ
ই কি মহায়, আপনি 'naayaka' মুভি দ্যাখেন নি?
মনে হয় মেমরি বিশ্বাসঘাতকতা করছে না!
//এই কি জীবন কালীদা
- তারাপদ রায়
**********
এসব কথা ভুলে যাওয়া যায় না,
মনে রাখাও সম্ভব নয়।
মাঠের ভিতরে উড়ে যাচ্ছে হলুদ রঙের পাতা, এলোমেলো অন্যমনস্ক পাখি,
বটগাছের নীচে সন্ন্যাসীর পায়ের কাছে শুয়ে আছে বশংবদ কুকুর,
রাস্তার কল থেকে আঁজলা করে
লোহার গন্ধমাখা জল খাচ্ছে ইস্কুলের ছেলেরা।
দূরে মেঘলা আকাশ নীল রঙের শীতের দিন,
যারা জঙ্গলে গিয়েছিলো একজন ছাড়া সবাই ফিরেছে,
যে ফেরেনি তার কথা আলোচনা করছে বাজারের লোকেরা,
তার বুড়ি ঠাকুমা দাওয়ায় বসে কাঁদছে,
চায়ের দোকানের বেঞ্চিতে বসে
একজন আরেকজনকে বলছে, এই কি জীবন, কালীদা?
এ সব ঠিক মনে রাখার বা ভুলে যাওয়ার নয়,
থাকে অথবা হারিয়ে যায়
কারোর কিছু আসে যায় না,
শুধু শুধু একা বৃদ্ধা দাওয়ায় বসে কাঁদে,
চায়ের দোকানে নিরুত্তর চুপচাপ বসে থাকে কালীদা।
দূরে মেঘলা আকাশ, নীল রঙের শীতের দিন।//
অপূর্ব কবিতা। কোথাও কোনো কাব্যিক কিছু যেন নেইই, অথচ সবটাতেই গভীরভাবে আছে। এই ধরণের ব্যাপারকেই সাধুরা মনে হয় বলেন,' অনাসক্ত অনুরাগী, সংসারী সংসারত্যাগী'।
একটা লাইন কিন্তু বিখ্যাত হয়েছে। "এই কি জীবন, কালীদা?"। এটা যে তারাপদ রায়ের কবিতা থেকে, সেটা ক'দিন আগে মাত্র জানতে পারলাম, ফেবুতে একজন কবিতাটা পোস্ট করেছিলেন।
বোধি 'কবিতার শরৎচন্দ্র' পড়ে কুতুহল হলো,তোমার মতে বাংলা কবিতার হিমালয় টা না হোক যদি অন্তত বিন্ধ্য পর্বতটা কে যদি জানা গেলে বড় আনন্দ পেতাম:-)
তারাপদ রায় - কোনো কথা হবে না --- বাংলার, জেরোম কে জোরোম
না পোসালে পড়বেন না, মূল্য ফেরত।
আজকে ডিবেট। এইটাই দেখার যে খুড়ো কতবার ভুলে যায় আর আরেকজন কতহাজার মিথ্যা কথা বলে।
বি যথারীতি অসম্ভব সাটল:--))))। আরে তারাপদ সহ আনন্দবাজারের রমরমা র সময়ে বিখ্যাত হ ওয়া লেখক দের নিয়ে কুড়ি কেন , কোটি কোটি কোটি বার কথা বলুন , ওনাদের আরো বড় লেখক হতে সুবিধা হবে। লাইক আর শেয়ার এর মত এসেনশিয়ালি একটা ডিস্ট্রিবিউশন এর সাফল্য ই এই দুনিয়ায় শেষ কথা।
আমি আবার জিরোগুলো গুনলাম। :)
২০০০০০০+১
"49.37.85.133 | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৯:৪৫" এর অনুপ্রেরণা যদি আমার মাতাল জোকস সংক্রান্ত পোস্ট হয় তবে এইটুকুই বলার যে , আড্ডা ইত্যাদির সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই , ওই হিমানীশের নাম করে জোকস বিতরণ লিখিতভাবেই করতেন কাগজের কলামে বইতে , মাতাল সমগ্রতেও আছে | ব্যাস :)
