সব খুলে গিয়ে স্টুডেন্টরা ইউনি,কলেজ গেলে করোনা কেস দৈনিক পঞ্চাশ হাজার থেকে বেড়ে কোথায় দাঁড়াবে কে জানে! কিন্তু বি এল এম প্রটেস্টে লাখো জনতা অংশ নিলেও বিশেষজ্ঞ গণ হিসাব কষে দেখিয়েছেন,তাতে কিন্তু করোনা কেস সংখ্যা বাড়ে না!!খুব ই কারেক্ট যুক্তি!
চ্যাটার্জি ইন্টার ন্যাশ নল, আমি যতকাল কলকাতায় ছিলাম তখন ওটি সবচেয়ে বড় বিল্ডিং । বাবা অফিসের কাজে যেত । আমার ধারণা ছিল ভিতরটা অসাধারণ কিছু। সেই ভেবে ক্লাস নাইনে একবার একুশ না বাইশ না কুড়ি তলা মনে নেই, উঠেছিলাম । লিফটে দম আটকানো অবস্থা। কি কুৎসিত ভিতরটা । ঃ-)) সরু করিডর আর জেরক্সের দোকানের মোট ছোট , ছোট অফিস গুলো ।
এর চেয়ে মেহেতা বিল্ডিং ভাল । ঐ বিল্ডিং এ লিফট ভেঙে পড়ার খবর বেশ কয়েকবার পেয়েছি ।
আই আই টির পূর্ণেন্দু চ্যাটার্জি না কার যেন ওটা ছিল ! সেই লোকটিরই বা কি হল ?
করোনা ও লকডাউনের জেরে ভিনরাজ্যে আটকে পড়া শ্রমিকদের নিজের রাজ্যে ফিরিয়ে দিতে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চালিয়েছে রেল। কিন্তু ভারতীয় রেল সেখানেই নিজেদের দায়িত্ব শেষ মনে করছে না। এই পরিযায়ী শ্রমিকেরা যাতে নিজ রাজ্যে এই দুর্দিনে কাজ পায় সেই লক্ষ্যে ই ১৮০০ কোটি টাকার পরিকাঠামো সংক্রান্ত প্রকল্প নিয়েছে রেল। প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ রোজগার অভিযানের অন্তর্গত এই কর্মসূচি রূপায়ণের দায়িত্বে একজন নোডাল অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে।বিহার, উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও ওড়িশার ১১৬ টি জেলার পরিযায়ী শ্রমিকদের এই কর্মসূচিতে যোগদানের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এই কর্মসূচি চলবে আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত। প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ রোজগার অভিযানের রেল ছাড়া আরও ১১ টি মন্ত্রক জড়িত রয়েছে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য গ্রামোন্নয়ন,সড়ক পরিবহন, পঞ্চায়েতিরাজ,খনি, পানীয় জল ও নিকাশি,পরিবেশ, পেট্রোলিয়াম ও স্বাভাবিক গ্যাস, পুনর্নবীকরণ যোগ্য শক্তি, সীমান্ত সড়ক, টেলিকম
