পথ,
@kk, এই ইউটিউবের ভিডিও টা দেখুন, ভিক্ষু সুজাত ভাল করে বুঝিয়েছেন,
অরিন,
এই ব্যাপারটা আমার খুব ইন্টারেস্টিং লাগছে। এ নিয়ে আরেকটু জানতে চাইছি। জানিনা আপনার ডিটেলে লেখার সময় বা ইচ্ছে হবে কিনা। সেক্ষেত্রে কোনো বই সাজেস্ট করবেন? উইকিপিডিয়া থেকে পড়তে ভালো লাগছেনা।
অরিন, তার মানে বৌদ্ধ সিস্টেমে উপাধিলাভ আমাদের ইউনিভার্সিটি সিস্টেমের মতন নয় ঠিক। পড়াশুনো করে পরীক্ষা দিয়েই শুধু হবে না, মানসিকভাবে ওই ওই স্তরগুলো পার হয়ে আসতে হবে। বেশ কঠিন ব্যাপার।
"সোতাপন্ন" হয়েছেন শোনা যায়, "ভর" এ পড়ার মতন অবস্থায় পড়েছেন, পরে"
আহা, সোতপন্ন, "stream entry", এর সাত রকম স্তর। প্রথম স্টেজটি প্রায় যে কেউ কয়েক বছর চেষ্টা চরিত্র করলে অর্জন করতে পারবেন। তারপর স্রোতের বাইরে আসবেন, তারপর পুনঃপ্রবেশ, এবং তারপর অর্হত হওয়া।
:-)
হ্যাঁ ট্রাম্প বলেছে যে অক্টোবরে (ইলেকশনের আগে) ভ্যাকসীন পাওয়া যাবে। সায়েন্টিস্টরা বলেছে না অত তাড়াতাড়ি হবেনা। ট্রাম্প সেসব শুনে বলেছে যে সায়েন্টিস্টরা জানেনা। ভ্যাকসীনটা বানাচ্ছেটা কে?
কিন্তু এই যে বলছিল, ভ্যাকসিন দিয়ে দেবে? তারই বা কী হল?
ট্রাম্প ভক্তদের মধ্যে যাসব কথাবার্তা চলেছে তা হলঃ
১) কোরোনা আসলে হোক্স, ডেমদের বানানো গল্প।
২) কোরোনা আসলে খুবই নির্বিষ। তেমন কিছু হয়্না।
এই দুটো ততদিন চলছিল যতদিন ভাবছিল যে শুধুমাত্র গরীব মাইনরিটিরা মরবে, এখন নিজেদের গায়ে লাগতেই সেসব বন্ধ হয়েছে।
৩) কোরোনা আসলে চীনারা বানিয়ে ছড়িয়েছে আমেরিকা এবং ট্রাম্পের ক্ষতি করার জন্য। এদের কাছে অবশ্যি ট্রাম্প মানেই আমেরিকা।
৪) বিল গেটস কোরোনা ছড়িয়েছে ভ্যাক্সিন বিক্রি করার জন্য। এইকথা এই সাইটেও একজন বলেছে।
৫) ডেমরা ইচ্ছা করে রাজ্য বন্ধ রেখে অর্থনীতির ক্ষতি করছে। রাজ্য বন্ধ করে দিলে অর্থনীতির ক্ষতি হয় বটেই। কিন্তু খোলা রাখলে যে আবার একগাদা লোকজন মারা যায়। সেসব দেখে জর্জিয়া, ফ্লোরিডা, টেক্সাসের মতন রিপাব্লিকান গভর্ণররা কি ব্যবস্থা নিল সেটা তো দেখলামই।
৬) এখন শুরু হবে (গতকাল বা পড়শু ট্রাম্প বলেছে) ডেম স্টেটগুলোতে বেশি সমস্যা। সেগুলোকে বাদ দিলে সমস্যা প্রায় নেই বললেই চলে। ব্যাপার হল সেসব রাজ্য (ক্যালি আর নিউ ইয়র্ক) বাদ দিলে তেমন খুব বেশি লোক বা অর্থনীতিও থাকেনা আমেরিকাতে।
আরেকটা দেখলাম যে ঢপ ধরা পড়লেই এরা তিনটে লাইন নিচ্ছে। ১) আমি এরকম বলিনি (অথ্চ একদম অডিও ভিডিওতে রয়েছে স্পষ্ট করে)। ২) কেউ আমায় বলেনি বা কেউ জানতো না (অথ্চ সেই নিয়ে তখন সারা দেশের মিডিয়া তোলপাড় করেছে)। ৩) আমি মজা করছিলাম।
চীনের খবরই বা কী? ওদিকে লাদাখের খবরই বা কী?
