:|: আপনার জন্য তপ্ত শলাকা লাগবে আর বড় চালের বস্তা:-)
:|: আপনার জন্য তপ্ত শলাকা লাগবে আর বড় চালের বস্তা:-)
ছাড়ার আগে তো ধরতে হবে!!
'এখানে কোনওকালে কে একজন লিখেছিলেন না যে তিনি এক বিদ্যাসাগরকে চেনেন বা চিনতেন। ব্যক্তিগত ভাবে।'
এটা পড়ে আমি কিছুক্ষণ অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলাম।"এক" শব্দটা বার কতক কানের কাছে আউড়ে আমার উনি জ্ঞান ফিরিয়ে আনলেন।
মাকালি বিদ্যা, ভাট পড়ে মাথাটা ঝিমঝিম করে।মনে হয় গাঁজা ধরেছি:-(
আমি যা বুঝলাম, বিদ্যাসাগর একজন ওভারহাইপড ফেকু ছিলেন।রামকৃষ্ণ আর জামাতা বাবাজীবন জাতপাত নিয়ে দড়ি টানাটানি করতেন।রবিঠাকুর অনেক ভালোভালো কথা লিখে সবদিকটা কাভার করে নিয়েছেন( নইলে ওঁনার ঐ বাবরি চুলের বাহার ঘুচে যেত)
এছাড়া বিমলা আর সন্দীপের প্রেমের ইসে,ন্যাড়াবাবুর চেপে রাখা প্রশ্ন, বিবিদের বাংলা শিক্ষার সুফল সম্পর্কে তিমির মহাজাগতিক স্বপ্ন,লাখো মহিলার বিদ্যালাভ..
আজ্জো টিজার দিয়ে এনারাই/ ননএনারাইদের বাঁদর নাচ দেখতে চেয়েছে এটা কালোখাতায় টুকে রেখেছি
"না হলেই ভালো, কিন্তু 2019 এর ইন্ডিয়ার ভোটের রেজাল্ট দেখার পর মানুষের শুভ বুদ্ধির, বা ইভেন কমন সেন্স এর ওপর ও আর বিশেষ আস্থা বেঁচে নেই. লোকে এরকম লিডার ই চাইছে এখন."
ইণ্ডিয়া দিয়ে সব কিছুকে বিচার করার দরকার নেই, নেট সিলভার কি বলছে দেখুন,
"প্রশ্ন হল, রবীন্দ্রনাথ এইসব উপন্যাসগুলোতে, এই ঘরে বাইরে, চার অধ্যায় ইত্যাদি, এগুলোতে কি স্বদেশী আন্দোলনকে একটু কটাক্ষ করার জন্যই এইসব চরিত্রগুলো দেখিয়েছেন?"
শুধুই উপন্যাস কি? সমাধান প্রবন্ধে ("কালান্তর") তিনি লিখছেন,
"আজকাল আমরা এই একটা বুলি ধরেছি, ঘরে যখন আগুন লেগেছে তখন শিক্ষা-দীক্ষা সব ফেলে রেখে সর্বাগ্রে আগুন নেবাতে কোমর বেঁধে দাঁড়ানো চাই; অতএব সকলকেই চরকায় সুতো কাটতে হবে। আগুন লাগলে আগুন নেবানো চাই এ কথাটা আমার মতো মানুষের কাছেও দুর্বোধ নয়। এর মধ্যে দুরূহ ব্যাপার হচ্ছে কোন্টা আগুন সেইটে স্থির করা, তারপরে স্থির করতে হবে কোন্টা জল। ছাইটাকেই আমরা যদি আগুন বলি তা হলে ত্রিশ কোটি ভাঙাকুলো লাগিয়েও সে আগুন নেবাতে পারব না। নিজের চরকার সুতো, নিজের তাঁতের কাপড় আমরা যে ব্যবহার করতে পারছি নে সেটা আগুন নয়, সেটা ছাইয়ের একটা অংশ অর্থাৎ আগুনের চরম ফল। নিজের তাঁত চালাতে থাকলেও এ আগুন জ্বলতে থাকবে। বিদেশী আমাদের রাজা, এটাও আগুন নয়, এটা ছাই; বিদেশীকে বিদায় করলেও আগুন জ্বলবে-- এমন কি স্বদেশী রাজা হলেও দুঃখদহনের নিবৃত্তি হবে না। এমন নয় যে, হঠাৎ আগুন লেগেছে, হঠাৎ নিবিয়ে ফেলব। হাজার বছরের ঊর্ধ্বকাল যে-আগুন দেশটাকে হাড়ে মাসে জ্বালাচ্ছে, আজ স্বহস্তে সুতো কেটে কাপড় বুনলেই সে আগুন দু দিনে বশ মানবে এ কথা মেনে নিতে পারি নে। আজ দুশো-বছর আগে চরকা চলেছিল, তাঁতও বন্ধ হয় নি, সেই সঙ্গে আগুনও দাউ-দাউ করে জ্বলছিল। সেই আগুনের জ্বালানি-কাঠটা হচ্ছে ধর্মে কর্মে অবুদ্ধির অন্ধতা।"
আজ, ২০২০ তে দাঁড়িয়েও কথাগুলো একই রকম প্রাসঙ্গিক আমার মনে হয়।
আজকাল কেন জানিনা "অবুদ্ধির অন্ধতা" বড্ড বেশী চোখে পড়ছে চারিদিকে।