@sm:"অরিন,এটা পড়ে দেখুন কাজ চলে কি না।
https://www.google.com/url?sa=t&source=web&rct=j&url=https://advances.sciencemag.org/content/early/2020/07/30/sciadv.abc1463&ved=2ahUKEwichY2OrYLrAhXazTgGHX6oAscQFjANegQIBxAB&usg=AOvVaw2JmPAgLMJahYkhvr0_m5rJ&cshid=1596572119477"
পড়লাম |
কতগুলো ব্যাপার পেপারটতে লক্ষ করবেন,
১) "Therefore, there is sufficient variability in the presence or absence of such policies distributed across different regions of the world, which makes it possible to draw a systematic comparison", এরা বিসিজি ভ্যাকসিনের প্রিভেনটিভ রোল আছে কি না তা নিয়ে গবেষণা করেন নি, করেছেন "ভ্যাকসিন দেবার পলিসি"র সঙ্গে করোনাভাইরাস সংক্রমণের দিনওয়ারি বৃদ্ধির কি সম্পর্ক। দুটো কিন্তু এক নয়।
২) তাছাড়া, এঁরা ব্যক্তিমানুষ বিসিজি পেলেন না পেলেন না, এ নিয়ে গবেষণা করেন নি, পুরোটাই Aggregated Data তার ভিত্তিতে দেখছেন। এতে করে ব্যক্তিমানুষের ক্ষেত্রে এঁদের অনুসন্ধান খাটবে না। এঁরা বলছেন,
"We examined the day-by-day increase of both confirmed cases and deaths and compared the rate of increase between countries that had mandated BCG policies at least until recently and those that did not."
যে দেশে গোড়া থেকে বিসিজি ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রথা আর যে দেশে নেই, উভয়ের তুলনামূলক আলোচনায় দেশে "বৃদ্ধিহার" কত বাড়ল কমল জেনে সাধারণ মানুষ বা চিকিৎসকদের কি কোন সুবিধা হবে?
৩) দু-একটা টেকনিকাল পয়েন্ট দেখুন,
"These rates are uncontaminated by reporting biases as long as the biases are stable during the period tested. Thus, to avoid any systematic variations in reporting biases, it is important to examine a short initial period of growth."
এঁদের লেখাটা পড়ে যা মনে হচ্ছে, কোন দেশে বিসিজি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে না হয়নি সেই ব্যাপারটি দেশটিতে টিবি কতটা জনস্বাস্থ্যের দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ তার একটি instrumental variable | তার মানে এখানে টিবি কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটার ওপর ২০০০ সাল অবধি চালু বিসিজি ভ্যাকসিনের পলিসি নির্ভর করবে কিন্তু তার সঙ্গে ২০২০ সালে করোনাভাইরাস দেশে প্রথম ৩০ দিনে কতটা করে বাড়বে তার কোন সঙ্গত সম্পর্ক নেই।
৪) এছাড়াও দেখুন, এঁরা এঁদের অ্যানালিসিসে দেখলেন না যে যে সব দেশে বিসিজি দেওয়া হয়েছে আর হয়নি তাদের মধ্যে টেস্টিং ক্ষমতা বাড়িয়ে নেওয়ার হার কতটা। সেটা করে থাকলে অ্যানালিসিসের ফল অন্য রকম হতে পারত।
এরকম আরো অনেকগুলো ব্যাপার আছে। তবে মোটামুটিভাবে এই গবেষণাটি থেকে এটা বলা সম্ভব নয় যে বিসিজি নিলে করোনাভাইরাস সংক্রমণ আটকানো কোনভাবে সম্ভব।
sm: "একটা রিসেন্ট স্টাডি তে উঠে এসেছে বিসিজি ভ্যাকসিন এর নাকি প্রিভেনটিভ রোল আছে।এটা ডিটেইল এ পড়ে দেখতে হবে।"
স্টাডির লিঙ্কটা শেয়ার করবেন? পড়ে দেখতাম।
সলিল চৌধুরীর লেখা সেই গানটা? ;-), সোনাব্যাং আর কোলাব্যাং?