পিজাগেট, মঙ্গল গ্রহে হিউম্যান কলোনী, ফ্ল্যাট আর্থ, লিজার্ড ক্রিয়েচার্সের পর নতুন যেটা শুনলাম সেটা হল বিল গেটস নাকি লোককে ধরে ধরে তাদের ব্রেইনে চিপস ধুকিয়ে দিচ্ছে।
একটা ভিডিওতে দেখলাম একজন বলছে যে এইসব কোরোনা ভাইরাস হল সব হোক্স। কাউকে জানো যার কোরোনা হয়েছে? এটা বেশ কয়েকদিন আগের ভিডিও। এখন সেসব বলা বন্ধ হয়েছে, কারণ বোধয় নিজেদেরই বা নিজেদের চেনাশুনা কারোর হয়েছে। তাই এখন বলছে যে মাত্র ১০,০০০ লোক মারা গেছে, বাকীদের অন্যান্য কোমর্বিডিটি ছিল। তাহলে আর চীনের উপর এত রাগ কেন বুঝলাম না।
"ওরে কার হয়ে তুই করলি রে কাজ
সে তুই জানলি না-আ -আ,
গুরু ভজলি না রে মন আমার"
ঃ-)
ঠিকই তো লিখেছে। সারা দুনিয়ার সব সায়েন্টিস্টরা সিসিপির হয়ে কাজ করে। শুধু সেই সব সায়েন্টিস্টরা এবং সিসিপির মেম্বাররা সেকথা জানে না।
অরিন, অনেক ধন্যবাদ। ব্যক্তিগতভাবে মন খোলা রাখি এইসব ব্যাপারে, হিউম্যান ব্রেইন অতি জটিল ব্যাপার, প্রতি দশকেই নতুন কিছু জানা যায় নতুন নতুন গবেষণার ভিত্তিতে। মৃগীরোগ, হিস্টিরিয়া এসব জিনিসও তো বহুকাল থেকেই জানা, আবার ধ্যান, তূরীয় অবস্থা, ট্রান্স, এসব নিয়েও সাধুসন্ন্যাসীরা বলে আসছেন। নিতান্ত ঘরোয়া গ্রাম্য স্কেলে, "ভর" এ পড়া, এসবও কমদিন থেকে মানুষ দেখছে না। সবকিছুকে মানসিক অসুখ ক্যাটেগোরিতে ফেলে দেওয়াও তো যায় না। অতটুকু একটা বাচ্চা, মুড়ি খেতে খেতে আল দিয়ে চলেছে, মেঘের উপরে বকের পাঁতি উড়ে যেতে দেখে অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেল, এতে অভিভাবকরা নির্ঘাৎ ভয় পেয়েছিলেন, সাধ্যমতন ঝাড়ানো টাড়ানো করেছিলেন। কিন্তু অসুখ তো নয়, "বিকার" আর "বিহার বিস্তার" এ পার্থক্য আছে। গৌতমবুদ্ধের দেশনা শুনতে গিয়ে সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ ওরকম "সোতাপন্ন" হয়েছেন শোনা যায়, "ভর" এ পড়ার মতন অবস্থায় পড়েছেন, পরে আবার স্বাভাবিক হয়ে প্রাত্যহিক কাজকর্ম করেছেন।
হিস্টিরিয়া না এবসেন্ট সিজার বলতে চাইছে? মৃগীরোগ বলতে চাইছেন?
তবে "ভাব" বা "Transcendental Experience" ("Trans") ব্যাপারটি বাস্তবিক। হিস্টিরিয়াও নয়, মৃগীরোগ নয়। সাংঘাতিক গভীর স্পিরিচুয়াল অভিজ্ঞতায় বা উপলব্ধি হলে যে ধরণের ecstatic state শ্রী রামকৃষ্ণ দেবের বর্ণনায় পাওয়া যায়, এটা বাস্তব। আপনি এর ভ্যালিডেশন স্টাডি দেখতে চাইলে International Shamatha Project দেখতে পারেন, Cliff Sharon (UC Davis) , Allan Wallace রা এই নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। প্রচুর ব্রেন স্ক্যান, MRI পরীক্ষা নিরীক্ষণ হয়েছে। এ এক জটিল ধাঁধা। সবটা বুজরুকি বা মানসিক উন্মাদনা নয়, অন্তত আমি যতটুকু পড়েছি ।
দু'বার করে পোস্ট হলে পোক্ত হয়। :-)
আপনারা এত কিছু করলেন আর এই দুবার পোস্ট হওয়া আটকানোর কিছু করতে পারলেন না? হ্যাঁ ল্যাদোশদা?