এই নিয়ে কুড়ি লক্ষ বার কথা হয়েছে। সাধারণ মানুষ টা কিন্তু সম্পূর্ণ ঢপের পস্চারিং . কেউ নিজেকে সাধারণ মানুষঃ মনেই করে না আমি সাধারণ টা হলো অনেক টা আমি চা ওয়ালা , আমি না-লেখক এরকম টাইপের স্টেটমেন্ট। পসন্দের ইনসুলারিটিঃ কে ডিফেন্ড করাটাই উদ্দেশ্য। কোন মানেই হয় না। তারাপদ রায় মাঝে মাঝে আরও অন্য কয়েকজন নামি লেখক কে এই জন্যেই আমার খুব ই ইরিটেটিঙ লাগে। যদি ও ক্লিয়ারলি বড় প্রতিভা।
আড্ডার প্রাণকেন্দ্র হবার ক্ষমতা তো সহজাত, কিন্তু আমি অকারণে একজন লেখকের সংগে কেন আড্ডা মারব, ক্লিয়ার না।
কিন্তু অল্প যা পড়েছি, আরো অল্প যা ভাসা ভাসা মনে পড়ছে, তারাপদ রায় তো গোটাটাই সেন্টিমেন্ট এবং সেই জন্যেই বিরাট ইমপ্যাক্ট। প্রায় কবিতার শরৎচন্দ্র। ঐ "সাধারণ মানুষ" ইত্যাদি।
ওকে।
বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত
ওনার পুত্র কৃত্তিবাস রায়, এনারাইরা চিনলেও চিনতে পারেন।
ভদ্রলোক প্রেসিতে পড়তেন। পড়াশুনায় হয়তো ভালই তবে কিঞ্চিৎ চাট পাবলিক । মধ্য আশিতে প্রেসি-র কলেজপত্রিকাটি তুখোড়। উনি একটা কবিতা লিখেছিলেন, কবিপরিচিতিতে লেখা হয়েছিলোঃ 'উত্তরাধিকার সূত্রে অনাবিল হাস্যরসের উৎস। '
হ্যাঁ, ওই ইনকরিজিবল ওয়েতে আজেবাজে মাতাল জোক্স দিনের পর দিন বলে জাওয়া, অমুক টা " আমি হিমানীশের থেকে নিয়েছি " বলে নিপাট বদনে পরিবেশন, এ, মানে তুলনাহীন ঃঃ))))
এই লোক ই আবার মাথা ঘুরিয়ে দেওয়া ভাল গল্প লিখেছেন, নিঝুমপুরের সেই বিধবা, সেই পাগলি, অসহায় পোস্টমাস্টার ; ও জিনিস বাংলায় একদম আলাদা একটা জগৎ।
সৌল অফ আ ক্লাউন যাকে বলে, একদিকে বাজে পিজে, আরেকদিকে অদ্ভুত বিষন্নরস।
এককের "জেডি" কে বুঝতে পারি নি প্রথমে
তারাপদ রায়ের একটা সর্বস্তরীয় পাঠক আছে। নিতান্তই কেজো বাড়িতে দু চারটি বইয়ের মধ্যে একখান ৫০ টি সরস গল্প জাতীয় বই দেখেছি। এই যে ঘরে ঘরে পৌঁছে যাওয়া, সেটা লেখকের পারদর্শিতা না মাতালের প্রতি মানুষের কৌতুহল কে জানে:-)
তারাপদ পরিচয় পেলেন বস্তুত মাতাল বিশেষজ্ঞ হিসেবে, এ জিনিস ভাবতে বেশ গোলমেলে লাগে।
এই ব্যাপারটা আমাকেও খুব টানে। এটাকে বাংলা কবিতার বিবর্তন হিসেবেই দেখব। জেডি লিখলেন প্রচুর " যেন " দিয়ে, সিমিলির পর সিমিলি। বিনয় রীতিমতো ঘোষণা করে " যেন" থেকে সরে আসেন, সিমিলি কমিয়ে মেটাফর বাড়ান। তারাপদ, ভাস্কর এঁরা আরও একধাপ এগিয়ে, যেখানে মেটাফর কে কবিতার মধ্যে ব্যবহার নয়, পুরো কবিতাটাই জাগতিক আলাপের মত, বা গোটাটা একটা মেটাফর। কম্প্যারিজনের ব্যাপার নেই। আপাতসহজ পড়তে, আদতে ভেরি এডভান্সড ফর্ম। এভাবে লেখা কঠিন। তারাপদর ঠিক টিপিক্যাল বাংগালি কবি ভাবমূর্তি গড়ে ওঠেনি, সম্ভবত, ওই ওয়ান লাইনার সো কল্ড পোয়েটিক লাইন্স না লেখার জন্যে, ওই জিনিসগুলো আবার লোকে খুব পছন্দ করে।
