/এক লাইনে ভুল স্বীকার করা বা দুঃখপ্রকাশ করার মত ন্যূনতম সততাটুকু নেই।/
কিছু মানুষ আধ লাইনে 'ভুল স্বীকার করা বা দুঃখপ্রকাশ করার' ন্যূনতম সততাটুকুর নমুনা এখানে লিখিতভাবে রাখলে এবং এলেবেলে সেটা দেখতে পেলে, সে দু'লাইন লিখবে বলে প্রকাশ্যে ঘোষণা করে রাখল।
তারা তো আর ভুল করেননি, তেমনটা নয়। বিশেষত ভগোমানেরও যেখানে ভুল হয়।
এইযে একজিবিট এ।
বাঙালির পলিটিকাল কনশাসনেস একটু কম হলে হয়ত পশ্চিমবঙ্গের আজ এই হাঁড়ির হাল হতনা।
দ-দি একদম আমার মনের কথাটি বলে দিয়েছেন। দেখা হলে রসগোল্লা চেয়ে নেবেন।
সেই তুলনায় ব্যাঙ্গালোর আমার শহর হিসাবে পছন্দ হয়নি।
আনরিলেটেডঃ ব্যাঙ্গালোরে কিন্তু কনজারভেটিভ ইন্টেলেকচুয়ালিজমের চাষ হয়। লোকে বই প্রবন্ধ লেখে যে কেন ক্যাপিটালিজম ভালো, কেন কনজারভেটিজম ভালো, কেন বাজপেয়ী মোদি বিজেপিই ভারতকে মুক্তির পথে নিয়ে যাবে। উদাহরণ হিসাবে সবেতেই পশ্চিমী দুনিয়া দেখিয়ে দিত। এখন এইযে ইয়োরোপ-আমেরিকাতে লেফ্ট লিবারলদের লম্ফ ঝম্ফ, এটা অনেকেরই নাপসন্দ।
@ অরণ্যদা লিখতে চেষ্টা করবো | নেকড়ের সঙ্গে মিল আছে | তবে প্রধান সমস্যা কী , কুকুর মানুষের সংস্পর্শে আসার পর অনেকপালটেছে , আবার এইযে ভারতীয় নেড়ি কুকুর , এদের বিহেভিয়ার প্যাটার্ন অতি কমপ্লেক্স এবং এই নিয়ে রিসার্চ অলমোস্ট নিল | আমরা সকলেই যা পড়ে ধারণা করি সব ব্রিড ডগের ওপর কাজ | অর্থাৎ এম লেখার গুরুত্ব পার্সোনাল অবসার্ভেশনের বাইর একচুল ও নয় |
ছেলেপিলেরা
কলেজ
হে হে সে ত নব্বই দশক অনওয়ার্ডস ছেলেইলেরা গর্ব করে বলে 'আমি রাজনীতি বুঝি না'। একটা স্কুল বা ককেজ কোথায় হবে তার নির্নায়ক রাজনীতি, পাঠ্যসূচী কী হবে তার নির্নায়ক রাজনীতি। এদিকে অফিসে ঢুকে অবধি কার পেছনে কতটা চুকলি করে নিজে এগোন যায় সেই নিয়ে টনটনে জ্ঞান। ওদিকে 'আমি বাপু রাজনীতি বুঝি না' কিম্বা 'আমাদের স্কুলে কলেজে রাজনীতি ছিল না বাপু'
গাধার ইসে আর কি
গতকাল, লেক কোলেরিজ এর তীরে
"যাদবপুরে মফস্বল থেকে বাংলা মাধ্যম স্কুলের ছেলেমেয়ে আসত না?"
অপেক্ষাকৃত অনেক কম। তারাও যে সব একদম পলিটিকাল কনশাসনেস নিয়ে বড় হয়েছে, সেকথাই বা আর কি করে জোড় দিয়ে বলি।
একটা বয়েসে, বিজাতীয় শুন্তে নাম বেশি রেজিস্টার করে ঃঃ))) ফ্রাসোয়া মিতার্য। এত বছর বাদে মনে পড়ে গ্যাল। এখন এইরকম নাম এত শোনা যে মনেই থাকবেনা ঃঃ)
যাদবপুরে মফস্বল থেকে বাংলা মাধ্যম স্কুলের ছেলেমেয়ে আসত না?