ওদিকে এক ফেবুগ্রুপে রামকৃষ্ণের কালীদর্শন নিয়ে তুমুল মার মার কাট কাট লেগেছে। কে একজন নাকি প্রশ্ন করেছে হিস্টিরিয়া হতে পারে কি? সে নিয়ে।
রামকৃষ্ণের আমলের ডাক্তারেরা যেমন মহেন্দ্রলাল সরকার ইত্যাদিরা এই ব্যাপারে কিছু বলে যান নি? এই কিছুদিন আগে সক্রেতিস বিষয়ের এক লেখাতে পড়লাম সক্রেতিসের নাকি ওরকম ধরণের কিছু হত, কাঠ হয়ে যেতেন, নড়তেন না বহুক্ষণ। একবার, তখন তাঁরা যুদ্ধক্ষেত্রে ক্যাম্প করে আছেন, সাময়িক শান্তি চলছে। সক্রেতিসের রাত্রে এরকম হওয়ায়, তিনি ওরকম দাঁড়িয়ে রইলেন। কিছু সৈন্য দেখতে চাইল উনি কতক্ষণ অমন থাকেন, তাই তারা আশেপাশে চাটাই মাদুর জাতীয় কিছু পেতে শুয়ে রইল। তখন গ্রীষ্ম, অসুবিধে হল না। কিন্তু ওদের মধ্যে যারা বরাবর বিনিদ্র ছিল তারা বলল ভোর হবার আগে সক্রেতিস নড়ে উঠে পুবমুখী হয়ে সূর্যবন্দনা করে অন্য কাজে চলে গেলেন। এই কাহিনি থেকে ধারণা হয় লোকেরা অবাক হত, অবিশ্বাসও করত, কিন্তু অসুখ বলে মনে করত না। কারণ অসুখ বলে মনে হলে সেনাপতি মহাশয় নির্ঘাৎ পরে ওঁকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতেন। তাই নয় কি ?
ভাইরোলজির কঙ্গনা রানাউত https://www.forbes.com/sites/brucelee/2020/09/17/whistleblower-claiming-china-created-covid-19-coronavirus-has-ties-to-steve-bannon/#1a4a264422d5
The trouble is they never quite got to the “what’s the evidence” part of the conversation. During the segment, Yan made various general statements but Carlson didn’t really push her to provide verifiable evidence to back her claims.
সে না হয় হল - পরেরটা আরো মজার
In fact, some of Yan’s statements took the conspiracy theory to another level. For example, she claimed that "the scientific world also keeps silent, works together with the Chinese Communist Party, they don't want people to know his truth. That's why I get suspended, I get suppressed, I am the target that Chinese Communist Party wants disappeared."
মনে হবে দ্রি পেলে লুফে নেবেন -
The entire scientific world works with the Chinese Communist Party? Really? Does the scientific world outside China know that? Was there a memo? Getting scientists to wear tops that match their bottoms or agree on a dinner order can be a challenge, let alone getting every scientist outside China to go along with the Chinese Communist Party. What exactly would be the incentive for a scientist in countries like Japan, Taiwan, the U.S., the U.K., or Germany to follow the Chinese Communist Party’s bidding?
ঘর থাকতেও উঠোনে বা খোলা বারান্দায় ঘুমোনোর ব্যাপারটায় ঘেঁটে গেলাম। এইটা কেন? ঘরে দম আটকে আসে? অথবা গরম লাগে? অথবা অন্য কোনো সমস্যা? নাকি বাইরে পালা করে পাহারা দেবার জন্য?
তবে আসামের গামছার কিছু আলাদা ব্যাপার স্যাপার আছে, ডিজাইন ইত্যাদি। আমাদের ওদিকে অন্তত লোকজন সাধারন বাংলা গামছা (যুইগ্যা গামছা বলে) আর আসামের গামোসা আলাদা করেই দেখতো। আসামের গামছা, আসাম সিল্ক এইসবের তো খুব কদর ছিল আগে, খাদির দোকানে মাঝে মাঝে এলে সবাই যেত।
আগরতলার লোকেদের তো পদে পদে গুয়াহাটি যেতে হত, আর তারমানেই কামাখ্যা মন্দির, পেতলের পানের বাটা, গামছা টামছা। এখন অবশ্য মোটামুটি একই ভাড়ায় কলকাতা যাওয়া যায়।
এবার অবশ্য গিয়ে দেখলাম খাদির দোকানের সিকিভাগ দোকান বাকিটা তালাবন্ধ।
ও আচ্ছা।
অনেক অসমীয়ারাও তো আসাম বলেন দেখি।
কেউ-ই বলেননি। বাংলা ও অসমিয়ার ভাষাতাত্ত্বিক রুট যখন একই, তখন বাঙালিরা যাকে গামছা বলেন, অসমিয়ারা তাকে গামোসা। তবে শব্দটির উল্লেখ করার সময়ে 'আসাম' শব্দটা এলেবেলের চোখ এড়ায়নি! শকুনের চোখ ভাগাড়ে থাকে তো, তাই।
বাংলা গামছাকে আবার কে গামোসা বললো?