এই তথ্যের লিঙ্ক পাওয়া যেতে পারে?
এন্টিবডি থাকলেই সংক্রমণ পুনরায় হবে না,এটা স্বীকৃত নয়।এর কারণ পুরো কোভি ড রোগটাই সাত আট মাস পুরোনো।তবে এটা ঠিক,কিছু রি ইনফেকশন কেস পাওয়া গেছে।বিজ্ঞানীরা স্থির নয়,সেগুলো প জিটিভ রিপোর্ট এসেছে, স্যাম্পল এ আগের ইনফেকশন এ থেকে যাওয়া আর এন এ রেমনেন্টস এর জন্য কি না।
তবে একটা জিনিষ দেখা গেছে,এই কতিপয় রিইনফেকশন কেসগুলো সাধারণত মাইল্ড হয়েছে। ফ্যাটালিটি নোটিশ হয় নি।সুতরাং বিরাট ভয় পাবার কিছু নেই।জেনেরাল সোশ্যাল ডিসটেন্স ও মাস্ক পরলেই চলবেক।
একটা রিসেন্ট স্টাডি তে উঠে এসেছে বিসিজি ভ্যাকসিন এর নাকি প্রিভেনটিভ রোল আছে।এটা ডিটেইল এ পড়ে দেখতে হবে।
ধারাভির অবস্থা তো শুনেছি ঠিক আছে।পঞ্চাশ শতাংশ এর ওপর লোকের সেরোলজী টেস্ট পজিটিভ।অর্থাৎ সংক্রমণ আর বেশি বাড়বে না।মৃত্যুহার খুবই কম।এটা রীতিমত চর্চার বিষয়। হয়তো ইনেট ইমিউনিট কাজ করেছে।
ধন্যবাদ রৌহীন।একজন সাধারণ মানুষের সর্দি,কাশি,জ্বর হলে,কতোটা অসহায়,সেইটা বোঝার চেষ্টা করছিলাম।মহামারীর লকডাউন পর্যায় শুরু হয়,মার্চের শেষে।এখন চার মাস অতিক্রান্ত হবার পর,সামান্য টেস্ট করাতে এই অবস্থা!!
এর সঙ্গে আর একটা ছোট প্রশ্ন ও ছিলো,কেউ হালকা,সর্দি কাশি হলে,কি ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করবে,টেস্ট সেন্টার যাওয়া অবধি?? মানে সেই ব্যক্তি তো পজিটিভ কেস হতেও পারে। ওই ব্যক্তি কি এম্বুলেন্স ডেকে,টেস্ট সেন্টার বা ফিভার ক্লিনিক যাবে? এটা বহন করা, কিন্তু একজন নিন্মবিত্ত মানুষের পক্ষে বেশ কঠিন। কলকাতার মতো জনবহুল শহরে,প্রতি ওয়ার্ড এ একটা টেস্ট সেন্টার খুলতে গেলেও শতাধিক হয়ে যাবে সংখ্যাটা।
ও হ্যাঁ বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালে কোভিড টেস্টের খরচ তিন থেকে চার হাজার টাকার মধ্যে ঘোরাঘুরি করছে। প্রকৃত টেস্টের খরচ বোধ হয় সাড়ে আটশো টাকার মত, বাকিটা পিপিই কিট ইত্যাদির দাম