ইমিগ্র্যান্টরা,হলো আমেরিকার অর্থনীতির চালিকা শক্তি।শিক্ষিতরা কোম্পানী,হাসপাতাল চালাবে আর কম শিক্ষিতরা অড জব। এই মোটা মুটি এটা ছক। ট্রাম্প সহ সব রাজনৈতিক নেতা ও ব্যবসায়ীরা জানে।
এঁদের কাছে অর্থনীতির উন্নতির প্রধান শর্ত হলো,কম টাকার বিনিময়ে মেধা ,বুদ্ধি,শ্রম দাও।তোমার যৌবন দান করো,অর্থের বিনিময়ে।সেই অর্থ আবার কিছু বেজস,বাফে, ওয়ালটন ফ্যামিলির লোকজন সাবাড় করে দেবে কিছু পচা জিনিষ গছিয়ে।
ওদের কাছেও বড় প্রশ্ন,এই আহাম্মক গুলোকে নিয়ে কি করবো?দেশে ফেরত পাঠাবো?পাঠালে ওদের সঙ্গে কিছু অর্থ চলে যাবে,ওদের ছেলে মেয়েরা এখান কার কলেজ,ইউনি তে পড়লে,কিছু শিক্ষিত মেধাবী লোকজন পাওয়া যাবে। যাঁদের এইসব কাজে আবার লাগানো যাবে। সারাক্ষণ এই হিসাব কষে চলেছে।আর পত্র পত্রিকায় ভুল ভাল ভয় দেখানো চলছে।যাতে করে এই জুজুর ভয়ে সেকেন্ড জেনারেশন অবধি চুপসে থাকে।
আ্যমেরিকার দুপুরে যখন শুধু মার্কিনিরা গুরুতে, তখন নস্টালজির চর্চা হয়। সন্ধ্যে হলেই বিশ্ব উপস্থিত হয় ও মার্কিনি রাজনীতি নিয়ে ধুন্ধুমার।
দীপাঞ্জন এর সঙ্গে একমত।ট্রাম্প ব্যবসায়ী লোক।জানে ওভারসিজ হেইচ ওয়ান বি ভিসা ধারী জনতা না পেলে,আই টি ইন্ডাস্ট্রি বিরাট মার খাবে।এখন আমেরিকায় সারপ্লাস আছে।ভোট জেতার পর ধীরে ধীরে আবার চালু করবে। হয়তো গ্রিন কার্ড পাবার শর্তও অনেক সরল হবে।অর্থাৎ যোগ্যতম ব্যক্তি গ্রীন কার্ড পাবে। এই হবে নীতি।
এখন যা নতুন কিছু বাজারে আসবে,সব ট্রাম্পের দোষ!ওদিকে ট্রাম্প ও সেয়ানা লোক।তুমি যতো মাইনরিটি ভোট টানার চেষ্টা করবে,ট্রাম্প ততো মেজরিটি জনতা কে পোলারাইজ করে ফেলবে।
ব্যাপারটা হলো,যতো ট্রাম্পের নিন্দে হবে,ততো ভোট পোলারাইজ হবে। ডেমোক্র্যাট গণ তলে তলে বিরাট কন্সপিরেসি না চালালে ট্রাম্প কে হারানো মুশকিল। আফটার অল মেজরিটি জনতাই মনে মনে রেসিস্ট।
এই যে বি এল এম নিয়ে এশিয়ান দের সলিডারিটি র বন্যা বয়ে যাচ্ছে,ব্ল্যাক কম্যুনিটি ট্রাম্পের ভিসা বাতিল এর জন্য কতোটা প্রতিবাদ করছে? কারণ বেশির ভাগ জনতা মনে করে এশিয়ান লোকজন আমাদের ভালো চাকরি বাকরি ছিনিয়ে নিলো।
ওদিকে যেসব ইন্ডিয়ানস গ্রিন কার্ড হোল্ডার,তারাও চায়না,দলে দলে স্টুডেন্ট বা আই টি লোকজন এসে ভরিয়ে দিক।ওনারা মনে করেন,বেশি বেশি দেশের জনতা এসে গেলে দৃশ্যমানতা বাড়বে।আমাদের ওপর হিংসা হতে পারে।এ এক পারপেচ্যুয়াল সাইকেল!