সে আমার সাথে যারা যদুপুরে ইন্জিনিয়ারিং পড়েছে, তাদের একটা বিশাল অংশের মধ্যেও পলিটিকাল কনশাসনেস খুবই কম ছিল। অনেকটা ঐ আনন্দমেলা আর ওব্রায়েনদের কুইজ পড়া ছেলেপিলে। কথায় কথায় শুধু ইংরেজি বিদেশী নাম। সত্যজিত রায় কোন ফ্রেন্চ প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে কি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন সেটা জানে, কিন্তু জলসাঘর সিনেমার তাৎপর্য লিখতে পারবেনা।
বড়েস, এই মনকি বাত-্কে ডিসলাইক দেওয়া-র কোন পরিসংখ্যান aachhe?
একক, পাওয়ার রিলেশনের ব্যাপার-্টা আরেকটু লিখ, সময় পেলে। কুকুর আর নেকড়ে -দের মধ্যে কিছু সিমিলারিটি থাকতে পারে
কল্কাতা বন্দর ভোগে না গেলে এবং ইউনিয়ন লীডার ধরে ধরে খুন করার মত জবরদস্ত মাফিয়া পলিটিক্স নেক্সাস গড়ে ওঠার সুজগ পেলে কল্কাতাও বেটার হত। সিপিএম এর বদলে কংরেস খমতায় থাকলে সেকেন্ড পার্ট টা ত হতই। হায়!
হ্যাঁ পুনে এবং মুম্বাই দুটই খুব নিরাপদ ছিল। বিশেষ করে মহিলাদের জন্য। কিন্তু মারাঠিদের মধ্যে তো বামপন্থীও আছে অনেক। আমাকে একটা মারাঠী ছেলে মুম্বাইয়ের অফিসে হঠাত একদিন জিগেশ করেছিল যে পার্টির কি অবস্থা। আমি হেসে ফেলেছিলাম। অথ্চ আরেকটি মারাঠি ছেলেই বুঝতে পারছে না কোন পার্টির কথা বলা হচ্ছে।
কর্নাটকে ভক্তিপ্রবন শ্রেণি প্রধানত বাংগালি। এক্টু বাঁশের চে কন্চি কেস আচে। তামিল এবং মালয়ালি বন্ধুদের মুখে রেড্ডিদের কালা কারবার, ইয়েদির ক্রিসচান বিতাড়ন প্রসঙ্গ শুনেচি।
কোলকাতার একটা খুব বড় সমস্যা ছিল এবং আছে। ভালো চাকরি বাকরি কম। এখনও। সেটার জন্য বাঙালীদের পলিটিক্সের থেকেও বেশি দায়ী বাঙালীদের অতিরিক্ত পাকামো। তাছাড়া বাঙালীদের মধ্যে ব্যবসা করার মানসীকতা কম হওয়ার কারণেও এটা হয়েছে। মুম্বাই এই ব্যাপারে ফর্চুনেটলি একটু সুবিধা পেয়ে গেছে। পার্শী, গুজরাতি, সিন্ধ্রি কমিউনিটিদের থেকে তো বটেই এমনকি মারোয়ারি এবং মুসলিম কমিউনিটির অন্টারপ্রিনেরিউয়াল স্পিরিটের সুবিধা পেয়েছে। তাছাড়া সাগর পেরলেই আরব দেশ, বলিউড, কেন্দ্রিয় সরকারের সাহায্যে ফাইনান্স ক্যাপিটাল হয়ে একেবারে ফুলে ফেঁপে উঠেছে।
নাহ মারাঠী সহকর্মীরা নিজেরাই বলে দেয় কে কার দলে, কোন জমি বা জঙ্গল কীভাবে দখল হয়েছে, কার কিরম শেয়ার ইত্যাদি। গিল্ট ফিল্ট বিশেষ নেই অবশ্য। তবে গদগদ ভক্তিও নেই।
আর পুণে ২০০০৮-০৯ অবধিও ভারী সুন্দর নিরাপদ শহর ছিল। মাঝরাতে হেঁটে হেঁটে যে কোন রাস্তা দিয়ে একা ফেরা যেত। স্থানীয়দের মতে তারপর নর্থিরা এসে সাড়ে দেড়টা বাজিয়ে দিল।
মনে পড়ল, বরানগরে আমাদের হাউসিং এর বাড়ি নিয়ে কত কথা যে শুনেছি। ফ্ল্যাট বানানোর সময় নানা কনকাল উঠে আসার কথা। বাগান করার সময় কতজন ভয় দেখিয়েছে!