অন্য জায়গায় জানিনা, পশ্চিমবঙ্গে খোদ কলকাতা শহরে আমার অভিজ্ঞতা হল, আমি টেস্ট করতে চাই তাই টেস্ট করিয়ে নিলাম ব্যপারটা আদৌ এরকম নয়। আমার সম্প্রতি শ্বাসকষ্ট বেড়েছিল (বিগত ৬ বছরের সঙ্গী, বর্ষাকালে বাড়ে) - অন্য কোন সিম্পটম না থাকায় ডাক্তার বলেছিলেন সম্ভবতঃ কোভিড নয় তবুও যেন একবার টেস্ট করিয়ে নিই। সেই উদ্দেশ্যে বিভিন্ন টেস্টিং সেন্টারে খোঁজ নিতে থাকি। প্রথমে পীয়ারলেস হাসপাতাল জানাল টেস্ট করতে হলে আগে ওদের ডাক্তারকে দেখাতে হবে। তিনি যদি টেস্ট লিখে দেন তাহলে পরদিন এসে লাইন দিয়ে নাম লেখাতে হবে। ভোরবেলা এসে লাইন দিতে হবে এবং প্রথম পঞ্চাশজনের মধ্যে দাঁড়াতে পারলে তবেই টেস্ট করানো যাবে কারণ ওইটিই দৈনিক টেস্টের সর্বোচ্চ সংখ্যা। মেডিকা, রেমেডি, আমরি সহ বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালে টেস্ট করাতে হলে তাদের ওখানে ভর্তী হতে হবে। কারোই বাড়ি থেকে কালেক্ট করানোর মত "লোক নেই"। সরকারি হাসপাতালগুলোয় টেস্ট করাতে গেলে যার নেই তার হয়ে যেতে বাধ্য। একমাত্র বাঙ্গুর মাল্টি স্পেশ্যালিটি আর মেডিকেল কলেজে অবস্থা একটু বেটার কিন্তু তাদেরও দৈনিক টেস্টের সীমা চাহিদার তুলনায় নগণ্য। আমার তখন যা শারিরীক অবস্থা তাতে কোথাও গিয়ে টেস্ট করানো সম্ভব ছিল না। এরপরে আমার অসুস্থতা বাড়ায় নার্সিং হোমে (হিন্দুস্থান হেলথ পয়েন্ট, প্রাইভেট মাঝারি মাপের নারসিং হোম, কয়েক বছর হল " হসপিটাল" স্ট্যাটাস পেয়েছে) ভর্তী হতে হয়। ওরা প্রথমে HRCT করে এবং তার ভিত্তিতে ভর্তী নিয়ে আমাকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখে। এদের ব্যবস্থা বেশ ভাল। এখানেই দ্বিতীয় দিন এসে আমার লালা এবং নাকের ভিতর থেকে নমুনা নিয়ে যায় কোভিড টেস্টের জন্য। তিনদিন পরে রিপোর্ট আসে। নেগেটিভ হওয়ায় আমাকে জেনারেল ওয়ার্ডে স্থানান্তরিতকরা হয়। তার একদিন পরে সুস্থ হয়ে বাড়ি আসি। কিন্তু এই ব্যবস্থাটা কল্কাতায় এখন রেয়ারের পর্যায়ে পড়ে।
আই সি এম আর সাধারণ মানুষের করোনা টেস্ট করানোর কি কি পদ্ধতি নিয়েছে?কারোর জ্বর বা সর্দি কাশি হলে,তাঁকে কি সরকারী হাসপাতালে টেস্ট করানোর জন্য যেতে হবে? যাবার পথে,কি ট্রান্সপোর্ট ইউজ করবে?
প্রাইভেট জায়গায় করলে ,প্রচুর খরচ।নিন্মবিত্ত লোকজনের সাধ্যের বাইরে।এই সব ল্যাব এর ব্যকলগ প্রচুর।লোক পাঠাতেই দুদিনের বেশি টাইম নিচ্ছে,অনেকসময়। এমতবস্থায় কি করণীয়?
দুই,সেরোলোজী টেস্ট কোথায় করা যাচ্ছে? এই কিট কি মার্কেট থেকে কিনে নেওয়া যায়? বাড়িতে করলে কি বে আইনী?
