অভ্যুর পেন নিয়ে টই পড়তে গিয়ে ব্যাঙের কথা মনে হচ্ছিল। তিনি কোথায়? অন্য অবতার রূপ ধারণ করে কমেন্ট করছেন?
আমার পকেটে একটা গ্যালাক্সি, ড্রয়ারে আরেকটা :)
"এই এক ছায়াপথের মধ্যেই কতো রহস্য লুকিয়ে আছে, তাই না? একদিকে পেটের মধ্যে সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাক হোল, অন্য দিকে বাইরের দিকটা আরও জোরে ঘুরছে ডার্ক ম্যাটার এর টানে। আকাশের দিকে তাকিয়েছেন কি মরেছেন"
সত্যি কথা!
নেতাজীকে অবশ্য মূলত আমেরিকানরা বলে। কদিন আগে টিশার্ট নিয়ে ঝামেলা হলো।
"এক্কেবারে "জানকীর দজ্জাল ননাস" টাইপের টিভি সিরিয়ালে পরিণত হয়েছে এইসব"
@Atoz ,@Amit, তবে আমার মনে হয় পেছন ফিরে দেখার ব্যাপারটা একেবারে অপ্রাসঙ্গিকও নয় আবার।
কারণ এই পর্যালোচনা গুলো হয় বলেই হয়ত বর্তমান প্রজন্মে যাঁরা কাজ করেন তাঁদের কাছে এই বিশ্লেষণগুলো একেকটা চেকস ও ব্যালানসের কাজও করে। যেমন ধরুণ উইলিয়াম জোনস মহাপণ্ডিত, "বহুবিদ" বলতে পারেন, কিন্তু খুঁটিয়ে পর্যালোচনা করলে তাঁর "ভাষাবিদ" বলে যে খ্যাতি, তার একটা স্বচ্ছ মূল্যায়ণের প্রয়োজন আছে, সেটাও খেয়ালে রাখতে হয়। একই রকমভাবে অনেকের কাছে Orientalist মানেই এক ধরণের নঞঅর্থক কনোটেশন হয়, সেই একই আলোয় আলেকজাণ্ডার কানিংহ্যাম কে ফেললে তাঁর ভারতীয় উপমহাদেশে বৌদ্ধধর্মের "আবিষ্কারের" কৃতিত্ব ছোট করে দেখানোর একটা রিস্ক থেকে যায়। যেটা বলতে চাইছি, এগুলোর কোনটাই ঠিক সাদা কালোয় দেখার নয় তো! এখন না হয় গুরুচণ্ডালী কি ফেসবুকের সৌজন্যে (এর আগে নিউজগ্রুপ ছিল) বেশ উত্তপ্ত বাদানুবাদ দেখা যায়, আমাদের অল্প বয়সে বহু ঘরোয়া আড্ডায় উত্তপ্ত পরিবেশ দেখেছি, এই ধরণের "থিম" নিয়ে। আমার বেশ মনে আছে, কলকাতায় ঘরোয়া আড্ডায় "কানুবাবু" নামে একজন প্রথিতযশা প্রাবন্ধিকের সঙ্গে অন্যান্যদের বেজায় তর্কাতর্কি চলত, :-), তিনিও "মনীষী" দের ছেড়ে দিতেন না, নানারকম বই রিপোর্টের উল্লেখ তুলে, বাড়ির এঁয়ারাও ঠিক শ্রদ্ধেয়জনেদের নামে অমন কথাবার্তা হজম করতে পারতেন না। সব মিলিয়ে তুমুল বাতবিতণ্ডা চলত।
"ইতিহাস একটা কনটেস্টেড স্পেস, তথ্য দিয়ে নিজের বক্তব্যর প্রতিষ্ঠা করতে হয়, সাথে ইন্টারপ্রিটেশনটাও জরুরী, লেখার সময়ে সেই সময়ে চলে যেতে হয় আর আজকের ক্যাটেগরি ঐ সময়ে ব্যবহার করা যায় না, এরকম কিছু কথা আছে। এইসব বিষয়গুলি ঘিরে অনেক ক্ষেত্রেই খামতি থেকে যাচ্ছে বলে মনে করি আর কার মনে কী ছিল, কে বদমাইশ, কার মনে প্যাঁচ, কে স্টুজ বা দালাল সেসব সিদ্ধান্তে আসা মনে হয় না ইতিহাস লেখকের কাজ। অন্তত আমি সেভাবেই দেখি, যদিও সেরকমভাবে ইতিহাস লেখা হয়েছে এবং হবেও কারণ সেসবে অ্যাজেন্ডা পূরণ হয় অথচ বিভিন্ন ফোর্স যা ঐ সময়ে ক্রিয়া করছিল সেগুলো লেখা থেকে মুছে যায়, জটিলতা মুছে যায়, বোঝা সহজ হয়ে যায়।"
Couldn't have said it better.
এসব সমালোচনার কোন মানেই নেই। আগে আপনারা নিজেরা কী কী বই পড়েছেন, তার কোনগুলো টেক্সটের ভেতর, কোনগুলো বাইরে এসব রেসিডেন্ট গাঁয়ে-মানে-না (GMN from now on)-বাবুর কাছে জমা দিন। উনি সেসব বিবেচনা করে ওনার প্রটেজেকে নির্দেশ দেবেন কার সমালোচনা লেজিটিমেট, আর কার নয়। আইন মেনে চলুন।
"অদ্ভুত অদ্ভুত স্বঘোষিত ইতিহাসবিদদের "বিশ্লেষণ" আর "বিবস্বান আর্য"দের (নামটা প্লেসহোল্ডার) ব্যাখা-বিশ্লেষণ, একইরকম লাগে। ঐ চাড্ডিদের তাজমহল তেজো মহালয়া, রাবণের চৌষট্টি বিমান, ময়ূরের ব্রহ্মচর্য, হাঁসের অক্সিজেন---সবই তুল্যমূল্য মনে হয়।"
খুবই সঙ্গত পর্যবেক্ষণ। এসব একেক সময়ে একেক রূপ, একেক ফ্লেভার ধারণ করে। ৮০ - ৯০ এর দশকে আমি হিন্দি বলয়ের বহু হিন্দু সাধু মোহান্তদের বলতে শুনেছি তাজমহল নিয়ে আদিখ্যেতা করার, বা দেখতে যাবার কি প্রয়োজন? ও তো একটা "কবরিস্তান" বই কিছু নয় | সেই ন্যারেটিভ যখন পরিবর্তিত হয়ে "ও আমাদের মন্দির, তেজো মহালয়া মহাদেওজির মন্দির" হয়ে যায়, তখন গন্ধটা খুব সন্দেহজনক মনে হয় বইকি!