কিছুদিন আগে, হনু,খুব বরিস জনসন এর নিন্দা করছিলো।যতরকম বদগুণ থাকতে পারে,তার লিস্টি দিয়েছিল। আমি বলেছিলাম বরিস জনসন জিতবে।বরিস ব্রিটেন এর ইকোনমি কে খাদ থেকে তোলার সবচে আদর্শ ব্যক্তি।আবার যতোই বরিস কে নাক উঁচু বলা হোক।বরিস এর মন্ত্রী সভায় দুজন বড় পোস্ট হোল্ডার ভারতীয় অরিজিন।প্রীতি প্যাটেল ও ঋষি সুনক।একজন সেক্রেটারি অফ স্টেট আর একজন চ্যান্সেলর অফ এক্সচেকার!এতো বড় সন্মান ব্রিটিশ ভারতীয় দের কোন লেবার সরকার দেয় নি। রা দার স্বপ্নেও ভাবেনি।
আমেরিকার ইকোনমি কে উন্নত করেছে ট্রাম্প। আরও করবে।চায়না কে টাইট ও দেবে।ট্রাম্প বেটার ক্যান্ডিডেট।যদিও বহুত বদ লোক।মানে বরিস এর এক কাঠি ওপরে।
ঐটা রেকর্ড তো। কিন্তু এমনিতে দাদার টেকনিক খুব খারাপ। কোনদিন খেলে দেবে কোনদিন ধ্যাড়াবে কেউ জানে না। স্টান্স খারাপ, অনসাইডে খেলতে পারে না, বাউন্সারে কেঁপে ওঠে। নেহাত পেছনে পোচ্চুর হাওয়া সাপ্লাই দিয়ে দিয়ে দাদার একটা মিথ তৈরি হয়েছে।
হ্যাঁ , টনটনের ইনিংসটা সলিড ছিল। কিন্তু দাদা মেনলি জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি হাঁকাত। আসলে দাদা বরাবরই নড়বড়ে পেলেয়ার।
আমি তো মনে করতে পারি উল্টোডাঙার মোড় থেকে রিক্সা চড়ে ঝিলমিলে বেড়াতে যাওয়া।সল্টলেকের কোন কোন ফাঁকা রাস্তা দিয়ে ( কালোবাড়ি নামের বিশ্রি স্হাপত্যের বাড়িগুলো মনে আছে) সোজা পার্কের সামনে রিক্সা হাজির। সে পার্কে তখন কটা দোলনা আর কিছু গাছপালা। পার্কের পেছনদিকে যতদূর চোখ যায় মস্ত ভেড়ি। বোলার্স ডেন, নলবন ইত্যাদি সময়ের গর্ভে। একটা স্টেট ট্রান্সপোর্টের বাসডিপো ছিল, তারপর শন আর কাশের জঙ্গল। নিউটাউনে বোধহয় রাতে বাঘ আসত। খালে ভরপুর নৌকো চলতো।
চোখের সামনে সব গজিয়ে উঠলো।আপিশ পাড়ায় কত নতুন বাড়ি- সেই পুরোনো ফাঁকা রাস্তায় অভিযান করতে গিয়ে পথ হারিয়ে কেলেংকারি কান্ড হলো গতবার।সব বদলে গেছে। এমনকি শুনলাম নলবনের পুরোনো গেটও নাকি আর নেই, সে এখন এসডিএফের পাশে চলে এসেছে। মাথার মধ্যে যে ম্যাপ আঁকা আছে তাই দিয়ে রাস্তা চিনতে গিয়ে আমি সল্টলেকেও সন্ধ্যেবেলা হারিয়ে গেলাম!
হনুর নস্ট্যালজি অনেকটা অজ্জুনবাবুর মতন বনেদী। লন্ডনে একটা বাকলাভার দোকানের পাশে ছোট গলিতে একজন আরমেনিয়ান বুড়োর বইয়ের দোকানে তেষট্টি সালের কিউবান কমিউনিস্ট পার্টির একটা প্যামফ্লেটের ছেঁড়া তিন নম্বর পাতা পেয়ে গেছিলাম। তারপরেই হনুর খেয়াল হবে, ওইজ্জা, আত্মজৈবনিক হয়ে গেল যে। তখন সেটাকেই একটা ডিবেটিং ফ্রেমওয়ার্কে চড়িয়ে দু পোঁচ রং লাগিয়ে দেবে। আঁতেলদের ব্যাপারই আলাদা।