ঠিক বলেছেন। পড়া শেষ হলে কোথায় যেন ধাক্কা মারে, কিম্বা উদাস করে দেয়। এ জিনিসটা আমি আরো কয়েকজনের লেখায় পাই।এখন মণীন্দ্র গুপ্ত, প্রণবেন্দু দাশগুপ্ত, রণজিৎ দাশ আর ভাস্কর চক্রবর্তীর কথা মনে পড়ছে।এদের লেখা বারবার পড়ি। বিশেষ করে প্রথম আর শেষজন। কাব্যভাষা থেকে সরে গিয়ে একটা দূরগত অবস্হানে দাঁড়িয়ে আপাত নিরাসক্ত ভাবে কবিতাকে দেখার ব্যাপারটা নাড়া দেয়:-)
ম, ধন্যবাদ।
সেরকম ভাবে ভাবলে তারাপদর লেখায় কখনো কোনো কাব্যিক পংক্তি নেই। `ভালোবাসা দিতে পারি, তোমরা কি গ্রহণে সক্ষম, `ভ্রূপল্লবে ডাক দিলে দেখা হবে চন্দনের বনে,' 'চৌত্রিশ বছর হয়ে গেলো কেউ কথা রাখে নি ' এরকম কোনো পংক্তি তারাপদের কলম কোনদিন দিয়ে বেরোবে না। চেনা শব্দ, খবরের কাগজের স্টেটমেন্ট, গদ্যছন্দের কথাবার্তা এসব দেখতে দেখতে হঠাৎ টের পাই, আরে, পুরো দস্তুর একটা কবিতা পড়ে ফেললাম তো! মিনিমাম সেন্টিমেন্ট, ম্যাকসিমাম ইমপ্যাক্ট।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল কাজ বন্ধ করে দিল ইন্ডিয়াতে। সরকার নাকি হাত ধুয়ে পিছনে পড়ে ছিল। মূল অভিযোগ নাকি কোথা থেকে ফান্ডিং আসছে, সেটা দেখার জন্য ইডি রেইড করেছিল দুবছর আগে। এনডিটিভিতে কমেন্টগুলো পড়লাম। এগুলো কি সবই আইটি সেল লেখে, নাকি সত্যি ভক্তের সংখ্যাও কম নয়। বেশ হয়েছে, শত্রু দেশের এজেন্সি (ইউকে), সরকার ভালো কাজ করেছে (আসলে এজেন্সি নিজেই কাজ বন্ধ করে দিল), ফান্ডিং কোথা থেকে আসছে (বিজেপির টাকা কোথা থেকে আসে সেসব নিয়ে কিন্তু কোনও প্রশ্ন করা যাবেনা) এইসব কমেন্ট। আসল কথা বেশ অনেকদিন ধরেই মোদি সরকারের সিভিল রাইটস সাপ্রেশান নিয়ে সমালোচনা করছিল।
জে এন ইউ, দেশের অভক্ত ইউথ, কুনার কামরা, পুরো কমেডিয়ান ক্ল্যান, রভিশ কুমার, এনডিটিভি, এনজিও, যারা অন্যরকম পোষাক পড়ে। মোদির আমলেই জানা গেল যে দেশের মধ্যে এত শত্রু রয়েছে।
তারাপদ রায়ের একটা কবিতা খুঁজছি। চাইলে ভাটিতে পোস্ট কত্তে পারেন, আবার একটু কষ্ট করে প্রিয় কবিতাতেও পোস্ট কত্তে পারেন
আমার খুব প্রিয় কবিতা এটা,মনে হচ্ছে আপনিও এটার কথাই বলছেন... টইতে দেখুন
তারাপদ রায়ের একটা কবিতা খুঁজছি। চাইলে ভাটিতে পোস্ট কত্তে পারেন, আবার একটু কষ্ট করে প্রিয় কবিতাতেও পোস্ট কত্তে পারেন। কবিতাটা অনেকটা এরকম, বহুদিন পরে পুরোনো পাড়ায় গিয়ে একজন চেনা ঠেকগুলো খুঁজছে, কিছুতেই কোরিলেট করতে পারছে না।
'শ্রেষ্ঠ কবিতা'য় নেই।