ভারতে গ্রাসরুট লেভেলে হিন্দুস্তানি ক্লাসিকালের চর্চা বাঁচিয়ে রেখেছে মারাঠিরাই।
পুনের ক্লাসিকাল মিউজিক চর্চা খুব ইন্টারেস্টিংং লেগেছিল। ঘটনাচক্রে এন সি এল এ অফিস কি হোস্টেলে যাদের সংগে আলাপ হয়েছিল, একেবারেই কঞ্জার্ভেটিভ নয়। অবশ্য সবাই প্রায় একেক প্রদেশের, গাদা বাংালিও ছিল। তবে পুনের নেটিভ আর কর্ণাটকের একজন ( মহা কর্ণাটকের সীমায় ছিল তার গ্রাম, তাই সে ছিল না মহারাষ্ট্রকা না কর্ণাটককা। দুই ভাষাই বলত), তামিলনাড়ুর, এদের কল্যাণে প্রায় দিনই ক্লাসিকাল মিউজিকের নান আসরে যেতাম। বড়সড় আসর, উইকেন্ডে, সেতো ছেড়েই দিলাম, এম্নি ঘরোয়া আসরে কী ভাল ভাল যে পারফরম্যান্স শুনেছি! আরো ভাল লাগত, হিন্দুস্তানি কর্ণাটকী দু'রকমই শোনার সুযোগ হত। কিছু ফিউশন।
অভ্যুকে থ্যানকু। গানগুলো খুবই ভাল লাগছে।
এবং এই ব্যাপারটা বেশ মজার লাগে। আরবান কলাগাছ যে, বহু মানুষের লাশের উপর আংগুল ফুলেই তইরি হয় এ ত দুনিয়ার সব দেশেই সত্যি। আমেরিকান হররে, বারবার এবরিজিন হত্যার অতীত ঘুরেফিরে আসে, সেই আরবান গিল্ট ফীলিং এ নিয়ে রীতিমতো দীর্ঘ কাজকর্ম আচে। কেও, তাইবলে নিজের সুইমিং পুলের তলা খুঁড়ে দেখতে যায় না, লাইফ চলতে থাকে।
ইন্ডিয়ান এস্পিরান্ট জেনেরেশন, সেই গিল্ট টুকুও মনে জায়গা দিতে রাজি নয়।
পুনেতে থাকিনি কোনকালে। তবে প্রথম ব্যাংগালরে এসে, ঘরয়া আড্ডায় একদল গরবিত ইনফিসেবকদের মাঝে, ব্যাংগালরের ল্যান্ড মাফিয়া ও ইনফি কানেকশন নিয়ে কথা তুলে ফেলায়, যে পরিমাণ চোখ কপালে তোলা ভক্তিরস দেখেছিলুম, অনেকদিন মনে থাকবে।
পুনা প্রচন্ড কনজারভেটিভ সিটি ছিল গুরু, চিতপাবন বামুন দের রাজত্ব। নব্বই দশকের এসব তৈরি করা হ্যাপি সার্জ এর পেছনের খবর রাখা একটু জরুরি। আবাপ একটা হাওয়া তৈরি করেছিল , ভারতবস্সো কত এগিয়ে গেল কলকাতা বামপন্থী দের আর লিটল ম্যাগাজিন এর হাতে পড়ে র ইল। তাতে সিপিএম এর মধ্যেকার মুর্খ নিও লিবেরেল রাও কনভিন্স ড হয়ে গিয়ে নানা কেচ্ছা হল। একটু লং টার্ম পার্সপেক্টিভ জরুরি।
অভ্যু (@10-22)
না জিগ্যেস করলেও লিখেই ফেলো রে ভাই। কেকে আজকাল অন্যরকম খায়দায়।
আরে এই তো মেনুতে খেরোর খাতা চলে এসেছে!