প্রসঙ্গত,আমার গণেশ আটার অ্যাড আসছে।শুদ্ধ ইংলিশে লেখা।আর রয় বায়োটেক বলে একটা সংস্থার আসছে,এন্টিবডি টেস্ট করে বলছে।
Atoz: "অরিন,
নতুন শিক্ষানীতিই হোক আর পুরনো শিক্ষানীতিই হোক, ভারতে শিক্ষাদীক্ষার একেবারে চচ্চড়ি বানিয়েছে। উচ্চশিক্ষা পাওয়া বিরাট একটা উপরের অংশকে তো ভার্চুয়ালি ঝেঁটিয়ে বিদায় করার বন্দোবস্ত আছে। তাঁরা নানা দেশে চলে যান। কেউ স্বেচ্ছায় যান নিজস্ব উচ্চাকাঙ্খায়, কেউ দেশে উপযুক্ত কর্মের সুযোগ না পেয়ে চলে যান।"
উচ্চশিক্ষা ও উচ্চাশার কথায় একজনের কথা মনে পড়ল, কয়েকদিন আগে শোনা। ভদ্রমহিলা একজন সাউথ ইন্ডিয়ান দাঁতের ডাকতার, আমার তত্ত্বাধানে পি "হেইচ" ডি করেন, তাঁর মুখ থেকে । আমি ভদ্রমহিলাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম তিনি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আর আমাদের মতন অধমদের খোঁজ পেলেন কোথা থেকে। শুনে তিনি বললেন, যখন ভারতে ছিলেন, তখন তিনি নাকি প্রতিদিন সকালে নিয়ম করে আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপ, নিউজিল্যাণ্ডের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে খান ২০ করে Application পাঠাতেন (আমাদের কলেজ আমলে আমরা "ঝাঁপ" বলতাম, এখন কি বলে?) । প্রতিদিন ঝুড়ি ঝুড়ি রিজেকশান, তো এই করে শেষ অবধি আমাদের এক বন্ধু অধ্যাপকের কাছে তিনি নাড়া বাঁধেন, সেই অধ্যাপক সম্প্রতি রিটায়ার করেছেন, করার কালে আমার হাতে এই ভদ্রমহিলাকে সঁপে গেছেন।
r2h: "ভারতের এয়ারপোর্টে যা পরীক্ষা নিরীক্ষা সাবধানতা দেখলাম পুরোটাই আমার ঢপ মনে হয়েছে। মার্চে লকডাউন শুরুর পরপর মনে হয়েছিল যাত্রী ও কর্তৃপক্ষ সতর্ক, সন্ত্রস্ত; এখন মনে হচ্ছে কোনক্রমে নিয়মরক্ষা।"
আপনার লেখাটি পড়ে আমারও তাই মনে হল। এবং আপনার কথার স্বপক্ষে প্রমাণ যে ভারতে কি পরিমাণে সংক্রমণ বাড়ছে, ও ভারত থেকে যাঁরা বেরিয়ে আাসছেন, অন্তত নিউজিল্যাণ্ডের পরিসংখ্যান বলছে যে ভারত থেকে যাঁরা এখানে আসছেন, তাঁদের মধ্যে কিন্তু সংক্রমণ বেশী। এখন এঁরা সরকারী খরচে কোয়ারানটাইনড, যার জন্য এঁদের তরফে এখানে আর রোগ ছড়ানোর সম্ভাবনা খুবই কম (নেই বললেই হয়) ।
....
... "আরেকটা জিনিস দেখলাম, প্লেন ভর্তি সবই সিনিয়ার মানুষ - ছেলেমেয়েদের কাছে যাচ্ছেন, প্লেন থেকে নামতে হুইলচেয়ারের লাইন।
এটা একটু বেশি ঝুঁকিপূর্ণ না?"
খুবই ঝুঁকিপূর্ণ, তবে ব্যাপারটি বয়স্ক মানুষদের নিজেদের উপলব্ধি করা চাই। না হলে বহু মানুষের বিপদ। কারো কারো প্রাণ সংশয় হওয়াও বিচিত্র নয়।