মাওরি ভাষায় পেঁচাকে রুরু বলে। আমাদের এক মাওরি বন্ধু আছেন, তিনি নিজেকে "te ruru " ("টে রুরু ") বা " শ্রী পেঁচা" বলে থাকেন। তিনি সুপন্ডিত এবং অসাধারণ গায়ক।
কবি বলেছেন,
"প্রথম পাতাটি ভরা পেঁচায় পেঁচায়,
ভাটিয়ালি তে তাই সবাই চেঁচায় । "
;-)
@S:"একটা কথা এলেবেলে ঠিক বলেছেন যে সেকালে বাংলা সুবা ছিল সাবকন্টিনেন্টের সবথেকে বড়লোক সাবডিভিশান।"
দারুণ আলোচনা হচ্ছে।
আমি নিউজিল্যাণ্ডের কলোনীর ইতিহাস , বিশেষ করে ভারত নিউজিল্যাণ্ড সম্পর্ক পড়তে গিয়ে দেখছি যে সেযুগে (১৭৭০-)ইংরেজের পূর্ব এশিয়া এবং প্যাসিফিক অভিযান করার সময় চট্টগ্রামের স্থানীয় নাবিক, বিশেষ করে লস্করদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। লশকর ব্যতীত ইংরেজের বার বার নৌঅভিযান করে অস্ট্রেলিয়া নিউজিল্যান্ডে কলোনী প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হত না। এবং বহু লশকর ইংরেজের জাহাজে নিউজিল্যান্ড পৌঁছনোর পর বে অফ আইল্যাণ্ডে এসে মাওরীদের মাঝে নিরুদ্দেশ হয়ে যেত। মাওরীদের সঙ্গে আর বাঙালীর সঙ্গে ইংরেজের কলোনী প্রতিষ্ঠার স্ট্র্যাটেজির মিল আছে।
যাই হোক,যেটা বলতে চাইছি, সেই সময় সুবে বাংলা শুধু সমৃদ্ধই ছিল না, বস্তুত চীন, এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার হয়তবা প্যাসিফিকের করিডোরও ছিল। মনে করে দেখুন, ওয়ারেন হেস্টিংস পাঞ্চেন লামার সঙ্গে চুক্তি করে তিব্বতের রাস্তা খোলার চেষ্টা করেছিলেন। বাংলা দখল না করলে সম্ভব ছিল না।
না, কাজে ব্যস্ত ছিলাম। এছাড়া কদিন ভয়ানক পরিশ্রম যাচ্ছে । এলিয়ট গীতা সম্পর্কে কি বলেছেন সেটা নিয়ে এই মুহূর্তে মাথা ব্যথা করছি না। গীতা নিয়ে আপনি কিছু তথ্য পেশ করেছেন। তথ্যসূত্র দেননি । আপনার বিব্লিওগ্রাফির কথাও উল্লেখ করেননি। কিন্তু আপনার কথা শুনে উইলকিন্সের তথ্যটা কনক্লুসিভ বলেই মনে হয়েছে।
আপনি কিছু তথ্য ঘেঁটে কনক্লুশনে এসে ইতিহাস সাজাতে থাকেন কিনা জানিনা। নিশ্চয় নয় । কিন্তু ব্যাপার হল ইতিহাসের সন্ধান করার সময় একটা অনিশ্চয়তা থাকা ভাল। পুরো বিষয়টা তৈরি হলে তারপর কনক্লুশন । ইতিহাসে ওভাবে কিছু কনক্লুশন হয়ও না ।
যাইহোক, আপনার লেখা না পড়লে কিছু মন্তব্য পড়ে ব্যাপারটা একদম পরিষ্কার হচ্ছেনা । অপেক্ষা থাকল।
এখানে অনেকেই সপ্তদশ, অষ্টাদশ শতকের ভারতীয় ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করছেন । পঞ্চদশ শতকে প্রি ইউরোপীয় ইনভেশনের সময় সাউথ এশিয়ার একটি কমন রিজিওনল আইডেন্টিটি ছিল কিনা বিশেষ করে ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, মায়ানমার ও নেপালের বাসিন্দারা সকলেই নিজেদের 'হিন্দুস্তানি' ভাবত কিনা এ নিয়ে একটি ব্রিলিয়ান্ট বই এ বছর প্রকাশিত হওয়ার কথা । ব্রিটিশরা ভারতকে 'ইন্ডিয়া' করেছে বলে যে বহুলচর্চিত ঐতিহাসিক দাবী তার সত্যতা চ্যালেঞ্জ করবে এই বই । ইউরোপীয়দের পূর্বেই একটা কমন পলিটিক্যাল আইডেন্টিটি তৈরি হয়েছিল, সে সবের ইতিহাস সেই বইয়ে থাকবে। পরে বিস্তারিত বলব ।
এলসিএম, পলাশি-পূর্ব বাংলা নিয়ে বই আছে। বাংলা ও ইংরেজি - দুটো ভাষাতেই।
আমি পরশু থেকে অবাক হচ্ছি কেবল একটা বিষয়ে। সেটা হচ্ছে আলাদা গ্রন্থ শব্দবন্ধটি কি এতই দুরূহ?
ভাষ্য বহুদিন আগে থেকেই ছিল। কিন্তু আমি গীতাকে দেখছি উপনিবেশের টুল হিসেবে এবং রামমোহন-বঙ্কিম-তিলক এই তিন মহারথী উইলকিন্সের গীতা পড়েই তাঁদের যাবতীয় বাকতেল্লা মেরে গেছেন। যেখানে হিন্দু পুনরুত্থানবাদীদের রমরমা, যারা বঙ্কিমকে বন্দে মাতরমের জন্য আইকন বানাতে চাইছে; সেই ন্যারেটিভটাকেই যদি ঝাড়ে-বংশে বিনাশ না করা যায় তাহলে ম্যানেজমেন্টে গীতা লাগে কি লাগে না সেটা বেশি জরুরি নাকি এটা?
ওদিকে অর্জুন বোধায় এলিয়ট গীতা নিয়ে কী বলেছেন তার সন্ধানে ব্যস্ত!
আমার তো পলাশীর যুদ্ধের পরের অংশ আরো আকর্ষণীয় লাগে।পলাশীর যুদ্ধের পর,মীরজাফর গদিতে বসে, নবাব হয়।পরিবর্তে ক্লাইভ কে, ২৪পরগনা ও কলকাতার জমিদারি দেওয়া হয় ও দু কোটি টাকা দেওয়া হয়।
এখন মজার ব্যাপার হলো,মীরজাফর যা ভেবেছিল,তার চেয়ে অনেক কম ধন্ সম্পদ ছিল,সিরাজ এর।তাই ক্লাইভ কে কিছু নগদ ও কিছু জুয়েলারি তে পাওনা মেটানো হয়।
এ পর্যন্ত গপ্পো ঠিক ছিলো।কিন্তু মীরজাফর এর উচিত ছিলো,প্রাপ্য না দেওয়া বা দিলেও কিছু দিনের মধ্যেই কেড়ে নেওয়া।অন্তত রাজনীতি তাই বলে। কারণ মীরজাফর এর সৈন্য সংখ্যা ছিল ত্রিশ হাজার আর ক্লাইভের মাত্র তিন হাজার!