অর্জুন, আপনাকে বলার ছিল ১৯৩৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত গোরা সিনেমাটা দেখলাম। ভাবুন, তখনও রবীন্দ্রনাথ বেঁচে! অত আগে আগে যে সিনেমা তৈরী হত, অত ভালো সিনেমা, ভাবাই যায় না। তুলনামূলকভাবে অনেক সাম্প্রতিক গোরা সিনেমাও দেখলাম, নতুনটা একেবারে কাঠপুতুল টাইপ। পুরনোটায় ললিতা, সুচরিতা দুজনেই অনেক বেশি ভালো অভিনয় করেছেন। গোরা, বিনয়, আনন্দময়ী এঁদের তো বলাই বাহুল্য। এমনকি পার্শ্বচরিত্রদের অভিনয়ও অনেক ভালো পুরোনোটায়।
সামোসা-সিঙাড়া নয়, বাংলা গামছাকে অসমিয়া গামোসা বলার মধ্যে বাঙালির প্রচ্ছন্ন পাপবোধ লুকিয়ে আছে কি না। চূড়ান্ত বাঙালি হেজিমনির গপ্পো লুকিয়ে আছে কি না। তাই সেসব প্রাণপণে কার্পেটের তলায় লুকিয়ে ফেলে আপাত-উদার সেকুলারটি না সাজলে লিবেড়াল বাঙালির চলে না! বাঙালি আজ যে আসাম বলা থেকে অন্তত অসম (অহোম এ জম্মে বলবে কি না সন্দো) বলায় কনভার্ট করছে, এতেই তো বাঙালিদের কাছে অসমিয়াদের কৃতজ্ঞ থাকা উচিত!
যত ভাবি এড়িয়ে যাব, জড়াব না - তবুও এদের আধলা ছোঁড়ার অভ্যাসটি যাবে না। এবং সম্পূর্ণ অকারণে।
@অরিন-দা, বিদেশে (পড়ুন যুক্তরাষ্ট্রে) অসুধ পাঠানোটা মহা ঝামেলার এবং অনিশ্চয়তার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বোনকে ৩রা সেপ্টেম্বর পাঠিয়েছি অসুধ । ডি এইচ এল কুরিয়ার সার্ভিস। কাস্টমস ক্লিয়ারেন্সে আটকে আছে অসুধের প্যাকেট। কখন ক্লিয়ার হবে জানা নেই !
বারবার এই রকম গামোসা গামোসা পড়তে ভালো লাগেনা বাই মেরী ! সামোসার জন্য মন কেমন করে।
@রঞ্জন-দা, ড্যানিয়েল ও অ্যালিস থর্নর সম্পর্কে শান্তিনিকেতনের (কেমব্রিজের) শুভ বসু ভাল বলতে পারবেন। উনি ওই সাবজেক্টের। জিগ্যেস করব। বইটি অ্যামাজনে আনয়েভেলেবল দেখাচ্ছে।
ইকোনমিস্টদের মধ্যে প্রভাত পট্টনায়েকের বক্তব্য আমার খুব ভাল লাগে। খুব গুছিয়ে, সাধারণ অডিয়ান্সকে বুঝিয়ে বলতে পারেন।
বোধি , এঁরা মনে হয় লিখতে লিখতে নিজেকেই লেখার চরিত্র করে তুলেছিলেন। শেষ কবিতাটা যেটা স্যানেটোরিয়াম থেকে লেখা সেটির শেষ লাইনের শেষ শব্দটিও ছিল তুষার !
যেমন খুশি কল এ ফরম্যাট ক্লীনার আর ফরম্যাট পেইন্টার চাই।
ল্যাদোষদা একবার কুররাতুলাইন হায়দার এর টইতে দেখবেন ছবিগুলোকে রিসাইজ করে কীভাবে একটু দৃশ্যসুখকর করা যায়? নানা মাপের ছবিতে খুবই ইরিটেটিং লাগছে পুরো ব্যপারটা।